Posts

Showing posts from June, 2020

সন্নিবেশ সমযোজী যৌগের বৈশিষ্ট্য।

সন্নিবেশ সমযোজী যৌগের বৈশিষ্ট্য। সন্নিবেশ সমযোজী যৌগের বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপঃ  মুক্তজোড় ইলেকট্রন এর মাধ্যমে সন্নিবেশ সমযোজী বন্ধন গঠিত হয়।   সন্নিবেশ বন্ধনের দ্বারা জটিল যৌগ গঠিত হয়।  কমপক্ষে এক জোড়া মুক্তজোড় ইলেকট্রন দানে সক্ষম কোন পরমাণুর সাথে, ঔ মুক্তজোড় ইলেকট্রন গ্রহণে সক্ষম কোন পরমাণুর মধ্যে সন্নিবেশ সমযোজী বন্ধন গঠিত হয়।  সন্নিবেশ সমযোজী বন্ধন একমুখী তীর চিহ্ন দ্বারা দেখানো হয়।  সন্নিবেশ সমযোজী বন্ধন গঠনে প্রয়োজনীয় ইলেকট্রন দুটি কেবল একটি পরমাণু যোগান দেয় এবং অপর পরমাণু কেবল ঔ দুটি ইলেকট্রন শেয়ার করে।  এদের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক বন্ধন গঠনের উপর নির্ভর করে।

আয়নিক যৌগের বৈশিষ্ট্য।

আয়নিক যৌগের বৈশিষ্ট্য।   আয়নিক যৌগের বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপঃ  আয়নিক যৌগের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক খুব বেশি। আয়নিক যৌগ কঠিন অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবহন করে না, কিন্তু গলিত এবং দ্রবীভূত অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবহন করে। আয়নিক যৌগসমূহ পানিতে দ্রবীভূত হয়।  অপোলার দ্রাবকে আয়নিক যৌগ দ্রবীভূত হয় না। আয়নিক যৌগে আয়নিক বন্ধন বিদ্যমান থাকে।  ইলেকট্রন আদান-প্রদানের মাধ্যমে আয়নিক যৌগ গঠিত হয়।  সকল আয়নিক যৌগে প্রতিটি আয়ন তার চতুর্দিকে বিপরীত আধানযুক্ত আয়ন দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে।

সমযোজী যৌগের বৈশিষ্ট্য।

সমযোজী যৌগের বৈশিষ্ট্য।   সমযোজী যৌগের বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপঃ  সমযোজী যৌগ সাধারণত নিম্ন গলনাংক ও স্ফুটনাংক বিশিষ্ট হয়।  সমযোজী যৌগসমূহ সাধারণত বিদ্যুৎ অপরিবাহী হয়।  সমযোজী যৌগসমূহ সাধারণত পানিতে দ্রবীভূত হয় না।  সমযোজী যৌগ অপোলার দ্রাবক যেমনঃ বেনজিন, ইথার ইত্যাদিতে দ্রবণীয়।  সমযোজী যৌগে সমযোজী বন্ধন বিদ্যমান থাকে।  সমযোজী যৌগের অনুসমূহের মধ্যে দুর্বল ভ্যানডার ওয়ালস আকর্ষণ বল বিদ্যমান থাকে। ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে সমযোজী বন্ধন গঠিত হয়।

[ ] ধাতু ও অধাতুর মধ্যে পার্থক্য।

ধাতু ও অধাতুর মধ্যে পার্থক্য।   ধাতু ও অধাতুর মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপঃ  ধাতুসমূহ বিদ্যুৎ ও তাপ সুপরিবাহী, কিন্তু অধাতু সমূহ বিদ্যুৎ ও তাপ অপরিবাহী।  ধাতুসমূহের বিশেষ দ্যুতি আছে, অপরদিকে অধাতুসমূহের দ্যুতি নেই। অধাতুসমূহ আলো বিকিরণ করতে পারে না।  ধাতু ঘাত সহনশীল ও নমনীয়, কিন্তু অধাতু ঘাত সহনশীল ও নমনীয় নয়।  ধাতুকে আঘাত করলে টুনটুন শব্দ হয়, কিন্তু অধাতু কে আঘাত করলে টুনটুন শব্দ হয় না। ধাতুসমূহকে জোড়া লাগানো যায়, অপরদিকে অধাতু সমূহকে জোড়া লাগানো যায় না।  ধাতু সমূহ অপেক্ষাকৃত উচ্চ গলনাংক ও স্ফুটনাঙ্ক  বিশিষ্ট, কিন্তু অধাতু সাধারণত অপেক্ষাকৃত নিম্ন গলনাংক ও স্ফুটনাংক বিশিষ্ট।

বহুরূপতা বলতে কি কি বুঝ?

  বহুরূপতা বলতে কি কি বুঝ? বহুরূপতাঃ যদি কোন মৌল ভিন্ন ভিন্ন রূপে প্রকৃতিতে থাকতে পারে তার এ ধর্মকে বহুরূপতা বলা হয়। যেমনঃ গ্রাফাইট, হীরক কার্বনের বহুরূপতা।

Popular posts from this blog

কপার(Cu) ও ক্রোমিয়ামের(Cr) ইলেকট্রন বিন্যাস ব্যতিক্রম কেন?

মুক্তজোড় ইলেকট্রন ও বন্ধন জোড় ইলেকট্রন কাকে বলে।

জারণ সংখ্যা নির্ণয়ের সহজ পদ্ধতি।

COD ও BOD কাকে বলে?

জারক ও বিজারক কাকে বলে? কিভাবে জারক ও বিজারক সহজেই চেনা যায়।

সালফার পরিবর্তনশীল যোজনী প্রদর্শন করে কেন?

প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড ও সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ কাকে বলে?

মোলার গ্যাস ধ্রুবক এবং এর মাত্রা, তাৎপর্য ও মান নির্ণয়।

প্রতীক ও সংকেতের মধ্যে পার্থক্য কি?

রাদারফোর্ড ও বোর পরমাণু মডেলের মধ্যে তুলনা।