Posts

Showing posts from January, 2020

মিশ্রণ ও দ্রবণ কি

মিশ্রণ ও দ্রবণ কি মিশ্রণ‍‌ঃ  দুই বা ততোধিক কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় পদার্থকে একই অথবা  ভিন্ন  ভৌত অবস্থায় পরস্পরের সাথে মেশালে মিশ্রণ তৈরি করে।   মিশ্রণ দুই প্রকারঃ- সমসত্ব মিশ্রণ ও অসমসত্ত্ব মিশ্রণ। সমসত্ব মিশ্রণঃ  যে মিশ্রণে দ্রাবক ও দ্রবের কণাগুলোকে পৃথক করা যায় না সেই মিশ্রণকে সমসত্ব মিশ্রণ বলে। যেমনঃ- পানিতে সোডিয়াম ক্লোরাইড এর মিশ্রণ। সোডিয়াম ক্লোরাইড পানিতে দ্রবীভূত করলে, সোডিয়াম ক্লোরাইড ও পানির উপাদানকে পৃথক করা যায় না। এজন্য এটি একটি সমসত্ব মিশ্রণ। সমসত্ব মিশ্রণই হচ্ছে দ্রবন।  অর্থাৎ দ্রবণ হচ্ছে দ্রাবক ও দ্রব কণাগুলোর সমসত্ব মিশ্রণ। দ্রবণঃ  কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় পদার্থের সমসত্ব মিশ্রণকে দ্রবণ বলে। দ্রবণে দুটি উপাদান থাকবে একটি দ্রাবক এবং অন্যটি দ্রব। অর্থাৎ দ্রবণ = দ্রাবক + দ্রব। প্রকৃত দ্রবণঃ  দ্রবণে দ্রব কণাগুলোর ব্যাস 1nm অপেক্ষা ছোট হলে সে দ্রবণকে প্রকৃত দ্রবণ বলে।   দ্রাবকঃ  দ্রবণে দুটি উপাদানের মধ্যে যে উপাদানটি পরিমাণে বেশি থাকে তাকে দ্রাবক বলে। দ্রাবক দ্রবকে দ্রবীভূত করে। যেমনঃ- পানিতে চিনির দ্রবণ। এক্ষেত্রে দ্রবণে পানির পরিমাণ যদি বেশ

প্রশমন বিক্রিয়া

প্রশমন বিক্রিয়া যে বিক্রিয়ায় এসিড ও ক্ষার বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে সেই বিক্রিয়াকে প্রশমন বিক্রিয়া বা এসিড ক্ষার বিক্রিয়া বলে। যেমনঃ  হাইড্রোক্লোরিক এসিড ও সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড বিক্রিয়া করে সোডিয়াম ক্লোরাইড লবণ ও পানি উৎপন্ন করে। এই বিক্রিয়াকে প্রশমন বিক্রিয়া বলা হয়। HCl(aq) + NaOH(aq) ---------> NaCl(s)  + H₂O (l) প্রশমন বিক্রিয়ায় সর্বদা তাপউৎপাদী হয়। তবে এসিড ও ক্ষারকের তীব্রতার উপর প্রশমন তাপের মান নির্ভর করে। এসিড হিসেবে আমরা যেকোন তীব্র বা দুর্বল এসিড হোক না কেন প্রতিক্ষেত্রে হাইড্রোজেন আয়ন সরবরাহ করবে এবং ক্ষার হিসাবে তীব্র বা দুর্বল ক্ষার হোক না কেন সেটি হাইড্রোক্সাইড আয়ন  সরবরাহ করবে। এক মোল পানি উৎপন্ন করতে যে পরিমাণে তাপ উৎপন্ন হয় তাকে প্রশমন তাপ বলে। এর মান - 57.34 kj H+(aq) +OH- (aq) ------> H₂O(l) + 57.34k j 1mol.      1mol.                 1mol দেখা গেছে এক মোল পানি উৎপন্ন করলে -57.34kj তাপ উৎপন্ন হয়। এসিড ও ক্ষার যদি শক্তিশালী হয় তবে প্রশমন তাপের মান - 57.34kj  হয়। আবার এসিড ও ক্ষার কোন একটি যদি দুর্বল হয় তবে প্রশমন ত

অধঃক্ষেপণ বিক্রিয়া

অধঃক্ষেপণ বিক্রিয়া কোন দ্রবণে দুই বা ততোধিক বিক্রিয়ক বিক্রিয়া করে যে উৎপাদ গঠন করে তাদের মধ্যে কোন একটি উৎপাদ যদি অধঃক্ষিপ্ত হয় তবে সেই বিক্রিয়াকে অধঃক্ষেপণ বিক্রিয়া বলে।   এক্ষেত্রে দ্রাবকে উৎপাদ যৌগটি পাত্রের তলায় কঠিন অবস্থায় তলানি হিসেবে জমা হয়। যেমনঃ সোডিয়াম ক্লোরাইডের জলীয় দ্রবণের মধ্যে সিলভার নাইট্রেটের জলীয় দ্রবণ যোগ করলে সিলভার ক্লোরাইড এবং সোডিয়াম নাইট্রেট উৎপন্ন হয়। এদের মধ্যে সিলভার ক্লোরাইড এর দ্রবণীয়তা পানিতে অত্যন্ত কম হওয়ায় তা পাত্রের নিচে তলানি হিসেবে জমা হয়।  অর্থাৎ অধঃক্ষেপ পড়ে। NaCl(aq) + AgNO₃ (aq) ---------> AgCl (s) +                                                         NaNO₃(aq) অন্যদিকে সোডিয়াম নাইট্রেট পানিতে দ্রবণীয় হওয়াই এটি অধঃক্ষিপ্ত হয় না। আবার, অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড এর জলীয় দ্রবণে সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড এর জলীয় দ্রবণ যোগ করলে অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইডের পাত্রের নিচে সাদা অধঃক্ষেপ জমা হয়। অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রক্সাইড পানিতে অদ্রবণীয় হওয়ায় পাত্রের নিচে অধঃক্ষেপ পড়ে।  অন্যদিকে সোডিয়াম ক্লোরাইড প

পানির খরতা কি?

পানির খরতা কি? পানিতে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ এদের সাথে যদি ক্লোরাইড, বাই কার্বনেট, সালফেট ইত্যাদি লবণ দ্রবীভূত থাকে তাহলে ওই পানিকে খর পানি বলে। পানির খরতা দুই ধরনের হয়। স্থায়ী খরতা এবং অস্থায়ী খরতা। অস্থায়ী খরতাঃ  পানিতে যদি ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ এদের সাথে বাই কার্বনেট লবণ দ্রবীভূত থাকে তাহলে ওই পানিকে অস্থায়ী খর পানি বলে। পানির অস্থায়ী খরতা দূর করতে হলে পানিকে শুধু উত্তপ্ত করলেই অদ্রবণীয় কার্বনেট লবণ উৎপন্ন হয়। যা পাত্রের নিচে তলানি আকারে জমা হয়। এই তলানিকে ছাকনের মাধ্যমে পানিকে সহজেই খর মুক্ত করা যায়। অর্থাৎ অস্হায়ী খর পানি মৃদু পানিতে পরিণত হয়। Mg(HCO₃)₂ ------>MgCO₃(s) + CO₂(g) +H₂O(l)   স্থায়ী খরতাঃ পানিতে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন ইত্যাদির সাথে যদি ক্লোরাইড, সালফেট লবণ দ্রবীভূত থাকে তাহলে ওই পানিকে স্থায়ী খর পানি বলে। পানির স্থায়ী খরতা সহজে দূর করা যায় না। স্থায়ী খরতা দূর করনের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি আছে।  যেমনঃ পারমুটিট পদ্ধতি, সোডা অ্যাশ পদ্ধতি, আয়ন বিনিময় রেজি

ব্লিচিং পাউডার কিভাবে জীবনুকে ধ্বংস করে?

ব্লিচিং পাউডার কিভাবে জীবনুকে ধ্বংস করে? বাড়ির আশেপাশে ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় বা টয়লেটের কমোড, ঘরের মেঝে ইত্যাদি জায়গা থেকে জীবাণু ধ্বংস করার জন্য ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করা যায়। ব্লিচিং পাউডার কে যখন ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় ছিটিয়ে দেওয়া হয় বা টয়লেটের কমোড, বেসিনে দেওয়ার পর পানি যো়গ করা হয়, তখন ব্লিচিং পাউডার পানির সাথে বিক্রিয়া করে হাইপোক্লোরাস এসিড (HOCl) এবং ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড উৎপন্ন করে। পরবর্তীতে হাইপোক্লোরাস এসিড ভেঙ্গে গিয়ে জায়মান অক্সিজেন তৈরি করে যা জীবনুকে ধ্বংস করে।      Ca(OCl)Cl+H₂O ------> CaCl₂+ HOCl        HOCl ---------> HCl + [ O ]        [O] + জীবাণু -------> মৃত জীবাণু এছাড়া এ জায়মান অক্সিজেন  রঙ্গিন পদার্থকে  বর্ণহীন  করতে পারে ।       [O] + রঙিন পদার্থ --------> বর্ণহীন পদার্থ।

প্রিজারভেটিভ কি?কিছু অনুমোদিত ফুড প্রিজারভেটিভ।

প্রিজারভেটিভ কি? কিছু অনুমোদিত ফুড প্রিজারভেটিভ। প্রিজারভেটিভ যেসব রাসায়নিক দ্রব্য খাদ্য সামগ্রীতে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে দেয় না, খাদ্যের দুর্গন্ধ হতে দেয় না, খাদ্যকে পচনের হাত থেকে রক্ষা করে তাদেরকে ফুড প্রিজারভেটিভ বলে। ফুড প্রিজারভেটিভ নির্দিষ্ট মাত্রায় আমাদের শরীরে কোন ক্ষতি করে না এবং সেগুলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক অনুমোদিত।  তবে এসব ফুড প্রিজারভেটিভ গুলো নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত ব্যবহার করলে সেগুলো আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।  এজন্য খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণে অনুমোদিত প্রিজারভেটিভ নির্দিষ্ট মাত্রায় ব্যবহার করা ভালো। কিছু অনুমোদিত ফুড প্রিজারভেটিভ হচ্ছে সোডিয়াম বেনজোয়েট, বেনজয়িক এসিড, ভিনেগার, চিনির দ্রবণ, লবণের দ্রবণ ইত্যাদি।  তবে অ্যাসিটিলিন, ইথিলিন এগুলো অনুমোদিত ফুড প্রিজারভেটিভ নয়। ইথিলিন কে কাঁচা ফল পাকাতে ব্যবহার করা হয়।  কাঁচা মাছ, মাংস সংরক্ষণের জন্য হলুদ এবং লবণ মিশিয়ে কিছু সময় সংরক্ষণ করা যায়।

Melting Point and Boiling Point (গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক)

Melting Point and Boiling Point (গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক) স্বাভাবিক চাপে যে তাপমাত্রায় কোন কঠিন পদার্থ তরলে পরিণত হয় তাকে ওই পদার্থের গলনাঙ্ক বলে।   আবার, স্বাভাবিক চাপে যে তাপমাত্রায় কোন তরল পদার্থ বাষ্পীভূত হয় অর্থাৎ ফুটতে শুরু করে তাকে ওই তরল পদার্থের স্ফুটনাংক বলে। কিছু যৌগ আছে যাদের মধ্যে আয়নিক বন্ধন বিদ্যমান থাকে তাদেরকে আয়নিক যৌগ বলা হয়। আবার কিছু যৌগ আছে যাদের মধ্যে সমযোজী বন্ধন বিদ্যমান থাকে তাদেরকে সমযোজী যৌগ বলা হয়। সমযোজী যৌগের চেয়ে আয়নিক যৌগের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক বেশি হয়।  কারণ আয়নিক যৌগের অণুতে পরমানু সমূহের মধ্যে বিদ্যামান বন্ধন শক্তি, সমযোজী যৌগের অণুতে বিদ্যামান পরমাণুসমূহের মধ্যকার বন্ধন শক্তি অপেক্ষা বেশি থাকে। আবার আয়নিক যৌগের পরমাণু সমূহ ধনাত্মক ও ঋণাত্মক চার্জিত থাকে। এই ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আধান অনু গঠনের সময় ত্রিমাত্রিক ভাবে সুবিন্যাস্ত হয়ে জ্যামিতিক কাঠামো গঠন করে। এতে করে আয়নিক যৌগের একটি ক্যাটায়ন নির্দিষ্ট সংখ্যক অ্যানায়ন দ্বারা এবং আয়নিক যৌগের একটি অ্যানায়ন নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্যাটায়ন দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে। এতে আয়নিক যৌগের

রাসায়নিক বন্ধন গঠনের কারণ?

রাসায়নিক বন্ধন গঠনের কারণ? পর্যায় সারণিতে 18 নম্বর গ্রুপের মৌলসমূহের সর্ববহিঃস্থ  শক্তিস্তরে আটটি করে ইলেকট্রন বিদ্যমান থাকায় এরা রাসায়নিকভাবে নিষ্ক্রিয় অর্থাৎ স্থিতিশীল।  পর্যায় সারণির অন্য মৌলগুলো ক্ষেত্রে দেখা যায় তাদের সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরে নিকটতম নিষ্ক্রিয় গ্যাস অপেক্ষা এক বা একাধিক ইলেকট্রন কম বা বেশি থাকে। এজন্য মৌল সমূহ স্থিতিশীলতা লাভের জন্য তাদের সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরে এক বা একাধিক ইলেকট্রন গ্রহণ, বর্জন বা শেয়ারের মাধ্যমে তাদের নিকটতম নিষ্ক্রিয় গ্যাসের ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করে স্থিতিশীলতা অর্জনের চেষ্টা করে।  একই মৌলের বা বিভিন্ন মৌলের দুটি পরমাণু যখন কাছাকাছি অবস্থান করে তখন তারা তাদের সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরে ইলেকট্রন গ্রহণ, বর্জন বা শেয়ার ঘটে। এর মাধ্যমে তারা তাদের নিকটতম নিষ্ক্রিয় গ্যাসের ইলেকট্রন বিন্যাস অর্জন করে।  এর মাধ্যমে তাদের মধ্যে এক ধরনের আকর্ষণের সৃষ্টি হয় যাকে আমরা রাসায়নিক বন্ধন বলি।  কাজেই বলা যেতে পারে রাসায়নিক বন্ধন গঠনের মূল কারণ হলো পরমাণুগুলোর সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরের ইলেকট্রন গুলো নিষ্ক্রিয় গ্যাসের স্থিতিশীল ইলেকট্রন বিন

অষ্টক নিয়ম কি।

অষ্টক নিয়ম কি। পর্যায় সারণিতে মৌল সমূহ সর্বশেষ শক্তিস্তরে এক বা একাধিক ইলেকট্রন বিদ্যমান থাকে।  আবার নিষ্ক্রিয় গ্যাস গুলির সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরে ৮টি করে ইলেকট্রন বিদ্যমান থাকে। এতে করে নিষ্ক্রিয় গ্যাস গুলি স্থিতিশীল অবস্থায় থাকে। মৌল সমূহ তাদের সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তর থেকে এক বা একাধিক ইলেকট্রন বর্জন, গ্রহণ বা শেয়ারের মাধ্যমে এদের নিকটতম নিষ্ক্রিয় গ্যাসের ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করে। এতে মৌল সমূহ স্থিতিশীলতা অর্জন করে।  মৌল সমূহ তাদের সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরে ইলেকট্রন গ্রহণ, বর্জন বা শেয়ারের মাধ্যমে আটটি ইলেকট্রন লাভ করাকে অষ্টক নিয়ম বলে। যেমনঃNaCl অনুতে Na পরমাণু তার সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তর থেকে একটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে এর নিকটতম নিষ্ক্রিয় গ্যাস নিয়নের ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করে।  আবার Cl পরমাণু তার সর্ববহিঃস্থ শক্তি স্তর একটি ইলেকট্রন গ্রহণ করে নিকটতম নিষ্ক্রিয় গ্যাস আর্গনের ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করে। CO অণুতে C পরমাণু  দুটি অক্সিজেন থেকে দুটি করে চারটি ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরে অষ্টক পূর্ণ করে।  আবার দুটি অক্সিজেন পরমাণু একটি কার্বন পরমাণুর ক

দুই এর নিয়ম।

দুই এর নিয়ম। প্রতিটি মৌল তার সর্বশেষ শক্তিস্তরে নিকটতম নিষ্ক্রিয় গ্যাসের ইলেকট্রন বিন্যাস অর্জন করে স্থিতিশীলতা লাভ করতে চাই।   অণু গঠনকালে প্রতিটি মৌল তার সর্বশেষ শক্তিস্তরে ইলেকট্রন গ্রহণ, বর্জন বা শেয়ারের মাধ্যমে অষ্টক পূর্ণ করে। একে অষ্টক নিয়ম বলে।  কিন্তু অনেক পরমাণু, অনু গঠনকালে অষ্টক নিয়মের ব্যতিক্রম দেখায়।  এ কারণে বিজ্ঞানীরা দুই এর নিয়ম উপস্থাপন করেন। দুই এর নিয়ম অষ্টক নিয়ম থেকে অধিকতর উপযোগী এবং আধুনিক।  অনু গঠনে কোন পরমাণুর সর্বশেষ শক্তিস্তরে এক বা একাধিক জোড়া ইলেকট্রন বিদ্যমান থাকবে। এটি দুই এর নিয়ম।  অর্থাৎ অণুতে যেকোন পরমাণুর সর্বশেষ শক্তিস্তরে এক বা একাধিক জোড়া ইলেকট্রন অবস্থান করবে। যেমনঃBeCl₂ অনুর কেন্দ্রীয় পরমাণু Be এর সর্বশেষ শক্তিস্তরে দুই জোড়া অর্থাৎ 4 টি ইলেকট্রন বিদ্যমান।আবার Cl পরমাণুর সর্বশেষ শক্তিস্তরে 4 জোড়া ইলেকট্রন বিদ্যমান। CH₄ অনুর কেন্দ্রীয় পরমাণু C এর সর্বশেষ শক্তিস্তরে চার জোড়া অর্থাৎ আটটি ইলেকট্রন বিদ্যমান।  আবার প্রতিটি H এর শক্তিস্তরে একজোড়া করে অর্থাৎ দুটি ইলেকট্রন বিদ্যমান।  BF₃ অনুর কেন্দ্রীয় পরমাণু B এর সর্বশ

স্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর অ্যামোনিয়ার ক্ষতিকর প্রভাব।

স্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর অ্যামোনিয়ার ক্ষতিকর প্রভাব। অ্যামোনিয়া হলো ঝাঁঝালো গন্ধ যুক্ত একটি ক্ষারক । পানিতে অ্যামোনিয়া গ্যাসের সম্পৃক্ত 35% - 40% জলীয় দ্রবণকে লিকার অ্যামোনিয়া বা অ্যামোনিয়া ক্যাল লিকার বলে। NH₃ + H₂O <----------> NH₄OH পরিবেশের উপর ক্ষতিকর প্রভাবঃ   তরল অ্যামোনিয়া দ্রবন জলাশয়ের পানিতে মিশলে পানির pH বৃদ্ধি পায়। তখন মাছসহ অন্যান্য জলজ উদ্ভিদ মারা যায়। অ্যামোনিয়া গ্যাস বায়ুতে মিশলে গাছপালা ঝলসে যায়, পাখিরা অ্যামোনিয়া গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। মানুষ শ্বাসকষ্টে ভোগে এবং ফুসফুসের প্রদাহজনিত রোগে আক্রান্ত হয়। মানবদেহের উপর ক্ষতিকর প্রভাবঃ  তরল  বা লিকার অ্যামোনিয়া বোতলের মুখ খোলার সময় অসতর্কতা বশত তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত অ্যামোনিয়া গ্যাস শ্বাসের সাথে দেহে প্রবেশ করলে মারাত্মক শ্বাসকষ্ট, গলা ও শ্বাসনালীতে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। চোখ জ্বালাপোড়া করে এবং মুহুর্তের মধ্যে চোখ রক্তবর্ণ হয়।

Na ধাতুর সাথে পানি যোগ করা যায় না কেন?

Na ধাতুর সাথে পানি যোগ করা যায় না কেন? সোডিয়াম অতি সক্রিয় ক্ষার ধাতু। এর সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরে নিকটতম নিষ্ক্রিয় গ্যাস নিয়ন এর থেকে একটি ইলেকট্রন বেশি থাকে।  এজন্য সোডিয়াম একটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে নিয়নের ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করে স্থিতিশীলতা অর্জন করে। সোডিয়াম ধাতু পানির সংস্পর্শে NaOH  ক্ষার ও H₂ গ্যাস উৎপন্ন করে। 2Na + 2H₂O --------> 2NaOH + H₂ + তাপ এই বিক্রিয়াটি তাপোৎপাদী । বিক্রিয়ায় উৎপন্ন তাপ হাইড্রোজেন এর সাথে জ্বলে ওঠে এবং বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। যা বিপদজনক হতে পারে।  এইজন্য সোডিয়াম ধাতুর সাথে পানি যোগ করা যায় না।

গাঢ় সালফিউরিক এসিডে সরাসরি পানি যোগ করা যায় না কেন?

গাঢ় সালফিউরিক এসিডে সরাসরি পানি যোগ করা যায় না কেন? সালফিউরিক এসিড হচ্ছে অজৈব এসিড। দুটি হাইড্রোজেন পরমাণু , একটি সালফার পরমাণু, এবং চারটি অক্সিজেন পরমাণুর সমন্বয়ে গঠিত। এর আণবিক ভর 98 গ্রাম।  গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিড নিরুদক হিসাবে কাজ করে।  গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিড পানি শোষণ করে এবং এটি তাপউৎপাদী প্রক্রিয়া। গাঢ় সালফিউরিক এসিডের মধ্যে পানি দিলে সাথে সাথে সালফিউরিক অ্যাসিড অণুসমূহে পানিযোজন বা হাইড্রেশন ঘটে। তখন প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয়। এতে টেস্টটিউব গরম হয়ে যায় এবং টেস্টটিউবটি হাত থেকে পড়ে ভেঙ্গে যেতে পারে।  যার ফলে গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিড চারিদিকে ছিটকে গায়ে পড়তে পারে। H₂SO₄+n H₂O  ------>H₂SO₄.n H₂O+ তাপ তাই গাঢ় সালফিউরিক এসিডের লঘু দ্রবণ তৈরি করার সময় পানিতে ধীরে ধীরে গাঢ় সালফিউরিক এসিড যোগ করতে হয় এবং দ্রবণকে গ্লাস রড দিয়ে ধীরে ধীরে আলোড়িত করতে হয় । তখন উৎপন্ন তাপ অধিক পানিতে শোষিত হয়ে থাকে। এতে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে না।

জৈব এসিড কি কি কাজে ব্যবহার করা যায়?

জৈব এসিড কি কি কাজে ব্যবহার করা যায়? এসিড হচ্ছে হাইড্রোজেন যুক্ত যৌগ। এসিড গুলো আবার দুই ধরনের হয়, যেমন- দুর্বল এসিড ও শক্তিশালী এসিড।  দুর্বল এসিড হচ্ছে যে সমস্ত  এসিড জলীয় দ্রবণে আংশিক বিয়োজিত অবস্থায় থাকে তাকে দুর্বল এসিড বলে।  অপরদিকে সবল এসিড হচ্ছে যারা জলীয় দ্রবণে সম্পূর্ণরূপে বিয়োজিত হতে পারে তাদের সবল এসিড বলে।  দুর্বল এসিড গুলো সাধারণত জৈব এসিড।  যেমন - ইথানয়িক এসিড, প্রোপানয়িক এসিড, সাইট্রিক এসিড, টারটারিক এসিড, ল্যাকটিক অ্যাসিড ইত্যাদি।  অপরদিকে সবল এসিড গুলো সাধারণত অজৈব এসিড ।  যেমন- হাইড্রোক্লোরিক এসিড, সালফিউরিক অ্যাসিড, ফসফরিক এসিড ইত্যাদি।  দুর্বল বা জৈব এসিড গুলো আমরা বিভিন্ন খাদ্যের সাথে গ্রহণ করে থাকি। লেবুর রস (সাইট্রিক অ্যাসিড) তেতুলে (টারটারিক অ্যাসিড), দুধে (ল্যাকটিক এসিড) ইত্যাদি। জৈব এসিড খাবার হিসেবে আমরা গ্রহণ করি। এছাড়া ভিনেগার ইথানয়িক এসিডের 6% - 10% জলীয় দ্রবণ, যা আমরা খাদ্যের স্বাদ বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন খাদ্য সংরক্ষণে ব্যবহার করি। আরো পড়ুন

অ্যালকোহল কি কি কাজে ব্যবহার করা হয়?

অ্যালকোহল কি কি কাজে ব্যবহার করা হয়? যেসব জৈব যৌগে হাইড্রোক্সিল মূলক(-OH)যুক্ত থাকে তাকে অ্যালকোহল বলে।  যেমন- মিথানল (CH₃OH),ইথানল (CH₃CH₂OH),প্রপানোল (CH₃CH₂CH₂OH)ইত্যাদি।  মিথানল বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ। মিথানল মূলত কোন রাসায়নিক পদার্থ প্রস্তুত করতে ব্যবহৃত হয়। রাসায়নিক শিল্পে ইথানয়িক এসিড, বিভিন্ন জৈব এসিডের এস্টার প্রস্তুত করা হয়।  ইথানলকে প্রধানত পারফিউম, কসমেটিক্স ও ঔষধ শিল্পে দ্রাবক হিসাবে ব্যবহার করা হয়। ইথানলকে ঔষধ শিল্পে দ্রাবক হিসেবে  ব্যবহার করা হয়।  এছাড়া রেকটিফাইড স্পিরিট কে হোমিও ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। রেকটিফাইড স্পিরিট হচ্ছে 95.6% ইথানল ও 4.4% পানির মিশ্রণ ।  পারফিউম শিল্পে ইথানলের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। পারফিউমে ইথানল ব্যবহারের পূর্বে তাকে গন্ধমুক্ত করা হয়।  ঔষধ ও খাদ্য শিল্প ব্যতীত অন্য শিল্পে রেকটিফাইড স্পিরিট সামান্য মিথানল মিশ্রিত করে বিষাক্ত করে ব্যবহার করা হয়। একে মিথিলেটেড স্পিরিট বলে।  কাঠ ও ধাতুর তৈরি আসবাবপত্র বার্নিশ করার জন্য মিথিলেটেড   স্পিরিট ব্যবহার করা হয়।  এছাড়া ইথানলকে মোটর গাড়ির জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

ফ্লোরিনকে জারক বলা হয় কেন?

Image
ফ্লোরিনকে জারক বলা হয় কেন? অথবা, যে সব তড়িৎ ঋনাত্বক মৌল হাইড্রোজেনের সাথে যুক্ত হতে পারে তাদের জারক বলে।

Popular posts from this blog

কপার(Cu) ও ক্রোমিয়ামের(Cr) ইলেকট্রন বিন্যাস ব্যতিক্রম কেন?

মুক্তজোড় ইলেকট্রন ও বন্ধন জোড় ইলেকট্রন কাকে বলে।

জারণ সংখ্যা নির্ণয়ের সহজ পদ্ধতি।

COD ও BOD কাকে বলে?

জারক ও বিজারক কাকে বলে? কিভাবে জারক ও বিজারক সহজেই চেনা যায়।

সালফার পরিবর্তনশীল যোজনী প্রদর্শন করে কেন?

প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড ও সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ কাকে বলে?

মোলার গ্যাস ধ্রুবক এবং এর মাত্রা, তাৎপর্য ও মান নির্ণয়।

প্রতীক ও সংকেতের মধ্যে পার্থক্য কি?

রাদারফোর্ড ও বোর পরমাণু মডেলের মধ্যে তুলনা।