Posts

Showing posts from November, 2020

বিজারক কি?

বিজারক কি?   বিজারকঃ   যেসব রাসায়নিক পদার্থ অন্য পদার্থকে বিজারিত করে এবং সেই সাথে নিজে জারিত হয় সেই পদার্থকে বিজারক বলে।  জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ায় বিজারক পদার্থ ইলেকট্রন ত্যাগ করে এবং উৎপাদে ধনাত্মক আধানের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।  বিজারক পদার্থগুলি হচ্ছে সকল ধাতু, হাইড্রোজেন সালফাইড ইত্যাদি।

তাপ রাসায়নিক সমীকরণ কি?

তাপ রাসায়নিক সমীকরণ কি?   তাপ রাসায়নিক সমীকরণঃ   কোন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপ শক্তি উৎপাদিত বা শোষিত হলে যে সমীকরণের সাহায্যে প্রকাশ করা হয় তাকে ঐ সমীকরণের তাপ রাসায়নিক সমীকরণ বলা হয়।  যেমনঃ 1mole কার্বনকে অক্সিজেনে দহন করলে 1 mole কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হয়।  এই বিক্রিয়ায় 393.5kj/mole তাপ নির্গত হয় C + O₂ ----->CO₂ ; ΔH= -393.5kj

দহন তাপ কি?

দহন তাপ কি?  দহন তাপঃ 1 atm চাপে কোন পদার্থের 1 mole কে সম্পূর্ণরূপে অক্সিজেনে দহন করলে যে পরিমাণ তাপশক্তি উৎপন্ন হয় তাকে ঐ পদার্থের দহন তাপ বলে।  যেমনঃ 1 mole অর্থাৎ 16 গ্রাম মিথেনকে অক্সিজেনে সম্পূর্ণ দহন করলে 890 কিলোজুল তাপ শক্তি নির্গত হয়।  সুতরাং মিথেনের দহন তাপ হচ্ছে 890 kj/mole.

জারক কী?

  জারক কী?  যে রাসায়নিক পদার্থ অন্য পদার্থকে জারিত করে এবং সেই সাথে নিজে বিজারিত হয়, সেই পদার্থকে জারক বলে।  জারক পদার্থসমূহ সাধারণত ইলেকট্রন গ্রহণ করে বিজারিত হয়।   যেমনঃ ক্লোরিন, অক্সিজেন, নাইট্রিক অ্যাসিড ইত্যাদি জারক পদার্থ।

সমানুকরণ বিক্রিয়া কি?

  সমানুকরণ বিক্রিয়া কি? সমানুকরণ বিক্রিয়াঃ   যে বিক্রিয়ায় কোন যৌগের অণুতে পরমাণুসমূহ পূর্ণবিন্যস্ত হয়ে অন্য সমানু উৎপন্ন করে তাকে সমানুকরণ বিক্রিয়া বলে। যেমনঃ অ্যামোনিয়াম সায়ানেটকে তাপ দিলে ইউরিয়া উৎপন্ন হয়। এটি একটি সমানুকরণ বিক্রিয়া।  NH₄CNO -----> NH₂-CO-NH₂

ঋনাত্বক আয়ন কাকে বলে?

ঋনাত্বক আয়ন কাকে বলে?  যেসব আয়ন ঋনাত্বক চার্জ বহন করে, তাদেরকে ঋনাত্বক আয়ন বলে।   যেমনঃ ক্লোরাইড আয়ন Cl- ;  ব্রোমাইড আয়ন Br-  ইত্যাদি।

ধনাত্মক আয়ন কাকে বলে?

ধনাত্মক আয়ন কাকে বলে?  যেসব আয়ন ধনাত্মক চার্জ বহন করে, তাদেরকে ধনাত্মক আয়ন বলে।  যেমনঃ পটাশিয়াম আয়ন K+ ; কিউপ্রাস আয়ন Cu+ ইত্যাদি।

আয়ন কাকে বলে?

আয়ন কাকে বলে?   আয়নঃ তড়িৎ আধান যুক্ত পরমাণু বা যৌগমূলক কে আয়ন বলে।  যেমনঃ হাইড্রোজেন আয়ন H+ ; ক্লোরাইড আয়ন Cl- ; নাইট্রেট আয়ন NO₃-  ইত্যাদি।

স্থূল সংকেত কাকে বলে?

স্থূল সংকেত কাকে বলে?   স্থূল সংকেতঃ   কোন যৌগের যে সরলতম  সংকেত এর অণুস্থিত পরমাণুসমূহের সরল সংখ্যার অনুপাত প্রকাশ করে, তাকে ঐ যৌগের স্থূল সংকেত বল।   যেমনঃ অ্যাসিটিলিনের(C₂H₂) স্থূল সংকেত CH.  গ্লুকোজের(C₆H₁₂O₆) স্থূল সংকেত  CH₂O ইত্যাদি।

আণবিক সংকেত কাকে বলে?

আণবিক সংকেত কাকে বলে?  আণবিক সংকেতঃ   যে সংখ্যা দ্বারা কোন মৌলিক বা যৌগিক পদার্থের অন্তর্গত বিভিন্ন মৌলের পরমাণুর সঠিক সংখ্যা প্রকাশ পায়, তাকে ঐ পদার্থের আণবিক সংকেত বলা হয়।  যেমনঃ অ্যামোনিয়া NH₃ ; সালফিউরিক অ্যাসিড H₂SO₄ ; বেনজিন C₆H₆ ইত্যাদি।

আণবিক ভর কাকে বলে?

আণবিক ভর কাকে বলে?  আণবিক ভরঃ   কোন পদার্থের একটি অনুর ভর, কার্বন-12 আইসোটোপের একটি পরমাণুর ভরের 1/12 অংশের যত গুণ ভারী সে সংখ্যাকে ঐ পদার্থের আণবিক ভর বলা হয়। একে আপেক্ষিক আণবিক ভরও বলে।  আণবিক ভর = (কোন পদার্থের একটি অনুর ভর) ÷ (কার্বন-12 আইসোটোপের একটি পরমাণুর ভরের 1/12 অংশ)।

বস্তু কি?

বস্তু কি? বস্তুঃ নির্দিষ্ট ও অপরিবর্তনীয় রাসায়নিক সংযুতি ও ধর্ম বিশিষ্ট পদার্থকে বস্তু বলে।  যেমনঃ বিশুদ্ধ সোনা, বিশুদ্ধ পানি, বিশুদ্ধ লোহা ইত্যাদি।

তড়িৎ বিশ্লেষণের তুল্যভর কি?

তড়িৎ বিশ্লেষণের তুল্যভর কি? তড়িৎ বিশ্লেষণের সময় এক কুলম্ব তড়িৎ প্রবাহের ফলে কোন বস্তুর যে পরিমাণ অ্যানোড তড়িৎদ্বার হতে দ্রবীভূত হয় অথবা ক্যাথোড তড়িৎদ্বারে সঞ্চিত হয় তাকে ঐ বস্তুর তড়িৎ রাসায়নিক তুল্যভর বলে।

তড়িৎ বিশ্লেষ্য ও তড়িৎ অবিশ্লেষ্য পদার্থের মধ্যে পার্থক্য কি?

তড়িৎ বিশ্লেষ্য ও তড়িৎ অবিশ্লেষ্য পদার্থের মধ্যে পার্থক্য কি?   তড়িৎ বিশ্লেষ্য ও তড়িৎ অবিশ্লেষ্য পদার্থের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপঃ ১. দ্রবণে বা গলিত অবস্থায় তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থসমূহ আয়ন প্রদানে সক্ষম। কিন্তু, তড়িৎ অবিশ্লেষ্য পদার্থ দ্রবণে বা গলিত অবস্থায় আয়ন উৎপন্ন করতে সক্ষম নয়। ২. তড়িৎ বিশ্লেষ্য যৌগসমূহ সাধারণত পানিতে দ্রবণীয়। কিন্তু, তড়িৎ অবিশ্লেষ্য যৌগসমূহ সাধারণত পোলার দ্রাবক পানিতে অদ্রবণীয়, তবে অপোলার দ্রাবকে দ্রবণীয়। ৩.  তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থগুলি তড়িৎ পরিবহনে সক্ষম। কিন্তু, তড়িৎ অবিশ্লেষ্য পদার্থগুলি তড়িৎ পরিবহনে সক্ষম নয়। ৪. তড়িৎ বিশ্লেষ্য যৌগগুলি উদ্বায়ী হয় না। কিন্তু, তড়িৎ অবিশ্লেষ্য যৌগগুলি সাধারণত উদ্বায়ী হয়। ৫. তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থগুলির গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক উচ্চ হয় কিন্তু, তড়িৎ অবিশ্লেষ্য পদার্থগুলির গলনাংক ও স্ফুটনাংক নিম্ন হয়।

ইলেকট্রোপ্লেটিং এর প্রয়োজনীয়তা।

ইলেকট্রোপ্লেটিং এর প্রয়োজনীয়তা।   ইলেকট্রোপ্লেটিং এর প্রয়োজনীয়তা নিম্নরূপঃ ১. ইলেকট্রোপ্লেটিং এর মাধ্যমে লোহা, তামা, পিতল ইত্যাদি ধাতুর ক্ষয় রোধ করা যায়।   ২. ধাতুর তৈরি বস্তুকে চকচকে ও উজ্জ্বল করার জন্য ইলেকট্রোপ্লেটিং করা হয়। ৩. ইলেকট্রোপ্লেটিং এর মাধ্যমে ধাতব পদার্থের স্থায়িত্ব ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।

ধাতু বিশুদ্ধকরণে তড়িৎ বিশ্লেষণের ব্যবহার।

ধাতু বিশুদ্ধকরণে তড়িৎ বিশ্লেষণের ব্যবহার।   আকরিক থেকে ধাতু বিশুদ্ধকরণে তড়িৎ বিশ্লেষণের ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  তড়িৎ বিশ্লেষণের ব্যবহার নিম্নরূপঃ ১. তড়িৎ বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ধাতুকে বিশুদ্ধ করা যায়। ২. তড়িৎ বিশ্লেষণের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ ধাতু পাওয়া যায়। যা বিভিন্ন নির্মাণ শিল্পে ব্যবহৃত হয়। ৩. তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় ধাতু বিশুদ্ধকরণের সময় স্বল্প খরচে ক্যাথোডে বিশুদ্ধ ধাতু পাওয়া যায়। ৪. তড়িৎ বিশ্লেষণের মাধ্যমে ধাতু বিশুদ্ধ করার সময় গোল্ড, সিলভার প্রভৃতি ধাতু অপদ্রব্য হিসেবে পাওয়া যায়।

তড়িৎ বিশ্লেষণ কোষ কি?

তড়িৎ বিশ্লেষণ কোষ কি?   যে পাত্রে তড়িৎ বিশ্লেষণ করা হয় তাকে তড়িৎ বিশ্লেষণ কোষ বলা হয়।   তড়িৎ বিশ্লেষণ কোষে অ্যানোড ও ক্যাথোড তড়িৎদ্বার এবং তড়িৎ বিশ্লেষ্য দ্রবণ ব্যবহার করা হয়।

তড়িৎদ্বার কি?

তড়িৎদ্বার কি?  তড়িৎদ্বারঃ   একটি পাত্রে বিগলিত অথবা দ্রবীভূত তড়িৎ বিশ্লেষ্যের মধ্যে দুটি তড়িৎ পরিবাহী দন্ড প্রবেশ করিয়ে দন্ড দুটিকে ব্যাটারির সাথে যুক্ত করে কোষ বিক্রিয়া ঘটানো হয়। এই ধাতব দণ্ড দুটিকে তড়িৎদ্বার বলে।

তড়িৎ বিশ্লেষ্য ও ইলেকট্রনীয় পরিবাহীর মধ্যে পার্থক্য কি?

তড়িৎ বিশ্লেষ্য ও ইলেকট্রনীয় পরিবাহীর মধ্যে পার্থক্য কি? তড়িৎ বিশ্লেষ্য ও ইলেকট্রনীয় পরিবাহী মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপঃ ১. তড়িৎ বিশ্লেষ্য পরিবাহীতে আয়নের স্থানান্তরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পরিবাহিত হয়। অন্যদিকে, ইলেকট্রনীয় পরিবাহীতে মুক্ত ইলেকট্রন চলাচলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পরিবাহিত হয়। ২. তড়িৎ বিশ্লেষ্য পরিবাহীতে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে। কিন্তু, ইলেকট্রনীয় পরিবাহীতে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে না। ৩. তড়িৎ বিশ্লেষ্য পরিবাহী গলিত বা দ্রবীভূত অবস্থায় তড়িৎ পরিবহন করে। কিন্তু, ইলেকট্রনীয় পরিবাহী শুধু কঠিন অবস্থায় তড়িৎ পরিবহন করে। ৪. তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে তড়িৎ বিশ্লেষ্য পরিবাহীর তড়িৎ পরিবহন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু, ইলেকট্রনীয় পরিবাহীর ক্ষেত্রে তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে তড়িৎ পরিবহন ক্ষমতা হ্রাস পায়।

তড়িৎ বিশ্লেষ্যের বৈশিষ্ট্য।

তড়িৎ বিশ্লেষ্যের বৈশিষ্ট্য।   তড়িৎ বিশ্লেষ্যের বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপঃ  ১. গলিত বা দ্রবীভূত অবস্থায় তড়িৎ বিশ্লেষ্য থেকে যে আয়ন সৃষ্টি হয় সে আয়নগুলো তড়িৎ বিশ্লেষণে অংশগ্রহণ করে। ২. সকল আয়নিক যৌগ ও কিছু সমযোজী যৌগ তড়িৎ বিশ্লেষ্য হয়। ৩. এরা সাধারণত বিগলিত বা দ্রবীভূত অবস্থায় তড়িৎ পরিবহন করে।   ৪. তড়িৎ বিশ্লেষণের  ফলে তড়িৎ বিশ্লেষ্যের রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে।

তড়িৎ বিশ্লেষণ কি?

তড়িৎ বিশ্লেষণ কি? তড়িৎ বিশ্লেষণঃ কোন বিগলিত বা দ্রবীভূত তড়িৎ বিশ্লেষ্যের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ পরিবহনের সময় সেই যৌগের বিয়োজন বা রাসায়নিক পরিবর্তনকে তড়িৎ বিশ্লেষণ বলা হয়।

তড়িৎ বিশ্লেষ্য কি?

তড়িৎ বিশ্লেষ্য কি?   তড়িৎ বিশ্লেষ্যঃ যে সব যৌগ বিগলিত বা দ্রবীভূত অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবহন করে এবং সেই সাথে তাদের রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে তাদেরকে তড়িৎ বিশ্লেষ্য বলা হয়।  সকল আয়নিক যৌগ ও কিছু সমযোজী যৌগ তড়িৎ বিশ্লেষ্য। যেমনঃ সোডিয়াম ক্লোরাইড, এসিড মিশ্রিত পানি ইত্যাদি।

ইলেক্ট্রোলাইট কি?

ইলেক্ট্রোলাইট কি? ইলেক্ট্রোলাইটঃ   যে সব যৌগ বিগলিত বা দ্রবীভূত অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবহন করে এবং সেই সাথে তাদের রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে তাদেরকে ইলেক্ট্রোলাইট বলা হয়।  তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় কোষে বিভিন্ন লবণের বা এসিড-ক্ষারের দ্রবণ ইলেক্ট্রোলাইট হিসেবে  ব্যবহার করা হয়।

ইলেকট্রোপ্লেটিং কি?

ইলেকট্রোপ্লেটিং কি?   ইলেকট্রোপ্লেটিংঃ তড়িৎ বিশ্লেষণের মাধ্যমে অধিক সক্রিয় ধাতুর উপর কম সক্রিয় ধাতুর প্রলেপ দেওয়াকে ইলেকট্রোপ্লেটিং বলে।  ইলেকট্রোপ্লেটিং পদ্ধতিতে সাধারণত লোহার তৈরি জিনিসের উপর নিকেল বা ক্রোমিয়ামের প্রলেপ দেওয়া হয়। এতে করে লোহার উপর মরিচা পড়ে না এবং লোহার তৈরি জিনিসটি দেখতে চকচকে ও উজ্জ্বল হয়।

অত্যানুকুল চাপ কি?

অত্যানুকুল চাপ কি?  অত্যানুকুল চাপঃ   যে চাপে প্রয়োগে বিক্রিয়ার গতি বজায় রেখে সর্বোচ্চ পরিমাণে  উৎপাদ পাওয়া যায়, সে চাপকে অত্যানুকুল চাপ বলা হয়।  যেমনঃ অ্যামোনিয়া উৎপাদনের ক্ষেত্রে অত্যানুকুল চাপ হচ্ছে 200 atm.  এই চাপে অ্যামোনিয়ার উৎপাদন সর্বোচ্চ হয়।

অত্যানুকুল তাপমাত্রা কি?

অত্যানুকুল তাপমাত্রা কি?   অত্যানুকুল তাপমাত্রাঃ যে তাপমাত্রায় বিক্রিয়ার গতি বজায় রেখে সর্বোচ্চ পরিমাণ উৎপাদ পাওয়া সম্ভব, সে তাপমাত্রাকে অত্যানুকুল তাপমাত্রা বলা হয়।  যেমনঃ অ্যামোনিয়া উৎপাদনে অত্যানুকুল তাপমাত্রা হচ্ছে 450 ডিগ্রী সেলসিয়াস থেকে 550 ডিগ্রী সেলসিয়াস।  এই তাপমাত্রায় অ্যামোনিয়ার উৎপাদন সর্বোচ্চ হয়।

বিক্রিয়ার হারের উপর ঘনমাত্রার প্রভাব।

বিক্রিয়ার হারের উপর ঘনমাত্রার প্রভাব। বিক্রিয়কের ঘনমাত্রা বৃদ্ধি পেলে সকল বিক্রিয়ার হার বৃদ্ধি পায়। বিক্রিয়া সংগঠনের প্রধান শর্ত হচ্ছে বিক্রিয়ক অনুগুলির মধ্যে সংঘর্ষ ঘটতে হবে।  এক্ষেত্রে বিক্রিয়কের ঘনমাত্রা বৃদ্ধি পেলে বিক্রিয়ক অনুর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। অনুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিক্রিয়কের মধ্যে সংঘর্ষের পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে করে অধিক সংখ্যক বিক্রিয়ক উৎপাদে পরিণত হয়। অর্থাৎ ঘনমাত্রা বৃদ্ধি পেলে বিক্রিয়ার হারও বৃদ্ধি পায়। তবে কিছু বিক্রিয়া আছে যাদের হার ঘনমাত্রার উপর নির্ভর করে না। যেমনঃ প্রোপানোনের জলীয় দ্রবণে সাথে আয়োডিন এর বিক্রিয়ায়, আয়োডিনের ঘনমাত্রা বৃদ্ধি বা হ্রাস পেলেও বিক্রিয়ার হারের কোন পরিবর্তন ঘটে না।

রাসায়নিক গতিবিদ্যা কি?

রাসায়নিক গতিবিদ্যা কি? রাসায়নিক গতিবিদ্যাঃ   রসায়নের যে শাখায়, রাসায়নিক বিক্রিয়ার বেগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়, তাকে রাসায়নিক গতিবিদ্যা বলা হয়।  বিভিন্ন বিক্রিয়া সম্পন্ন হতে বিভিন্ন সময় প্রয়োজন হয়, যা নির্ভর করে বিক্রিয়ক ও উৎপাদের বৈশিষ্ট্যে এবং বিক্রিয়ার শর্তের উপর।  কোন কোন বিক্রিয়া অত্যন্ত দ্রুত গতিসম্পন্ন হয়, আবার কোন কোন বিক্রিয়া অত্যন্ত ধীর গতিসম্পন্ন হয়।

বিক্রিয়ার হারের উপর তাপমাত্রার প্রভাব।

বিক্রিয়ার হারের উপর তাপমাত্রার প্রভাব। কোন রাসায়নিক বিক্রিয়া সংগঠনের প্রথম শর্ত হচ্ছে বিক্রিয়ক সমূহের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটতে হবে। এ সংঘর্ষের মাধ্যমে বিক্রিয়ক অণুসমূহ উৎপাদে পরিণত হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমান শক্তি অর্জন করে।  অর্থাৎ বিক্রিয়ক সমূহের মধ্যে সংঘর্ষ যত বাড়বে বিক্রিয়ার হারও তত বৃদ্ধি পাবে।  বিক্রিয়ার তাপমাত্রা বাড়ালে বিক্রিয়ক সমূহের গতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। যার কারনে বিক্রিয়ক গুলির মধ্যে সংঘর্ষের পরিমাণ বেড়ে যায়। যার কারণে অধিক সংখ্যক বিক্রিয়ক উৎপাদে পরিণত হয়। তাই তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে বিক্রিয়ার হার বৃদ্ধি পায়।

বিক্রিয়ার হার নিয়ন্ত্রণকারী নিয়ামক গুলি কি?

বিক্রিয়ার হার নিয়ন্ত্রণকারী নিয়ামক গুলি কি?  কোন রাসায়নিক বিক্রিয়ার হার নিয়ন্ত্রণকারী নিয়ামক গুলি হচ্ছে-   ১. বিক্রিয়কের প্রকৃতি,   ২. বিক্রিয়কের ঘনমাত্রা, ৩. চাপ (গ্যাসীয় বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে) ৪. তাপমাত্রা, ৫. আলো,  ৬. প্রভাবক।

সংশ্লেষণ, বিযোজন ও প্রশমন বিক্রিয়ার গুরুত্ব কি?

সংশ্লেষণ, বিযোজন ও প্রশমন বিক্রিয়ার গুরুত্ব কি?   সংশ্লেষণ বিক্রিয়ার গুরুত্ব হচ্ছে- অনেক সময় মৌলিক পদার্থকে পরস্পরের সাথে যুক্ত করা দরকার হয়। সে ক্ষেত্রে সংশ্লেষণ বিক্রিয়া ভূমিকা রাখে। বিযোজন বিক্রিয়ার গুরুত্ব হচ্ছে- কোন যৌগকে বিভাজিত করে নতুন পদার্থ তৈরীর ক্ষেত্রে বিযোজন বিক্রিয়ার প্রয়োজন হয়।   প্রশমন বিক্রিয়ার গুরুত্ব হচ্ছে- অম্ল ও ক্ষারককে প্রশমিত করতে প্রশমন বিক্রিয়া ঘটানো হয়।  অর্থাৎ সংশ্লেষণ, বিযোজন ও প্রশমন বিক্রিয়ার গুরুত্ব অত্যধিক।

H₂ ও Cl₂ আলোতে বিক্রিয়া করে কেন?

H₂ ও Cl₂ আলোতে বিক্রিয়া করে কেন? প্রত্যেক রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বিক্রিয়কসমূহের বন্ধন ভেঙ্গে যায় এবং উৎপাদ নতুন বন্ধন গঠন করে। বিক্রিয়ক অণুসমূহের বন্ধন ভাঙ্গার জন্য এদের ন্যূনতম পরিমাণ শক্তি অর্জন করতে হয়। এ শক্তি অর্জন করতে ব্যর্থ হলে বিক্রিয়ক সমূহ বিক্রিয়া করে না এবং উৎপাদে পরিণত হয় না।  আলো এক প্রকার শক্তি। তাই আলোর উপস্থিতিতে H₂ ও Cl₂ বিক্রিয়া সংগঠনের জন্য পর্যাপ্ত শক্তি অর্জন করতে পারে। তাই আলোতে H₂ ও Cl₂ বিক্রিয়া করে।

বিক্রিয়া সংগঠনের উপায় কি?

বিক্রিয়া সংগঠনের উপায় কি?  রাসায়নিক বিক্রিয়া সংগঠনের জন্য উপায়গুলো নিম্নরূপঃ ১. সংস্পর্শ,   ২. দ্রবণ,  ৩. তাপ,   ৪. আলো,  ৫. বিদ্যুৎ প্রবাহ,   ৬. চাপ ও আঘাত, ৭. শব্দ কম্পন। তবে রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটিত করার প্রধান শর্ত হল- বিক্রিয়ক সমূহকে পরস্পরের সংস্পর্শে আসতে হবে।

বিযোজন ও দ্বিবিযোজন বিক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য কি?

বিযোজন ও দ্বিবিযোজন বিক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য কি? বিযোজন ও দ্বিবিযোজন বিক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য   নিম্নরূপঃ ১. বিযোজন বিক্রিয়ায় যৌগ সরল উপাদানে বিভক্ত হয়, কিন্তু কোন অধঃক্ষেপ পড়ে না। অপরদিকে, দ্বিবিযোজন বিক্রিয়ায় দুটি যৌগের পরস্পরের মধ্যে তাদের উপাদান পরমাণু বা মুলক বিনিময় করে এবং অধঃক্ষেপ উৎপন্ন করে। ২. বিযোজন বিক্রিয়া সংগঠনের জন্য তাপ প্রয়োগ অপরিহার্য। কিন্তু, দ্বিবিযোজন বিক্রিয়া সংগঠনের জন্য তাপ প্রয়োগ অপরিহার্য নয়।

বিক্রিয়া সংঘটিত হয় কেন?

বিক্রিয়া সংঘটিত হয় কেন? সকল পদার্থ তার স্থিতিশীল অবস্থায় থাকতে চায়।  মৌল সমূহ তার ব্যতিক্রম নয়। মৌলসমূহের সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরে অষ্টক পূর্ণ হলে মৌলটি রাসায়নিকভাবে স্থিতিশীল হয়।  এই  স্থিতিশীলতা অর্জন করার জন্য মৌলসমূহ একে অপরের সাথে ইলেকট্রন আদান-প্রদান বা শেয়ারের মাধ্যমে অষ্টক পূর্ণ করে। মূলত স্থিতিশীলতা অর্জন করার জন্যই মৌল সমূহ রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে।

রাসায়নিক বিক্রিয়ার বৈশিষ্ট্য কি?

রাসায়নিক বিক্রিয়ার বৈশিষ্ট্য কি? রাসায়নিক বিক্রিয়ার বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপঃ ১. রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপের শোষণ বা উদগীরণ ঘটে।   ২. রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে সৃষ্ট উৎপাদের ধর্ম, বিক্রিয়কের ধর্ম থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। ৩. বিক্রিয়কের মোট ভর ও উৎপাদের মোট ভর  একই হয়। ৪. বিক্রিয়ার প্রকৃতি সম্পর্কে জানা যায়। ৫. বিক্রিয়ার গতিপ্রকৃতি সম্বন্ধে জানা যায়। ৬. উৎপাদের প্রকৃতি সম্পর্কে জানা যায়। ৭. উৎপাদের ভৌত অবস্থা জানা যায়।

মৌলের ক্রিয়াশীলতা কি?

মৌলের ক্রিয়াশীলতা কি? ক্রিয়াশীলতাঃ   কোন মৌল অন্য কোন মৌল বা যৌগের সাথে ইলেকট্রন আদান-প্রদান বা শেয়ারের মাধ্যমে বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার প্রবণতাকে ঐ মৌলের ক্রিয়াশীলতা বলে। অর্থাৎ কোন মৌল অন্য কোন মৌল বা যৌগের সাথে কত সহজে বিক্রিয়া করে তাই হল মৌলের ক্রিয়াশীলতা।

পর্যায়বৃত্ত ধর্ম কি?

পর্যায়বৃত্ত ধর্ম কি?   পর্যায়বৃত্ত ধর্মঃ   যেসব ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম মৌলসমূহের পর্যায় সারণির পর্যায় অনুসারে নির্দিষ্ট ক্রমে আবর্তিত হয় এবং একই গ্রুপে একই ধর্মের মধ্যে সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়, তাদেরকে পর্যায়বৃত্ত ধর্ম বলে। পর্যায়বৃত্ত ধর্ম গুলি হচ্ছে-  ১. পারমাণবিক ব্যাসার্ধ,  ২. আয়নিকরণ শক্তি,  ৩. ইলেকট্রন আসক্তি,  ৪. তড়িৎ ঋণাত্মকতা, ৫. গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক, ৬. ধাতব ধর্ম, ৭. যোজনী।

পর্যায় সারণি কাকে বলে?

পর্যায় সারণি কাকে বলে? পর্যায় সারণিঃ   একই ধর্ম বিশিষ্ট মৌল সমূহকে একই গ্রুপভুক্ত করে এবং আবিষ্কৃত সকল মৌলকে স্থান দিয়ে বর্তমানে যে সারণিটি প্রচলিত আছে তাকে পর্যায় সারণী বলে। 1869 খ্রিস্টাব্দে মেন্ডেলিফ পর্যায় সারণি আবিষ্কার করে। বর্তমানে পর্যায় সারণিতে ৭টি পর্যায় ও ১৮টি গ্রুপ বিদ্যমান আছে।

পর্যায় ও গ্রুপ কাকে বলে?

পর্যায় ও গ্রুপ কাকে   বলে? পর্যায়ঃ পর্যায় সারণিতে যেসব অনুভূমিক সারি বিদ্যামান আছে তাদেরকে পর্যায়ে বলে।  পর্যায় সারণিতে ৭টি পর্যায় রয়েছে। গ্রুপঃ   পর্যায় সারণিতে যেসব খাড়া স্তম্ভ বিদ্যমান থাকে তাদেরকে গ্রুপ বলে। পর্যায় সারণী 18 টি গ্রুপে বিভক্ত।

ধাতব বন্ধনের ইলেকট্রনীয় গঠনের ব্যাখ্যা।

ধাতব বন্ধনের ইলেকট্রনীয় গঠনের ব্যাখ্যা। আধুনিক ধারনা অনুসারে ধাতুর পরমাণুর সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরের ইলেকট্রন নিউক্লিয়াসের সাথে অত্যন্ত দুর্বল ভাবে আবদ্ধ থাকে।  ধাতব খন্ডে এই ইলেকট্রনগুলো পরমাণুর কক্ষপথ হতে বিমুক্ত হয়ে সমগ্র ধাতব খন্ডে মুক্তভাবে চলাচল করে। বিমুক্ত ইলেকট্রনগুলো কোন নির্দিষ্ট পরমাণুর সাথে যুক্ত না থেকে বরং সমগ্র ধাতব খন্ডে সঞ্চারণশীল থাকে।  স্ফটিকের মধ্যে ধাতব পরমাণু গুলি ইলেকট্রন ত্যাগ করে ধনাত্মক আয়ন হিসাবে অবস্থান করে। ধাতব পরমাণু গুলির এই ত্যাগকৃত ইলেকট্রন ধাতব স্ফটিকে আয়ন গুলির মধ্যে বিকর্ষণ বলকে প্রশমিত করে।  এছাড়া এই ইলেকট্রন গুলি কোন ধাতব পরমণুর সাথে নির্দিষ্টভাবে যুক্ত না থেকে সমস্ত ধাতব স্ফটিকের উপর মুক্তভাবে চলাচল করে।  এই মুক্ত ইলেকট্রন গুলিকে সঞ্চারণশীল ইলেকট্রন বলে। সঞ্চারণশীল ইলেকট্রনের কারণেই ধাতুসমূহ তাপ ও বিদ্যুৎ সুপরিবাহী হয়।

ধাতব বন্ধন কাকে বলে?

ধাতব বন্ধন কাকে বলে? ধাতব বন্ধনঃ   কঠিন অবস্থায় ধাতুর পরমাণুসমূহ পরস্পরের সাথে যে আকর্ষণী বলের সাহায্যে যুক্ত থাকে তাকে ধাতব বন্ধন বলে।

অণুর আকৃতি কাকে বলে।

অণুর আকৃতি কাকে বলে। অণুর আকৃতিঃ অণুর আকৃতি বলতে অণুতে পরমাণুগুলো পারস্পরিক কিভাবে বিন্যস্ত থাকে তা বুঝায়।  অণুতে কেন্দ্রীয় পরমাণুর চারিদিকে পরমাণুগুলো বিভিন্ন ত্রিমাত্রিক বিন্যাসে বিন্যস্ত থাকার জন্য অণুর আকৃতির সৃষ্টি হয়।

সমযোজী যৌগ চিহ্নিত করার উপায়?

সমযোজী যৌগ চিহ্নিত করার উপায়? সমযোজী যৌগকে নিম্নরূপে চিহ্নিত করা যায়। ১. সমযোজী যৌগসমূহের গলনাংক ও স্ফুটনাংক কম হয়। যার কারণে কম তাপে সমযোজী যৌগ কঠিন অবস্থা থেকে তরল ও গ্যাসীয় অবস্থায় রূপান্তরীত হয়। ২. সমযোজী যৌগ কঠিন বা গলিত  কোন অবস্থাতেই বিদ্যুৎ পরিবহন করে না। ৩. সমযোজী যৌগ পোলার দ্রাবক পানিতে দ্রবীভূত হয় না। ৪. অধাতু-অধাতু ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে সমযোজী বন্ধন গঠন করে। ৫. সমযোজী যৌগ সাধারণত অপোলার দ্রাবকে (যেমনঃ বেনজিন, ইথার ইত্যাদি) দ্রবীভূত হয়। ৬. অধিকাংশ সমযোজী যৌগ গ্যাসীয় অবস্থায় বিরাজ করে।   উপরোক্ত বিষয়ের উপর ভিত্তি করে সমযোজী যৌগকে চিহ্নিত করা যায়।

আয়নিক যৌগ চিহ্নিত করার উপায়?

আয়নিক যৌগ চিহ্নিত করার উপায়? আয়নিক যৌগসমূহকে নিম্নরূপে চিহ্নিত করা যায়। ১. আয়নিক যৌগকে পোলার দ্রাবক পানিতে দ্রবীভূত করলে এরা পানিতে দ্রবীভূত হয়। ২. আয়নিক যৌগসমূহের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক উচ্চ হয়।  ৩. কঠিন অবস্থায় এরা বিদ্যুৎ পরিবহন করে না। কিন্তু গলিত বা দ্রবীভূত অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবহন করে। ৪. ধাতু-অধাতু অথবা ধাতু ও যৌগমূলক আয়নিক যৌগ গঠন করে। ৫. অপোলার দ্রাবকে (যেমনঃ বেনজিন, ইথার ইত্যাদি) দ্রবীভূত হয় না।  উপরোক্ত বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আয়নিক যৌগ গুলিকে শনাক্ত করা যায়।

নাইট্রোজেন নিষ্ক্রিয় কেন?

নাইট্রোজেন নিষ্ক্রিয় কেন? নাইট্রোজেন অণুতে দুইটি নাইট্রোজেন পরমাণুর অত্যান্ত শক্তিশালী সমযোজী ত্রি-বন্ধন দ্বারা যুক্ত থাকে। এই ত্রি-বন্ধন ভাঙতে অনেক শক্তির প্রয়োজন হয়। তাছাড়া, সমযোজী যৌগ গুলির মধ্যে নাইট্রোজেন-নাইট্রোজেন বন্ধন শক্তি অত্যান্ত শক্তিশালী।  তাই কক্ষ তাপমাত্রায়  নাইট্রোজেন      নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে।

লাফিং গ্যাস কি?

লাফিং গ্যাস কি?  নাইট্রাস অক্সাইডকে( N₂O)  লাফিং গ্যাস বলা হয়।  কারণ-  N₂O এর মৃদু মিষ্টি গন্ধ আছে। নিঃশ্বাসের সাথে অল্প পরিমাণে N₂O গ্রহণ করলে এটি হাসির উদ্রেক ঘটায়।  এজন্য নাইট্রাস অক্সাইডকে লাফিং গ্যাস বলে।

অক্সাইড কাকে বলে।

অক্সাইড কাকে বলে।   অক্সাইডঃ   অক্সিজেন এবং অন্য কোন মৌল পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে যে সকল দ্বি-মৌল যৌগ গঠন করে তাদেরকে অক্সাইড বলে। যেমনঃ সোডিয়াম অক্সাইড(Na₂O), ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড(MgO), ক্যালসিয়াম অক্সাইড(CaO) ইত্যাদি।

অক্সিজেন গ্যাসের ব্যবহার।

অক্সিজেন গ্যাসের ব্যবহার।   অক্সিজেন গ্যাসের বিভিন্ন ব্যবহার নিম্নরূপঃ ১. শ্বাসকার্যের জন্য অক্সিজেন ব্যবহার করা হয়। ২. অক্সি-হাইড্রোজেন,  অক্সি-অ্যাসিটিলিন প্রভৃতি শিখা উৎপাদনের জন্য অক্সিজেন প্রয়োজন হয়। ৩. রকেটের জ্বালানি হিসেবে বিভিন্ন দাহ্য তরলীকৃত গ্যাস এবং সেইসাথে জারক হিসাবে তরল অক্সিজেন ব্যবহার করা হয়। ৪. দহনকার্যে অক্সিজেন ব্যবহার করা হয়। ৫. রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বিভিন্ন অক্সাইড তৈরিতে অক্সিজেন ব্যবহার করা হয়।

অক্সিজেন শব্দের অর্থ কি?

অক্সিজেন শব্দের অর্থ কি? অক্সিজেন পর্যায় সারণির দ্বিতীয় পর্যায়ে ও 16 নম্বর গ্রুপের একটি মৌল।  অক্সি শব্দের অর্থ অম্ল বা এসিড এবং জেন শব্দের অর্থ উৎপাদনকারী। অর্থাৎ অক্সিজেন শব্দের অর্থ দাঁড়ায় অম্ল উৎপাদনকারী। 

গোলতলী ফ্লাস্ক কি?

গোলতলী ফ্লাস্ক কি? গোলতলী ফ্লাস্কঃ যে  ফ্লাক্সের তলা গোলাকার এবং লম্বা গলা যুক্ত তাকে গোলতলী ফ্লাস্ক বলা হয়।  গোলতলী ফ্লাস্ক বিভিন্ন প্রমাণ দ্রবণ তৈরির কাজে এবং কোন গাঢ় দ্রবণকে লঘু করার কাজে ব্যবহার করা হয়। গোলতলী ফ্লাস্ক নির্দিষ্ট আয়তনের হয়ে থাকে। যেমনঃ 100ml, 250ml, 500ml, 1000ml.

কনিক্যাল ফ্লাস্ক কি?

কনিক্যাল ফ্লাস্ক কি?  কনিক্যাল ফ্লাস্কঃ যে  ফ্লাক্সের নিচের অংশ প্রশস্ত এবং ক্রমশ উপরের দিকে সরু তাকে কনিক্যাল ফ্লাস্ক বলা হয়।  সাধারণত বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়া সংগঠনের জন্য এবং ট্রাইটেশন কাজে ব্যবহারের করা হয়।

ক্রুসিবল কি?

ক্রুসিবল কি? ক্রুসিবলঃ   এটি চীনামাটির তৈরি একটি ঢাকনাযুক্ত খাড়া বাটি বিশেষ। উচ্চ তাপমাত্রায় কঠিন পদার্থকে শুষ্ক করার জন্য ক্রুসিবল ব্যবহার করা হয়।

উলফ বোতল কি?

উলফ বোতল কি? উলফ বোতলঃ এটি একটি কাচের মোটা বোতল যার দুটি মুখ আছে। গ্যাস প্রস্তুত করতে এটি ব্যবহার করা হয়।  আবিষ্কারকের নাম অনুসারে এই বোতলের নাম উলফ বোতল রাখা হয়েছে।

শীতক কি?

শীতক কি?   শীতকঃ এটি মূলত সমঅক্ষ বিশিষ্ট দুটি কাচ নল। বাইরে নলের উভয় প্রান্ত ভেতরের নলের সাথে সীল করা থাকে এবং বাইরের নলের উভয় প্রান্তের কাছাকাছি স্থানে একটি করে নির্গমন নল যুক্ত থাকে।  নিচের নির্গমন নল দিয়ে ঠান্ডা পানি নলের ভিতরে প্রবেশ করে এবং উপরের নির্গমন নল দিয়ে গরম পানি বের হয়ে আসে।  কোন গ্যাসীয় পদার্থ এই নলের ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় ঘনীভূত হয়ে তরলে রূপান্তরিত হয়।

পিপেট কি?

পিপেট কি?   পিপেটঃ   এটি দাগকাটা কাঁচের নল। যার নিচের প্রান্ত সরু।  কিছু পিপেটের মাঝখানে মোটা বাল্ব থাকে।  সুনিদিষ্ট পরিমাণ তরল পদার্থ মাপার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়।

ব্যুরেট কি?

ব্যুরেট কি? ব্যুরেটঃ   মিলিমিটার এককে দাগকাটা কাচের নল বিশেষ। এর নিচের মাথা সরু ও স্টপকর্ক যুক্ত থাকে।  ফোঁটায় ফোঁটায় তরল পদার্থ যোগ করা ও মাপার কাজে ব্যুরেট ব্যবহার করা হয়।  সাধারণত 25 মিলি বা 50 মিলি ধারণক্ষমতার ব্যুরেট ব্যবহার করা হয়।

মেজারিং সিলিন্ডার কি?

মেজারিং সিলিন্ডার কি? মেজারিং সিলিন্ডারঃ   এটি একটি দাগকাটা কাচনল যার এক মুখ বন্ধ ও অপর মুখ খোলা থাকে। এটির দ্বারা তরল পদার্থের আয়তন মাপা হয়। মেজারিং সিলিন্ডারে মিলিমিটার এককে দাগ কাটা থাকে। একে তরল পদার্থ স্হানান্তরের কাজেও ব্যবহার করা হয়।

ওয়াশ বোতল কি?

ওয়াশ বোতল কি? ওয়াশ বোতলঃ এটি কাঁচ নির্মিত একটি ফ্লাক্স। ফ্লাক্সের মুখে ছিপি দিয়ে দুটি নল প্রবেশ করানো থাকে। একটি নল দিয়ে ফুঁ দিতে হয় এবং অপর নল দিয়ে ফ্লাক্সের ভেতরের পানি বের হয়ে আসে।  এই পানি দিয়ে কাঁচের যন্ত্রপাতি ধৌত করা হয় বলে একে ওয়াশ বোতল বলে।

বুনসেন বার্নার কি?

বুনসেন বার্নার কি?   বুনসেন বার্নারঃ  পরীক্ষাগারে তাপ প্রদানের জন্য লোহার তৈরি একটি টিউব যার নিচ দিয়ে গ্যাস সরবরাহের ব্যবস্হা থাকে এবং টিউবে বাতাস প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি রিং যুক্ত থাকে।  পরীক্ষাগারে সাধারণত বুনসেন বার্নারে প্রাকৃতিক গ্যাস ও বাতাসের মিশ্রন জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

ত্রিপদী স্ট্যান্ড কি?

ত্রিপদী স্ট্যান্ড কি? ত্রিপদী স্ট্যান্ডঃ   লোহার তৈরি তিন পা বিশিষ্ট স্ট্যান্ড, যার উপর তারজালি রেখে কোন পাত্র বসানো যায় এবং প্রয়োজনে নিচ দিয়ে বার্নারের সাহায্যে তাপ দেওয়া যায়, তাকে ত্রিপদী   স্ট্যান্ড বলে।

গ্যাস জার কি?

গ্যাস জার কি?  গ্যাস জারঃ পুরু কাঁচের তৈরি উপর-নীচ সমান ব্যাস বিশিষ্ট একমুখ বদ্ধ যন্ত্রকে গ্যাস জার বলে।  পরীক্ষাগারে গ্যাস সংগ্রহ করতে গ্যাস জার ব্যবহার করা হয়।

বীকার কি?

বীকার কি? বীকারঃ বীকার হচ্ছে কাঁচ নির্মিত এবং দেখতে অনেকটা কাঁচের গ্লাসের মত। যার এক প্রান্ত বদ্ধ এবং অপর প্রান্ত খোলা থাকে।  বিকার বিভিন্ন মাপের হতে পারে যেমন- 50, 100, 250, 500 এবং 1000 মিলি।  বীকার বিভিন্ন আয়তনের দ্রবন পরিমাপ করতে ব্যবহার করা হয়।  সাধারণত বিকারের গায়ে তাপ ধারণ ক্ষমতা লিখা থাকে।

টেস্টটিউব কি?

টেস্টটিউব কি?  টেস্টটিউবঃ একটি পাতলা কাঁচের সরু নল যার এক প্রান্ত বদ্ধ ও অপরপ্রান্ত খোলা থাকে তাকে  টেস্টটিউব বলে। ছোট-বড় বিভিন্ন আকারের  টেস্টটিউব  হতে পারে। সাধারণত 15 থেকে 16 মিলি আয়তনের  টেস্টটিউব  বেশি ব্যবহার করা হয়। টেস্টটিউব খাড়া করে রাখার জন্য কাঠের বা প্লাস্টিক নির্মিত টেস্টটিউব স্ট্যান্ড ব্যবহৃত হয়।  কাজ করার সময় হাত দিয়ে টেস্টটিউব ধরার জন্য টেস্টটিউব ধারক ব্যবহার করা হয়।

সমযোজী যৌগ বিদ্যুৎ পরিবহন করে না কেন?

সমযোজী যৌগ বিদ্যুৎ পরিবহন করে না কেন? সমযোজী যৌগ গুলি সাধারণত অধাতব পরমাণুর মধ্যে ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে গঠিত হয়।  ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে সমযোজী যৌগ গঠিত হওয়ায়, সমযোজী যৌগের অণুতে কোন ধনাত্মক-ঋণাত্মক আধানে সৃষ্টি হয় না।  এজন্য সমযোজী যৌগ গুলি সাধারণত অপোলার হয়। সমযোজী যৌগ গুলি অপোলার হওয়ায় এরা তড়িৎ পরিবহন করতে পারে না। যেমন কার্বনের বেশিরভাগ যৌগ ইলেকট্রন শেয়ার করে সমযোজী যৌগ সৃষ্টি করে। তাই কার্বনের যৌগ সমূহের ক্ষেত্রে দেখা যায় এরা তড়িৎ পরিবহন করে না। যেমনঃ মিথেন অণুটি কার্বন ও হাইড্রোজেন অধাতুর পরমাণুসমূহ ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে গঠিত হয়। অণুটিতে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আধান গঠিত না হওয়ায় মিথেন অনুটি বিদ্যুৎ পরিবহন করে না।

আয়নিক ও সমযোজী যৌগের মধ্যে পার্থক্য।

আয়নিক ও সমযোজী যৌগের মধ্যে পার্থক্য।  আয়নিক ও সমযোজী যৌগের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরুপঃ ১. ধাতু ও অধাতুর মধ্যে আয়নিক যৌগ গঠিত হয়।  অপরদিকে, অধাতু-অধাতু সমযোজী যৌগ গঠন করে। ২. আয়নিক যৌগ গঠনের ক্ষেত্রে ইলেকট্রন আদান প্রদান ঘটে।  কিন্তু, সমযোজী যৌগ গঠনের ক্ষেত্রে ইলেকট্রন শেয়ার ঘটে। ৩. আয়নিক যৌগের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক বেশি। কিন্তু, সমযোজী যৌগের গলনাংক ও স্ফুটনাংক কম হয়।  ৪. আয়নিক যৌগ সমূহ পানিতে দ্রবণীয়। কিন্তু, সমযোজী যৌগ পানিতে অদ্রবণীয়। ৫. আয়নিক যৌগ গলিত বা দ্রবীভূত অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবহন করে। কিন্তু, সমযোজী যৌগ সমূহ বিদ্যুৎ পরিবহন করে না। ৬. আয়নিক যৌগ সমূহ কেলাস গঠন করতে পারে। কিন্তু, সমযোজী যৌগ সমূহ সাধারণত তরল বা গ্যাসীয় অবস্থায় থাকে।

আয়নিক বন্ধন কে আবিষ্কার করে।

আয়নিক বন্ধন কে আবিষ্কার করে। আয়নিক বন্ধন  1916 খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী কোসেল আবিষ্কার করেন। আয়নিক বন্ধন ধাতু ও অধাতুর মধ্যে ইলেকট্রন আদান প্রদানের মাধ্যমে গঠিত হয়।

Popular posts from this blog

কপার(Cu) ও ক্রোমিয়ামের(Cr) ইলেকট্রন বিন্যাস ব্যতিক্রম কেন?

মুক্তজোড় ইলেকট্রন ও বন্ধন জোড় ইলেকট্রন কাকে বলে।

জারণ সংখ্যা নির্ণয়ের সহজ পদ্ধতি।

COD ও BOD কাকে বলে?

জারক ও বিজারক কাকে বলে? কিভাবে জারক ও বিজারক সহজেই চেনা যায়।

সালফার পরিবর্তনশীল যোজনী প্রদর্শন করে কেন?

প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড ও সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ কাকে বলে?

মোলার গ্যাস ধ্রুবক এবং এর মাত্রা, তাৎপর্য ও মান নির্ণয়।

প্রতীক ও সংকেতের মধ্যে পার্থক্য কি?

রাদারফোর্ড ও বোর পরমাণু মডেলের মধ্যে তুলনা।