Posts

Showing posts from January, 2021

গাঢ় নাইট্রিক এসিডের সাথে P₂O₅ এর বিক্রিয়া।

গাঢ় নাইট্রিক এসিডের সাথে P₂O₅ এর বিক্রিয়া।   গাঢ় নাইট্রিক এসিডের (HNO₃) সাথে ফসফরাস পেন্টা অক্সাইড (P₂O₅) বিক্রিয়া করে N₂O₅ ও HPO₃ উৎপন্ন করে। P₂O₅ + 2HNO₃ -----> N₂O₅ + 2HPO₃

লেড নাইট্রেটকে উত্তপ্ত করলে কি ঘটে।

লেড নাইট্রেটকে উত্তপ্ত করলে কি ঘটে।  লেড নাইট্রেটকে উত্তপ্ত করলে লেড অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড ও অক্সিজেন উৎপন্ন হয়।। 2Pb(NO₃)₂ ------> 2PbO + 4NO₂ + O₂

অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটকে উত্তপ্ত করলে কি ঘটে।

অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটকে উত্তপ্ত করলে কি ঘটে।  অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটকে উত্তপ্ত করলে নাইট্রাস অক্সাইড ও পানি বাষ্প উৎপন্ন হয়। NH₄NO₃ ------> N₂O + 2H₂O

অ্যামোনিয়া দ্রবণের সঙ্গে ধাতব লবণের বিক্রিয়া।

অ্যামোনিয়া দ্রবণের সঙ্গে ধাতব লবণের বিক্রিয়া।  অ্যামোনিয়ার দ্রবণ ধাতব লবণের সাথে বিক্রিয়া করে ধাতব ক্ষার ও অ্যামোনিয়াম লবণ উৎপন্ন করে। FeCl₃ + 3NH₄OH -----> Fe(OH)₃ + 3NH₄Cl AlCl₃ + 3NH₄OH -----> Al(OH)₃ + 3NH₄Cl

কপার(II) অক্সাইডের সাথে অ্যামোনিয়ার বিক্রিয়া।

কপার(II) অক্সাইডের সাথে অ্যামোনিয়ার বিক্রিয়া।  উত্তপ্ত কপার (II) অক্সাইডের উপর দিয়ে অ্যামোনিয়া চালনা করলে ধাতব কপার, পানি ও নাইট্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন করে। 3CuO + 2NH₃ -----> 3Cu + 3H₂O + N₂

অ্যামোনিয়ার সঙ্গে হ্যালোজেনের বিক্রিয়া।

অ্যামোনিয়ার সঙ্গে হ্যালোজেনের বিক্রিয়া। অ্যামোনিয়া হ্যালোজেনকে বিজারিত করে হাইড্রোজেন হ্যালাইড এবং নিজে জারিত হয়ে নাইট্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন করে।   হাইড্রোজেন হ্যালাইড পরবর্তীতে অ্যামোনিয়ার সঙ্গে বিক্রিয়া করে  অ্যামোনিয়াম লবণ উৎপন্ন করে। 2NH₃ + 3Cl₂ -----> 6HCl + N₂ 6NH₃ + 6HCl -----> 6NH₄Cl

অ্যামোনিয়া গ্যাসের দহন বিক্রিয়া।

অ্যামোনিয়া গ্যাসের দহন বিক্রিয়া।  অ্যামোনিয়াকে বাতাসে দহন করলে স্টীম ও নাইট্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন হয়।   তবে প্লাটিনাম প্রভাবকের উপস্থিতিতে অ্যামোনিয়াকে বাতাসে দহন করলে স্টীম ও নাইট্রিক অক্সাইড উৎপন্ন হয়। 4NH₃ + 3O₂ -----> 6H₂O + 2N₂ 4NH₃ + 5O₂  ------> 6H₂O + 4NO

অ্যামোনিয়ার সঙ্গে পানির বিক্রিয়া।

অ্যামোনিয়ার সঙ্গে পানির বিক্রিয়া। অ্যামোনিয়া গ্যাসকে পানিতে দ্রবীভূত করলে অ্যামোনিয়াম হাইড্রোক্সাইডের দ্রবণ উৎপন্ন করে। NH₃ + H₂O -----> NH₄OH

নাইট্রোজেনের সাথে ম্যাগনেসিয়ামের বিক্রিয়া।

নাইট্রোজেনের সাথে ম্যাগনেসিয়ামের বিক্রিয়া।  লোহিত তপ্ত তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করলে  ম্যাগনেসিয়ামের  এর সঙ্গে নাইট্রোজেন বিক্রিয়া করে  ম্যাগনেসিয়াম  নাইট্রাইড গঠন করে। 3Mg + N₂ ------> Mg₃N₂

নাইট্রোজেনের সাথে ক্যালসিয়ামের বিক্রিয়া।

নাইট্রোজেনের সাথে ক্যালসিয়ামের বিক্রিয়া।  লোহিত তপ্ত তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করলে ক্যালসিয়াম এর সঙ্গে নাইট্রোজেন বিক্রিয়া করে ক্যালসিয়াম নাইট্রাইড গঠন করে। 3Ca + N₂ ------> Ca₃N₂

নাইট্রোজেন এর সাথে অক্সিজেনের বিক্রিয়া।

নাইট্রোজেন এর সাথে অক্সিজেনের বিক্রিয়া।  উচ্চ তাপমাত্রায় ও তড়িৎ স্ফুলিঙ্গের প্রভাবে 3000ºC তাপমাত্রায় নাইট্রোজেন, অক্সিজেনের সাথে যুক্ত হয়ে নাইট্রিক অক্সাইড উৎপন্ন করে। N₂ + O₂ ------> 2NO

সকল d-ব্লক মৌল অবস্থান্তর মৌল নয় কেন?

সকল d-ব্লক মৌল অবস্থান্তর মৌল নয় কেন?    যে সকল  মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসে এর সর্বশেষ ইলেকট্রন d- অরবিটালে প্রবেশ করে তাদেরকে d-ব্লক মৌল বলা হয়।  আবার, যেসব d- ব্লক মৌলের কোন স্থিতিশীল আয়নের ইলেকট্রনীয় কাঠামো আংশিক পূর্ণ অর্থাৎ d - d হলে তাদেরকে অবস্থান্তর মৌল বলে।  এক্ষেত্রে স্ক্যানডেনিয়াম, জিংক ও আয়রন এর ইলেকট্রন বিন্যাস নিম্নরূপঃ  Sc (21)---> 1s² 2s² 2p⁶ 3s² 3p⁶ 4s² 3d¹ Zn(30)---> 1s² 2s² 2p⁶ 3s² 3p⁶ 4s² 3d¹º Fe(26)--->  1s² 2s² 2p⁶ 3s² 3p⁶ 4s² 3d⁶ ইলেকট্রন বিন্যাস থেকে দেখা যায় এদের সর্বশেষ ইলেকট্রন d- অরবিটালে প্রবেশ করেছে। কাজেই এরা সকলেই d-ব্লক মৌল।  আবার, এদের স্থিতিশীল আয়নের ইলেকট্রন বিন্যাস নিম্নরূপঃ  Sc³+ (21)---> 1s² 2s² 2p⁶ 3s² 3p⁶ Zn²+(30)---> 1s² 2s² 2p⁶ 3s² 3p⁶ 3d¹º Fe²+ (26)--->  1s² 2s² 2p⁶ 3s² 3p⁶ 3d⁶ ইলেকট্রন বিন্যাস থেকে দেখা যায় স্ক্যানডেনিয়ামের d -অরবিটালে কোন ইলেকট্রন থাকে না।  জিংকের স্থিতিশীল অয়নের d-  অরবিটাল পূর্ণ থাকে।  কাজেই স্ক্যানডেনিয়াম ও জিংক অবস্থান্তর মৌল নয়, শুধু d -ব্লক মৌল। কিন্তু আয়রন এর স্থিতিশ

d-ব্লক মৌলের বৈশিষ্ট্য।

d-ব্লক মৌলের বৈশিষ্ট্য।  d-ব্লক মৌলের বৈশিষ্ট্য গুলি নিম্নরূপঃ ১. d- ব্লক মৌল পর্যায় সারণিতে গ্রুপ 3 থেকে গ্রুপ 12 এর অন্তর্ভুক্ত।  ২. d- ব্লক মৌল গুলির বহিঃস্থ দুটি শক্তিস্তরের ইলেকট্রনীয় কাঠামো  (n-1)d ns. ৩. d- ব্লক মৌল গুলি সবগুলো ধাতু।  ৪. সব অবস্থান্তর মৌল d- ব্লক মৌলের অন্তর্ভুক্ত, কিন্তু সব d-ব্লক মৌল অবস্থান্তর মৌল নয়।  ৫. d- ব্লক মৌল সাধারণত উচ্চ গলনাংক ও স্ফুটনাংক বিশিষ্ট হয়। ৬. d- ব্লক মৌল গুলি সাধারণত পরিবর্তনশীল যোজ্যতা প্রদর্শন করে। 

আয়রন অবস্থান্তর ধাতু কেন?

আয়রন অবস্থান্তর ধাতু কেন?  যেসকল মৌলের কোন স্থিতিশীল আয়নের সর্ববহিঃস্থ d-অরবিটাল আংশিক পূর্ণ (d¹ - d⁹) থাকলে তাদেরকে অবস্থান্তর মৌল বা অবস্থান্তর ধাতু বলে।  আয়রন এর স্হিতিশীল আয়নের ইলেকট্রন বিন্যাস নিম্নরূপঃ  Fe²+ (26) ----> 1s² 2s² 2p⁶ 3s² 3p⁶ 3d⁶ ইলেকট্রন বিন্যাস থেকে দেখা যায়, Fe²+ এর স্থিতিশীল আয়নে d- অরবিটালে ইলেকট্রন দ্বারা আংশিক পূর্ণ থাকে। কাজেই আয়রন অবস্থান্তর ধাতু।  তাই বলা যায়, আয়রন শুধু d-ব্লক মৌল ও অবস্থান্তর মৌল উভয় হয়।

জিংক অবস্থান্তর ধাতু নয় কেন?

জিংক অবস্থান্তর ধাতু নয় কেন?  যেসকল মৌলের কোন স্থিতিশীল আয়নের সর্ববহিঃস্থ d-অরবিটাল আংশিক পূর্ণ (d¹ - d⁹) থাকলে তাদেরকে অবস্থান্তর মৌল বা অবস্থান্তর ধাতু বলে।  জিংক এর স্হিতিশীল আয়নের ইলেকট্রন বিন্যাস নিম্নরূপঃ  Zn²+ (30) ----> 1s² 2s² 2p⁶ 3s² 3p⁶ 3d¹º ইলেকট্রন বিন্যাস থেকে দেখা যায়, Zn²+ এর স্থিতিশীল আয়নে d- অরবিটালে ইলেকট্রন দ্বারা পূর্ণ থাকে। কাজেই জিংক অবস্থান্তর ধাতু নয়।  তাই বলা যায়, জিংক শুধু d-ব্লক মৌল, কিন্তু অবস্থান্তর মৌল নয়।

স্ক্যানডেনিয়াম অবস্থান্তর ধাতু নয় কেন?

স্ক্যানডেনিয়াম অবস্থান্তর ধাতু নয় কেন?  যেসকল মৌলের কোন স্থিতিশীল আয়নের সর্ববহিঃস্থ d-অরবিটাল আংশিক পূর্ণ (d¹ - d⁹) থাকলে তাদেরকে অবস্থান্তর মৌল বা অবস্থান্তর ধাতু বলে।  স্ক্যানডেনিয়াম এর স্হিতিশীল আয়নের ইলেকট্রন বিন্যাস নিম্নরূপঃ  Sc³+ (21) ----> 1s² 2s² 2p⁶ 3s² 3p⁶  ইলেকট্রন বিন্যাস থেকে দেখা যায়, Sc³+ এর স্থিতিশীল আয়নে d- অরবিটালে কোন ইলেকট্রন থাকে না। কাজেই স্ক্যানডেনিয়াম অবস্থান্তর ধাতু নয়।  তাই বলা যায়, স্ক্যানডেনিয়াম শুধু d-ব্লক মৌল, কিন্তু অবস্থান্তর মৌল নয়।

অবস্থান্তর মৌল কাকে বলে?

অবস্থান্তর মৌল কাকে বলে? যেসকল d- ব্লক মৌলের কোন স্থিতিশীল আয়নের সর্ববহিঃস্থ  d-অরবিটালের ইলেকট্রনীয় কাঠামো আংশিক পূর্ণ অর্থাৎ d¹ - d⁹ ইলেকট্রনীয় কাঠামো থাকে তাদেরকে অবস্থান্তর মৌল বা অবস্থান্তর ধাতু বলে।  যেমনঃ  Fe²+(26) ---> 1s² 2s² 2p⁶ 3s² 3p⁶ 3d⁶ Fe²+ স্থিতিশীল আয়নের ইলেকট্রন বিন্যাস করলে দেখা যায়, বহিঃস্থ d- অরবিটাল আংশিক পূর্ণ থাকে। কাজেই বলা যায় Fe²+ একটি অবস্থান্তর মৌল।

d- ব্লক মৌল কাকে বলে?

d- ব্লক মৌল কাকে বলে?  যে সকল মৌলের পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাসে সর্বশেষ ইলেক্ট্রনটি d-অরবিটালে প্রবেশ করে তাদের d- ব্লক মৌল বলা হয়।  পর্যায় সারণিতে চতুর্থ পর্যায় থেকে সপ্তম পর্যায়ে এবং গ্রুপ 3 থেকে 12 পর্যন্ত মৌল গুলি d- ব্লক মৌল।    d- ব্লক মৌল Th সহ মোটঃ 41 টি। যেমনঃ Sc(21)--->1s² 2s² 2p⁶ 3s² 3p⁶ 4s² 3d¹ Sc এর ইলেকট্রন বিন্যাসে সর্বশেষ ইলেক্ট্রনটি d-অরবিটালে প্রবেশ করেছে। কাজেই Sc একটি d- ব্লক মৌল। 

শীতল পানির সাথে P₂O₅ এর বিক্রিয়া।

শীতল পানির সাথে P₂O₅ এর বিক্রিয়া। শীতল পানির সাথে ফসফরাস পেন্টা অক্সাইড (P₂O₅) বিক্রিয়া করে মেটা ফসফরিক এসিড (HPO₃) উৎপন্ন করে এবং বিক্রিয়ার সময় হিস হিস শব্দ শোনা যায়। P₂O₅ + H₂O ----> 2HPO₃

বাতাসের সাথে P₂O₃ এর বিক্রিয়া।

বাতাসের সাথে P₂O₃ এর বিক্রিয়া।   বাতাসের সংস্পর্শে ফসফরাস ট্রাই অক্সাইডকে (P₂O₃) উত্তপ্ত করলে ফসফরাস পেন্টা অক্সাইড (P₂O₅) উৎপন্ন হয়। P₂O₃ + O₂ -----> P₂O₅

গরম পানির সাথে P₂O₃ এর বিক্রিয়া

গরম পানির সাথে P₂O₃ এর বিক্রিয়া।  গরম পানির সাথে ফসফরাস ট্রাই অক্সাইড (P₂O₃) বিক্রিয়া করে ফসফ রিক এসিড (H₃PO₄) ও ফসফিন উৎপন্ন করে। 2P₂O₃ + 6H₂O ----> 3H₃PO₄ + PH₃

শীতল পানির সাথে P₂O₃ এর বিক্রিয়া।

শীতল পানির সাথে P₂O₃ এর বিক্রিয়া।  শীতল পানির সাথে ফসফরাস ট্রাই অক্সাইড (P₂O₃) বিক্রিয়া করে ফসফ রাস এসিড (H₃PO₃) উৎপন্ন করে। P₂O₃ + 3H₂O ----> 2H₃PO₃

ক্ষারের সাথে P₂O₃ এর বিক্রিয়া।

ক্ষারের সাথে P₂O₃ এর বিক্রিয়া।  ক্ষারীয় দ্রবণ (যেমনঃ NaOH) এর সাথে ফসফরাস ট্রাই অক্সাইড বিক্রিয়া করে ধাতব ফসফেট (যেমনঃ সোডিয়াম ফসফেট) ফসফিন ও পানি উৎপন্ন করে। 2P₂O₃+9NaOH ----> 3Na₃PO₄+ PH₃ + 3H₂O

গরম ক্ষারের সাথে P₂O₅ এর বিক্রিয়া।

গরম ক্ষারের সাথে P₂O₅ এর বিক্রিয়া।  গরম ক্ষারীয় দ্রবণ (যেমনঃ NaOH) এর সাথে ফসফরাস পেন্টা অক্সাইড বিক্রিয়া করে ধাতব ফসফেট (যেমনঃ সোডিয়াম ফসফেট) ও পানি উৎপন্ন করে। P₂O₅+6NaOH ----> 2Na₃PO₄+ 3H₂O

শীতল ক্ষারের সাথে P₂O₅ এর বিক্রিয়া।

শীতল ক্ষারের সাথে P₂O₅ এর বিক্রিয়া।  শীতল ক্ষারীয় দ্রবণ (যেমনঃ NaOH) এর সাথে ফসফরাস পেন্টা অক্সাইড বিক্রিয়া করে ধাতব মেটাফসফেট (যেমনঃ সোডিয়াম মেটাফসফেট) ও পানি উৎপন্ন করে। P₂O₅+2NaOH ----> 2NaPO₃+ H₂O

গরম পানির সাথে P₂O₅ এর বিক্রিয়া

গরম পানির সাথে P₂O₅ এর বিক্রিয়া। গরম পানির সাথে P₂O₅ বিক্রিয়া করে ফসফরিক অ্যাসিড বা অর্থো ফসফরিক এসিড উৎপন্ন করে। P₂O₅ +3H₂O -----> 2H₃PO₄

কপারের সাথে সালফিউরিক এসিডের বিক্রিয়া।

কপারের সাথে সালফিউরিক এসিডের বিক্রিয়া।  কপারের সাথে সালফিউরিক এসিডের বিক্রিয়ায় কপার সালফেট পানি ও সালফার ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হয়। Cu +2H₂SO₄ -----> CuSO₄ +2H₂O + SO₂

সালফিউরিক এসিডের সাথে ফসফরাসের বিক্রিয়া।

সালফিউরিক এসিডের সাথে ফসফরাসের বিক্রিয়া।   সালফিউরিক এসিডের সঙ্গে ফসফরাসকে উত্তপ্ত করলে ফসফরাস এসিড (H₃PO₃) ও সালফার ডাই অক্সাইড (SO) উৎপন্ন হয়। 3H₂SO₄+2P ----->2H₃PO₃+3SO₂

গাঢ় H₂SO₄ এর সাথে কার্বনের বিক্রিয়া।

গাঢ় H₂SO₄ এর সাথে কার্বনের বিক্রিয়া।  উত্তপ্ত ও গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিড কার্বনের সাথে বিক্রিয়া করে পানি, সালফার ডাই অক্সাইড ও কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হয়। 2H₂SO₄ + C -----> 2H₂O + 2SO₂ +CO₂

অম্লীয় CuSO₄ দ্রবণে সাথে H₂S এর বিক্রিয়া।

অম্লীয় CuSO₄ দ্রবণে সাথে H₂S এর বিক্রিয়া। অম্লীয় কপার সালফেট (CuSO₄) দ্রবণে হাইড্রোজেন সালফাইড (H₂S) গ্যাস চালনা করলে কপার সালফাইড ও সালফিউরিক এসিড উৎপন্ন হয়। CuSO₄ +H₂S -----> CuS +H₂SO₄

ক্ষারীয় ZnSO₄ দ্রবণের সাথে H₂S এর বিক্রিয়া।

ক্ষারীয় ZnSO₄ দ্রবণের সাথে H₂S এর বিক্রিয়া।  ক্ষারীয় জিংক সালফেট (ZnSO₄) দ্রবণে হাইড্রোজেন সালফাইড (H₂S) যোগ করলে জিংক সালফাইডের (ZnS) সাদা অধঃক্ষেপ উৎপন্ন হয়। ZnSO₄ + 2NaOH -----> Zn(OH)₂ + Na₂SO₄ Zn(OH)₂ + 2NaOH -----> Na₂ZnO₂ + 2H₂O Na₂ZnO₂ + 2H₂S ----> ZnS + 2NaOH

H₂S এর সাথে SO₂ এর বিক্রিয়া।

H₂S এর সাথে SO₂ এর বিক্রিয়া।  হাইড্রোজেন সালফাইড (H₂S) এর সাথে সালফার ডাই অক্সাইড (SO₂) এর বিক্রিয়ায় H₂S সালফার ডাই অক্সাইডকে বিজারিত করে সালফার ও পানি উৎপন্ন করে। 2H₂S + SO₂ ------> 3S + 2H₂O

হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের সাথে H₂S এর বিক্রিয়া।

হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের সাথে H₂S এর বিক্রিয়া। হাইড্রোজেন পার অক্সাইড (H₂O₂) এর সাথে হাইড্রোজেন সালফাইডের বিক্রিয়ায় H₂S জারিত হয়ে সালফার ও হাইড্রোজেন পার অক্সাইড বিজারিত হয় পানি উৎপন্ন করে। H₂O₂ + H₂S -----> S + 2H₂O

ফেরিক ক্লোরাইড দ্রবণে সাথে H₂S এর বিক্রিয়া।

ফেরিক ক্লোরাইড দ্রবণে সাথে H₂S এর বিক্রিয়া। ফেরিক ক্লোরাইডের (FeCl₃) দ্রবণের সাথে হাইড্রোজেন সালফাইডের (H₂S) বিক্রিয়ায় ফেরাস ক্লোরাইড (FeCl₂) , হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড ও সালফার উৎপন্ন হয়। 2FeCl₃ + H₂S -----> 2FeCl₂ + 2HCl + S

H₂S এর সাথে লঘু নাইট্রিক এসিডের বিক্রিয়া।

H₂S এর সাথে লঘু নাইট্রিক এসিডের বিক্রিয়া।  হাইড্রোজেন সালফাইডের (H₂S) লঘু নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO₃) দ্বারা জারিত হয়ে সালফার , পানি ও নাইট্রিক অক্সাইড (NO) উৎপন্ন  করে। 3H₂S+ 2HNO₃ -----> 3S + 4H₂O +2NO

H₂Sএর সাথে হ্যালোজেন এর বিক্রিয়া।

H₂Sএর সাথে হ্যালোজেন এর বিক্রিয়া।  হ্যালোজেন (যেমনঃ ক্লোরিন, ব্রোমিন, আয়োডিন) দ্রবনের সাথে হাইড্রোজেন সালফাইডের সাথে বিক্রিয়া করে হাইড্রোজেন হ্যালাইড এসিড এবং সালফার উৎপন্ন হয়। H₂S + X₂ -----> 2HX + S  (X= Cl, Br, I) H₂S +Cl₂ -----> 2HCl + S

H₂S এর সাথে অম্লীয় K₂Cr₂O₇ এর বিক্রিয়া।

H₂S এর সাথে অম্লীয় K₂Cr₂O₇ এর বিক্রিয়া।  হাইড্রোজেন সালফাইড (H₂S) এর অম্লীয় দ্রবণে পটাশিয়াম ডাইক্রোমেট (K₂Cr₂O₇) যোগ করলে, বিক্রিয়া করে সালফার, পটাশিয়াম সালফেট, ক্রোমিয়াম সালফেট ও পানি উৎপন্ন হয়। 3H₂S+K₂Cr₂O₄+4H₂SO₄ -----> 3S + K₂SO₄+ Cr₂(SO₄)₃ + 7H₂O

H₂S এর সাথে অম্লীয় KMnO₄ এর বিক্রিয়া।

H₂S এর সাথে অম্লীয় KMnO₄ এর বিক্রিয়া।  হাইড্রোজেন সালফাইড (H₂S) এর অম্লীয় দ্রবণে পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট (KMnO₄) যোগ করলে, বিক্রিয়া করে সালফার, পটাশিয়াম সালফেট, ম্যাঙ্গানিজ সালফেট ও পানি উৎপন্ন হয়। 5H₂S+2KMnO₄+3H₂SO₄ -----> 5S + K₂SO₄+2MnSO₄+ 8H₂O

গাঢ় HNO₃ সাথে সালফার গুড়ার বিক্রিয়া।

গাঢ় HNO₃ সাথে সালফার গুড়ার বিক্রিয়া।  গাঢ় নাইট্রিক এসিডের সাথে সালফার গুড়াকে উত্তপ্ত করলে নাইট্রিক এসিড দ্বারা সালফার জারিত হয়ে সালফিউরিক এসিড উৎপন্ন করে। 6HNO₃ + S -----> H₂SO₄ +6NO₂ + 2H₂O

গাঢ় H₂SO₄ সাথে সালফার গুড়া এর বিক্রিয়া।

গাঢ় H₂SO₄ সাথে সালফার গুড়া এর বিক্রিয়া।  গাঢ় সালফিউরিক এসিডের সাথে সালফার গুড়াকে উত্তপ্ত করলে গাঢ় সালফিউরিক এসিড দ্বারা সালফার জারিত হয়ে সালফার ডাই অক্সাইড উৎপন্ন করে। 2H₂SO₄ + S -----> 3SO₂ + 2H₂O

নিকেল (II) লবণের সাথে NH₄OH এর বিক্রিয়া।

নিকেল (II) লবণের সাথে NH₄OH এর বিক্রিয়া।  নিকেল (II) লবণ যেমন- নিকেল ক্লোরাইড দ্রবণে NH₄OH যোগ করলে প্রথমে নিকেল হাইড্রোক্সাইড এর সবুজ বর্ণের অধঃক্ষেপ উৎপন্ন হয়। পরে অতিরিক্ত NH₄OH যোগ করলে টেট্রাঅ্যামিমন নিকেল ক্লোরাইডের দ্রবণ উৎপন্ন হয়। NiCl₂ +2NH₄OH ----> Ni(OH)₂ +2NH₄Cl Ni(OH)₂ +6NH₄OH -----> [Ni(NH₃)₆](OH)₂ + 6H₂O [Ni(NH₃)₆](OH)₂ + 2NH₄Cl ---->  [Ni(NH₃)₆]Cl₂ + 2NH₄OH

CoCl₂ এর সাথে NH₄OH এর বিক্রিয়া।

CoCl₂ এর সাথে NH₄OH এর বিক্রিয়া।  CoCl₂ লবণের দ্রবণে NH₄OH যোগ করলে প্রথমে গোলাপি বর্ণের Co(OH)₂ অধঃক্ষেপ উৎপন্ন হয়। পরে অতিরিক্ত NH₄OH যোগ করলে হেক্সাঅ্যামমিন কোবাল্ট ক্লোরাইড উৎপন্ন হয়। CoCl₂ + 2NH₄OH -----> Co(OH)₂ + 2NH₄Cl Co(OH)₂ +6NH₄OH -----> [Co(NH₃)₆](OH)₂ + 6H₂O [Co(NH₃)₆](OH)₂+2NH₄OH --->  [Co(NH₃)₆]Cl₂ + 2NH₄OH

CrCl₃ এর সাথে KOH এর বিক্রিয়া।

CrCl₃ এর সাথে KOH এর বিক্রিয়া।  CrCl₃ এর দ্রবণে KOH যোগ করলে প্রথমে Cr(OH)₃ সবুজ বর্ণের অধঃক্ষেপ উৎপন্ন হয়। পরে অতিরিক্ত KOH যোগ করলে পটাশিয়াম ক্রোমেট উৎপন্ন হয় এবং অধঃক্ষেপ দ্রবীভূত হয়। CrCl₃ + 3KOH -----> Cr(OH)₃ + 3KCl Cr(OH)₃ + 3KOH ----> K₃CrO₃ + 3H₂O

CoCl₂ এর সাথে NaOH এর বিক্রিয়া।

CoCl₂ এর সাথে NaOH এর বিক্রিয়া।  CoCl₂ এর দ্রবণে NaOH যোগ করলে প্রথমে Co(OH)₂ এর গোলাপি বর্ণের অধঃক্ষেপ উৎপন্ন হয়। পরে দ্রবণে অধিক NaOH যোগ করলে সোডিয়াম কোবাল্টেট উৎপন্ন হয় এবং অধঃক্ষেপ দ্রবীভূত হয়। CoCl₂+ 2NaOH -----> Co(OH)₂ + 2NaCl Co(OH)₂ + 2NaOH -----> Co(OH)₄Na₂

ZnCl₂ দ্রবণের সাথে NaOH এর বিক্রিয়া।

ZnCl₂ দ্রবণের সাথে NaOH এর বিক্রিয়া। জিংক ক্লোরাইড দ্রবণে সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড যোগ করলে প্রথমে Zn(OH)₂ এর সাদা অধঃক্ষেপ উৎপন্ন হয়। পরে অতিরিক্ত NaOH চালনা করলে অধঃক্ষেপ দ্রবীভূত হয় সোডিয়াম জিংকেট (Na₂ZnO₂) এর দ্রবণ উৎপন্ন করে। ZnCl₂+2NaOH ----> Zn(OH)₂ + 2NaCl Zn(OH)₂ + 2NaOH -----> Na₂ZnO₂ + 2H₂O

ফেরিক ক্লোরাইড দ্রবণের সাথে SO₂ এর বিক্রিয়া।

ফেরিক ক্লোরাইড দ্রবণের সাথে SO₂ এর বিক্রিয়া।   ফেরিক ক্লোরাইড দ্রবণে সালফার ডাই অক্সাইড গ্যাস চালনা করলে, ফেরিক ক্লোরাইড সালফার ডাই অক্সাইড দ্বারা বিজারিত হয়ে ফেরাস ক্লোরাইডে পরিণত হয়। তার সাথে হাইড্রোক্লোরিক এসিড ও লঘু সালফিউরিক এসিড উৎপন্ন হয়। 2FeCl₃+2H₂O+ SO₂-----> 2FeCl₂ + 2HCl + H₂SO₄

পটাশিয়াম ডাইক্রোমেটের সাথে কার্বন সহ বিক্রিয়া।

পটাশিয়াম ডাইক্রোমেটের সাথে কার্বন সহ বিক্রিয়া।  পটাশিয়াম ডাইক্রোমেটকে কার্বন গুড়া সহ উত্তপ্ত করলে কার্বন গুড়া দ্বারা বিজারিত হয়ে পটাশিয়াম ক্রোমাইট এবং কার্বন মনো অক্সাইড উৎপন্ন হয়। K₂Cr₂O₇+3C ----->2KCrO₂+3CO

অ্যামোনিয়াম ডাইক্রোমেটকে উত্তপ্ত করলে কি ঘটে।

অ্যামোনিয়াম ডাইক্রোমেটকে উত্তপ্ত করলে কি ঘটে।  অ্যামোনিয়াম ডাইক্রোমেটকে উত্তপ্ত করলে সেটি বিয়োজিত হয়ে ক্রোমিক অক্সাইড নাইট্রোজেন গ্যাস ও পানি উৎপন্ন করে। (NH₄)₂Cr₂O₇ -----> Cr₂O₃+ N₂+ 4H₂O

লেড ক্লোরাইড দ্রবণের সাথে ক্রোমেট দ্রবণের বিক্রিয়া।

লেড ক্লোরাইড দ্রবণের সাথে ক্রোমেট দ্রবণের বিক্রিয়া।   উত্তপ্ত লেড ক্লোরাইড দ্রবণে ক্রোমেট এর দ্রবণে (যেমনঃ সোডিয়াম ক্রোমেট) যোগ করলে লেড ক্রোমেটের ( PbCrO₄)  গাঢ় হলুদ অধঃক্ষেপ সৃষ্টি হয়। PbCl₂+Na₂CrO₄ -----> PbCrO₄+ 2NaCl

ক্রোমাইট আকরিকের সাথে K₂CO₃ এর বিক্রিয়া।

ক্রোমাইট আকরিকের সাথে K₂CO₃ এর বিক্রিয়া।  গাঢ় ক্রোমাইট আকরিককে বায়ুর উপস্থিতিতে পটাশিয়াম কার্বনেট সহ উত্তপ্ত করলে আকরিকের মধ্যস্থ ফেরাস অক্সাইড জারিত হয়ে ফেরিক অক্সাইড পরিণত হয় এবং পটাশিয়াম ক্রোমেট ও CO₂ উৎপন্ন হয়। 4(FeO.Cr₂O₃)+8K₂CO₃+7O₂---->  2Fe₂O₃ + 8K₂CrO₄ + 8CO₂

ক্রোমিক অক্সাইডের সাথে NaOH এর বিক্রিয়া।

ক্রোমিক অক্সাইডের সাথে NaOH এর বিক্রিয়া।  ক্রোমিক অক্সাইডকে বায়ুর  উপস্থিতিতে NaOH সহ উত্তপ্ত করলে Cr₂O₃ জারিত হয়ে সোডিয়াম ক্রোমেট ( Na₂CrO₄)  লবণ উৎপন্ন করে।  2Cr₂O₃ +8NaOH + O₂ -----> 4Na₂CrO₄ +4H₂O

ক্রোমাস ক্লোরাইডের সাথে সোডিয়াম কার্বনেটের বিক্রিয়া।

ক্রোমাস ক্লোরাইডের সাথে সোডিয়াম কার্বনেটের বিক্রিয়া।  ক্রোমাস ক্লোরাইডকে সোডিয়াম কার্বনেট সহ উত্তপ্ত করলে সোডিয়াম ক্লোরাইড ক্রোমাস অক্সাইড (CrO) ও কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হয়। CrCl₂ + Na₂CO₃ -----> NaCl + CrO + CO₂

ক্রোমিক অক্সাইডের সাথে গাঢ় NaOH এর বিক্রিয়া।

ক্রোমিক অক্সাইডের সাথে গাঢ় NaOH এর বিক্রিয়া।  ক্রোমিক অক্সাইড গাঢ় ক্ষারে যেমনঃ সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড (NaOH) এর সাথে বিক্রিয়া করে NaCrO₂ ও পানি উৎপন্ন করে। Cr₂O₃ + 2NaOH -----> 2NaCrO₂ + H₂O

কপার (II) ক্লোরাইড এর সাথে পানির বিক্রিয়া।

কপার (II) ক্লোরাইড এর সাথে পানির বিক্রিয়া।  কপার (II) ক্লোরাইড এর মধ্যে পানি যোগ করলে প্রথমে কপার(II) ক্লোরাইড এর সোদক কেলাসে পরিণত হয়। ফলে এর বর্ণ সবুজ হয়।  CuCl₂ +2H₂O -----> CuCl₂. 2H₂O কিন্তু অধিক পানি যোগ করলে কিউপ্রিক হাইড্রোক্সাইড উৎপন্ন হয় বলে এর বর্ণ নীল হয়। CuCl₂ +2H₂O -----> Cu(OH)₂ +2HCl

পাইরোলুসাইট হতে KMnO₄ প্রস্তুতি।

পাইরোলুসাইট হতে KMnO₄ প্রস্তুতি।  নিম্নরুপ পদ্ধতিতে পাইরোলুসাইট (MnO₂) হতে KMnO₄ প্রস্তুত করা যায়।  বাতাস অথবা KNO₃ জারকের উপস্থিতিতে পাইরোলুসাইটকে কস্টিক পটাশ এর সাথে বিগলিত করলে জারণের ফলে সবুজ বর্ণের পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট উৎপন্ন হয়।   2MnO₂ + 4KOH+ O₂ -----> 2K₂MnO₄ + 2H₂O উৎপন্ন K₂MnO₄ কে আয়রন ইলেকট্রোডের মধ্যে তড়িৎ বিশ্লেষণ করে জারিত করা হয়। অ্যানোডে উৎপন্ন অক্সিজেন K₂MnO₄ কে জারিত করে KMnO₄ তৈরি করে। 2K₂MnO₄ + HO + [O] -------> 2KMnO₄ + 2KOH

ঢালাই লোহা থেকে ইস্পাত তৈরি।

ঢালাই লোহা থেকে ইস্পাত তৈরি।  ঢালাই লোহাকে জারিত করলে এর মধ্যস্থিত ভেজাল কার্বন, সিলিকন, ম্যাঙ্গানিজ, সালফার ও ফসফরাস ধাতুমল রূপে পৃথক হয়ে যায়।এরপর লোহার সাথে নির্দিষ্ট পরিমাণে স্পাইজেল যোগ করে ইস্পাত তৈরি করা হয়। স্পাইজেল হল আয়রন, কার্বন ও ম্যাঙ্গানিজ এর মিশ্রণ। ওপেন হার্থ প্রণালীঃ  ওপেন  হার্থ  প্রণালীতে ঢালাই লোহা থেকে ইস্পাত তৈরি করা যায়।  চুল্লির গঠন প্রণালীঃ এ পদ্ধতিতে অগ্নিসহ ইটের তৈরি চতুস্কোন চুল্লী ব্যবহার করা হয়। চুল্লীর অভ্যান্তরে প্রশস্ত ও অগভীর। এর উপরে একটি নিচু ছাদ আছে যা উত্তপ্ত গ্যাস প্রতিফলিত করে চুল্লির আঁধারকে উত্তপ্ত করে। এর এক প্রান্তে গ্যাস প্রবেশের ও অপরপ্রান্তে গ্যাস নির্গমনের ব্যবস্থা থাকে। ঢালাই লোহায় ফসফরাসের পরিমাণ বেশি থাকলে চুল্লীর ভেতরের অংশে চুন ও ম্যাগনেশিয়ামের আস্তরণ দেওয়া হয়। এ অবস্থায় পদ্ধতিকে ক্ষার ওপেন হার্থ পদ্ধতি বলে।  আবার, ঢালাই লোহায় ফসফরাস কম থাকলে চুল্লির ভেতরে সিলিকন পদার্থ দ্বারা আস্তরন দেওয়া হয়। তখন এ পদ্ধতিকে অ্যাসিড ওপেন হার্থ পদ্ধতি বলে।  কার্যপ্রণালীঃ   চুল্লির নিকটস্হ স্হানে কয়লা পুড়িয়ে প্রডিউসা

আকরিক থেকে লোহা নিষ্কাশন।

আকরিক থেকে লোহা নিষ্কাশন।  খনি থেকে লৌহ আকরিক সংগ্রহ করে ধুলাবালি, কাদামাটি পরিষ্কার করা হয়।  এরপর দুই ধাপে  ১.আকরিকের তাপজারণ বা ভস্মীকরণ এবং ২. বিগলন বা কার্বন বিজারণ পদ্ধতিতে লোহা নিষ্কাশন করা হয়।  ভস্মীকরণঃ লোহার আকরিকের সাথে কার্বন মিশ্রিত করে পোড়ানো হয়। ফলে আকরিকের পানি বাষ্প, সালফার, আর্সেনিক ও অন্যান্য পদার্থগুলি যৌগ রূপে আলাদা হয়। এছাড়া কার্বনেট আকরিক বিয়োজিত হয়ে ফেরাস অক্সাইড এবং ফেরিক অক্সাইডে পরিণত হয়। এই ভস্মীভূত আকরিককে বাত্যাচুল্লির ভেতরে হপার এর মাধ্যমে আকরিক, কোক কার্বন ও চুনা পাথরের মিশ্রণকে ৮:৪:১ ওজন অনুপাতে যোগ করা হয়।  FeCO₃ -----> FeO + CO₂ 4FeO + O₂ -----> 2Fe₂O₃ বাত্যাচুল্লির নিচ দিয়ে গরম বাতাস চুল্লিতে প্রবেশ করানো হয়। এতে করে কোক কার্বন চুল্লির টাওয়ারের মুখে বাতাসের ঝাপটায় প্রজ্বলিত হয়ে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও প্রচুর তাপ উৎপন্ন করে। এইজন্য চুল্লীর নিচের দিকে তাপমাত্রা 1500 ডিগ্রী সেলসিয়াস এর অধিক হয়ে থাকে। আবার এই কার্বন-ডাই-অক্সাইড কার্বন দ্বারা বিজারিত হয় কার্বন মনো অক্সাইড উৎপন্ন করে।  C + O₂ ------> CO₂ CO₂ +

আকরিক থেকে ক্রোমিয়াম ধাতু নিষ্কাশন।

আকরিক থেকে ক্রোমিয়াম ধাতু নিষ্কাশন।  ধাতু নিষ্কাশনের জন্য ক্রোমাইট (FeO. Cr₂O₃) আকরিকককে যথাক্রমে ক্রোমেট, ডাইক্রোমেট ও ক্রোমিক অক্সাইডে রূপান্তর করা হয়। শেষে Cr₂O₃ অ্যালুমিনিয়াম ধাতু দ্বারা বিজারিত করে ক্রোমিয়াম ধাতু প্রস্তুত করা হয়।  ১. আকরিক গাঢ়ীকরণ ও তাপজারণঃ বিচূর্ণ ক্রোমাইট আকরিককে পানি প্রবাহিত করে গাঢ় করা হয়। গাঢ় আকরিককে সোডিয়াম কার্বনেট ও অল্প চুনসহ অতিরিক্ত বায়ু প্রবাহে পরাবর্তক চুল্লিতে উত্তপ্ত করা হয়। তখন আকরিকের ফেরাস অক্সাইড জারিত হয় এবং সোডিয়াম ক্রোমেট উৎপন্ন হয়।  উৎপন্ন সোডিয়াম ক্রোমেটকে পানিতে দ্রবীভূত করে পৃথক করার পর এরমধ্যে সালফিউরিক এসিড যোগ করলে সোডিয়াম ডাইক্রোমেট উৎপন্ন হয়। 4( FeO. Cr₂O₃)+8Na₂CO₃+7O₂  ----> 8Na₂CrO₄ +2Fe₂O₃ +8CO₂ 2Na₂CrO₄ +H₂SO₄ ----->    Na₂Cr₂O₇  +Na₂SO₄ + H₂O ২. ডাইক্রোমেটের বিজারণঃ দুইটি পদ্ধতি সোডিয়াম ডাইক্রোমেটকে বিজারিত করা যায়।  ক) কার্বন বিজারণ পদ্ধতিঃ সোডিয়াম ডাইক্রোমেটকে  ( NaCrO₂)  কার্বন গুড়াসহ উত্তপ্ত করা হয়। এরপর এর মধ্যে পানি দ্বারা আর্দ্র বিশ্লেষণ করলে ক্রোমিক অক্সাইড (Cr₂O₃) উৎপন্ন ও অধ

আকরিক হতে কোবাল্ট ধাতু নিষ্কাশন।

আকরিক হতে কোবাল্ট ধাতু নিষ্কাশন।  আকরিক থেকে কোবাল্ট নিষ্কাশন কয়েকটি ধাপে করা হয়।  গাঢ়ীকরণঃ  আকরিককে প্রথমে বিচূর্ণ করে তেলফেনা ভাসমান পদ্ধতিতে গাঢ়ীকরণ করা হয়।  তাপজারণঃ গাঢ়ীকৃত আকরিককে তাপজারিত করলে আকরিকের মধ্যস্থ সালফার জারিত হয়ে SO₂ এবং আর্সেনিক জারিত হয়ে As₂O₃ হিসেবে দ্রবীভূত হয়। আবার FeS জারিত হয়ে FeO উৎপন্ন হয়।  S + O₂ -----> SO₂ 4As + 3O₂ -----> 2As₂O₃ 2FeS + O₂ ------> 2FeO + 2S বিগলন পদ্ধতিঃ তাপজারিত আকরিকের সাথে সিলিকা ও চুনাপাথর মিশ্রিত করে বাত্যাচুল্লিতে বিগলিত করা হয়। গলিত স্তুপের উপরিভাগে CaSiO₃ ও FeSiO₃ উৎপন্ন হয়।  CaO + SiO₂ ----> CaSiO₃ FeO + SiO₂ -----> FeSiO₃ অন্যদিকে গলিত তরলের নিচে Co,  Ni, Cu এর সালফাইড সমূহ জমা হয়। এই সালফাইড মিশ্রণকে স্পাইস বলে। NaCl এর সাথে তাপজারণঃ এরপর স্পাইসকে বের করে এবং বিচূর্ণ করে একটি পরাবর্তক চুল্লিতে তাপ জারিত করলে As ও S যথাক্রমে As₂O₃ ও SO₂ রূপান্তরিত হয়। অবশিষ্ট অংশের অধিক NaCl সাথে মিশ্রিত করে পুনরায় তাপ জারিত করলে  Co, Ni, Fe, Ca প্রভৃতি ধাতুর যৌগ সমূহ ক্লোরাইডে পরিণত হয়। Fe ও Cu প

Popular posts from this blog

কপার(Cu) ও ক্রোমিয়ামের(Cr) ইলেকট্রন বিন্যাস ব্যতিক্রম কেন?

মুক্তজোড় ইলেকট্রন ও বন্ধন জোড় ইলেকট্রন কাকে বলে।

জারণ সংখ্যা নির্ণয়ের সহজ পদ্ধতি।

COD ও BOD কাকে বলে?

জারক ও বিজারক কাকে বলে? কিভাবে জারক ও বিজারক সহজেই চেনা যায়।

সালফার পরিবর্তনশীল যোজনী প্রদর্শন করে কেন?

প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড ও সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ কাকে বলে?

মোলার গ্যাস ধ্রুবক এবং এর মাত্রা, তাৎপর্য ও মান নির্ণয়।

প্রতীক ও সংকেতের মধ্যে পার্থক্য কি?

রাদারফোর্ড ও বোর পরমাণু মডেলের মধ্যে তুলনা।