Posts

Showing posts from December, 2020

ট্রান্সশ্লেষণ কি?

ট্রান্সশ্লেষণ কি?  রাইবো-নিউক্লিক অ্যাসিড(RNA) থেকে প্রোটিন তৈরির প্রক্রিয়াকে ট্রান্সশ্লেষণ বলে।  যেমনঃ RNA --------> প্রোটিন

ট্রান্সক্রিপশন কি?

ট্রান্সক্রিপশন কি?  ট্রান্সক্রিপশন হচ্ছে ডি-অক্সিরাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড(DNA) থেকে রাইবো-নিউক্লিক অ্যাসিড(RNA) তৈরির প্রক্রিয়া। যেমনঃ DNA -------> RNA

কনজুগেটেড প্রোটিন কি?

কনজুগেটেড প্রোটিন কি?  কনজুগেটেড প্রোটিনঃ নন-পেপটাইড ও পেপটাইড যুক্ত প্রোটিনকে কনজুগেটেড প্রোটিন বলে।  যেমনঃ কাইমোট্রিপসিন একটি কনজুগেটেড প্রোটিন। হজমকারী এনজাইম হিসেবে এর প্রধান কাজ হল প্রোটিনের পেপটাইড বন্ধনকে আর্দ্র বিশ্লেষণের মাধ্যমে ভেঙ্গে এমাইনো এসিডে পরিণত করা।

হেমোগ্লোবিন কি?

হেমোগ্লোবিন কি?  এটি একটা এনজাইম। এটি হেম নামক প্রস্থেটিক গ্রুপ যা প্রোটিনের পেপটাইড অংশের সাথে যুক্ত থাকে। এই গ্রুপটি ফুসফুস থেকে অক্সিজেন নিয়ে একটি অক্সিজেন-হেম জটিল যৌগ তৈরি করে।

ইস্পাতে পান দেওয়া।

ইস্পাতে পান দেওয়া।  বিভিন্ন তাপমাত্রায় সাধারণ ইস্পাতকে উত্তপ্ত ও শীতল করে প্রথমে কঠিন ও পরে নমনীয় করার প্রক্রিয়াকে পান দেওয়া বা টেম্পারিং বলে।  এতে ইস্পাতের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি পায় এবং ভঙ্গুরতা লোপ পায়। সাধারণ ইস্পাতকে লোহিত তপ্ত করে হঠাৎ ঠান্ডা পানির ভেতর ফেলে ঠান্ডা করলে ইহা অত্যন্ত শক্ত ও ভঙ্গুর হয়। এই কঠিন ও ভঙ্গুর ইস্পাতকে পুনরায় কোন নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করে ধীরে ধীরে ঠান্ডা করলে এর ভঙ্গুরতা লোপ পায় এবং স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি পায়।  এভাবে ইস্পাতকে প্রথমত কঠিন ইস্পাতে পরিণত করে কোমলায়িত করাকে পান দেওয়া বলে।

ইস্পাত কি এবং এর ব্যবহার।

ইস্পাত কি এবং এর ব্যবহার।  ইস্পাত হচ্ছে লোহার সঙ্গে ম্যাঙ্গানিজ(Mn), ক্রোমিয়াম(Cr) ও নিকেলের(Ni) তৈরি সংকর ধাতু। ব্যবহারঃ ১. রেললাইন ও রেল ইঞ্জিন তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। ২. সমরাস্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। ৩. অস্ত্রোপাচার যন্ত্রপাতি তৈরি করতে ইস্পাত ব্যবহার করা হয়।

ভ্যানাডিয়াম পেন্টা অক্সাইড উভধর্মী অক্সাইড কেন?

ভ্যানাডিয়াম পেন্টা অক্সাইড উভধর্মী অক্সাইড কেন?  ভ্যানাডিয়াম পেন্টা অক্সাইড একটি উভধর্মী অক্সাইড। কারণ এটি এসিডের(HCl) সাথে বিক্রিয়া করে ভেনাডিল ক্লোরাইড (VOCl₂) এবং ক্ষারের(NaOH) সাথে বিক্রিয়া করে ভানাডেট লবণ (Na₃VO₄) উৎপন্ন করে। V₂O₅ + 6HCl -----> 2VOCl₂ + Cl₂ + 3H₂O V₂O₅ + 6NaOH -----> 2Na₃VO₄ + 3H₂O যেহেতু  ভ্যানাডিয়াম পেন্টা অক্সাইড এসিড ও ক্ষার উভয়ের সাথে বিক্রিয়া, সেহেতু এটি  উভধর্মী অক্সাইড।

জিংক ডাস্ট এবং এর ব্যবহার।

জিংক ডাস্ট এবং এর ব্যবহার।  জিংকডাস্টঃ জিংকডাস্ট হচ্ছে জিংক চূর্ণ ও জিংক অক্সাইডের মিশ্রণ।  ব্যবহারঃ  ১. এটি একটি প্রয়োজনীয় বিকারক। ২. পরীক্ষাগারে বিজারক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

স্পাইজেলের ব্যবহার।

স্পাইজেলের ব্যবহার।  স্পাইজেলের ব্যবহার নিম্নরূপঃ   ১. ম্যাঙ্গানিজ ও কার্বন, আয়রনের মধ্যে উপস্থিত FeO কে বিজারিত করে মুক্ত আয়রন তৈরি করে। ২. ম্যাঙ্গানিজ ও কার্বন, ইস্পাতকে শক্ত ও মজবুত করে। ৩. ম্যাঙ্গানিজ ইস্পাতের ভারবহন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ৪. ম্যাঙ্গানিজ লৌহের মধ্যে উপস্থিত অপদ্রব্য S ও MnS ধাতুমলে পরিণত করে। ৫. ইস্পাত তৈরিতে স্পাইজেল ব্যবহৃত হয়।

স্পাইজেল কি?

স্পাইজেল কি?  আয়রন (Fe) 79-89% ;  ম্যাঙ্গানিজ (Mn) 5-15% ও কার্বনের(C) 6%  সংকরকে স্পাইজেল বলে। 

আয়োডাইড আয়ন(I-) সনাক্তকরণ।

আয়োডাইড আয়ন(I-) সনাক্তকরণ। আয়োডাইড লবণ (যেমন-সোডিয়াম আয়োডাইড  ) এর দ্রবণে কয়েক ফোঁটা সিলভার নাইট্রেটের দ্রবণ যোগ করলে গাঢ় হলুদ বর্ণের সিলভার আয়োডাইডের অধঃক্ষেপ পড়ে। এই অধঃক্ষেপের মধ্যে অ্যামোনিয়াম হাইড্রোক্সাইডের দ্রবণ যোগ করলে অধঃক্ষেপ দ্রবীভূত হয় না। এই পরীক্ষা দ্বারা আয়োডাইড আয়ন সনাক্ত করা যায়। NaI(aq) + AgNO₃(aq) ------> AgI(s) + NaNO₃ (aq) AgI(s) + NH₄OH(aq) -----> কোন বিক্রিয়া করে না।

ব্রোমাইড আয়ন(Br-) সনাক্তকরণ।

ব্রোমাইড আয়ন(Br-) সনাক্তকরণ। ব্রোমাইড লবণ (যেমন-সোডিয়াম ব্রোমাইড  ) এর দ্রবণে কয়েক ফোঁটা সিলভার নাইট্রেটের দ্রবণ যোগ করলে হালকা হলুদ বর্ণের সিলভার ব্রোমাইডের অধঃক্ষেপ পড়ে। এই অধঃক্ষেপের মধ্যে অ্যামোনিয়াম হাইড্রোক্সাইডের দ্রবণ যোগ করলে অধঃক্ষেপ দ্রবীভূত হয়ে ডাই অ্যামিন সিলভার ব্রোমাইডের দ্রবণ উৎপন্ন করে।  এই পরীক্ষা দ্বারা ব্রোমাইড আয়ন সনাক্ত করা যায়। NaBr(aq) + AgNO₃(aq) ------> AgBr(s) + NaNO₃ (aq) AgBr(s) + 2NH₄OH(aq) -----> [Ag(NH₃)₂]Br(aq) + H₂O

ক্লোরাইড আয়ন(Cl-) সনাক্তকরণ।

ক্লোরাইড আয়ন(Cl-) সনাক্তকরণ। ক্লোরাইড লবণ (যেমন- সোডিয়াম ক্লোরাইড) এর দ্রবণে কয়েক ফোঁটা সিলভার নাইট্রেটের দ্রবণ যোগ করলে সাদা বর্ণের সিলভার ক্লোরাইড এর অধঃক্ষেপ পড়ে। এই অধঃক্ষেপের মধ্যে অ্যামোনিয়াম হাইড্রোক্সাইডের দ্রবণ যোগ করলে অধঃক্ষেপ দ্রবীভূত হয়ে ডাই অ্যামিন সিলভার ক্লোরাইডের দ্রবণ উৎপন্ন করে।  এই পরীক্ষা দ্বারা ক্লোরাইড আয়ন সনাক্ত করা যায়। NaCl(aq) + AgNO₃(aq) ------> AgCl(s) + NaNO₃ (aq) AgCl(s) + 2NH₄OH(aq) -----> [Ag(NH₃)₂]Cl(aq) + H₂O

NaIO₃ এর সাথে NaHSO₃ এর বিক্রিয়া।

NaIO₃ এর সাথে NaHSO₃ এর বিক্রিয়া।  সোডিয়াম আয়োডেট (NaIO₃) এর দ্রবণে সোডিয়াম বাই সালফাইট দ্রবণ যোগ করলে সোডিয়াম  আয়োডেট   বিজারিত হয় কঠিন আয়োডিন, সোডিয়াম বাই সালফেট, সোডিয়াম সালফেট ও পানি উৎপন্ন হয়। 2NaIO₃ + 5NaHSO₃ ------> I₂ + 3NaHSO₄ + Na₂SO₄ + H₂O

ফেরিক ক্লোরাইডের জলীয় দ্রবণের সাথে HI বিক্রিয়া।

ফেরিক ক্লোরাইডের জলীয় দ্রবণের সাথে HI বিক্রিয়া।  ফেরিক ক্লোরাইডের(FeCl₃) জলীয় দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়োডাইড(HI) যোগ করলে, HI ফেরিক ক্লোরাইড কে বিজারিত করে ফেরাস ক্লোরাইড (FeCl₂) এবং নিজে জারিত হয়ে আয়োডিনে (I₂) পরিণত হয়। সেই সথে হাইড্রোক্লোরিক এসিড উৎপন্ন করে। 2FeCl₃ + 2HI -----> 2FeCl₂ + I₂ + 2HCl

কলিচুনের সাথে ক্লোরিন গ্যাসের বিক্রিয়া।

কলিচুনের সাথে ক্লোরিন গ্যাসের বিক্রিয়া। শুষ্ক কলিচুন[Ca(OH)₂] এর মধ্যে দিয়ে 40 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ক্লোরিন গ্যাস চালনা করলে ব্লিচিং পাউডার ও পানি উৎপন্ন হয়। Ca(OH)₂ + Cl₂ -----> Ca(OCl)Cl + H₂O

কাঠ কয়লার গর্তে কপার লবণ ও সোডিয়াম কার্বনেট এর বিক্রিয়া।

কাঠ কয়লার গর্তে কপার লবণ ও সোডিয়াম কার্বনেট এর বিক্রিয়া।   কাঠ কয়লার গর্তে কপার লবণ (যেমন- কপার সালফেট) এর দ্বিগুণ পরিমাণ সোডিয়াম কার্বনেট নিয়ে বুনসেন দীপের শিখায় উত্তপ্ত করলে ধাতব কপার উৎপন্ন হয়। CuSO₄ + Na₂CO₃ -----> CuCO₃ + Na₂SO₄  CuCO₃ ------> CuO + CO₂ CuO + C -----> Cu + CO

কপার সালফেট দ্রবণের সাথে NH₄OH বিক্রিয়া।

কপার সালফেট দ্রবণের সাথে NH₄OH বিক্রিয়া।  কপার সালফেট দ্রবণে ধীরে ধীরে অ্যামোনিয়াম হাইড্রোক্সাইডের দ্রবণ যোগ করলে প্রথমে ক্ষারীয় কপার সালফেটের  CuSO₄Cu(OH)₂   হালকা নীল অধঃক্ষেপ উৎপন্ন হয়। এই বিক্রিয়ায় আরও অতিরিক্ত অ্যামোনিয়াম হাইড্রোক্সাইড এর দ্রবণ যোগ করলে অধঃক্ষেপ দ্রবীভূত হয়ে গাঢ় নীল বর্ণের টেট্রা অ্যামিন কপার সালফেটের  [Cu(NH₃)₄]SO₄  দ্রবণ তৈরি করে।  এই বিক্রিয়ার মাধ্যমে কপার শনাক্তকরণ করা যায়। 2CuSO₄ + 2NH₄OH -------> CuSO₄Cu(OH)₂ (s) + (NH₄)₂SO₄ CuSO₄Cu(OH)₂ (s) +  (NH₄)₂SO₄ + 6NH₄OH --------> 2[Cu(NH₃)₄]SO₄(aq) + 8H₂O

কপার সালফেট দ্রবণের সাথে KI বিক্রিয়া।

কপার সালফেট দ্রবণের সাথে KI  বিক্রিয়া। কপার সালফেট দ্রবণে পটাশিয়াম আয়োডাইডের দ্রবণ যোগ করলে পটাশিয়াম সালফেট, কিউপ্রাস আয়োডাইড ও আয়োডিন উৎপন্ন হয়। 2CuSO₄ + 4KI ----> 2K₂SO₄ + Cu₂I₂ + I₂

কপার সালফেট দ্রবণের সাথে আয়রনের বিক্রিয়া।

কপার সালফেট দ্রবণের সাথে আয়রনের বিক্রিয়া।  কপার সালফেট দ্রবণের সাথে আয়রন বিক্রিয়া করে ফেরাস সালফেট ও ধাতব কপার উৎপন্ন হয়। Fe + CuSO₄ -----> FeSO₄ + Cu

কিউপ্রাস অক্সাইডের সাথে উত্তপ্ত গাঢ় H₂SO₄ বিক্রিয়া।

কিউপ্রাস অক্সাইডের সাথে উত্তপ্ত গাঢ় H₂SO₄ বিক্রিয়া।  কিউপ্রাস অক্সাইডের সাথে উত্তপ্ত ও গাঢ় সালফিউরিক এসিড বিক্রিয়া করে কপার সালফেট, সালফার ডাই অক্সাইড ও পানি উৎপন্ন করে। Cu₂O + 3H₂SO₄ ----> 2CuSO₄ + SO₂ + 3H₂O

কপারের সাথে উত্তপ্ত গাঢ় H₂SO₄ বিক্রিয়া।

কপারের সাথে উত্তপ্ত গাঢ় H₂SO₄ বিক্রিয়া। উত্তপ্ত ও গাঢ় সালফিউরিক এসিডের সাথে কপার বিক্রিয়া করে কপার সালফেট, সালফার ডাই অক্সাইড ও পানি উৎপন্ন হয়। Cu + 2H₂SO₄ ----> CuSO₄ + SO₂ + 2H₂O

ফেরিক অক্সাইডের সাথে Al বিক্রিয়া।

ফেরিক অক্সাইডের সাথে Al বিক্রিয়া। ফেরিক অক্সাইডের সাথে অ্যালুমিনিয়াম চূর্ণসহ উত্তপ্ত করলে লৌহ ও অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড উৎপন্ন হয়। Fe₂O₃ + 2Al ------> 2Fe + Al₂O₃

ফেরিক ক্লোরাইডের দ্রবণের সাথে NH₄OH বিক্রিয়া।

ফেরিক ক্লোরাইডের দ্রবণের সাথে NH₄OH বিক্রিয়া।  ফেরিক ক্লোরাইডের জলীয় দ্রবণে অ্যামোনিয়াম হাইড্রোক্সাইডের দ্রবনকে যোগ করলে ফেরিক হাইড্রোক্সাইড ও অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড উৎপন্ন হয়। 2FeCl₃ +3NH₄OH ---->2Fe(OH)₃ + 3NH₄Cl

ফেরিক ক্লোরাইডের জলীয় দ্রবণের সাথে H₂S বিক্রিয়া।

ফেরিক ক্লোরাইডের জলীয় দ্রবণের সাথে H₂S বিক্রিয়া। ফেরিক ক্লোরাইডের জলীয় দ্রবণে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস চালনা করলে ফেরাস ক্লোরাইড, সালফার ও হাইড্রোক্লোরিক এসিড উৎপন্ন হয়। 2FeCl₃ + H₂S ----> 2FeCl₂ + S + 2HCl

অ্যামোনিয়াম থায়োসায়ানেটের সাথে FeCl₃ বিক্রিয়া।

অ্যামোনিয়াম থায়োসায়ানেটের সাথে FeCl₃ বিক্রিয়া।  অ্যামোনিয়াম থায়োসায়ানেট দ্রবণের সাথে ফেরিক ক্লোরাইডের দ্রবণ যোগ করলে ফেরিক থায়োসায়ানেট ও অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড উৎপন্ন হয়। FeCl₃ +3NH₄CNS ----> Fe(CNS)₃ + 3NH₄Cl

লৌহ গুড়ার সাথে উত্তপ্ত ও গাঢ় HNO₃ বিক্রিয়া।

লৌহ গুড়ার সাথে উত্তপ্ত ও গাঢ় HNO₃ বিক্রিয়া।  লৌহ গুড়ার সাথে উত্তপ্ত ও গাঢ় নাইট্রিক এসিড যোগ করলে ফেরিক নাইট্রেট, নাইট্রিক অক্সাইড ও পানি উৎপন্ন হয়।  Fe + 4HNO₃ -----> Fe(NO₃)₃ + NO + 2H₂O

লৌহ গুড়ার সাথে শীতল ও গাঢ় HNO₃ বিক্রিয়া।

লৌহ গুড়ার সাথে শীতল ও গাঢ় HNO₃ বিক্রিয়া।  লৌহ গুড়ার সাথে শীতল ও গাঢ় নাইট্রিক এসিড যোগ করলে ফেরিক নাইট্রেট, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড ও পানি উৎপন্ন হয়। Fe + 6HNO₃ -----> Fe(NO₃)₃ + 3NO₂ + 3H₂O

লৌহগুড়ার সাথে লঘু নাইট্রিক এসিডের বিক্রিয়া।

লৌহগুড়ার সাথে লঘু নাইট্রিক এসিডের বিক্রিয়া।  লৌহগুড়ার মধ্যে লঘু নাইট্রিক এসিড যোগ করলে ফেরাস নাইট্রেট, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও পানি উৎপন্ন হয়। 4Fe + 10HNO₃ -----> 4Fe(NO₃)₂ + NH₄NO₃ + 3H₂O

উত্তপ্ত NaOH সাথে ফসফরাস পেন্টা অক্সাইডের বিক্রিয়া।

উত্তপ্ত NaOH সাথে ফসফরাস পেন্টা অক্সাইডের বিক্রিয়া।  ফসফরাস পেন্টা অক্সাইডের সাথে উত্তপ্ত ক্ষার(NaOH) বিক্রিয়া করে সোডিয়াম ফসফেট ও পানি উৎপন্ন করে। উত্তপ্ত অবস্হায়ঃ P₂O₅ + 6NaOH -----> 2Na₃PO₄ + 3H₂O 

উত্তপ্ত লোহার সাথে CO এর বিক্রিয়া।

উত্তপ্ত লোহার সাথে CO এর বিক্রিয়া।  উত্তপ্ত লোহার উপর দিয়ে কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস চালনা করলে আয়রন পেন্টা কার্বনিল উৎপন্ন হয়। Fe + 5CO -----> Fe(CO)₅

পটাশিয়াম ডাইক্রোমেটের সাথে কার্বন গুড়ার বিক্রিয়া।

পটাশিয়াম ডাইক্রোমেটের সাথে কার্বন গুড়ার বিক্রিয়া।  পটাশিয়াম ডাইক্রোমেটকে কার্বন গুড়াসহ উত্তপ্ত করলে ক্রমিক অক্সাইড, পটাশিয়াম অক্সাইড ও কার্বন মনোক্সাইড উৎপন্ন হয়। K₂Cr₂O₇ + 3C -----> Cr₂O₃ + K₂O + 3CO

অ্যামোনিয়াম ডাইক্রোমেটকে উত্তপ্ত করলে কি ঘটে।

অ্যামোনিয়াম ডাইক্রোমেটকে উত্তপ্ত করলে কি ঘটে।  অ্যামোনিয়াম ডাইক্রোমেটকে উত্তপ্ত করলে ক্রমিক অক্সাইড, নাইট্রোজেন গ্যাস ও পানি উৎপন্ন হয়। (NH₄)₂Cr₂O₇ -----> Cr₂O₃ + N₂ + 4H₂O

ভ্যানাডিয়াম পেন্টাক্সাইডের সাথে Na₃CO₃ বিক্রিয়া।

ভ্যানাডিয়াম পেন্টাক্সাইডের সাথে Na₃CO₃ বিক্রিয়া।  ভ্যানাডিয়াম পেন্টাক্সাইডের সাথে সোডিয়াম কার্বনেটকে উত্তপ্ত করলে সোডিয়াম ভেনাডেট লবণ ও কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন হয়। V₂O₅ + 3Na₂CO₃ ----> 2Na₃VO₄ + 3CO₂

শীতল NaOH সাথে ফসফরাস পেন্টা অক্সাইডের বিক্রিয়া।

শীতল NaOH সাথে ফসফরাস পেন্টা অক্সাইডের বিক্রিয়া।  ফসফরাস পেন্টা অক্সাইডের সাথে শীতল ক্ষারের(NaOH) বিক্রিয়ায় সোডিয়াম ফসফাইট ও পানি উৎপন্ন করে।  শীতল অবস্হায়ঃ P₂O₅ + 2NaOH -----> 2NaPO₃ + H₂O 

পানি ও লোহিত ফসফরাস মিশ্রণের সাথে ব্রোমিনের বিক্রিয়া।

পানি ও লোহিত ফসফরাস মিশ্রণের সাথে ব্রোমিনের বিক্রিয়া।  উত্তপ্ত অবস্থায় লোহিত ফসফরাস ও পানির মিশ্রণে ফোঁটায় ফোঁটায় ব্রোমিন যোগ করলে ফসফরাস ট্রাই ব্রোমাইড(PBr₃) ও ফসফরাস পেন্টা ব্রোমাইড (PBr₅) উৎপন্ন হয়। 2P + 3Br₂ -----> 2PBr₃ 2P + 5Br₂ -----> 2PBr₅

লোহিত ফসফরাসের সাথে গাঢ় HNO₃ বিক্রিয়া।

লোহিত ফসফরাসের সাথে গাঢ় HNO₃ বিক্রিয়া।  লোহিত ফসফরাসকে গাঢ় নাইট্রিক এসিড দ্বারা জারিত করলে নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড, ফসফরিক এসিড ও পানি উৎপন্ন হয়। P + 5HNO₃ -----> 5NO₂ + H₃PO₄ + H₂O

শ্বেত ফসফরাসের সাথে NaOH এর বিক্রিয়া।

শ্বেত ফসফরাসের সাথে NaOH এর বিক্রিয়া।  শ্বেত ফসফরাসকে গাঢ় কস্টিক সোডা দ্রবণের সাথে উত্তপ্ত করলে সোডিয়াম হাইপোফসফাইট ও ফসফিন উৎপন্ন হয়। 4P + 3NaOH + 3H₂O -----> 3NaH₂PO₂ + PH₃

HI এর জলীয় দ্রবণের সাথে SO₂ এর বিক্রিয়া।

HI এর জলীয় দ্রবণের সাথে SO₂ এর বিক্রিয়া।  হাইড্রোজেন আয়োডাইড এর জলীয় দ্রবণে সালফার ডাই অক্সাইড গ্যাস চালনা করলে সালফার, আয়োডিন ও পানি উৎপন্ন হয়। 4HI + SO₂ -----> S + 2I₂ + 2H₂O

H₂S এর জলীয় দ্রবণের সাথে SO₂ এর বিক্রিয়া।

H₂S এর জলীয় দ্রবণের সাথে SO₂ এর বিক্রিয়া।  হাইড্রোজেন সালফাইডের জলীয় দ্রবণে সালফার ডাই অক্সাইড গ্যাস চালনা করলে পানি ও সালফার উৎপন্ন হয়। 2H₂S + SO₂ -----> 2H₂O + 3S

ফেরিক ক্লোরাইড দ্রবণের সাথে SO₂ এর বিক্রিয়া।

ফেরিক ক্লোরাইড দ্রবণের সাথে SO₂ এর বিক্রিয়া।  ফেরিক ক্লোরাইডের জলীয় দ্রবণের মধ্যে সালফার ডাই অক্সাইড গ্যাস চালনা করলে ফেরাস ক্লোরাইড, সালফিউরিক এসিড ও হাইড্রোক্লোরিক এসিড উৎপন্ন করে। 2FeCl₃ + SO₂ + 2H₂O ------> 2FeCl₂ + 2HCl + H₂SO₄

KMnO₄ দ্রবণের সাথে SO₂ গ্যাসের বিক্রিয়া।

KMnO₄ দ্রবণের সাথে SO₂ গ্যাসের বিক্রিয়া।  পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেটের লঘু দ্রবণে সালফার ডাই অক্সাইড গ্যাস চালনা করলে পটাশিয়াম সালফেট, ম্যাঙ্গানিজ সালফেট ও সালফিউরিক এসিড উৎপন্ন হয়। 2KMnO₄ + 2H₂O + 5SO₂ -----> K₂SO₄ + 2MnSO₄ + 2H₂SO₄

অম্লীয় দ্রবণে K₂Cr₂O₇ সাথে SO₂ গ্যাসের বিক্রিয়া।

অম্লীয় দ্রবণে K₂Cr₂O₇ সাথে SO₂ গ্যাসের বিক্রিয়া।   লঘু সালফিউরিক এসিড মিশ্রিত পটাশিয়াম ডাইক্রোমেট দ্রবণে সালফার ডাই অক্সাইড গ্যাস চালনা করলে পটাশিয়াম সালফেট, ক্রোমিয়াম সালফেট ও পানি উৎপন্ন হয়। K₂Cr₂O₇ + 3SO₂ + H₂SO₄ -----> K₂SO₄ + Cr₂(SO₄)₃  + H₂O

ক্লোরিন পানির সাথে H₂S এর বিক্রিয়া।

ক্লোরিন পানির সাথে H₂S এর বিক্রিয়া। ক্লোরিন পানিতে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস চালনা করলে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড ও সালফার উৎপন্ন হয়। Cl₂ + H₂S -----> 2HCl + S

অম্লীয় কপার সালফেট দ্রবণের সাথে H₂S এর বিক্রিয়া।

অম্লীয় কপার সালফেট দ্রবণের সাথে H₂S এর বিক্রিয়া।  কপার সালফেটের জলীয় দ্রবণে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস চালনা করলে কপার সালফাইড ও সালফিউরিক এসিড উৎপন্ন হয়। CuSO₄ + H₂S ----->CuS + H₂SO₄

ফেরিক ক্লোরাইড দ্রবণের সাথে H₂S এর বিক্রিয়া।

ফেরিক ক্লোরাইড দ্রবণের সাথে H₂S এর বিক্রিয়া।  ফেরিক ক্লোরাইড(FeCl₃) দ্রবণের মধ্যে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস চালনা করলে ফেরাস ক্লোরাইড (FeCl₂), হাইড্রোক্লোরিক এসিড ও সালফার উৎপন্ন হয়। 2FeCl₃ + H₂S -----> 2FeCl₂ + S + 2HCl

গাঢ় নাইট্রিক এসিডের সাথে H₂S এর বিক্রিয়া।

গাঢ় নাইট্রিক এসিডের সাথে H₂S এর বিক্রিয়া।  গাঢ় নাইট্রিক এসিডের সাথে হাইড্রোজেন সালফাইড বিক্রিয়া করে সালফিউরিক এসিড, নাইট্রিক অক্সাইড(NO), নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড(NO₂) ও পানি উৎপন্ন হয়। 20HNO₃ + 3H₂S ----> 3H₂SO₄ + 2NO + 18NO₂ + 10H₂O

লঘু নাইট্রিক এসিডের সাথে H₂S এর বিক্রিয়া।

লঘু নাইট্রিক এসিডের সাথে H₂S এর বিক্রিয়া।  লঘু নাইট্রিক অ্যাসিডের দ্রবণে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস চালনা করলে নাইট্রিক অক্সাইড, সালফার ও পানি উৎপন্ন হয়। 2HNO₃ + 3H₂S -----> 2NO + 3S + 4H₂O

এসিড মিশ্রিত KMnO₄ দ্রবণের সাথে H₂S এর বিক্রিয়া।

এসিড মিশ্রিত KMnO₄ দ্রবণের সাথে H₂S এর বিক্রিয়া।   লঘু সালফিউরিক এসিড মিশ্রিত পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট দ্রবণে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস চালনা করলে পটাশিয়াম সালফেট, ম্যাঙ্গানিজ সালফেট, সালফার ও পানি উৎপন্ন হয়। 2KMnO₄ +5H₂S +3H₂SO₄ -----> K₂SO₄ + 2MnSO₄ + 5S + 8H₂O

এসিড মিশ্রিত K₂Cr₂O₇ দ্রবণে H₂S গ্যাস মিশ্রিত করলে কি ঘটে।

এসিড মিশ্রিত K₂Cr₂O₇ দ্রবণে H₂S গ্যাস মিশ্রিত করলে কি ঘটে।  লঘু সালফিউরিক এসিড মিশ্রিত পটাশিয়াম ডাইক্রোমেট দ্রবণে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস চালনা করলে পটাশিয়াম সালফেট, ক্রোমিয়াম সালফেট, সালফার ও পানি উৎপন্ন করে। K₂Cr₂O₇ + 3H₂S + 4H₂SO₄ -----> K₂SO₄ + Cr₂(SO₄)₃ + 3S + 7H₂O

উত্তপ্ত সালফারের সাথে গাঢ় NaOH এর বিক্রিয়া।

উত্তপ্ত সালফারের সাথে গাঢ় NaOH এর বিক্রিয়া।  গাঢ় সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড দ্রবণের সাথে সালফার চূর্ণ উত্তপ্ত করলে সোডিয়াম সালফাইড, সোডিয়াম থায়োসালফেট ও পানি উৎপন্ন হয়। 6NaOH + 4S -----> 2Na₂S + Na₂S₂O₃ + 3H₂O

সালফারকে গাঢ় HNO₃ দ্বারা জারিত করলে কি ঘটে?

সালফারকে গাঢ় HNO₃ দ্বারা জারিত করলে কি ঘটে?  সালফারকে গাঢ় নাইট্রিক এসিড দ্বারা জারিত করলে সালফিউরিক অ্যাসিড, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড ও পানি উৎপন্ন হয়। S + 6HNO₃ -----> H₂SO₄ + 6NO₂ + 2H₂O

হাইড্রোজেন সালফাইডের সাথে লঘু HNO₃ বিক্রিয়া।

হাইড্রোজেন সালফাইডের সাথে লঘু HNO₃ বিক্রিয়া।  লঘু নাইট্রিক এসিডের মধ্যে হাইড্রোজেন সালফাইড(H₂S) গ্যাস চালনা করলে হাইড্রোজেন সালফাইড জারিত হয়ে সালফার, নাইট্রিক অক্সাইড ও পানি উৎপন্ন করে। 2HNO₃ + 3H₂S -----> 3S + 2NO + 4H₂O

লোহিত ফসফরাসের সাথে গাঢ় HNO₃ বিক্রিয়া।

লোহিত ফসফরাসের সাথে গাঢ় HNO₃ বিক্রিয়া।  লোহিত ফসফরাসের সাথে গাঢ় নাইট্রিক অ্যাসিডকে উত্তপ্ত করলে ফসফরিক অ্যাসিড, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড ও পানি উৎপন্ন হয়। 2P + 10HNO₃ -----> 2H₃PO₄ + 10NO₂ + 2H₂O

আয়রনের সাথে গাঢ় নাইট্রিক এসিডের বিক্রিয়া।

আয়রনের সাথে গাঢ় নাইট্রিক এসিডের বিক্রিয়া।  আয়রন অর্থাৎ লোহা চূর্ণকে গাঢ় নাইট্রিক এসিডের সাথে উত্তপ্ত করলে ফেরিক নাইট্রেট, নাইট্রিক অক্সাইড ও পানি উৎপন্ন হয়। Fe + 4HNO₃ -----> Fe(NO₃)₃ + NO + 2H₂O

জিংকের সাথে শীতল ও মধ্যম গাঢ় HNO₃ বিক্রিয়া।

জিংকের সাথে শীতল ও মধ্যম গাঢ় HNO₃  বিক্রিয়া।  জিংকের সাথে শীতল ও মধ্যম গাঢ় নাইট্রিক এসিডের বিক্রিয়ায় জিংক নাইট্রেট, নাইট্রিক অক্সাইড ও পানি উৎপন্ন হয়। 3Zn + 8HNO₃ -----> 3Zn(NO₃)₂ + 2NO + 4H₂O

জিংকের সাথে লঘু নাইট্রিক এসিডের বিক্রিয়া।

জিংকের সাথে লঘু নাইট্রিক এসিডের বিক্রিয়া।  জিংকের সাথে শীতল ও লঘু নাইট্রিক এসিড বিক্রিয়া করে জিংক নাইট্রেট নাইট্রাস অক্সাইড(N₂O) ও পানি উৎপন্ন করে। 4Zn +10HNO₃ ----->4Zn(NO₃)₂ + N₂O + 5H₂O

কপারের সাথে শীতল গাঢ় নাইট্রিক এসিডের বিক্রিয়া।

কপারের সাথে শীতল গাঢ় নাইট্রিক এসিডের বিক্রিয়া। কপার ধাতুর সাথে শীতল ও গাঢ় নাইট্রিক এসিড বিক্রিয়া করে কপার নাইট্রেট, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড গ্যাস ও পানি উৎপন্ন করে। Cu + 4HNO₃ -----> Cu(NO₃)₂ + 2NO₂ + 2H₂O 

কপার কুচির সাথে মধ্যম গাঢ় HNO₃ বিক্রিয়া।

কপার কুচির সাথে মধ্যম গাঢ় HNO₃ বিক্রিয়া।  মধ্যম গাঢ় নাইট্রিক এসিডের সাথে কপার কুচি বিক্রিয়া করে কিউপ্রিক নাইট্রেট, নাইট্রিক অক্সাইড(NO) ও পানি উৎপন্ন করে। 3Cu + 8HNO₃ ----> 3Cu(NO₃)₂ + 2NO + 4H₂O

উত্তপ্ত কপারের সাথে নাইট্রিক অ্যাসিড বাষ্পের বিক্রিয়া।

উত্তপ্ত কপারের সাথে নাইট্রিক অ্যাসিড বাষ্পের বিক্রিয়া।  উত্তপ্ত কপারের উপর দিয়ে গাঢ় নাইট্রিক অ্যাসিড বাষ্প চালনা করলে কিউপ্রিক অক্সাইড(CuO) , নাইট্রোজেন গ্যাস ও পানি উৎপন্ন হয়। 5Cu + 2HNO₃ ------> 5CuO + N₂ +H₂O

গাঢ় NaOH সাথে NO বিক্রিয়া করলে কি ঘটে।

গাঢ়  NaOH সাথে NO বিক্রিয়া করলে কি ঘটে।  গাঢ় কস্টিক সোডা দ্রবণে নাইট্রিক অক্সাইড(NO) গ্যাস চালনা করলে সোডিয়াম নাইট্রাইট, নাইট্রাস অক্সাইড(N₂O) ও পানি উৎপন্ন হয়। 2NaOH + 4NO ------> 2NaNO₂ + N₂O + H₂O

অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটকে উত্তপ্ত করলে কি ঘটে।

অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটকে উত্তপ্ত করলে কি ঘটে।  শুষ্ক অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটকে 250 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করলে নাইট্রাস অক্সাইড(N₂O) ও জলীয় বাষ্প উৎপন্ন হয়। NH₄NO₃ -------> N₂O + 2H₂O

ক্লোরিনের সাথে নাইট্রিক অক্সাইডের বিক্রিয়া।

ক্লোরিনের সাথে নাইট্রিক অক্সাইডের বিক্রিয়া।  ক্লোরিনের সাথে নাইট্রিক অক্সাইড (NO) বিক্রিয়া করে নাইট্রোসিল ক্লোরাইড উৎপন্ন করে। Cl₂ + 2NO -----> 2NOCl

AlN সাথে লঘু NaOH এর বিক্রিয়ায় কি ঘটে।

AlN সাথে লঘু NaOH এর বিক্রিয়ায় কি ঘটে।  লঘু সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইডের সাথে অ্যালুমিনিয়াম নাইট্রাইডকে(AlN) উত্তপ্ত করলে সোডিয়াম অ্যালুমিনেট ও অ্যামোনিয়া উৎপন্ন হয়। NaOH(aq) + AlN ------> NaAlO₂ + NH₃

NaNO₂ ও NH₄Cl এর মিশ্রণকে উত্তপ্ত করলে কি ঘটে।

NaNO₂ ও NH₄Cl এর মিশ্রণকে উত্তপ্ত করলে কি ঘটে।   সোডিয়াম নাইট্রাইট(NaNO₂) ও অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইডের(NH₄Cl) মিশ্রণকে উত্তপ্ত করলে প্রথমে অ্যামোনিয়াম নাইট্রাইট ও সোডিয়াম ক্লোরাইড উৎপন্ন হয়। পরবর্তীতে অ্যামোনিয়াম নাইট্রাইট বিয়োজিত হয়ে নাইট্রোজেন ও পানি উৎপন্ন করে। NH₄Cl +NaNO₂ ----->NH₄NO₂ + NaCl NH₄NO₂ ------> N₂ + 2H₂O

ধাতব নাইট্রাইডের সাথে পানির বিক্রিয়া।

ধাতব নাইট্রাইডের সাথে পানির বিক্রিয়া।   উত্তপ্ত ধাতব নাইট্রাইডের সাথে পানি বিক্রিয়া করলে ধাতব হাইড্রোক্সাইড ও অ্যামোনিয়া উৎপন্ন হয়।  যেমনঃ উত্তপ্ত ম্যাগনেসিয়াম নাইট্রাইড পানির সাথে বিক্রিয়া করে ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড ও অ্যামোনিয়া উৎপন্ন করে। অনুরূপভাবে, ক্যালসিয়াম নাইট্রাইড সোডিয়াম নাইট্রাইড পানির সাথে বিক্রিয়া করে ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড, সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড ও অ্যামোনিয়া উৎপন্ন করে। Mg₃N₂ + 6H₂O ---->3Mg(OH)₂ + 2NH₃ Ca₃N₂ + 6H₂O -----> 3Ca(OH)₂ + 2NH₃ Na₃N +3H₂O ----->3NaOH+NH₃

ধাতুর সাথে নাইট্রোজেনের বিক্রিয়ায় কি ঘটে।

ধাতুর সাথে নাইট্রোজেনের বিক্রিয়ায় কি ঘটে।  উত্তপ্ত ধাতুর সাথে উপর দিয়ে নাইট্রোজেন গ্যাস চালনা করলে ধাতব নাইট্রাইড উৎপন্ন হয়।  যেমনঃ ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি ধাতুর সাথে নাইট্রোজেন বিক্রিয়া করে ক্যালসিয়াম  নাইট্রাইড,  ম্যাগনেসিয়াম নাইট্রাইড,  সোডিয়াম  নাইট্রাইড উৎপন্ন  করে। 3Ca + N₂ -----> Ca₃N₂ 6Na + N₂ -----> 2Na₃N 6K + N₂ ------> 2K₃N 3Mg + N₂ -----> Mg₃N₂

অ্যামোনিয়াম নাইট্রাইটকে উত্তপ্ত করলে কি ঘটে।

অ্যামোনিয়াম নাইট্রাইটকে উত্তপ্ত করলে কি ঘটে।  অ্যামোনিয়াম নাইট্রাইটকে উত্তপ্ত করলে তা বিয়োজিত হয়ে নাইট্রোজেন গ্যাস ও পানি উৎপন্ন করে। NH₄NO₂ -----> N₂ + 2H₂O

CuO উপর দিয়ে NH₃ চালনা করলে কি ঘটে।

CuO উপর দিয়ে NH₃ চালনা করলে কি ঘটে।   উত্তপ্ত কপার অক্সাইডের উপর দিয়ে  অ্যামোনিয়া গ্যাস চালনা করলে কপার অক্সাইড বিজারিত হয়ে ধাতব কপার, পানি ও নাইট্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন করে। 3CuO + 2NH₃ -----> 3Cu + N₂ + 3H₂O

অ্যামোনিয়া দ্রবণে ক্লোরিন চালনা করলে কি ঘটে?

অ্যামোনিয়া দ্রবণে ক্লোরিন চালনা করলে কি ঘটে?  গাঢ় অ্যামোনিয়ার দ্রবণে ক্লোরিন গ্যাস চালনা করলে, অ্যামোনিয়ার সাথে ক্লোরিন বিক্রিয়া করে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড ও নাইট্রোজেন উৎপন্ন করে। 8NH₃ + 3Cl₂ ----->6NH₄Cl + N₂

নিরুদক কি?

নিরুদক কি?  নিরুদকঃ যে সকল রাসায়নিক যৌগের পানির প্রতি প্রবল আকর্ষণ থাকার কারণে সরাসরি পানি অণু শোষণ করে অথবা জৈব যৌগের অণুস্হিত পানির উপাদান হতে পানি অণু গঠনের মাধ্যমে পানি শোষণ করতে সক্ষম তাদেরকে নিরুদক বলে।  যেমনঃ  গাঢ় H₂SO₄ ; P₂O₅ ; KHSO₄ ; Al₂O₃ ; H₃PO₄।

এসিড বৃষ্টি কি?

এসিড বৃষ্টি কি?  আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জ্বালানি ব্যবহার করে থাকি। এসব জ্বালানি দহনের ফলে CO₂ ; SO₂ ; SO₃ ; NO₂ ; NO গ্যাস উৎপন্ন হয়। উৎপন্ন হওয়ার সাথে সাথে এই গ্যাসগুলি  বায়ুমণ্ডলে সাথে মিশ্রিত হচ্ছে।  বৃষ্টিপাতের সময় এই গ্যাস গুলি বৃষ্টির পানির সাথে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন এসিড তৈরি করে। এই অ্যাসিড যুক্ত বৃষ্টির পানিতে অ্যাসিড বৃষ্টি বলে।   CO₂ + H₂O -----> H₂CO₃ SO₂ + H₂O ------> H₂SO₃ SO₃ + H₂O ------> H₂SO₄ NO₂ + H₂O -----> HNO₃ NO + H₂O -----> HNO₂ এছাড়াও বজ্রপাতের সময় দুটি মেঘের মধ্যে যখন সংঘর্ষ ঘটে তখন সেখানে প্রায় 3000 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উৎপন্ন হয়। এই তাপমাত্রায় বায়ুমন্ডলের নাইট্রোজেন, অক্সিজেন দ্বারা জারিত হয়ে এবং উৎপন্ন করে। যা পরবর্তীতে পানির সাথে যুক্ত হয়ে এসিড গঠন করে। এই এসিড বৃষ্টির পানির সাথে ভূপৃষ্ঠে পতিত হয়। N₂ + O₂ ------> 2NO 2NO + O₂ <------> 2NO₂ NO₂ + H₂O -----> HNO₃

ওলিয়াম কাকে বলে?

ওলিয়াম কাকে বলে?  98% বিশুদ্ধ সালফিউরিক এসিডের মধ্যে সালফার ট্রাই অক্সাইড গ্যাস চালনা করলে 100%  বিশুদ্ধ সালফিউরিক এসিড উৎপন্ন হয়। যাকে সালফান বলে।  98%H₂SO₄+H₂O --->100%HSO₄ 100% বিশুদ্ধ সালফিউরিক এসিডের মধ্যে আরও অতিরিক্ত সালফার ট্রাই অক্সাইড গ্যাস চালনা করলে ওলিয়াম বা ধুমায়মান সালফিউরিক এসিড উৎপন্ন হয়। 100%H₂SO₄ +SO₃----> H₂S₂O₇ ওলিয়ামের মধ্যে প্রয়োজনমতো পানি যোগ করে বিভিন্ন ঘনমাত্রার সালফিউরিক এসিড তৈরি করা যায়।

Popular posts from this blog

কপার(Cu) ও ক্রোমিয়ামের(Cr) ইলেকট্রন বিন্যাস ব্যতিক্রম কেন?

মুক্তজোড় ইলেকট্রন ও বন্ধন জোড় ইলেকট্রন কাকে বলে।

জারণ সংখ্যা নির্ণয়ের সহজ পদ্ধতি।

COD ও BOD কাকে বলে?

জারক ও বিজারক কাকে বলে? কিভাবে জারক ও বিজারক সহজেই চেনা যায়।

সালফার পরিবর্তনশীল যোজনী প্রদর্শন করে কেন?

প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড ও সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ কাকে বলে?

মোলার গ্যাস ধ্রুবক এবং এর মাত্রা, তাৎপর্য ও মান নির্ণয়।

প্রতীক ও সংকেতের মধ্যে পার্থক্য কি?

রাদারফোর্ড ও বোর পরমাণু মডেলের মধ্যে তুলনা।