পর্যায় সারণির সীমাবদ্ধতা কি?

মৌলসমূহের ধর্ম সহজে আয়ত্ত্ব করার জন্য পর্যায় সারণী আবিষ্কার করা হয়। এতে একটি মৌলের ধর্ম সম্পর্কে জানা থাকলে ঐ গ্রুপের সকল মৌলের ধর্ম সম্পর্কে জানা থাকে। পর্যায় সারণি আবিষ্কারের ফলে মৌল সমূহকে সবচেয়ে সফলভাবে বিন্যস্ত করা হয়েছে। তারপরও এর কিছু ত্রুটি রয়েছে।

ত্রুটিগুলো নিম্নরূপঃ

১. হাইড্রোজেনের অবস্থান: পর্যায় সারণিতে এক নম্বর গ্রুপ ও 17 নম্বর গ্রুপের মৌলসমূহের সঙ্গে হাইড্রোজেনের ধর্মের মিল থাকায় হাইড্রোজেনের সঠিক অবস্থান নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি।

২. হিলিয়াম এর শেষ কক্ষপথের ইলেকট্রন বিন্যাস দুই নম্বর গ্রুপের মৌলের অনুরূপ হলেও একে 18 নম্বর গ্রুপে নিষ্ক্রিয় গ্যাসের সঙ্গে রাখা হয়েছে।

৩. ল্যান্থানাইড ও অ্যাক্টিনাইড সিরিজ : পর্যায় সারণির নিচে ল্যান্থানাইড ও অ্যাক্টিনাইড সিরিজে 14 টি করে 28 টি মৌলের স্থান দেওয়া হয়েছে। এর ব্যাখ্যা পর্যায় সারণী দিতে পারেনা।

Comments

রাদারফোর্ড ও বোর পরমাণু মডেলের মধ্যে তুলনা। রাদারফোর্ড ও বোর উভয়ে পরমাণু মডেলের ব্যাখ্যা করলেও তাদের মধ্যে কিছু সাদৃশ্য বৈসাদৃশ্য বিদ্যামান আছে। নিচে রাদারফোর্ড ও বোর মডেলের তুলনা করা হলোঃ সাদৃশ্যঃ ১. রাদারফোর্ড ও বোর মডেল দ্বারা শুধু এক ইলেকট্রন বিশিষ্ট পরমাণুর গঠন ব্যাখ্যা করা যায়। ২. উভয় মডেল অনুসারে পরমাণুর অভ্যন্তরস্থ বেশিরভাগ স্থান ফাঁকা। ৩. রাদারফোর্ড ও বোর মডেল অনুসারে পরমাণুর কেন্দ্রে ধনাত্মক আধান ও প্রায় সমগ্র ভর কেন্দ্রীভূত থাকে। বৈসাদৃশ্যঃ ১. রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেলে শক্তিস্তরের আকার ও আকৃতি সম্বন্ধে কোন ধারণা দেওয়া হয়নি। কিন্তু বোরের পরমাণু মডেলে বৃত্তাকার শক্তিস্তরের ধারণা দেওয়া হয়েছে। ২. রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেলের সাহায্যে পারমাণবিক বর্ণালী ব্যাখ্যা করা যায় না। কিন্তু বোরের পরমাণু মডেলে বর্ণালী সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। ৩. রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল ইলেকট্রনের কৌণিক ভরবেগের ধারণা দেয় না। কিন্তু বোরের পরমাণু মডেলে ইলেকট্রনের কৌণিক ভরবেগের ধারণা দেওয়া হয়েছে। ৪. শক্তির শোষণ বা বিকিরণ সম্বন্ধে কোন ধারনা ...

প্রতীক ও সংকেতের মধ্যে পার্থক্য কি?

- November 11, 2020

Search This Blog

ChemistryDulal