Posts

Showing posts from December, 2021

NO₂ এর জারণ ধর্ম।

NO₂ এর জারণ ধর্ম।  নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (NO₂) একটি জারক পদার্থ। এটি অন্যকে জারিত করার সাথে নিজে বিজারিত হয়।  নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের জারণ ধর্ম নিম্নরূপঃ  ১. নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড, হাইড্রোজেন সালফাইডকে (H₂S) জারিত করে সালফারে (S) পরিণত করে এবং নিজে বিজারিত হয়ে নাইট্রিক অক্সাইড (NO) উৎপন্ন করে।  H₂S + NO₂ ----> S + NO + H₂O ২. নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড, লোহিত তপ্ত লৌহকে (Fe) জারিত করে ফেরাস অক্সাইড (FeO) এবং নিজে বিজারিত হয়ে নাইট্রোজেন (N₂) গ্যাস উৎপন্ন করে। 4Fe + 2NO₂ ----> 4FeO + N₂ ৩. নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড, উতপ্ত কপারকে (Cu) জারিত করে কপার অক্সাইড (CuO) এবং নিজে বিজারিত হয়ে নাইট্রোজেন (N₂) গ্যাস উৎপন্ন করে।  4Cu + 2NO₂ ----> 4CuO + N₂ কাজেই, উপরোক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় NO₂ একটি জারক পদার্থ।

NO₂ এর অম্ল ধর্ম।

NO₂ এর অম্ল ধর্ম।  নাইট্রোজেন অধাতু হওয়ায় এর অক্সাইড নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (NO₂) একটি অম্লধর্মী অক্সাইড।  NO₂ এর অম্লধর্মের প্রমাণ নিম্নরূপঃ  ★ নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড এর সাথে ক্ষার বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে।  যেমনঃ সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড (NaOH) এর সাথে NO₂ বিক্রিয়া করে সোডিয়াম নাইট্রেট (NaNO₃) লবণ,  সোডিয়াম নাইট্রাইট (NaNO₂) লবণ ও পানি (H₂O) উৎপন্ন করে।  2NO₂ + 2NaOH ----> NaNO₃ + NaNO₂ + H₂O ★ শীতল পানিতে NO₂ দ্রবীভূত হয়ে নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO₃) ও নাইট্রাস এসিড (HNO₂) উৎপন্ন করে। এই অ্যাসিডগুলি পানিতে দ্রবীভূত হয়ে প্রোটন আয়ন উৎপন্ন করে। এই প্রোটন আয়ন নীল লিটমাসকে লাল লিটমাসকে পরিণত করে।  H₂O(l) + 2NO₂(g) ----> HNO₃(aq) + HNO₂(aq). HNO₃(aq) + H₂O(l) ----> H+(aq) + NO₃-(aq). H+(aq) +  নীল লিটমাস ---> লাল লিটমাস।  কাজেই, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড একটি অম্লীয় অক্সাইড।

নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (NO₂) ডাইমার গঠন করে কেন?

Image
নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (NO₂) ডাইমার গঠন করে কেন?  নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (NO₂) অনুর ইলেকট্রনিক গাঠন থেকে দেখা যায়, NO₂ অনুর N-পরমাণুতে একটি অযুগ্ম ইলেকট্রন থাকে।  এই অযুগ্ম ইলেকট্রন যুক্ত N, অপর একটি NO₂ অণুর অযুগ্ম ইলেকট্রন যুক্ত N-এর সাথে ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে বন্ধন দ্বারা N₂O₄ গঠন করে সুস্থিত হয়।  এজন্য NO₂ ডাইমার গঠন করে N₂O₄ হিসেবে থাকে।

নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (NO₂) এর প্রস্তুতি ও গঠন।

Image
নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (NO₂) এর প্রস্তুতি ও গঠন।  প্রস্তুতিঃ লেড নাইট্রেটকে Pb(NO₃)₂ উত্তপ্ত করলে নাইট্রোজেন ডাই- অক্সাইড (NO₂) উৎপন্ন হয়।  2Pb(NO₃)₂ ----> 4NO₂ + 2PbO + O₂ নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড অণুতে নাইট্রোজেনের একটি বিজোড় ইলেকট্রন থাকে। নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড এর গঠন।

নাইট্রোজেন পেন্টা-অক্সাইডের (N₂O₅) প্রস্তুতি ও গঠন।

Image
নাইট্রোজেন পেন্টা-অক্সাইডের (N₂O₅) প্রস্তুতি ও গঠন।    প্রস্তুতিঃ নাইট্রিক এসিডকে (HNO₃) ফসফরাস পেন্টা-অক্সাইডসহ (P₂O₅) উত্তপ্ত করলে নাইট্রোজেন পেন্টা-অক্সাইড (N₂O₅) উৎপন্ন হয়। 2HNO₃ + P₂O₅ ----> N₂O₅ + 2HPO₃ নাইট্রোজেন অক্সাইড এর গঠন।

ডাই-নাইট্রোজেন টেট্রা-অক্সাইড (N₂O₄) এর প্রস্তুতি ও গঠন।

Image
ডাই-নাইট্রোজেন টেট্রা-অক্সাইড (N₂O₄) এর প্রস্তুতি ও গঠন।  প্রস্তুতিঃ লেড নাইট্রেটকে Pb(NO₃)₂ উত্তপ্ত করলে ডাই-নাইট্রোজেন টেট্রা- অক্সাইড (N₂O₄) উৎপন্ন হয়।  2Pb(NO₃)₂ ----> 2N₂O₄ + 2PbO + O₂ ডাই-নাইট্রোজেন টেট্রা-অক্সাইড এর গঠন। 

নাইট্রোজেন ট্রাই-অক্সাইড (N₂O₃) এর প্রস্তুতি ও গঠন।

Image
নাইট্রোজেন ট্রাই-অক্সাইড  (N₂O₃)   এর প্রস্তুতি ও গঠন।  প্রস্তুতিঃ  50% গাঢ় নাইট্রিক এসিডের (HNO₃) সঙ্গে আর্সেনাস অক্সাইডকে (As₂O₃) উত্তপ্ত করলে নাইট্রোজেন ট্রাই অক্সাইড (N₂O₃) উৎপন্ন হয়।  2HNO₃ + As₂O₃ + 2H₂O ----> N₂O₃ + 2H₃AsO₄ নাইট্রোজেন ট্রাই অক্সাইড এর গঠন নিম্নরূপঃ

নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O) প্রস্তুতি ও এর গঠন।

Image
নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O) প্রস্তুতি ও এর গঠন।   প্রস্তুতিঃ  সোডিয়াম নাইট্রেট (NaNO₃) ও অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড (NH₄Cl) এর মিশ্রণকে উত্তপ্ত করলে নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O) উৎপন্ন হয়। একে লাফিং গ্যাসও বলে।  NaNO₃ + NH₄Cl ----> N₂O + NaCl + 2H₂O নাইট্রাস অক্সাইড এর গঠন নিম্নরূপঃ

নাইট্রিক অক্সাইড (NO) প্রস্তুতি ও এর গঠন।

Image
নাইট্রিক অক্সাইড (NO) প্রস্তুতি ও এর গঠন।  প্রস্তুতিঃ  মধ্যম গাঢ় নাইট্রিক এসিডের (HNO₃) সাথে কপার গুড়া(Cu) কক্ষ তাপমাত্রায় বিক্রিয়া করে নাইট্রিক অক্সাইড(NO) উৎপন্ন করে।  3Cu + 8HNO₃ ----> 2NO + 3Cu(NO₃)₂ + 4H₂O নাইট্রিক অক্সাইড এর গঠন নিম্নরূপঃ

নাইট্রোজেনের অক্সাইড সমূহের নাম, সংকেত ও জারণ সংখ্যা।

নাইট্রোজেনের অক্সাইড সমূহের নাম, সংকেত ও জারণ সংখ্যা।  # নাইট্রাস অক্সাইড ; সংকেত(N₂O) ; নাইট্রোজেন এর জারণ সংখ্যা +1   # নাইট্রিক অক্সাইড ; সংকেত(NO) ; নাইট্রোজেন এর জারণ সংখ্যা +2 # ডাই-নাইট্রোজেন ট্রাই-অক্সাইড ; সংকেত(N₂O₃) ;  নাইট্রোজেন এর জারণ সংখ্যা +3 #  নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড বা ডাই- নাইট্রোজেন টেট্রা-অক্সাইড ; সংকেত(NO₂ / N₂O₄) ;  নাইট্রোজেন এর জারণ সংখ্যা+4 #   নাইট্রোজেন পেন্টা-অক্সাইড ; সংকেত(N₂O₅) ;  নাইট্রোজেন এর জারণ সংখ্যা+5. 

অ্যামোনিয়ার বিজারণ ধর্ম।

অ্যামোনিয়ার বিজারণ ধর্ম।  অ্যামোনিয়ার বিজারণ ধর্ম নিম্নরূপ-  # অ্যামোনিয়া ক্লোরিনকে বিজারিত করে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড উৎপন্ন করে। সেইসাথে অ্যামোনিয়া জারিত হয়ে নাইট্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন করে। 2NH₃(g) + 3Cl₂(g) ----> 6HCl(g) + N₂(g) # আবার অ্যামোনিয়া কিউপ্রিক অক্সাইডকে বিজারিত করে ধাতব কপার উৎপন্ন করে।  3CuO(s) + 2NH₃(g) -----> 3Cu(s) +N₂(g) +3H₂O(g)  কাজেই অ্যামোনিয়া একটি বিজারক।

নাইট্রোজেন ও হাইড্রোজেন গ্যাস প্রস্তুতি।

নাইট্রোজেন ও হাইড্রোজেন গ্যাস প্রস্তুতি।  নাইট্রোজেন গ্যাস প্রস্তুতিঃ - 196ºC বা 77K তাপমাত্রায় তরল বায়ুকে আংশিক পাতন করলে বিশুদ্ধ নাইট্রোজেন গ্যাস পাওয়া যায়।  হাইড্রোজেন গ্যাস প্রস্তুতিঃ প্রাকৃতিক গ্যাস মিথেন ও স্টিমকে 450ºC তাপমাত্রায় ও নিকেল(Ni) প্রভাবকের উপস্থিতিতে সংশ্লেষণ গ্যাস [CO(g)+3H₂(g)] উৎপন্ন হয়। উৎপন্ন সংশ্লেষণ গ্যাস ও স্টিম সহ 500ºC তাপমাত্রায় Fe₂O₃ ও Cr₂O₃ প্রভাবকের উপস্থিতিতে CO₂ ও H₂ গ্যাস উৎপন্ন হয়।  CH₄(g) + H₂O(g) ------>     { CO(g)+3H₂(g)} {CO(g)+3H₂(g)} + H₂O(g) ----> CO₂(g) + 4H₂(g) আবার, লোহিত তপ্ত লৌহের উপর স্টিম চালনা করলে হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন হয়। 3Fe + 4H₂O(vap) ----> 4H₂(g) + Fe₃O₄

নাইট্রোজেনের উৎস ও গুরুত্ব।

নাইট্রোজেনের উৎস ও গুরুত্ব।  নাইট্রোজেনের উৎসঃ  # বায়ুমণ্ডল  # খনিজ পদার্থ  # জীবের শরীর  গুরুত্বঃ বায়ুমন্ডলে নাইট্রোজেনের গুরুত্ব অপরিসীম। বায়ুতে নাইট্রোজেন না থাকলে শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে অতিরিক্ত অক্সিজেন গ্রহণের ফলে জীবদেহের অভ্যন্তরস্থ দহন ক্রিয়া অতি দ্রুত সম্পন্ন হতো। যার ফলে জীবন ধারণ সম্ভব হতো না। অক্সিজেনের সাথে নাইট্রোজেন মিশ্রিত থাকায় বায়ু লঘু থাকে এবং শ্বাসকার্য ও দহন ক্রিয়া সুষ্ঠু ও পরিমিতভাবে সম্পন্ন হয়।  এছাড়া নাইট্রোজেন হতে অ্যামোনিয়া, ইউরিয়া, নাইট্রিক অ্যাসিড, নাইট্রাইটসহ প্রভৃতি অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ যৌগ পাওয়া যায়।

অ্যামোনিয়া শিল্পোৎপাদনের শর্তগুলি।

অ্যামোনিয়া শিল্পোৎপাদনের শর্তগুলি।  শিল্পক্ষেত্রে অ্যামোনিয়া উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে প্রচলিত পদ্ধতি হল হেবার-বোস পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে প্রভাবকের উপস্থিতিতে নির্দিষ্ট তাপমাত্রা ও চাপ 1 আয়তন নাইট্রোজেন ও 3 আয়তন হাইড্রোজেন বিক্রিয়া করে দুই আয়তন অ্যামোনিয়া উৎপন্ন করে।     N₂ + 3H₂ -------> 2NH₃  ;   ΔH= - 92kj/mol বিক্রিয়াটি লক্ষ্য করলে দেখা যায়, ★বিক্রিয়াটি তাপউৎপাদী।  ★বিক্রিয়ার ফলে আয়তনের হ্রাস ঘটে  ★বিক্রিয়াটি উভমুখী।  শিল্প ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পরিমাণ অ্যামোনিয়া উৎপাদনের শর্তগুলি নিম্নরূপ-  ১. অত্যানুকুল তাপমাত্রাঃ অ্যামোনিয়া উৎপাদন একটি তাপ উৎপাদী বিক্রিয়া। তাই লা-শাতেলিয়ের নীতি অনুসারে তাপমাত্রা হ্রাস করলে অ্যামোনিয়ার উৎপাদন মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু নিম্ন  তাপমাত্রায় দেখা যায় বিক্রিয়ার গতিবেগ হ্রাস পায়। ফলে বিক্রিয়া সাম্যবস্থায় পৌঁছাতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হয়। যা শিল্প কারখানার জন্য অলাভজনক। তাই শিল্প-কলকারখানায় এমন একটি অত্যানুকুল তাপমাত্রা নির্ধারণ করা হয়, যে তাপমাত্রায় স্বল্পতম সময়ে সর্বাধিক উৎপাদন লাভ করা যায়। অ্যামোনিয়া উৎপাদনের জন্য অত্যানু

Popular posts from this blog

কপার(Cu) ও ক্রোমিয়ামের(Cr) ইলেকট্রন বিন্যাস ব্যতিক্রম কেন?

মুক্তজোড় ইলেকট্রন ও বন্ধন জোড় ইলেকট্রন কাকে বলে।

জারণ সংখ্যা নির্ণয়ের সহজ পদ্ধতি।

COD ও BOD কাকে বলে?

জারক ও বিজারক কাকে বলে? কিভাবে জারক ও বিজারক সহজেই চেনা যায়।

সালফার পরিবর্তনশীল যোজনী প্রদর্শন করে কেন?

প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড ও সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ কাকে বলে?

মোলার গ্যাস ধ্রুবক এবং এর মাত্রা, তাৎপর্য ও মান নির্ণয়।

প্রতীক ও সংকেতের মধ্যে পার্থক্য কি?

রাদারফোর্ড ও বোর পরমাণু মডেলের মধ্যে তুলনা।