Posts

Showing posts from April, 2020

হিলিয়াম গ্যাসের ব্যবহার।

হিলিয়াম গ্যাসের ব্যবহার। পর্যায় সারণি 18 নম্বর গ্রুপে নিষ্ক্রিয় গ্যাসের অবস্থান। নিষ্ক্রিয় গ্যাস সমূহ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে অনেক কাজে লাগে। হিলিয়ামের ব্যবহার : ১. অদাহ্য ও হালকা হওয়ায় আবহাওয়া পরীক্ষার যে বেলুন আকাশে ওড়ানো হয় তার ভেতর হিলিয়াম ব্যবহার করা হয়। ২. উড়োজাহাজের টায়ার স্ফীত করার কাজে হিলিয়াম ব্যবহার করা হয়। ৩. হিলিয়ামের দ্রাব্যতার জন্য একে অক্সিজেনের সাথে মিশ্রিত করে ডুবুরিরা শ্বাসকার্যে ব্যবহার করে। ৪. অক্সিজেন ও হিলিয়ামের মিশ্রণ হাঁপানি রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। ৫. কম তাপমাত্রায় গবেষণার জন্য গবেষণাগারে হিলিয়াম ব্যবহার করা হয়। ৬. প্রতিপ্রভা(Fluorescent) নলে নিয়ন গ্যাসের সাথে হিলিয়াম ব্যবহার করা হয়।

হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার এর মধ্যে পার্থক্য কি?

হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার এর মধ্যে পার্থক্য কি? হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার এর মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ : ১. যেসকল ভৌত ডিভাইস দিয়ে কম্পিউটার তৈরি তাদেরকে হার্ডওয়ার বলে। অপরদিকে সফটওয়্যার হলো একসেট নির্দেশনা বা কম্পিউটার কে কি কাজ করতে হবে তার নির্দেশনা দেয়। ২. হার্ডওয়ারকে স্পর্শ করা যায়, কিন্তু সফটওয়্যারকে স্পর্শ করা যায় না। ৩. হার্ডওয়ার হলো কম্পিউটারের দেহ, কিন্তু সফটওয়্যার হলো কম্পিউটারের প্রাণ। ৪. কী-বোর্ড, মাউস, মনিটর, প্রিন্টার ইত্যাদি সফটওয়্যার এর উদাহরণ। অপরদিকে উইন্ডোজ 2007, 2008 ইত্যাদি সফটওয়্যার এর উদাহরণ।

ফ্যাক্স কি?

ফ্যাক্স কি? ফ্যাক্স হল তার বা রেডিওর সাহায্যে কোন ছবি, চিত্র, ডায়াগ্রাম বা যে কোন লিখিত ডকুমেন্ট হুবহু কপি করে প্রেরণ করার একটি ইলেকট্রনিক ব্যবস্থা। আধুনিক ফ্যাক্স মেশিনে কোন ডকুমেন্ট ইলেকট্রনিক উপায় স্ক্যানিং করা হয় এবং স্ক্যানকৃত সংকেতকে বাইনারি সংকেত রূপান্তর করা হয়। এরপর স্ট্যান্ডার্ড মোডেল কৌশল ব্যবহার করে টেলিফোনের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়। গ্রাহক ফ্যাক্স মেশিন একে ডকুমেন্টে পরিণত করে। এরপর একটি প্রিন্টারে প্রেরণ করে ডকুমেন্ট টিকে হুবহু ছেপে বের করা হয়। এভাবেই ফ্যাক্স মেশিন কাজ করে। ফ্যাক্স মেশিন ব্যবহার করে খুব অল্প সময়ে অপরাধীর ছবি, অঙ্গুলের ছাপ ইত্যাদি এক শহর থেকে আরেক শহরে বা দেশে পাঠিয়ে অপরাধী সনাক্ত করা যায়। এছাড়া ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ফ্যাক্সের সাহায্যে একাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য ও স্বাক্ষরের রেকর্ড করা এবং আদান প্রদান করা হয়।

অডিও সংকেত ও ভিডিও সংকেত কি?

অডিও সংকেত ও ভিডিও সংকেত কি?   অডিও সংকেত : কোন বক্তা বা উপস্থাপকের কথা বা কণ্ঠস্বর বা যে কোন শব্দ তরঙ্গকে মাইক্রোফোনের সাহায্যে তড়িৎ সংকেতে রূপান্তরিত করা যায়। এভাবে উৎপন্ন তড়িৎ সংকেতকে অডিও সংকেত বলে। ভিডিও সংকেত : ভিডিও সংকেত এর উৎস হলো কোনো ছবি বা দৃশ্য। কোন দৃশ্যকে টেলিভিশন ক্যামেরা দ্বারা ধারণ করে এবং স্ক্যানিং প্রক্রিয়ায় একে তড়িৎ সংকেতে রূপান্তরিত করা হয়। এই সংকেতের নাম ভিডিও সংকেত।

দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের মধ্যে পার্থক্য কি?

দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের মধ্যে পার্থক্য কি? দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ: ১. বিপর্যয়ের ফলে মানুষের জন্য যে প্রতিকূল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তাকে দুর্যোগ বলে। অপরদিকে প্রাকৃতিক বা মানব সৃষ্ট কোন আকস্মিক ঘটনাকে বিপর্যয় বলে। ২. বিপর্যয় সৃষ্টি হলে কেবল দুর্যোগ দেখা দেয়। দুর্যোগ সম্পর্কে আগেই আভাস পাওয়া সম্ভব। কিন্তু বিপর্যয় সৃষ্টি হয় আকস্মিকভাবে, প্রাকৃতিক বা অন্য কোন কারণে। বিপর্যয় সম্পর্কে কোন পূর্ব ধারণা পাওয়া যায় না। ৩. সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দুর্যোগ রোধ করা সম্ভব।  কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে ও আকস্মিকভাবে হয় বলে বিপর্যয় রোধ করা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়।

জনসংখ্যা কিভাবে বৃদ্ধি পায়?

জনসংখ্যা কিভাবে বৃদ্ধি পায়? একটি এলাকায় একদিকে যেমন শিশুর জন্ম হয় অপরদিকে নানা বয়সের লোক মৃত্যুবরণ করে। কোন একটি এলাকায় শিশু জন্মহার ও মৃত্যুহার সমান হলে ওই এলাকায় জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে না। কিন্তু একটি এলাকায় যে কয়জন লোক মৃত্যুবরণ করে তার চেয়ে জনসংখ্যা যদি বেশি হয় তাহলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া না পাওয়া দুটি অবস্থার উপর নির্ভর করে। তা হলো বহির্গমন ও বহিরাগমন। বহির্গমন এর ফলে একটি দেশের জনসংখ্যা কমে যায়। আর বাহির থেকে লোক আগমনের ফলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

ভূমিকম্প কি?

ভূমিকম্প কি? ভূ-অভ্যন্তরে হঠাৎ সৃষ্ট কোন কম্পন ভূত্বকে আকস্মিক আন্দোলন সৃষ্টি করে সাধারণত তাকে ভূমিকম্প বলে।  আমাদের ভূগর্ভে কতগুলো টেকটনিক প্লেট থাকে। এই প্লেটগুলো গতিশীল অবস্থায় থাকে। টেকটনিক প্লেট গুলো স্থান পরিবর্তনের সময় একে অপরের সাথে আঘাত লাগে। সেই আঘাতের ফলে ভূমিকম্প সৃষ্টি হয়। ভূমিকম্প এমন একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ যার কোনো আগাম সর্তকতা দেওয়া সম্ভব নয়। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প পরিমাপ করা হয়। বিশ্বের মধ্যে জাপান, আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা বলে চিহ্নিত।

সুনামি (Tsunami) কি?

সুনামি (Tsunami)  কি? Tsunami সুনামি জাপানি শব্দ। 'সু' অর্থ বন্দর এবং 'নামি' অর্থ ঢেউ। সুতরাং সুনামির অর্থ হল বন্দরের ঢেউ। সমুদ্র তলদেশে ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত, ভূমিধস ইত্যাদি কারণে সুনামির সৃষ্টি হতে পারে। সাগর বা মহাসাগরের তলদেশে প্লেট গুলির মধ্যে সংঘর্ষের কারণে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়। আর এই ভূমিকম্পের ফলে সমুদ্রের অভ্যন্তরে বিশাল ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। এই ঢেউ যত বেশি তীরের দিকে যায় এটি আরও দীর্ঘ ও ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। এই ঢেউয়ের গতিবেগ ঘন্টায় 500 থেকে 800 মাইল হতে পারে। সুনামিকে পৃথিবীর তৃতীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগে আখ্যায়িত করা হয়। খোলা সমুদ্রের ঢেউয়ের উচ্চতা 3 ফুট হতে পারে। কিন্তু ঢেউ যত তীরের দিকে যায় শক্তি সঞ্চয় করে উচ্চতা বাড়তে থাকে। 2004 সাল 26 ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের কাছাকাছি ভারত মহাসাগরের সুনামি সৃষ্টি হয়েছিল। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। 1976 সালের 2 এপ্রিল বঙ্গোপসাগরেও সুনামির সৃষ্টি হয়েছিল।

হিউমাস ও হরাইজোন কাকে বলে?

হিউমাস ও হরাইজোন কাকে বলে? হিউমাস : হিউমাস হল অ্যামাইনো এসিড, প্রোটিন, চিনি, অ্যালকোহল, চর্বি, লিগনিন, তেল ইত্যাদি যৌগের সমন্বয়ে গঠিত এক বিশেষ জটিল পদার্থ।   হরাইজোন : মাটিকে চারটি স্তরে বিভক্ত করা হয়। মাটির এ প্রতিটি স্তরকে হরাইজোন বলে।  মাটির চারটি স্তর হচ্ছে-  হরাইজোন A, হরাইজোন B, হরাইজোন C, হরাইজোন D.

ক্রোমোজোম কি?

ক্রোমোজোম কি? জীবের বংশগতির বৈশিষ্ট্যের ধারক ও বাহককে ক্রোমোজোম বলে। মানুষের দেহে 23 জোড়া ক্রোমোজোম থাকে। এর মধ্যে 22 জোড়া অটোজোম এবং একজোড়া সেক্স ক্রোমোজোম। অটোজোম গুলি শরীরবৃত্তীয় গঠন নিয়ন্ত্রণ করে। প্রতিটি ক্রোমোজোমের ক্ষুদ্র একক হল জিন। জিনের রাসায়নিক গঠন উপাদান হলো DNA.  জিনের মাধ্যমে বাবা-মা থেকে বৈশিষ্ট্য সন্তানদের মধ্যে পরিবাহিত হয়। তাই ক্রোমোজোমকে বংশগতির ধারক ও বাহক বলা হয়। সেক্স ক্রোমোজোম বা লিঙ্গ নির্ধারণকারী ক্রোমোজোমকে 'X' ও 'Y' দ্বারা প্রকাশ করা হয়। স্ত্রীলোকের লিঙ্গ নির্ধারণকারী ক্রোমোজোম জোড়া 'XX'এবং পুরুষের লিঙ্গ নির্ধারণকারী ক্রোমোজোম জোড়া 'XY'। 'X' ক্রোমোজোম স্ত্রীলোকের বৈশিষ্ট্য বহন করে এবং 'Y' ক্রোমোজোম পুরুষের বৈশিষ্ট্য বহন করে। স্ত্রীলোকের 'X' ক্রোমোজোমের সঙ্গে পুরুষের 'X' ক্রোমোজোম মিলিত হলে মেয়ে সন্তান জন্ম লাভ করে আবার স্ত্রীলোকের 'X' ক্রোমোজোমের সঙ্গে পুরুষের 'Y' ক্রোমোজোম মিলিত হলে ছেলে সন্তান জন্ম লাভ করে।  অর্থাৎ ছেলে বা মেয়ে সন্তান জন্মদানের ক

ডারউইনের বিবর্তন মতবাদ কি?

ডারউইনের বিবর্তন মতবাদ কি? ডারউইনের মতে অত্যধিক হারে বংশবৃদ্ধি করাই জীবের সহজাত বৈশিষ্ট্য। এর ফলে জ্যামিতিক ও গাণিতিক হারে জীবের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। জীবের জ্যামিতিক ও গাণিতিক হারে সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটায় এবং খাদ্য ও বাসস্থান সীমিত থাকায় জীবকে বেঁচে থাকার জন্য কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হয়। ডারউইন এ সংগ্রামকে অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম বলে অভিহিত করেন। এ সংগ্রাম তিন ধরনের হতে পারে- ১. আন্তঃপ্রজাতিক সংগ্রাম। ২. অন্তঃপ্রজাতিক সংগ্রাম। ৩. পরিবেশের সাথে সংগ্রাম। তাঁর মতে পৃথিবীতে দুটি জীব অবিকল একই হতে পারে না। এদের কিছু না কিছু পার্থক্য থাকে। এ পার্থক্যকে তাদের প্রকরণ বা পরিবৃত্তি বলে। তাঁর মতে পরিবেশের সাথে যে জীবটি খাপ খাইয়ে নেবে সে জীবটি পরিবেশের প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়ে বেঁচে থাকবে। এ জীবটিই বংশবৃদ্ধি করবে ও প্রকট হবে এবং অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম করবে। এর ফলে নতুন প্রজাতির সৃষ্টি হবে। ডারউইনের মতে ধীরগতিতে হলেও নতুন প্রজাতির সৃষ্টি হয় তিন ভাবে- ১.  মূল প্রজাতি হতে পৃথক হয়ে যাওয়ার ফলে। ২. সংকরায়নের ফলে। ৩.  সংকরায়ন প্রজাতিতে কোষ বিভাজনের সময় কোষের

ল্যামার্কের বিবর্তন মতবাদ?

ল্যামার্কের বিবর্তন মতবাদ? ল্যামার্কের মতবাদ অনুসারে জীবের বংশপরম্পরায় অর্জিত বৈশিষ্ট্যের মধ্যে অঙ্গের ব্যবহার ও  অব্যবহার জীবদেহের পরিবর্তন সূচিত করে এবং পরিবেশের পরিবর্তন ঘটায়। অর্থাৎ  জীবের প্রয়োজনে জীবদেহে নতুন অঙ্গের উৎপত্তি অথবা কোন পুরনো অঙ্গের অবলুপ্তি ঘটতে পারে। তাঁর মতে, যদি কোন জীবের কোন অঙ্গ ধারাবাহিকভাবে ক্রমাগত ব্যবহৃত হয় সে অঙ্গ পরিবেশের প্রয়োজনীয়তার জন্য ধীরে ধীরে সবল ও সুগঠিত হবে এবং অপ্রোজনীয় হলে তা ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হবে। ল্যামার্কের মতে পরিবেশের পরিবর্তন ঘটলে জীবের স্বভাব ও দৈহিক পরিবর্তন ঘটে। এটা জীবের অর্জিত বৈশিষ্ট্য। কোন জীবের জীবনকালে যে সকল বৈশিষ্ট্য অর্জিত হয় সেই সমস্ত বৈশিষ্ট্য এক প্রজন্ম হতে অন্য প্রজন্মে সঞ্চালিত হয়। কিন্তু তার অর্জিত বৈশিষ্ট্য পরবর্তী প্রজন্মের সঞ্চালিত হয় এর স্বপক্ষে কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না।

ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন কি?

ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন কি? জীবদেহে বাহিরে ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর মিলন ঘটিয়ে প্রথমিক ভ্রুণ সৃষ্টি করাকে ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন বলে।  এ পদ্ধতিতে কৃত্রিম উপায়ে স্ত্রীলোকের জরায়ুর বাহিরে ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর মিলনের মাধ্যমে প্রাথমিক ভ্রুণ তৈরি করা হয়। পরবর্তীতে এই ভ্রুণ স্ত্রীলোকের জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করার মাধ্যমে শিশুর জন্ম দেয়া হয়।  পর্যায়ক্রমে কতগুলো পদ্ধতি অনুসরণ করে ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন ঘটিয়ে শিশুর জন্ম দেওয়া হয়।  এটি চার ধাপে করা হয়। ১. সক্ষম দম্পতি হতে ডিম্বাণু ও শুক্রাণু সংগ্রহ করে বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে এদের মিলন ঘটানো হয়। ২.  এর মাধ্যমে প্রাথমিক ভ্রুণ উৎপাদন হয়। ৩. উৎপাদিত ভ্রুণকে স্ত্রীর জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করা হয়। ৪. প্রসূতির পরিচর্যা ও সন্তান লাভ। যেসব দম্পতি স্বাভাবিক সন্তান লাভে ব্যর্থ তারা ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন পদ্ধতি ব্যবহার করে সন্তান জন্ম দিতে পারে।

লুপ্তপ্রায় অঙ্গ কি?

লুপ্তপ্রায় অঙ্গ কি? জীবদেহে এমন কতগুলো অঙ্গ দেখা যায় যেগুলো নির্দিষ্ট জীবদেহে সক্রিয় থাকে কিন্তু এ সম্পর্কিত অঙ্গ অন্য জীবদেহে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে। এ ধরনের অঙ্গগুলোকে লুপ্তপ্রায় অঙ্গ বা নিষ্ক্রিয় অঙ্গ বলে।   জীবদেহে বহু লুপ্তপ্রায় অঙ্গ পরিলক্ষিত হয়। মানুষের দেহে লেজ নেই। তবু মেরুদন্ডের শেষ প্রান্তে ককসিক্স নামক লুপ্তপ্রায় অঙ্গ থাকে। এই ককসিক্স মানুষের পূর্বপুরুষের সুগঠিত ছিল। আবার মানুষের সিকাম ও সিকাম সংলগ্ন ক্ষুদ্র অ্যাপেন্ডিক্সটি নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে। কিন্তু স্তন্যপায়ী তৃণভোজী গিনিপিগের দেহে এগুলো সক্রিয় অবস্থায় থাকে। লুপ্তপ্রায় অঙ্গ বহনকারী প্রাণের উৎপত্তি ঘটেছে এমন প্রাণী থেকে যার দেহে উক্ত অঙ্গটি সক্রিয় ছিল।

বয়ঃসন্ধিকালে মানসিক পরিবর্তনগুলি কি?

বয়ঃসন্ধিকালে মানসিক পরিবর্তনগুলি কি?   10 থেকে 19 বছর সময় কালকে বয়ঃসন্ধিকাল বলে। এইসময় ছেলেমেয়েদের বিভিন্ন ধরনের মানসিক পরিবর্তন ঘটে। ১. বাবা মা ও নিকটাত্মীয়র কাছ থেকে ভালোবাসা পাওয়ার ইচ্ছা জাগে। ২. আবেগ দ্বারা পরিচালিত হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। ৩. ছেলেমেয়েদের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়ে কৌতুহলের সৃষ্টি হয়। ৪. বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি হয়।   ৫. বিভিন্ন নেশা দ্রব্যের উপর আকর্ষণ সৃষ্টি হয়। ৬. আত্মনির্ভরশীল হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। ৭. মানসিক পরিপক্কতা শুরু হয়।

প্রাকৃতিক নির্বাচন, জৈব বিবর্তন, নিটাম কি?

প্রাকৃতিক নির্বাচন, জৈব বিবর্তন, নিটাম কি? প্রাকৃতিক নির্বাচন : যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় অনুকূল প্রকাশ বা অভিযোজনমূলক প্রকাশ সমন্বিত জীবেরা অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় বেশি সুযোগ সুবিধা ভোগ করে তাকে প্রাকৃতিক নির্বাচন বলে।   জৈব বিবর্তন : সময়ের সাথে কোন জীবের পরিবর্তনের ফলে যখন নতুন কোন প্রজাতি সৃষ্টি হয় তখন তাকে জৈব বিবর্তন বলে। নিটাম : এটি এক প্রকার সংযোগকারী উদ্ভিদ। এ উদ্ভিদে ব্যাপ্তজীবী ও গুপ্তজীবী উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য দেখা যায়।

অপরিণত বয়সে গর্ভধারণ কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়?

অপরিণত বয়সে গর্ভধারণ কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়? গর্ভধারণ হচ্ছে শরীরের একটি বিশেষ পরিবর্তন। সন্তান গর্ভে এলে এই পরিবর্তন হয়। মেয়েদের গর্ভধারণের নির্দিষ্ট বয়স সীমা আছে। মেয়েদের ক্ষেত্রে 18 বছরের নিচে গর্ভধারণ করাকে অপরিণত গর্ভধারণ বলে। অপরিণত বয়সে গর্ভধারণ করলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা যায়। অপরিণত বয়সে গর্ভধারণ প্রতিরোধ করতে হলে-  # মেয়েদের 18 বছরের নিচে এবং ছেলেদের 21 বছরের নিচে বিয়ে দেওয়া যাবে না। # পরিবারকে সচেতন হতে হবে। #  বাবা মাকে ছেলে মেয়েদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করতে হবে যাতে তারা কোন ভুল না করে। #  বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমের দ্বারা জনগণকে এ বিষয়ে সচেতন করতে হবে। #  বাল্যবিবাহ রোধে যথাযথ আইন প্রয়োগ করা।  #  যৌন মিলন সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা।

বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের শারীরিক পরিবর্তন কেমন হয়?

বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের শারীরিক পরিবর্তন কেমন হয়? বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের যেসব শারীরিক পরিবর্তন হয় তা নিম্নরূপ :   ১. দ্রুত লম্বা হয়ে উঠে ২. শরীরের বিভিন্ন অংশে লোম গজায় ৩. দাড়ি-গোঁফ গজায় ৪. গলার স্বর মোটা হয় ৫. ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পায় ৬. শরীরের গঠন প্রাপ্তবয়স্কদের মত হয় ৭. বুক ও কাঁধ চওড়া হয়।

স্থিরানুপাত সূত্র ও ভরের নিত্যতা সূত্র কি?

স্থিরানুপাত সূত্র ও ভরের নিত্যতা সূত্র কি? স্থিরানুপাত সূত্র : উৎস বা প্রস্তুত প্রণালি যাই হোক না কেন, একই যৌগে একই মৌলসমূহ তাদের ভরের একটি নির্দিষ্ট অনুপাতে যুক্ত থাকে। ভরের নিত্যতা সূত্র : যে কোন রাসায়নিক পরিবর্তন বা বিক্রয়ার পূর্বে বর্তমান পদার্থসমূহের মোট ভর, রাসায়নিক পরিবর্তন বা বিক্রয়া শেষে উৎপন্ন পদার্থসমূহের মোট ভরের সমান থাকে।

রাসায়নিক সংযোগ সূত্র কাকে বলে?

রাসায়নিক সংযোগ সূত্র কাকে বলে?   দুই বা ততোধিক মৌলে রাসায়নিক সংযোগের ফলে বিভিন্ন যৌগ উৎপন্ন হয়। এ সংযোগের সময় বিভিন্ন সূত্র অনুসরণ করা হয়। এ সূত্রসমূহকে রাসায়নিক সংযোগ সূত্র বলে।  রাসায়নিক সংযোগ সূত্র পাঁচটি - ১. ভরের নিত্যতা সূত্র ২. স্থিরানুপাত সূত্র ৩. গুণানুপাত সূত্র ৪. বিপরীত অনুপাত সূত্র ৫. গ্যাস আয়তন সূত্র।

গুণানুপাত সূত্র কি?

গুণানুপাত সূত্র কি?  যদি দুটি মৌল পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে একাধিক যৌগ উৎপন্ন করে তবে এসব যৌগের যেকোনো একটি মৌলের একটি নির্দিষ্ট ভরের সাথে অপর মৌলের যে বিভিন্ন ভরসমুহ পৃথকভাবে যুক্ত হয়, সেই ভরগুলো পরস্পরের সাথে একটি সরল অনুপাত বজায় রাখে। যেমন : 1 : 2 ; 2:3 ইত্যাদি।

গ্যাস আয়তন সূত্র কি?

গ্যাস আয়তন সূত্র কি? যখন বিভিন্ন গ্যাস পরস্পরের সাথে রাসায়নিকভাবে বিক্রিয়া করে তখন ১. তারা এমনভাবে বিক্রিয়া করবে যেন তাদের পরস্পরের আয়তনসমূহের মধ্যে সর্বদা একটি সরল অনুপাত থাকে।   এবং ২. বিক্রিয়ায় উৎপাদ যদি গ্যাসীয় হয়, তবে তাদের আয়তনের সাথে বিক্রিয়ক গ্যাসগুলোর আয়তনের মধ্যেও একটি সরল অনুপাত বিদ্যমান থাকবে। অবশ্য সকল গ্যাসের আয়তন একই তাপমাত্রা এবং চাপে পরিমাপ করতে হবে।

বিপরীত অনুপাত সূত্র কী?

বিপরীত অনুপাত সূত্র কী? যে ভর অনুপাতে দুই বা ততোধিক মৌল অপর মৌলের নির্দিষ্ট ভরের সাথে পৃথকভাবে সংযুক্ত হয়, উহাদের নিজেদের মধ্যে সংযোগের ক্ষেত্রে এরা ঐ ভর বা এর সরল গুণিতক বা উপগুনিতক অনুপাতে যুক্ত হবে।

বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের শারীরিক কি পরিবর্তন হয়?

বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের শারীরিক কি পরিবর্তন হয়? বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের শারীরিক যে পরিবর্তন হয় তা নিম্নরূপ : ১. মেয়েরা দ্রুত লম্বা হয়ে ওঠে ২. ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পায় ৩. শরীরের গঠন প্রাপ্তবয়স্কদের মত হয়ে উঠে ৪. শরীরের বিভিন্ন অংশের লোম গজায় ৫. ঋতুস্রাব শুরু হয় ৬. কোমরের হাড় মোটা হয়।

গর্ভপাতের ঝুঁকি সমূহ কি?

গর্ভপাতের ঝুঁকি সমূহ কি? গর্ভপাতের কারণে সৃষ্ঠ ঝুঁকিসমূহ নিম্নরূপঃ ১. মানসিক জটিলতা ২. শারীরিক জটিলতা ৩. রক্তক্ষরণ ৪. রক্তস্বল্পতা ৫. গর্ভধারণের ক্ষমতা বিনষ্ট হওয়া ৬. মা ও শিশুর মৃত্যু।

অপরিনত বয়সে গর্ভধারণের সমস্যা কি?

অপরিনত বয়সে গর্ভধারণের সমস্যা কি? অপরিণত বয়সে গর্ভধারণ করলে যেসব সমস্যা সৃষ্টি হয় তা নিম্নরূপ : #  স্বাস্থ্যগত সমস্যা #  শিক্ষাগত সমস্যা #  পারিবারিক সমস্যা #  আর্থিক সমস্যা #  গর্ভপাতজনিত সমস্যা #  কম ওজনের শিশুর জন্ম নেওয়া #  গর্ভাবস্থায় রক্তক্ষরণ #  পেটে খুব বেশি ব্যথা #  চোখে ঝাপসা দেখা।

ভাইরাস কি?

ভাইরাস কি?   বিবর্তনের কারণে প্রোটিন ও নিউক্লিক এসিড যুক্ত হয়ে নিউক্লিওপ্রোটিন তৈরি হয়। এরপর প্রোটোভাইরাস এবং  এখান থেকে তৈরি হয় ভাইরাস। জীব কোষের বাহিরে ভাইরাস জড় পদার্থের ন্যায় নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে। কিন্তু জীব কোষের ভিতর এটি জীবন্ত অবস্থায় থাকে। ভাইরাস জীব কোষের ভিতর বংশবিস্তার করে থাকে। জীব কোষের বাইরে এরা বংশবিস্তার করতে পারে না।

ব্যাকটেরিয়া কি?

ব্যাকটেরিয়া কি? ব্যাকটেরিয়া শব্দটি গ্রিক শব্দ থেকে উদ্ভূত। ১৬৭৫ সালে অ্যান্টনি ফন লিউয়েন হুক ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার করেন। ব্যাকটেরিয়া অতিক্ষুদ্র আণুবীক্ষণিক জীব। এদের নিউক্লিয়াসে কোন নিউক্লিয়ার আবরণী থাকে না। এরা অক্সিজেনের উপস্থিতিতে কিংবা অনুপুস্থিতিতে বাঁচতে পারে। ব্যাকটেরিয়া পরজীবী, মৃতজীবী অথবা স্বভোজী হতে পারে।

বিবর্তন কি?

বিবর্তন কি? বিবর্তন পৃথিবীর উৎপত্তি ও জীবের উৎপত্তির ঘটনা প্রবাহে তা একরকম থাকে না। ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়। প্রোটিন ও নিউক্লিক অ্যাসিড থেকে তৈরি হয় নিউক্লিওপ্রোটিন এরপরে প্রটোভাইরাস তারপর ভাইরাস, তারপর ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়।এককোষী জীবদেহে সৃষ্টি হয় ক্লোরোফিল। ফলে একদিকে খাদ্য সংশ্লেষণ সম্ভব হলো এবং অন্যদিকে অক্সিজেন সৃষ্টি হলো। সবাত শ্বসনের ফলে জীবদেহের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। উদ্ভব হলো এককোষী থেকে বহুকোষী জীব। এভাবে একদিকে উদ্ভিদ ও অপরদিকে প্রাণী দুটি ধারায় জীবের অভিব্যক্তি বা বিবর্তন শুরু হয়।

ডারউইনের প্রাকৃতিক নির্বাচন কি?

ডারউইনের প্রাকৃতিক নির্বাচন কি? যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় অনুকূল প্রকরণ বা অভিযোজন মূলক প্রকরণ সমন্বিত জীবেরা অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় বেশি সুযোগ সুবিধা ভোগ করে তাকে প্রাকৃতিক নির্বাচন বলে। অনুকরণ প্রকরণ সমন্বিত জীবেরা প্রকৃতি দ্বারা নির্বাচিত হলে বেশি সংখ্যায় বেঁচে থাকে এবং অত্যাধিক হারে বংশবিস্তার করে। অপরপক্ষে প্রতিকূল প্রকরণ সম্পূর্ণ জীবেরা পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে পারে না। ফলে তারা ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়। একে ডারউইনের প্রাকৃতিক নির্বাচন বলে।

জীবন্ত জীবাশ্ম কি?

জীবন্ত জীবাশ্ম কি?   কতগুলো জীব সুদূর অতীতে উৎপত্তি লাভ করে কোন রকম পরিবর্তন ছাড়াই এখনো পৃথিবীতে বেঁচে আছে। অথচ তাদের সমগোত্রীয় এবং সমসাময়িক জীবের বিলুপ্তি ঘটেছে। এসব জীবদের জীবন্ত জীবাশ্ম বলে। যেমন : রাজকাঁকড়া, প্লাটিপ্লাস, স্ফোনোডন ইত্যাদি প্রাণী এবং ইকুইজিটাম,  গিঙ্কোবাইলোবা, নিটাম উদ্ভিদগুলো জীবন্ত জীবাশ্মের উদাহরণ।

রক্তের গ্রুপ জানা প্রয়োজন কেন?

রক্তের গ্রুপ জানা প্রয়োজন কেন? মানুষের রক্তের গ্রুপ জানা প্রয়োজন কারণ- ১. কোনো কারণে দেহে রক্তের জরুরী প্রয়োজনে অপরকে রক্ত দেওয়া যায় আবার গ্রহণ করা যায়। ২. কোন শিশুর পিতৃত্ব নির্ণয় সহজে করা যায়। ৩. অপরাধীদের শনাক্তকরণে রক্তের গ্রুপ সাহায্য করে।

বয়ঃসন্ধিকাল ; টেস্টটিউব বেবি ; ভ্রুণ কাকে বলে?

বয়ঃসন্ধিকাল ; টেস্টটিউব বেবি ; ভ্রুণ কাকে বলে? বয়ঃসন্ধিকাল : শৈশব থেকে কৈশোরের মধ্যবর্তী সময়ে শারীরিক ও মানসিক নানা পরিবর্তন ঘটে। এই সময়কে বয়ঃসন্ধিকাল বলে।   টেস্টটিউব বেবি : কৃত্তিম উপায়ে দেহের বাইরে ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর মিলন ঘটিয়ে প্রাথমিক ভ্রুণ তৈরি করে আবার তাকে স্ত্রীলোকের জরায়ুতে প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে শিশুর জন্ম হলে তাকে টেস্টটিউব বেবি বলে।   ভ্রুন : গর্ভের মধ্যে অবস্থিত শিশু কিংবা উদ্ভিদের বীজের মধ্যে অবস্থিত উদ্ভিদকে ভ্রুণ বলে।

[ ] শিরা ও ধমনীর মধ্যে পার্থক্য কি?

শিরা ও ধমনীর মধ্যে পার্থক্য কি? শিরা ও ধমনীর পার্থক্য নিম্নরূপ : ১. শিরা দেহের বিভিন্ন অঙ্গ থেকে উৎপত্তি হয়ে হূদযন্ত্রের দিকে প্রবাহিত হয়। অপরদিকে ধমনী হৃদপিণ্ড থেকে উৎপন্ন হয় দেহের বিভিন্ন অঙ্গের দিকে প্রবাহিত হয়। ২. শিরার প্রাচীর পাতলা, কিন্তু ধমনীর প্রাচীর পুরু। ৩. শিরায় কপাটিকা আছে, কিন্তু ধমনীতে কপাটিকা নেই। ৪. শিরার মাধ্যমে রক্ত দেহের বিভিন্ন অংশ থেকে হৃদপিন্ডে পরিবাহিত হয়।  অপরদিকে হৃদপিণ্ড থেকে রক্ত ধমনীর মধ্যে দিয়ে দেহের বিভিন্ন অংশে পরিবাহিত হয়। ৫. শিরার উৎপত্তিস্থল কোষ জালিকাতে এবং মিলনস্থল হৃদপিন্ডে।  কিন্তু ধমনীর উৎপত্তিস্থল হৃদপিন্ডে এবং মিলনস্থল কোষ জালিকায়।

AB গ্রুপকে সার্বজনীন গ্রহীতা বলা হয় কেন?

AB গ্রুপকে সার্বজনীন গ্রহীতা বলা হয় কেন? AB রক্তের গ্রুপকে সার্বজনীন গ্রহীতা বলা হয়। কারণ A গ্রুপের রক্ত দাতা A ও AB গ্রুপের ব্যক্তিকে রক্ত দিতে পারে। আবার B গ্রুপের ব্যক্তি B ও AB গ্রুপের ব্যক্তিকে রক্ত দিতে পারে। এছাড়া O গ্রুপের ব্যক্তি সকল গ্রুপের ব্যক্তিকে রক্ত দিতে পারে। A, B, AB ও O এই চারটি গ্রুপের ব্যক্তি AB গ্রুপের ব্যক্তিকে রক্ত দিতে পারে। সুতরাং বলা যায় AB গ্রুপকে সার্বজনীন গ্রহীতা বলা হয়।

সিস্টোলিক রক্তচাপ ও ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ কি?

সিস্টোলিক রক্তচাপ ও ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ কি? সিস্টোলিক রক্তচাপ : হৃদপিন্ডের সংকোচন ও প্রসারণের মাধ্যমে রক্ত প্রবাহিত হয়। হৃদপিন্ডের সংকোচনকে সিস্টোল বলে। হৃদপিন্ডের সংকোচন অবস্থায় যে রক্তচাপ থাকে তাকে সিস্টোলিক রক্তচাপ বলে। ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ : হৃদপিন্ডের প্রসারিত অবস্থাকে ডায়াস্টোল বলা হয়। হৃদপিন্ডের প্রসারিত অবস্থায় রক্তের চাপকে ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ বলে।  সিস্টোলিক রক্তচাপ, ডায়াস্টোলিক রক্তচাপের থেকে বেশি হয়।

হার্টবিট, হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ব্লক কাকে বলে?

হার্টবিট, হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ব্লক কাকে বলে?   হার্টবিট : হৃদপিন্ডে সিস্টোল ও ডায়াস্টোলের মাধ্যমে সর্বক্ষণ ছন্দের আকারে স্পন্দিত হয়ে দেহের রক্ত প্রবাহিত করে এই স্পন্দনকে হার্টবিট বলে। হার্ট অ্যাটাক : হৃদপিন্ডের করোনারি ধমনী কোন কারণে বন্ধ হয়ে গেল হৃদপেশীর রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে তাকে হার্ট অ্যাটাক বলে। হার্ট ব্লক : হৃদপিন্ডের স্পন্দন প্রবাহ উৎপাদন ত্রুটিপূর্ণ হলে বা উৎপন্ন প্রবাহ সঠিক পথে প্রবাহিত না হলে তাকে হার্ট ব্লক বলে।

থ্যালাসিমিয়া কি?

থ্যালাসিমিয়া কি? মানবদেহে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে রক্তশূন্যতা সৃষ্টি হলে তাকে থালাসিমিয়া বলে। থ্যালাসেমিয়া এক ধরনের বংশগত রোগ। এ রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তির লোহিত রক্ত কণিকা ভেঙ্গে গিয়ে রক্তশূন্যতার সৃষ্টি হয়। থ্যালাসিমিয়া মানুষের অটোজোমে অবস্থিত প্রচ্ছন্ন জিনের দ্বারা ঘটে। যখন মাতা ও পিতা উভয়ের অটোজমে এই জিন প্রচ্ছন্ন অবস্থায় থাকে, তখন তাদের সন্তানদের মধ্যে প্রচ্ছন্ন জিন দুটি একত্রিত হয়ে থালাসেমিয়া রোগের সৃষ্টি হয়। শিশু অবস্থায় এ রোগের প্রকাশ ঘটে।

ব্লাড ক্যান্সার, লিউকোসাইটোসিস, থ্যালাসিমিয়া কি?

ব্লাড ক্যান্সার, লিউকোসাইটোসিস, থ্যালাসিমিয়া কি? ব্লাড ক্যান্সার : মানবদেহে শ্বেত রক্ত কণিকার সংখ্যা স্বাভাবিকের থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৫০০০০ - ১০০০০০ হলে, এই অবস্থাকে ব্লাড ক্যান্সার বা লিউকেমিয়া বলে। লিউকোসাইটোসিস : মানব দেহে শ্বেত রক্ত কণিকার সংখ্যা স্বাভাবিকের থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০০০০ - ৩০০০০ হলে যে রোগ হয় তাকে লিউকোসাইটোসিস বলে। থ্যালাসিমিয়া : মানবদেহে রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে রক্ত শূন্যতা সৃষ্টি হওয়াকে থ্যালাসিমিয়া বলে। এটি একটি বংশগত রোগ।

এন্টিবডি ও অ্যান্টিজেন কি?

এন্টিবডি ও অ্যান্টিজেন কি? এন্টিবডি : বাহির থেকে কোন প্রাণীর দেহে রক্ত প্রবেশ করানো হলে প্রাণীর রক্তে যে বিশেষ বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন রাসায়নিক পদার্থের সৃষ্টি হয় তাকে অ্যান্টিবডি বলে।   অ্যান্টিজেন : বহিরাগত প্রোটিন যারা রক্তে এন্টিবডি তৈরি করতে উদ্বুদ্ধ করে, সেই প্রোটিনকে অ্যান্টিজেন বলে।

শিরা ও ধমনী কাকে বলে?

শিরা ও ধমনী কাকে বলে?   শিরা : দেহের বিভিন্ন অঙ্গ থেকে উৎপন্ন হয়ে যেসব রক্তবাহী নালী হূদযন্ত্রের দিকে সাধারণত কার্বন ডাই অক্সাইড সমৃদ্ধ রক্ত পরিবহন করে তাদেরকে শিরা বলে। ধমনী : যেসব রক্তনালীর মাধ্যমে রক্ত হৃদপিণ্ড থেকে দেহের বিভিন্ন অংশে পরিবাহিত হয় তাদেরকে ধমনী বলে। ধমনীর মধ্যে দিয়ে রক্তের সাথে অক্সিজেন পরিবাহিত হয়। কিন্তু শিরার মধ্যে দিয়ে রক্তের সাথে কার্বন ডাই অক্সাইড পরিবাহিত হয়।

লোহিত ও শ্বেত রক্ত কণিকার মধ্যে পার্থক্য কি?

লোহিত ও শ্বেত রক্ত কণিকার মধ্যে পার্থক্য কি? লোহিত ও শ্বেত রক্ত কণিকার মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ : ১. লোহিত রক্তকণিকা দ্বি- অবতল ও চাকতি আকৃতির হয়।   কিন্তু শ্বেত রক্ত কণিকা অনিয়তাকার। ২. লোহিত রক্ত কণিকার আয়ু 120 দিন।   কিন্তু শ্বেত রক্ত কণিকার আয়ু 1 থেকে 15 দিন। ৩. লোহিত রক্ত কণিকায় হিমোগ্লোবিন থাকে, কিন্তু শ্বেত রক্ত কণিকায় হিমোগ্লোবিন থাকে না। ৪. লোহিত রক্ত কণিকা নিউক্লিয়াস বিহীন। অপরদিকে শ্বেত রক্তকণিকা নিউক্লিয়াস যুক্ত। ৫. লোহিত রক্তকণিকা অক্সিজেন, কার্বন ডাই-অক্সাইড ও খাদ্যসার পরিবহন করা, কিন্তু শ্বেত রক্ত কণিকার কাজ হচ্ছে জীবাণু ধ্বংস করা।

অনুচক্রিকা বা থ্রম্বোসাইট কি?

অনুচক্রিকা বা থ্রম্বোসাইট কি? রক্তের যে কণিকা রক্ত সঞ্চালন করতে সাহায্য করে তাকে অনুচক্রিকা বলে। একে Platelet বলে। অনুচক্রিকা দেখতে গোলাকার, ডিম্বাকার অথবা রড আকারের মত হতে পারে। এদের সাইটোপ্লাজম দানাদার এবং সাইটোপ্লাজমে কোষ অঙ্গাণু মাইট্রোকন্ডিয়া, গলগি বস্তু থাকে। কিন্তু নিউক্লিয়াস থাকে না। অনুচক্রিকার গড় আয়ু 5 থেকে 10 দিন। পূর্ণবয়স্ক মানবদেহে প্রতি ঘনমিলিমিটার রক্তে অনুচক্রিকার সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ। অনুচক্রিকা হালকা হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে। দেহের কোন অংশ কেটে গেলে অনুচক্রিকা সেই কাটা অংশে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। ক্ষতস্থানে অণুচক্রিকাগুলো ভেঙ্গে গিয়ে থ্রম্বোপ্লাস্টিন নামক পদার্থ তৈরি করে। এ পদার্থগুলো রক্তের আমিষ প্রোথ্রমবিনকে থ্রমবিনে পরিণত করে। থ্রমবিন রক্তরসের প্রোটিন ফাইব্রিনোজেনকে ফাইব্রিন জালিতে পরিণত করে। এই জালিকা ক্ষতস্থানে রক্তক্ষরণ জমাট বাঁধানোর মাধ্যমে বন্ধ করে।

শ্বেত রক্তকণিকা কি?

শ্বেত রক্তকণিকা কি?   রক্তে হিমোগ্লোবিনবিহীন এবং নিউক্লিয়াসযুক্ত বড় আকারের কোষগুলোকে শ্বেত রক্তকণিকা বলে। একে WBC বা White Blood Cell বলে। মানবদেহে প্রতি ঘনমিলিমিটার রক্তে 4 থেকে 10 হাজার শ্বেত রক্ত কণিকা থাকে। শিশু ও অসুস্থ মানবদেহে এদের সংখ্যা অনেকগুন বেড়ে যায়। শ্বেত রক্তকণিকা গড়ে 1 থেকে 15 দিন বেঁচে থাকে। শ্বেত রক্তকণিকার নির্দিষ্ট কোন আকার নেই। রক্তে শ্বেত রক্ত কণিকার সংখ্যা লোহিত রক্ত কণিকার তুলনায় অনেক কম। এরা অ্যামিবার মত দেহের আকার পরিবর্তন করে। রক্তজালিকার প্রাচীর ভেদ করে কোষের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে। শ্বেত রক্তকণিকাকে দেহের প্রহরী বলা হয়। কারণ এরা ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জীবাণুকে ধ্বংস করে থাকে। দেহে জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে দ্রুত শ্বেতকণিকা সংখ্যার বৃদ্ধি ঘটে। একে লিউকোসাইটও বলে। মানবদেহে শ্বেত কণিকার সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে 50000 থেকে 100000 হলে তখন তাকে ব্লাড ক্যান্সার বা লিউকেমিয়া বলে। আবার শ্বেত কণিকার সংখ্যা স্বাভাবিকের থেকে বেড়ে যদি 20000 থেকে 30000 হলে তাকে লিউকোসাইটোসিস রোগ বলে।

লোহিত রক্তকণিকা কি?

লোহিত রক্তকণিকা কি? দ্বি - অবতল, চাকতি আকৃতির এবং লাল বর্ণের কণিকাকে লোহিত রক্তকণিকা বলে। একে RBC বা Red Blood Cell বলে। লোহিত রক্ত কণিকার আয়ু 120 দিন। লোহিত রক্ত কণিকা প্লীহাতে সঞ্চিত থাকে। লোহিত রক্ত কণিকা দেহের অস্থি মজ্জায় তৈরি হয়। বিভিন্ন বয়সের মানবদেহে প্রতি ঘন মিলিলিটার রক্তে লোহিত কণিকার সংখ্যা হচ্ছে- ভ্রণ দেহে 80 থেকে 90 লাখ, শিশুদের দেহে 60 থেকে 70 লাখ, পূর্ণবয়স্ক পুরুষ দেহে 4.5 থেকে 5.5 লাখ এবং পূর্ণ বয়স্ক নারীর দেহে 4 থেকে 5 লাখ। লোহিত রক্তকণিকা আমাদের দেহে অক্সিজেন পরিবহন করে, রক্তে অম্ল ও ক্ষারের সমতা বজায় রাখে, ফুসফুস থেকে অক্সিজেন কোষের কাছে পৌঁছে দেয়, কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে কোষ থেকে নির্গমনের জন্য ফুসফুসে পৌঁছে দেয়।

রক্ত কি?

রক্ত কি?   রক্ত এক ধরনের লাল বর্ণের অসচ্ছ, আন্তঃকোষীয়, লবণাক্ত ও ক্ষারধর্মী তরল যোজক কলা। একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের দেহে প্রায় 5 থেকে 6 লিটার রক্ত থাকে। মানুষ ও অন্যান্য মেরুদন্ডী প্রাণীর রক্ত লাল রঙের হয়। রক্তে হিমোগ্লোবিন থাকার কারণে রক্ত লাল হয়। হিমোগ্লোবিন অক্সিজেনের সাথে দুর্বল বন্ধন দ্বারা যুক্ত হয়ে অক্সিহিমোগ্লোবিন যৌগ গঠন করে অক্সিজেন পরিবহন করে। রক্তের উপাদান দুটি রক্তরস বা প্লাজমা এবং রক্তকণিকা। আমাদের রক্তের 55  শতাংশ রক্তরস এবং 45 শতাংশ রক্তকণিকা।  রক্তরসে প্রায় 90 শতাংশ পানি এবং 10% বিভিন্ন জৈব ও অজৈব পদার্থ উপস্থিত থাকে।  রক্ত আমাদের বিভিন্ন কাজ করে।  কোষ থেকে বর্জ্র পদার্থ নির্গত করে রেচনের জন্য  বৃক্কে পরিবহন করে।  শ্বসনের ফলে কোষে সৃষ্ট কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে ফুসফুসে পরিবহন করে।  রক্ত জমাট বাঁধার প্রয়োজনীয় উপাদান গুলো পরিবহন করে।  হরমোন, এনজাইম, লিপিড প্রভৃতি দেহের বিভিন্ন অংশে বহন করে।  রক্তে অম্ল ও ক্ষারের ভারসাম্য রক্ষা করে। খাদ্যসার দেহের বিভিন্ন অংশে পরিবহন করে। ফুসফুস থেকে অক্সিজেন কোষের কাছে পৌঁছে দেয়।

উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন কি?

উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন কি?   শরীর ও মনের স্বাভাবিক অবস্থায় রক্তচাপ বয়সের জন্য নির্ধারিত মাত্রার উপরে অবস্থান করতে থাকলে তাকে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন বলে।   মানব শরীরের সিস্টোলিক রক্তচাপ যদি 160 মিলিমিটার পারদ স্তম্ভ বা তার বেশি এবং ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ 95 মিলিমিটার পারদ স্তম্ভ বা তার বেশি থাকে তখন উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন হয়ে থাকে। হাইপারটেনশনের ফলে মানব দেহে অনেক জটিলতা দেখা যায়।   যেমন : স্ট্রোক, প্যারালাইসিস, হৃদপিন্ড বড় হয়ে যাওয়া, হার্ট অ্যাটাক, বৃক্কের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পাওয়া ইত্যাদি।  হাইপার টেনশন থেকে সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা, পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানো, অতিরিক্ত চিন্তা না করা, শাকসবজি ফলমূল বেশি করে খাওয়া, সব সময় হাসিখুশি থাকা, দেহের ওজন বৃদ্ধি না করা,  চর্বিযুক্ত খাদ্য বর্জন করা,  খাবারের সাথে  অতিরিক্ত লবণ  বর্জন করা,  ধূমপান থেকে বিরত থাকলে হাইপারটেনশন থেকে মুক্ত থাকা যায়।

মানবদেহে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের গুরুত্ব কি?

মানবদেহে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের গুরুত্ব কি? ক্যালসিয়ামের গুরুত্ব : ক্যালসিয়াম মানবদেহে হাড় ও দাঁতের গঠনে প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান। ক্যালসিয়াম রক্ত সঞ্চালনে, হৃদপিণ্ড পেশির স্বাভাবিক সংকোচন এবং স্নায়ু ও পেশির সঞ্চালনে সহায়তা করে। ক্যালসিয়ামের অভাবে মানবদেহে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হতে পারে। ফসফরাসের গুরুত্ব : ফসফরাস মানবদেহের হাড় গঠনে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান হিসেবে কাজ করে। এছাড়া ফসফরাস নিউক্লিক অ্যাসিড, প্রোটিন এবং শর্করা বিপাকের দ্বারা শরীরে শক্তি উৎপন্ন করে। এজন্য ফসফরাস মানবদেহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি পুষ্টি উপাদান।

খাদ্য ক্যালরি, টক্সিন, নিউট্রিয়েন্টস, ড্রাগ কি?

খাদ্য ক্যালরি, টক্সিন, নিউট্রিয়েন্টস, ড্রাগ কি? খাদ্য ক্যালোরি : 1 গ্রাম খাদ্য জারণের ফলে যে পরিমাণ তাপশক্তি উৎপন্ন হয় তাকে খাদ্য ক্যালরি বলে।   টক্সিন : ব্যাকটেরিয়া খাদ্য নষ্ট করে এক ধরনের বিষাক্ত উপাদান উৎপন্ন করে। এই বিষাক্ত উপাদানকে টক্সিন বলে।   নিউট্রিয়েন্টস : যেসব জৈব ও অজৈব উপাদান জীবের জীবনীশক্তি যোগান দেয় তাদের একত্রে নিউট্রিয়েন্টস বলে। ড্রাগ : ড্রাগ এমন পদার্থ যা জীবিত প্রাণী গ্রহণ করলে তার এক বা একাধিক স্বাভাবিক আচরণের পরিবর্তন ঘটে।

ধুমপান কি?

ধুমপান কি? শুকনো তামাক পাতা থেকে উৎপন্ন বিড়ি, সিগারেট, চুরুট ইত্যাদিকে পুড়িয়ে তার ধোঁয়া ও বাষ্প সেবনকে ধুমপান বলে। ধূমপান মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। ধূমপানের কারণে সৃষ্ট ক্ষতি গুলো হচ্ছে-  ১. ধূমপায়ীরা দ্রুত রোগে আক্রান্ত হয়। ২.  ধূমপানের ফলে বিভিন্ন ধরনের রোগের সৃষ্টি হয়।  যেমন: ফুসফুস ক্যান্সার, গলা, ঠোট, মুখ ও মূত্রথলির ক্যান্সার, ব্রংকাইটিস এবং হৃদযন্ত্রের বিভিন্ন রোগ হতে পারে। ৩. অতিরিক্ত ধুমপানের কারনে মানুষের আয়ু কমে যায়। অতিরিক্ত চিন্তা লাঘবের জন্য, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে বা দেহকে কর্মক্ষম রাখতে মানুষ ধূমপান করে থাকে। এটি সবচেয়ে সস্তা এবং হাতের নাগালে পাওয়া যায় বলে ধূমপানের প্রতি মানুষের আসক্তি বেশি।

[ ] সুষম খাদ্য পিরামিড কি?

সুষম খাদ্য পিরামিড কি?   আমরা দেহের ক্ষয়পূরণ, বৃদ্ধিসাধন, তাপ উৎপাদন ও কর্মক্ষম রাখার জন্য বিভিন্ন খাবার খেয়ে থাকি। এসব খাবারের মধ্যে কিছু খাদ্য বেশি পরিমাণে গ্রহণ করা হয়। আবার কিছু খাদ্য আছে যেগুলো কম পরিমাণে গ্রহণ করতে হয়। আমাদের খাদ্য তালিকায় যে খাবারটি বেশি পরিমাণে গ্রহণ করতে হয় তা হচ্ছে শর্করাজাতীয় খাবার। এরপর ফলমূল-শাকসবজি, মাছ -মাংস ও স্নেহ জাতীয় খাবার প্রয়োজন হয়। আমাদের শরীরের পরিমাণগত দিক বিবেচনা করে পর্যায়ক্রমে শর্করা, ফলমূল - শাকসবজি, মাছ- মাংস বা আমিষ ও স্নেহ বা চর্বি জাতীয় খাদ্যকে পরপর সাজালে যে পিরামিড তৈরি হয় তাকে সুষম খাদ্য পিরামিড বলে। পিরামিডের নিচে শর্করা জাতীয় খাবার এবং সবচেয়ে উঁচুতে স্নেহ বা চর্বি জাতীয় খাবার থাকে।

সুষম খাবার কি?

সুষম খাবার কি?   খাদ্যের ৬ টি উপাদানই যেসব খাবারে বিদ্যমান থাকে সে খাবারকে সুষম খাবার বলে।  যেমন: দুধ একটি সুষম খাবার। কারণ দুধে সকল খাদ্যের উপাদান বিদ্যমান থাকে। সুষম খাবার গ্রহণ করলে দেহের স্বাভাবিক কাজকর্মের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ ক্যালোরি পাওয়া যায়। শাকসবজি, ফলমূল, আমিষ ও স্নেহজাতীয় খাদ্য সুষম খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। আমরা একাধিক খাবারকে একত্রে মিশ্রিত করে সুষম খাদ্য তৈরি করতে পারি। যেমন খিচুড়ি একটি সুষম খাদ্য। এখানে খাদ্যের বিভিন্ন উপাদান একসঙ্গে মিশ্রিত করে তৈরি করা হয়।

বডি মাস ইন্ডেক্স বা বিএমআই কি?

বডি মাস ইন্ডেক্স বা বিএমআই কি? BMI এর পূর্ণরূপ Body Mass Index. দেহের উচ্চতার সাথে ওজনের সামঞ্জস্য রক্ষা করার সূচককে বডি মাস ইন্ডেক্স বা বিএমআই বলে। দেহের ওজনকে উচ্চতার বর্গ দিয়ে ভাগ করলে যে ভাগফল পাওয়া যায় তা BMI বা বডি মাস ইন্ডেক্স। BMI = দেহের ওজন (কেজি) / {দেহের উচ্চতা (মিটার)}² যেমনঃ একজন ব্যক্তির ওজন 65 কেজি এবং উচ্চতা 1.75 মিটার হলে ওই ব্যক্তি বিএমআই = BMI = 65 ÷ (1.75)² = 21.24

খাদ্যপ্রাণ বা ভিটামিন কি?

  খাদ্যপ্রাণ বা ভিটামিন কি?   যেসব পদার্থ অল্প পরিমাণ উপস্থিত থেকে বৃহৎ কার্য সম্পাদন করে তাকে ভিটামিন বলে।   ভিটামিন দেহের ক্ষয়পূরণ, বৃদ্ধিসাধন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, দেহে তাপ ও শক্তি উৎপাদন করে। ভিটামিন প্রাণীর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও শরীর সুস্থ রাখার জন্য অপরিহার্য। ভিটামিনের অভাবে দেহের ক্ষয়পূরণ, বৃদ্ধি সাধন, শক্তি উৎপাদন সহ বিভিন্ন শরীরবৃত্তীয় কাজ ব্যাহত হয়। এটি খাদ্যের বিপাক ক্রিয়ায় উৎসেচকের সাথে কো-এনজাইম হিসেবে কাজ করে। ভিটামিনের অভাবে শরীরে বেরিবেরি, স্কার্ভি, রিকেটস, রাতকানা ইত্যাদি বিভিন্ন সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। এজন্য ভিটামিন আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়।

ক্যারোটিন যুক্ত শাক সবজির গুনাগুন কি?

ক্যারোটিন যুক্ত শাক সবজির গুনাগুন কি? ক্যারোটিন যুক্ত শাকসবজি ও ফলে বিভিন্ন ভিটামিন থাকে।  বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাকসবজি ও অঙ্কুরিত বীজের রিবোফ্লাবিন বা B₂ ভিটামিন থাকে।  গাজর, বিট, মিষ্টিকুমড়াতে ভিটামিন A থাকে। টাটকা সবুজ শাক সবজিতে ফলিক এসিড বিদ্যমান থাকে।  এছাড়া বিভিন্ন ক্যারোটিন সমৃদ্ধ শাকসবজিতে পাইরিডক্সিন অর্থাৎ ভিটামিন B₆ উপস্থিত থাকে।  সকল ক্যারোটিন সমৃদ্ধ শাক সবজিতে ভিটামিন সি উপস্থিত থাকে।  এসব ভিটামিন আমাদের দেহের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। সাধারণত সবুজ বা বিভিন্ন বর্ণের শাকসবজি ও ফলে ক্যারোটিন উপস্থিত থাকে।

প্রয়োজনীয় পানি গ্রহণ না করার ক্ষতিকর দিক কি?

প্রয়োজনীয় পানি গ্রহণ না করার ক্ষতিকর দিক কি?   আমাদের শরীরের 70 ভাগ পানি। পানি আমাদের শরীরে বিপাকীয় কাজ করে। এছাড়া পানি আমাদের শরীরে বিভিন্ন ক্রিয়াকর্ম ঘটাতে সাহায্য করে।  পরিমাণ মত পানি পান না করলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। ১. পর্যাপ্ত পানি পান না করলে পানির ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ ব্যাহত হয়। ২. পরিপাক ক্রিয়ার ব্যাঘাত ঘটে। ৩. বৃক্কের রেচন পদার্থ নিষ্কাশন বিঘ্নিত হয়। ৪. ক্ষুধামন্দা সৃষ্টি হয়। ৫. দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকেনা। ৬. রক্ত সংবহন বিঘ্নিত হয়, অম্ল ক্ষারের সমতা নষ্ট হয় ও এসিডিটির সৃষ্টি হয়।

খাদ্য ও পুষ্টি কি?

খাদ্য ও পুষ্টি কি?   খাদ্য :  যা খেলে দেহের ক্ষয়পূরণ, বৃদ্ধিসাধন, তাপ শক্তি উৎপাদন, শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণ এবং শরীরকে সুস্থ সবল ও কর্মক্ষম রাখে তাই খাদ্য। পুষ্টি :   যে বিপাকীয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জীবদেহে প্রয়োজনীয় উপাদান ও শক্তি সংগৃহীত হয়ে জীবদেহের সুষ্ঠু বৃদ্ধি ও বিকাশ ঘটায় তাকে পুষ্টি বলে।

রাফেজ কি?

রাফেজ কি? রাফেজ হলো মূলত খাদ্যের অপাচ্য অংশ। রাফেজ শস্যদানা, ফল এবং সবজির তন্তুময় অংশ যা পরিবর্তিত রূপে খাদ্যনালীর ভেতর দিয়ে স্থানান্তরিত হয়। এটি প্রধানত উদ্ভিদ থেকে পাওয়া যায়।  উদ্ভিদের সেলুলোজ নির্মিত প্রাচীর হচ্ছে রাফেজ। রাফেজ আমাদের শরীরের জন্য খুব প্রয়োজনীয়। কারণ এটি মলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

ফাস্টফুড বা জাঙ্ক ফুড কি?

ফাস্টফুড বা জাঙ্ক ফুড কি? ফাস্টফুড বা জাঙ্ক ফুড হচ্ছে এমন এক ধরনের খাবার যা স্বাস্থ্যগত মূল্যের চেয়ে এর মুখরোচক স্বাদ বেশি। জাঙ্ক ফুড খেতে খুব মজা এবং এটাকে খুব আবেদনময় মনে হয়। কিন্তু এটা আমাদের শরীরের জন্য ভালো নয়। এতে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ থাকে যা একে সুস্বাদু করে তোলে। কিন্তু এগুলো অস্বাস্থ্যকর। এগুলো খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। এ ধরনের খাবার গুলি হচ্ছে বার্গার, চিপস, তেলেভাজা বিভিন্ন মুখরোচক খাবার ইত্যাদি।

ড্রাগ আসক্তি কি?

ড্রাগ আসক্তি কি? ড্রাগ আসক্তি বা মাদকাসক্ত হচ্ছে ক্রমাগত মাদকদ্রব্য সেবনের কারণে এমন এক অবস্থা সৃষ্টি হয় যে মাদকদ্রব্যের সাথে মানুষের দৈহিক ও মানসিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং মানুষ বাধ্যতামূলকভাবে মাদক সেবন করে। অন্যথায় অনেক সমস্যায় পড়ে। তখন তাকে ড্রাগ আসক্তি বা মাদকাসক্ত বলে।  যেসব ড্রাগের উপর মানুষের আসক্তি আছে সেগুলো হলো আফিম, হেরোইন, মদ, গাজা, পেথিড্রিন ইত্যাদি।   কৌতূহলবশত, সঙ্গদোষ, মানসিক যন্ত্রণা লাঘব করার জন্য, হতাশা দূর করার জন্য, নিজেকে বেশি কার্যক্ষম করার জন্য, পারিবারিক অশান্তি এবং পারিবারিক অভ্যাসগত কারণে মানুষের ড্রাগ আসক্তি সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বাবা-মা মাদকের প্রতি আসক্ত থাকলে সন্তানও মাদকে আসক্ত হতে পারে।

Food Poisoning কি?

Food Poisoning কি?   বিভিন্নকারনে খাদ্যদ্রব্য ব্যাকটেরিয়া দ্বারা নষ্ট হয়ে এক ধরনের বিষাক্ত পদার্থ উৎপন্ন করে। এই বিষাক্ত পদার্থ গুলিকে টক্সিন বলে। টক্সিন গুলো বিভিন্ন রকমের হয়। খাদ্যের এই অবস্থাকে Food Poisoning বা খাদ্যের বিষাক্ততা বলে। ফুড পয়জনিং এর কারণে মানুষের মৃত্যুও হতে পারে।

বন্ধনজোড় ও মুক্তজোড় ইলেকট্রনের মধ্যে পার্থক্য কি?

বন্ধনজোড় ও মুক্তজোড় ইলেকট্রনের মধ্যে পার্থক্য কি? বন্ধন জোড় ও মুক্ত জোড় ইলেকট্রনের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ: ১. বন্ধন জোড় ইলেকট্রন বন্ধন গঠনে অংশগ্রহণ করে। কিন্তু মুক্তজোড় ইলেকট্রন বন্ধন গঠনে অংশগ্রহণ করে না। ২. বন্ধন জোড় ইলেকট্রন কোন পরমাণুর বহিঃস্থ শক্তিস্তরে বেজোড় অবস্থায় থাকে। কিন্তু মুক্তজোড় ইলেকট্রন পরমাণুর বহিঃস্থ শক্তিস্তরে জোড় অবস্থায় থাকে। ৩. বন্ধন জোড় ইলেকট্রন যৌগের আকৃতির উপর প্রভাব ফেলে না। কিন্তু মুক্তজোড় ইলেকট্রন যৌগের আকৃতি উপর প্রভাব ফেলে।

লবণ সেতু এর ব্যবহার।

লবণ সেতু এর ব্যবহার।   গ্যালভানিক কোষে লবণ সেতু ব্যবহার করা হয়। এর ব্যবহার নিম্নরূপ : ১. গ্যালভানিক কোষের অ্যানোড ও ক্যাথোডের মধ্যে পরোক্ষ সংযোগ সৃষ্টি করে। ২. অ্যানোড ও ক্যাথোডে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আধান সরবরাহ করে। ৩. গ্যালভানিক কোষে নিয়মিত বিদ্যুৎ প্রবাহ বজায় রাখে।

পর্যায় সারণির মূল ভিত্তি ইলেকট্রন বিন্যাস কেন?

পর্যায় সারণির মূল ভিত্তি ইলেকট্রন বিন্যাস কেন?   মেন্ডেলিফ মৌলের পারমাণবিক ভরের উপর ভিত্তি করে পর্যায় সারণী আবিষ্কার করেছিলেন।  কিন্তু পরবর্তীতে পারমাণবিক ভরের উপর ভিত্তি করে মৌলসমূহকে সাজালে তিন জোড়া মৌলের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হয়। কিন্তু পারমাণবিক ভর   এর সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারে না।  পরবর্তীতে পারমাণবিক সংখ্যা আবিষ্কারের ফলে মৌলেসমূহকে পারমাণবিক সংখ্যা অনুসারে সাজানো হয়। পারমাণবিক সংখ্যা একটি ক্রমিক সংখ্যা। কিন্তু এক নম্বর পর্যায়ে দুটি মৌল ; 2 ও 3 নম্বর পর্যায়ে 8 টি মৌল ; 4 ও 5 নম্বর পর্যায়ে 18 টি মৌল ; ষষ্ঠ ও ৭ম পর্যায় 32 টি মৌল কেন অবস্থান করে এর সঠিক ব্যাখ্যা পারমাণবিক সংখ্যা দিতে পারে না।  পরবর্তীতে ইলেকট্রন বিন্যাস আবিষ্কারের মাধ্যমে মৌলসমূহের সঠিক অবস্থান ব্যাখ্যা করা সম্ভব হয়। অর্থাৎ ইলেকট্রন বিন্যাসের মাধ্যমে মৌলসমূহের গ্রুপ ও পর্যায় সহজে নির্ণয় করা যায়। এজন্য ইলেকট্রন বিন্যাসকে পর্যায় সারণির মূল ভিত্তি বলা হয়।

প্রশমন বিক্রিয়া রেডক্স বিক্রিয়া নয় কেন?

প্রশমন বিক্রিয়া রেডক্স বিক্রিয়া নয় কেন? এসিড ও ক্ষার বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করাকে প্রশমন বিক্রিয়া বলে। আবার ইলেকট্রন আদান প্রদানের মাধ্যমে যে বিক্রিয়া সংঘটিত হয় তাকে রেডক্স বিক্রিয়া বলে।  প্রশমন বিক্রিয়া রেডক্স বিক্রিয়া নয়। কারণ প্রশমন বিক্রিয়ায় ইলেকট্রনের আদান-প্রদান হয় না।  অর্থাৎ বিক্রিয়ক অয়ন ও উৎপাদ আয়নের মধ্যে ইলেকট্রনের আদান-প্রদান হয় না। এজন্য প্রশমন বিক্রিয়া রেডক্স বিক্রিয়া নয়।

সৌন্দর্য রক্ষায় pH এর ভূমিকা কি?

সৌন্দর্য রক্ষায় pH এর ভূমিকা কি?    সৌন্দর্য রক্ষায় pH এর ভূমিকা অপরিসীম। দেহত্বকের জন্য আদর্শ pH মান 5.5। ত্বকের pH 5.5 থেকে 6.5 এর মধ্যে থাকলে ত্বক মসৃণ এবং উজ্জ্বল হয়। এ অবস্থায় ত্বক এলার্জি, ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে। ত্বকের pH মান আদর্শ সীমার চেয়ে বেশি বা কম হলে ত্বকের কোমলতা ও সৌন্দর্য নষ্ট হয়। চুলের জন্য আদর্শ pH 4 থেকে 6 এর মধ্যে হলে চুলের কিউটিকল গুলো মসৃণ থাকে এবং চুল উজ্জ্বল দেখায় । চুলের pH 6 থেকে বেশি হলে কিউটিকল গুলো নষ্ট হয়ে চুল মসৃণতা হারিয়ে ফেলে এবং উজ্জ্বল দেখায় না।

বেনজিন অ্যারোমেটিক যৌগ কেন?

বেনজিন অ্যারোমেটিক যৌগ কেন? বেনজিন অ্যারোমেটিক যৌগ কারণ - ১. বেনজিনে (4n+2) সংখ্যক সঞ্চারণশীল π-ইলেকট্রন থাকে। যেমন :  সঞ্চারণশীল π-ইলেকট্রনের সংখ্যা =       (4n+2) = 4 x 1 + 2 = 6.    n = চক্রের সংখ্যা = 1  বেনজিনে ৬টি সঞ্চারণশীল π- ইলেকট্রন বিদ্যমান থাকে। ২. বেনজিন পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট দ্বারা জারিত হয় না। ৩. ইলেকট্রোফিলিক প্রতিস্থাপন বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। ৪. অ্যালকিনের মতো সংযোজন বিক্রিয়া বেনজিন দেয়না। ৫. একান্তর দ্বিবন্ধন বিদ্যমান থাকে।  এজন্য বেনজিন একটি অ্যারোমেটিক যৌগ।

অ্যারোমেটিক যৌগের বৈশিষ্ট্য কি?

অ্যারোমেটিক যৌগের বৈশিষ্ট্য কি?   বেনজিন বা বেনজিনের সমগোত্রক যৌগসমূহকে অ্যারোমেটিক যৌগ বলে। এর বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ : ১. অ্যারোমেটিক যৌগে (4n + 2) সংখ্যক সঞ্চারণশীল π- ইলেকট্রন বিদ্যমান থাকে। ২. এদের গঠন সমতলীয় চক্রাকার এবং একান্তর দ্বিবন্ধন বিদ্যমান থাকে। ৩. অ্যারোমেটিক যৌগের অসম্পৃক্ততা বিশেষ ধরনের। অর্থাৎ অ্যালকিনের মত সংযোজন বিক্রিয়া দেয় না। ৪. এদের স্থায়িত্ব বিশেষ ধরনের। অর্থাৎ KMnO₄ দ্বারা জারিত হয় না। ৫. অ্যারোমেটিক যৌগ ইলেকট্রোফিলিক প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া (যেমন : নাইট্রেশন, সালফোনেশন, হ্যালোজেনেশন, ফ্রিডেল ক্রাফট অ্যালকাইলেশন, অ্যাসাইলেশন) দেয়।

বায়োপলিমার কাকে বলে?

বায়োপলিমার কাকে বলে? যেসব পলিমার প্রথমে সূর্যের আলোতে বিয়োজিত হয় এবং পরবর্তীতে প্রাকৃতিক ভাবে ব্যাকটেরিয়া জীবাণু দ্বারা বিয়োজিত হয়। এদেরকে বায়োপলিমার বলে।  এই পলিমার জীবাণু দ্বারা বিয়োজিত হতে 20 থেকে 30 বছর সময় লাগে। ভুট্টা ; ইক্ষু হতে বায়োপলিমার প্রস্তুত করা হয়।  আমরা যে পলিমার বা প্লাস্টিক ব্যবহার করে থাকি তা পরিবেশে পচনশীল নয়। এজন্য এই পলিমার বা প্লাস্টিক আমাদের পরিবেশের ক্ষতি করে থাকে।  কিন্তু বায়োপলিমার এটা পরিবেশে একটি নির্দিষ্ট সময় পরে পচনশীল হয়। যার কারণে বায়োপলিমার আমাদের পরিবেশের ক্ষতি করে না। এজন্য সাধারণ পলিমারের থেকে বায়োপলিমার ব্যবহার করা উত্তম।

কোক কার্বন, Crude Oil, Refining কি?

কোক কার্বন, Crude Oil, Refining কি? কোক কার্বনঃ   খনি থেকে আহরিত কয়লাকে তাপ দিলে বিভিন্ন উদ্বায়ী যৌগ গ্যাস হিসেবে নির্গত হয়। গ্যাস নির্গত হওয়ার পর প্রাপ্ত অবশেষেকে কোক বলে। Crude Oil :   অপরিশোধিত তেল মূলত হাইড্রোকার্বন ও অন্যান্য কিছু জৈব যৌগের মিশ্রণ। Refining :  অপরিশোধিত তেলের বিভিন্ন অংশকে পৃথক করার প্রক্রিয়া হলো পরিশোধন বা রিফাইনিং।

ফল খাওয়ার পূর্বে চুনের পানিতে ধুয়ে নিতে হয় কেন?

ফল খাওয়ার পূর্বে চুনের পানিতে ধুয়ে নিতে হয় কেন? ব্যবসায়ীরা ফল পাকানোর জন্য ক্যালসিয়াম কার্বাইড(CaC₂) ব্যবহার করে থাকে। শিল্প গ্রেডের ক্যালসিয়াম কার্বাইডে বিষাক্ত আর্সেনিক ও ফসফরাস থাকে। আবার CaC₂ পানির সাথে বিক্রিয়া করে অ্যাসিটিলিন(C₂H₂) গ্যাস ও Ca(OH)₂ উৎপন্ন করে। চুন অ্যাসিটিলিন গ্যাসকে প্রশমিত করে। এরপর ফলকে পরিস্কার পানি দিয়ে ধুলে চুন অপসারিত হয়। তখন পাকা ফল খেলে কোন ক্ষতি হয় না। CaC₂ +H₂O ------>C₂H₂+Ca(OH)₂

দুগ্ধবতী গাভীকে ক্যালসিয়াম কার্বনেট খাওয়ানো হয় কেন?

দুগ্ধবতী গাভীকে ক্যালসিয়াম কার্বনেট খাওয়ানো হয় কেন? দুধের প্রধান উপাদান ক্যালসিয়াম(Ca)। দুধের সাথে গাভীর শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম বেরিয়ে যায়। এতে গাভীর শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা যায়। এ ঘাটতি পূরণের জন্য গাভীকে খ্যাদের সাথে ক্যালসিয়াম কার্বনেট (CaCO₃)  খাওয়ানো হয়।

চিংড়ি মাছের ঘেরে মাঝে মাঝে চুন যোগ করা হয় কেন?

চিংড়ি মাছের ঘেরে মাঝে মাঝে চুন যোগ করা হয় কেন?   ক্যালসিয়াম অক্সাইডের বাণিজ্যিক নাম চুন। এর সংকেত CaO.  এটি একটি ক্ষারীয় পদার্থ। চিংড়ি ঘেরের পানি অম্লীয় হলে মাছের শরীরে ঘা সৃষ্টি হতে পারে। এজন্য চিংড়ি ঘেরের পানিতে চুন যোগ করলে পানির এসিডিটি প্রশমিত করে pH বৃদ্ধি করে। এতে করে মাছের শরীরে ঘা সৃষ্টি হয় না। এজন্য চিংড়ি ঘেরের পানিতে মাঝেমাঝে চুন যোগ করা হয়।

জিংক ধাতু নিষ্কাশনে প্রোলং ব্যবহার করা হয় কেন?

জিংক ধাতু নিষ্কাশনে প্রোলং ব্যবহার করা হয় কেন?   কার্বন বিজারণ পদ্ধতিতে জিংক অক্সাইড থেকে জিংক ধাতু নিষ্কাশনের সময় উচ্চ তাপে উত্তপ্ত করতে হয়। এ অবস্থায় জিংক অক্সাইড কার্বন দ্বারা বিজারিত হয়ে জিংক ধাতুর বাষ্প উৎপন্ন করে। জিংক ধাতুর এই বাষ্পকে কনডেনসারে ঘনীভূত করা হয়। কিন্তু কনডেনসারে সব বাষ্প ঘনীভূত হয় না। তাই কনডেনসারের মাথায় প্রোলং নামক ক্ষুদ্রাকার শীতক যুক্ত করা হয়। এই প্রোলং কনডেনসারে ঘনীভূত না হওয়া জিংক বাষ্পকে ঘনীভূত করে।

ধাতুর বৈশিষ্ট্য কি?

ধাতুর বৈশিষ্ট্য কি?   ধাতুর বৈশিষ্ট্যসমূহ নিম্নরূপ: ১. ধাতুসমূহ ঘাতসহনশীল। এদের যে কোন আকার দেওয়া যায়। ২.ধাতু নমনীয়। একে পিটিয়ে সরু তারে পরিণত করা যায়। ৩. ধাতুসমূহ তাপ ও বিদ্যুৎ সুপরিবাহী। ৪. আঘাত করলে টুনটুন শব্দ হয়। ৫. ধাতুর গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক উচ্চ হয়। ৬. ধাতুসমূহের ঘনত্ব অধাতুর তুলনায় অনেক বেশি।   ৭. বিশুদ্ধ ধাতুকে ছুরি দিয়ে কাটা যায়।

মৌলিক খনিজ, তরল খনিজ, গ্যাসীয় খনিজ, কঠিন খনিজ কি?

মৌলিক খনিজ, তরল খনিজ, গ্যাসীয় খনিজ, কঠিন খনিজ কি?   মৌলিক খনিজ :  স্বর্ণ, হীরা, গন্ধক ইত্যাদি পদার্থকে প্রকৃতিতে মৌলিক পদার্থ হিসেবে পাওয়া যায়। এই খনিজ গুলোকে মৌলিক খনিজ বলে। তরল খনিজ : প্রকৃতিতে যে খনিজ গুলো  তরল অবস্থায় পাওয়া যায় তাদের তরল খনিজ বলে।  যেমন: পেট্রোলিয়াম, মার্কারি ইত্যাদি। গ্যাসীয় খনিজ :  প্রকৃতিতে যে খনিজ ়পদার্থগুলো গ্যাসীয় অবস্থায় পাওয়া যায় তাদেরকে গ্যাসীয় খনিজ বলে। যেমন: প্রাকৃতিক গ্যাস। কঠিন খনিজ :  যে খনিজ গুলো প্রকৃতিতে কঠিন অবস্থায় পাওয়া যায় তাদেরকে কঠিন খনিজ বলে। যেমন: লোহা, কপার ইত্যাদি।

অধিক সক্রিয় ধাতু তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় নিষ্কাশন করা হয় কেন?

অধিক সক্রিয় ধাতু তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় নিষ্কাশন করা হয় কেন? ধাতু বিজারক ধর্ম প্রদর্শন করে। কার্বনের তুলনায় ধাতুসমূহ অধিক শক্তিশালী বিজারক। তাই এদের অক্সাইডকে কার্বন বিজারণ পদ্ধতিতে মুক্ত ধাতুতে রূপান্তর করা যায় না। অপরদিকে অধিক সক্রিয় ধাতুর লবণের দ্রবণকে তড়িৎ বিশ্লেষণ করলে সহজে মুক্ত ধাতু পাওয়া যায়। এজন্য অধিক সক্রিয় ধাতু নিষ্কাশন তড়িৎ বিশ্লেষণের মাধ্যমে করা হয়।

ভলকানাইজিং ; শিলা ; ভূত্বক ; চিনামাটি কাকে বলে।

ভলকানাইজিং ; শিলা ; ভূত্বক ; চিনামাটি কাকে বলে। ভলকানাইজিং :  রাবারের তৈরি জিনিসপত্র শক্তিশালী ও দীর্ঘস্থায়ী করার লক্ষ্যে রাবারের সাথে সালফার মেশানোকে ভলকানাইজিং বলে। শিলা :    বিভিন্ন খনিজ পদার্থ মিশ্রিত হয়ে যে শক্ত কনার মিশ্রণ সৃষ্টি করে তাকে শিলা বলে। ভূত্বক :  পৃথিবীর উপরিভাগের মাটির আবরণকে ভূত্বক বলে। চিনামাটি বা চায়না ক্লে :  কেওলিন বা অ্যালুমিনিয়াম সমৃদ্ধ মাটি সিরামিক কারখানায় ব্যবহার করা হয়। চীন দেশের মানুষ প্রথম এই মাটি ব্যবহার করত বলে একে চিনামাটি বা চায়না ক্লে বলে।

দুধ টক হয়ে যায় কেন?

দুধ টক হয়ে যায় কেন?   দুধ হচ্ছে কলয়েড মিশ্রন। পানিতে চর্বির সূক্ষ্ম কণাগুলো ছড়িয়ে থাকে। দুধে ল্যাকটিক এসিড বিদ্যমান থাকে। এসিড টক স্বাদ যুক্ত হয়। তাই দুধ এসিডিক হলে টক স্বাদযুক্ত হয়।

এসিড বৃষ্টির এসিডিটি কিভাবে শনাক্ত করা যায়?

এসিড বৃষ্টির এসিডিটি কিভাবে শনাক্ত করা যায়?  বৃষ্টির পানিকে সংগ্রহ করে এতে নীল লিটমাস পেপার ডুবালে লাল রংয়ে পরিবর্তিত হলে বৃষ্টির পানি এসিডিক। কিন্তু লাল লিটমাস ডুবালে রং এর কোন পরিবর্তন হয় না।  আবার pH মিটার দ্বারা বৃষ্টির পানির এসিডিটি শনাক্ত করা যায়। এভাবে বৃষ্টির পানির এসিডিটি শনাক্ত করা যায়।

রংধনুর পরীক্ষা কি?

রংধনুর পরীক্ষা কি? রংধনুর পরীক্ষা হচ্ছে এসিড ও ক্ষারের প্রশমন বিক্রিয়া। একটি টেস্টটিউবে কিছু পানি নিয়ে তাতে এক টুকরো কাপড় কাচার সোডা যোগ করা হয়।  এরপর হাইড্রোক্লোরিক এসিড দ্বারা টেস্টটিউবকে প্রায় পূর্ণ করা হয়। অতঃপর টেস্টটিউবে কয়েক ফোঁটা ইউনিভার্সাল ইন্ডিকেটর যোগ করে দুইদিন রেখে দেওয়া হয়। পরে বর্ণের যে পরিবর্তন হয় তা ইউনিভার্সাল ইন্ডিকেটর কালার চার্টের সাথে মিলিয়ে টেস্টটিউবের বিভিন্ন অংশের অম্লত্ব ও ক্ষারত্ব প্রকাশ করাকে রংধনুর পরীক্ষা বলে।

গাঢ় এসিড ও ক্ষার বিপদজনক কেন?

গাঢ় এসিড ও ক্ষার বিপদজনক কেন?   গাঢ় এসিড ও ক্ষার ক্ষয়কারী পদার্থ। এসব পদার্থ শরীরের সংস্পর্শে এলে শরীর পুড়ে যায়। জামাকাপড়ের সংস্পর্শে আসলে জামাকাপড় নষ্ট হয়ে যায়। হাতে লাগলে হাতের ক্ষতি করে। চোখে লাগলে চোখের ক্ষতি করে এমনকি অন্ধ হয়ে যেতে পারে। মুখের মধ্যে গেলে মুখ ও গলা পুড়ে যেতে পারে। এজন্য গাঢ় এসিড এবং ক্ষার বিপদজনক।

Popular posts from this blog

কপার(Cu) ও ক্রোমিয়ামের(Cr) ইলেকট্রন বিন্যাস ব্যতিক্রম কেন?

মুক্তজোড় ইলেকট্রন ও বন্ধন জোড় ইলেকট্রন কাকে বলে।

জারণ সংখ্যা নির্ণয়ের সহজ পদ্ধতি।

COD ও BOD কাকে বলে?

জারক ও বিজারক কাকে বলে? কিভাবে জারক ও বিজারক সহজেই চেনা যায়।

সালফার পরিবর্তনশীল যোজনী প্রদর্শন করে কেন?

প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড ও সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ কাকে বলে?

মোলার গ্যাস ধ্রুবক এবং এর মাত্রা, তাৎপর্য ও মান নির্ণয়।

প্রতীক ও সংকেতের মধ্যে পার্থক্য কি?

রাদারফোর্ড ও বোর পরমাণু মডেলের মধ্যে তুলনা।