Posts

Showing posts from June, 2021

স্টার্চ কী?

স্টার্চ কী? স্টার্চ হচ্ছে α-D- গ্লুকোজের পলিমার। অনেকগুলি α-D-গ্লুকোজ অণু α-গ্লাইকোসাইড বন্ধনের মাধ্যমে স্টার্চ গঠন করে।  তবে স্টার্চ অ্যামাইলোজ ও অ্যামাইলোপেকটিন নামক দুটি পলিস্যাকারাইড এর সমন্বয়ে গঠিত শাখা শিকল।  এতে  অ্যামাইলোজ  10 - 20% ও  অ্যামাইলোপেকটিন  80 - 90% বিদ্যমান থাকে। 

সেলুলোজ কি?

সেলুলোজ কি? সেলুলোজ হলো  β-D- গ্লুকোজের পলিমার। β-D- গ্লুকোজের একটি অনুর এক নম্বর কার্বন (C₁) এর সাথে অপর একটি β-D- গ্লুকোজ অনুর  4নম্বর কার্বন (C₄) β-গ্লাইকোসাইড বন্ধনের মাধ্যমে সেলুলোজ গঠিত হয়।  রাসায়নিকভাবে সেলুলোজ হলো গ্লাইকোসাইড বন্ধন দ্বারা গঠিত গ্লুকোজের সরল রৈখিক পলিমার। এতে 3000 থেকে 25000 একক  β-D-গ্লুকোজ অনু বিদ্যমান থাকে।

অলিগোস্যাকারাইড কাকে বলে?

অলিগোস্যাকারাইড কাকে বলে?  যে সমস্ত পলিস্যাকারাইডকে আর্দ্র বিশ্লেষণ করলে নির্দিষ্ট সংখ্যক  (২ থেকে ৯ টি মনোস্যাকারাইড) মনোস্যাকারাইড পাওয়া যায় সেই সকল পলিস্যাকারাইডকে অলিগোস্যাকারাইড বলে।  যেমনঃ ডাইস্যাকারাইড, ট্রাইস্যাকারাইড ইত্যাদি।

পলিস্যাকারাইড কাকে বলে?

পলিস্যাকারাইড কাকে বলে? যেসকল কার্বোহাইড্রেটকে আর্দ্র বিশ্লেষণ করে অনেকগুলি মনোস্যাকারাইড অণু পাওয়া যায় তাদেরকে পলিস্যাকারাইড বলে।  এরা পানিতে অদ্রবণীয় ও স্বাদহীন। যেমনঃ স্টার্চ, সেলুলোজ ইত্যাদি।

ডাইস্যাকারাইড কাকে বলে?

ডাইস্যাকারাইড কাকে বলে? যেসকল কার্বোহাইড্রেটকে আর্দ্র বিশ্লেষণ করে দুটি মনোস্যাকারাইড অণু পাওয়া যায় তাদেরকে ডাইস্যাকারাইড বলে।  যেমনঃ ইক্ষু চিনি (C₁₂H₂₂O₁₁)। একে পানি দ্বারা আর্দ্রবিশ্লেষিত করলে সমপরিমাণ গ্লুকোজ (C₆H₁₂O₆) ও ফ্রুক্টোজ (C₆H₁₂O₆) পাওয়া যায়।

মনোস্যাকারাইড কাকে বলে?

মনোস্যাকারাইড কাকে বলে?  যেসকল কার্বোহাইড্রেটকে পানি বিশ্লেষণের দ্বারা ক্ষুদ্রতর অণুতে পরিণত করা যায় না তাদেরকে মনোস্যাকারাইড বলে। এদের সাধারণ সংকেত  (Cn H₂n On) এবং তাদের অণুতে তিন হতে আটটি কার্বন পরমাণু থাকতে পারে।  যেমনঃ পেন্টোজ (C₅H₁₀O₅), গ্লুকোজ (C₆H₁₂O₆) ইত্যাদি।

অশর্করা বা নন সুগার কাকে বলে?

অশর্করা বা নন সুগার কাকে বলে?  অদানাদার, অদ্রবণীয় এবং স্বাদহীন পলিস্যাকারাইডকে অশর্করা বা নন সুগার বলে। এদের আণবিক সংকেত জানা থাকে না।  যেমনঃ স্টার্চ, সেলুলোজ ইত্যাদি।

শর্করা বা সুগার কাকে বলে?

শর্করা বা সুগার কাকে বলে?  মনোস্যাকারাইড ও ডাইস্যাকারাইড কে শর্করা বা সুগার বলে। এরা দানাদার পদার্থ। পানিতে দ্রবণীয় ও স্বাদে মিষ্টি। এদের আণবিক সংকেত জানা থাকে।  যেমনঃ গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ ইত্যাদি।

কার্বোহাইড্রেট কি?

কার্বোহাইড্রেট কি? কার্বোহাইড্রেট হলো পলিহাইড্রক্সি অ্যালডিহাইড বা কিটোন অথবা এমন সব জৈব যৌগ যাদেরকে আর্দ্র বিশ্লেষণ করলে পলিহাইড্রোক্সি অ্যালডিহাইড বা পলিহাইড্রোক্সি কিটোন উৎপন্ন হয়।  কার্বোহাইড্রেট দুই প্রকারঃ  ১. শর্করা বা চিনি  ২. অশর্করা বা ননসুগার।

স্টার্চের গঠন আলোচনা কর।

Image
স্টার্চের গঠন আলোচনা কর।  স্টার্চ হচ্ছে α-D- গ্লুকোজের পলিমার। তবে স্টার্চ অ্যামাইলোজ ও অ্যামাইলোপেকটিন নামক দুটি পলিস্যাকারাইড এর সমন্বয়ে গঠিত। এতে  অ্যামাইলোজ  10 - 20% ও  অ্যামাইলোপেকটিন  80 - 90% বিদ্যমান থাকে।  অ্যামাইলোজঃ   অ্যামাইলোজ হল α-D-  গ্লুকোজের একটি সরল শিকল পলিমার। একটি α-D- গ্লুকোজ অণুর এক নম্বর কার্বনের (C₁) সাথে এবং অপর একটি α-D- গ্লুকোজ অণুর 4 নম্বর কার্বন (C₄) পরস্পরের সাথে α-গ্লাইকোসাইডিক বন্ধন দ্বারা যুক্ত হয়। এরা পানিতে দ্রবণীয় এবং আয়োডিনের সাথে বিক্রিয়া করে নীল বর্ণ ধারণ করে।  এতে 60 থেকে 300 একক গ্লুকোজ অণু বিদ্যমান থাকে।  অ্যামাইলোপেকটিনঃ    স্টার্চের এ অংশ α-D-গ্লুকোজের একটি শাখাযুক্ত পলিমার।  একটি শিকলের এক নম্বর কার্বন (C₁) এবং অপর একটি শিকলের 6 নম্বর কার্বন (C₆) পরমাণু পরস্পরের সাথে α-গ্লাইকোসাইড বন্ধন দ্বারা শাখাযুক্ত শিকল গঠন করে।  এরা পানিতে অদ্রবণীয় এবং আয়োডিনের সাথে লাল বর্ণ ধারণ করে।  এতে 300-600 একক গ্লুকোজ অনু বিদ্যমান থাকে।

সেলুলোজ এর গঠন আলোচনা করো।

Image
সেলুলোজ এর গঠন আলোচনা করো।  সেলুলোজ হলো  β-D- গ্লুকোজের পলিমার। β-D- গ্লুকোজের একটি অনুর এক নম্বর কার্বন (C₁) এর সাথে অপর একটি β-D- গ্লুকোজ অনুর  4নম্বর কার্বন (C₄) β-গ্লাইকোসাইড বন্ধনের মাধ্যমে সেলুলোজ গঠিত হয়।  রাসায়নিকভাবে সেলুলোজ হলো গ্লাইকোসাইড বন্ধন দ্বারা গঠিত গ্লুকোজের সরল রৈখিক পলিমার। এতে 3000 থেকে 25000 একক  β-D-গ্লুকোজ অনু বিদ্যমান থাকে। সেলুলোজকে গাঢ় এসিডের সাথে দীর্ঘক্ষন উত্তপ্ত করলে গ্লুকোজ পাওয়া যায়।  আবার, সেলুলোজকে আংশিক আর্দ্র বিশ্লেষণ করলে সেলুডেকট্রিন, সেলোবায়োজ ও গ্লুকোজের মিশন পাওয়া যায়।  সেলুলোজ আয়োডিনের সাথে কোন বিক্রিয়া করে না।

পলিস্যাকারাইড কাকে বলে?

পলিস্যাকারাইড কাকে বলে?   যেসব কার্বোহাইড্রেটকে আর্দ্র বিশ্লেষণ করলে বহুসংখ্যক মনোস্যাকারাইড উৎপন্ন হয় তাদেরকে পলিস্যাকারাইড বলে।  যেমনঃ স্টার্চ, সেলুলোজ, প্রোটিন, নিউক্লিক এসিড ইত্যাদি।

পলিস্যাকারাইড কিভাবে গঠিত হয়?

পলিস্যাকারাইড কিভাবে গঠিত হয়?  উদ্ভিদ জগতের প্রধান দুটি পলিস্যাকারাইড হলো স্টার্চ ও সেলুলোজ।  সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ এ দুটি পলিস্যাকারাইড প্রস্তুত করে। এসকল পলিস্যাকারাইডের মনোমার বা ক্ষুদ্র একক অণু গ্লুকোজ। উদ্ভিদের সবুজ পাতায় ক্লোরোফিল ও সূর্যালোকের প্রভাবে বায়ু থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও মাটি থেকে মূলের মাধ্যমে সংগৃহীত পানি রাসায়নিক ভাবে পরিবর্তিত হয়ে গ্লুকোজ (C₆H₁₂O₆) নামক মনোস্যাকারাইড তৈরি করে। এ পদ্ধতিকে সালোকসংশ্লেষণ বলে।  6CO₂ +6H₂O -----> C₆H₁₂O₆ +6O₂ অন্যদিকে, একই উদ্ভিদে হাজার হাজার গ্লুকোজ অণু পলিমারকরনের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে উদ্ভিদ দেহের গঠন উপাদান সেলুলোজ উৎপন্ন করে।   আবার, ভিন্নভাবে অসংখ্য গ্লুকোজ অণু উদ্ভিদ দেহে যুক্ত হয়ে স্টার্চ অণু সৃষ্টি করে এবং উদ্ভিদের বীজ, রূপান্তরিত মূল ও কান্ডে ভবিষ্যতের খাদ্যরূপে সঞ্চিত হয়।  এইরূপে প্রাকৃতিক পলিস্যাকারাইড স্টার্চ ও সেলুলোজ [(C₆H₁₀O₅)n] গঠিত হয়।  nC₆H₁₂O₆  -----> (C₆H₁₀O₅)n + nH₂O মানুষের পরিপাকতন্ত্রে স্টার্চ ও জীবজন্তুর পরিপাকতন্ত্রে স্টার্চ এবং সেলুলোজ ফারমেন্টেশন প্রক্রিয়ায় গ্লু

প্রাকৃতিক পলিমার কি?

প্রাকৃতিক পলিমার কি?  যে সকল পলিমার প্রাকৃতিক উপায়ে সৃষ্টি হয় তাদেরকে প্রাকৃতিক পলিমার বলে।  প্রকৃতিতে প্রাণী ও উদ্ভিদ বিভিন্ন প্রকার পলিমার গঠন করে। এসকল পলিমার তাদের দেহের গঠন, খাদ্য, বংশগত ধারা সংরক্ষন, দেহের জৈবিক বিক্রিয়ায় প্রভাবক হিসেবে ক্রিয়া সম্পাদন এবং দেহের প্রতিরক্ষামূলক পরিবেশ সৃষ্টি প্রভৃতি ভূমিকা পালন করে।  এসব প্রাকৃতিক পলিমারকে মোটামুটি তিনটি বৃহৎ শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায়।  ১. পলিস্যাকারাইড সমূহ  ২. প্রোটিন সমূহ  ৩. নিউক্লিক অ্যাসিড সমূহ।

বায়ো অণু কি?

বায়ো অণু কি?  জীব দেহের ক্ষুদ্রতম একক হচ্ছে কোষ। যে জৈব অণুসমূহ কোষের ভেতরে অবস্থান করে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নির্দিষ্ট কার্যধারা চালু রাখে তাদেরকে বায়ু অনু বা প্রাণ অনু বলে।  যেমনঃ অ্যামাইনো এসিড, উচ্চতর ফ্যাটি এসিড, গ্লুকোজ, নিউক্লিয়োটাইড ইত্যাদি।

হিলিয়াম নিষ্ক্রিয় গ্যাস কেন?

হিলিয়াম নিষ্ক্রিয় গ্যাস কেন?  যে সব মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসে সর্বশেষ শক্তিস্তরে অষ্টক পূর্ণ থাকে এবং রাসায়নিকভাবে নিষ্ক্রিয়, তাদেরকে নিষ্ক্রিয় গ্যাস বলা হয়।  হিলিয়ামের ইলেকট্রন বিন্যাস  He(2) ----> 1s² এর ইলেকট্রন বিন্যাস থেকে দেখা যায় 1s-অরবিটালে মাত্র দুটি ইলেকট্রন বিদ্যমান থাকে। যা অষ্টক পূর্ণ নয়। তা সত্বেও হিলিয়াম একটি নিষ্ক্রিয় গ্যাস। কারণ হিলিয়ামের প্রথম শক্তিস্তরে 1s-অরবিটাল ইলেক্ট্রন দ্বারা পূর্ণ থাকে এবং প্রথম শক্তিস্তরে অন্য কোন অরবিটাল সম্ভব নয়।  একারনে হিলিয়ামের 1s² ইলেকট্রন বিন্যাস স্থিতিশীল ইলেকট্রন বিন্যাস।  এজন্য এটি কোন ইলেকট্রন আদান প্রদান করেনা বা রাসায়নিকভাবে কোন বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেনা।  এই কারনে হিলিয়াম একটি নিষ্ক্রিয় গ্যাস।  এর অবস্থান প্রথম পর্যায়ে এবং 18 নম্বর গ্রুপে।

হিলিয়াম পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা কত?

হিলিয়াম পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা কত?  হিলিয়াম পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা 2. আমরা জানি, কোন মৌলের পারমাণবিক সংখ্যাই ঐ মৌলের প্রোটন সংখ্যা। যেহেতু হিলিয়ামের পারমাণবিক সংখ্যা 2, সেহেতু এর প্রোটন সংখ্যাও 2.

হিলিয়ামের ইলেকট্রন বিন্যাস।

হিলিয়ামের ইলেকট্রন বিন্যাস।  হিলিয়ামের পারমাণবিক সংখ্যা বা প্রোটন সংখ্যা 2 এবং ভর সংখ্যা 4.    হিলিয়ামের নিউক্লিয়াসে দুইটি প্রোটন এবং নিউক্লিয়াসের বাহিরে প্রথম শক্তিস্তরে s-অরবিটালে দুটি ইলেকট্রন বিদ্যামান থাকে।  হিলিয়ামের ইলেকট্রন বিন্যাস  He(2) -----> 1s².

হিলিয়াম এর যোজনী কত?

হিলিয়াম এর যোজনী কত?  হিলিয়াম পর্যায় সারণির প্রথম পর্যায় এবং 18 নম্বর গ্রুপের মৌল হওয়ায় এর যোজনী শূন্য।   হিলিয়ামের ইলেকট্রন বিন্যাস। আমরা জানি, কোন মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসে তার সর্বশেষ ইলেকট্রনটি যদি s-অরবিটালে প্রবেশ করে, তবে সেই s-অরবিটালে যতটি ইলেকট্রন থাকবে সেই ইলেকট্রন সংখ্যাই ঐ মৌলের যোজনী নির্দেশ করে। সেই অনুযায়ী হিলিয়াম এর যোজনী দুই হওয়ার কথা।  কিন্তু হিলিয়াম যেহেতু নিষ্ক্রিয় গ্যাস, সেহেতু এর যোজনী শূন্য।

হিলিয়ামের প্রতীক।

হিলিয়ামের প্রতীক।  হিলিয়াম শব্দটি গ্রীক শব্দ হেলিয়স থেকে এসেছে। যার অর্থ সূর্য। হিলিয়াম পর্যায় সারণির ১ম পর্যায় এবং ১৮ নং গ্রুপের মৌল। হিলিয়াম অন্য মৌলের চেয়ে ২য় হালকা মৌল। এর প্রতীক He.

হিলিয়াম গ্যাসের আবিষ্কারক।

হিলিয়াম গ্যাসের আবিষ্কারক।   1868 সালে ফরাসি বিজ্ঞানী পিয়েরে জনসেন হিলিয়াম গ্যাস আবিষ্কার করেন।  পরবর্তীতে ব্রিটিশ রসায়নবিদ স্যার এডওয়ার্ড ফ্র্যাংকল্যান্ড এবং স্যার জোসেফ নরম্যান লকইয়ার এর নাম করেন হিলিয়াম। 

হাইড্রোজেন এর যোজনী কত?

হাইড্রোজেন এর যোজনী কত?  হাইড্রোজেন এর যোজনী 1. আমরা জানি, কোন মৌল এর নিকটতম নিষ্ক্রিয় গ্যাস অপেক্ষা যতটি ইলেকট্রন কম অথবা বেশি থাকে সেই ইলেকট্রন সংখ্যাই ঐ মৌলের যোজনী নির্দেশ করে।  যেমনঃ হাইড্রোজেনের নিকটতম নিষ্ক্রিয় গ্যাস হচ্ছে হিলিয়াম (He)। হিলিয়াম অপেক্ষা হাইড্রোজেনের একটি ইলেকট্রন কম আছে। হাইড্রোজেন হিলিয়ামের ইলেকট্রন বিন্যাস অর্জন করতে আরও একটি ইলেকট্রন প্রয়োজন। এজন্য হাইড্রোজেনের যোজনী 1.   অথবা, কোন মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসে এর যোজনী শক্তিস্তরে যতটি বেজোড় ইলেকট্রন থাকে ঐ বেজোড় ইলেকট্রনের সংখ্যাই ঐ মৌলের যোজনী নির্দেশ করে।  এক্ষেত্রে হাইড্রোজেনে ইলেকট্রন বিন্যাস করলে দেখা যায় এর 1s¹ অরবিটাল একটি বিজোড় ইলেকট্রন বিদ্যমান থাকে।  এজন্য হাইড্রোজেন এর যোজনী এক।

হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপাদন।

Image
হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপাদন।  হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপাদনের অনেক পদ্ধতি রয়েছে। তারমধ্যে পানির তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতি অধিকতর সহজ ও লাভজনক পদ্ধতি।  তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে পানির নিম্নমুখী অপসারণ দ্বারা হাইড্রোজেন গ্যাস প্রস্তুত করা হয়। এক্ষেত্রে দুটি টেস্টটিউবকে পানি দ্বারা পূর্ণ করে উলম্বভাবে একটি পানির পাত্রে স্থাপন করা হয়। টেস্টটিউব দুটির মুখে তড়িৎদ্বার হিসেবে প্লাটিনাম পাত ববহার করা হয়। এখন নিম্ন বিভবের বিদ্যুৎ পানির মধ্যে চালনা করলে পানির তড়িৎ বিশ্লেষণ ঘটে। এতে করে অ্যানোডে অক্সিজেন গ্যাস ও ক্যাথোডে হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন হয়। অ্যানোড ও ক্যাথোডে উৎপন্ন গ্যাসের চাপের কারণে টেস্ট টিউবের খোলা মুখ দিয়ে পানি বের হয়ে আসে।  এভাবে হাইড্রোজেন গ্যাস প্রস্তুত করা হয়। 4H₂O <------> 4OH-  + 4H+ অ্যানোড বিক্রিয়াঃ 4OH-  ------> 2H₂O + O₂ ক্যাথোড বিক্রিয়াঃ 4H+  ------> 2H₂ 

হাইড্রোজেন গ্যাসের ব্যবহার।

হাইড্রোজেন গ্যাসের ব্যবহার।  হাইড্রোজেন গ্যাস বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়।  ১. হাইড্রোজেন গ্যাস নিজে জ্বলে, কিন্তু অপরকে জ্বালায় না বলে একে গ্যাস বেলুনে ব্যবহার করা হয়।  ২. অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন থেকে সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন অর্থাৎ বনস্পতি ঘি তৈরি করতে হাইড্রোজেন ব্যবহার করা হয়। ৩. কৃত্রিম সার প্রস্তুত করতে হাইড্রোজেন ব্যবহার করা হয়। ৪. কার্বন-ডাই-অক্সাইড হতে মিথানল প্রস্তুত করতে হাইড্রোজেন ব্যবহার করা হয়। ৫. এটি অক্সি-হাইড্রোজেন শিখা তৈরি করতে পারে বলে ঝালাই কাজে ব্যবহার করা হয়।  এক্ষেত্রে প্রায় 2000 ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা উৎপন্ন হয়। ৬. এটি 5000 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপ সৃষ্টি করতে পারে বলে একে হাইড্রোজেন টর্চ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ৭. পরীক্ষাগারে বিজারক হিসেবে হাইড্রোজেন ব্যবহার করা হয়। ৮. হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড উৎপাদনে হাইড্রোজেন ব্যবহার করা হয়। ৯. এটি পরিবেশকে দূষিত করে না বলে বর্তমানে জ্বালানীর বিকল্প হিসেবে হাইড্রোজেন গ্যাস ব্যবহারের প্রচেষ্টা চলছে। ১০. গ্রীন হাউজ গ্যাসের নির্গমন কমানোর ক্ষেত্রে এটি অবদান রাখে।

হাইড্রোজেন আবিষ্কার

হাইড্রোজেন আবিষ্কার   1766 খ্রিস্টাব্দে এইচ. ক্যাভেনডিশ সবচেয়ে হালকা মৌল হাইড্রোজেন আবিষ্কার করেন। এর প্রতীক H.

হাইড্রোজেন বোমা?

হাইড্রোজেন বোমা?  নিউক্লিয়ার ফিউশন বিক্রিয়ার মাধ্যমে যে শক্তি উৎপন্ন হয় তা দ্বারা হাইড্রোজেন বোমা তৈরি করা হয়।  যে নিউক্লিয় বিক্রিয়ায় ছোট ছোট নিউক্লিয়াস যুক্ত হয়ে অপেক্ষাকৃত বড় নিউক্লিয়াসে পরিণত হয় তাকে নিউক্লিয়ার ফিউশন বিক্রিয়া বলে। যেমনঃ   ₁²H+₁³H ----->₂⁴He +₀¹n + শক্তি  হাইড্রোজেন বোমার বিশেষত্ব হচ্ছে এটি শুধু জীবন্ত প্রাণীকে ধ্বংস করে। কিন্তু দালানকোঠা বা ঘরবাড়ির কোন ক্ষতি করে না।

হাইড্রোজেনের একটি পরমাণুর ভর কত?

হাইড্রোজেনের একটি পরমাণুর ভর কত?  হাইড্রোজেন পর্যায় সারণির প্রথম পর্যায় ও এক নম্বর গ্রুপের মৌল। এটি পর্যায় সারণির সবচেয়ে হালকা এবং গ্যাসীয় মৌল।  হাইড্রোজেনের একটি পরমাণুর ভর 1.008

হাইড্রোজেনের আইসোটোপ কয়টি?

হাইড্রোজেনের আইসোটোপ কয়টি? একই মৌলের বিভিন্ন ভরযুক্ত পরমানু গুলিকে তাদের আইসোটোপ বলে। হাইড্রোজেনের মোট সাতটি আইসোটোপ রয়েছে। এগুলি হলঃ ¹H, ²H, ³H, ⁴H, ⁵H, ⁶H, ⁷H.  এরমধ্যে  ¹H, ²H, ³H,  এই তিনটি আইসোটোপ প্রাকৃতিক। বাকি আইসোটোপ গুলি পরীক্ষাগারে কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়।

হাইড্রোজেন কি ধাতু?

হাইড্রোজেন কি ধাতু? হাইড্রোজেন হচ্ছে অধাতু। কারণ, হাইড্রোজেনের ধাতুর মত বৈশিষ্ট্য যেমনঃ আঘাত করলে শব্দ হয় না, উজ্জ্বল নয়, ঘাত সহনশীল নয়। এটি সবচেয়ে হালকা দ্বি-মৌলিক গ্যাস। এই কারণে হাইড্রোজেন ধাতু নয়, বরং হাইড্রোজেন একটি অধাতব মৌল।

হাইড্রোজেন কি দাহ্য?

হাইড্রোজেন কি  দাহ্য? যে সকল পদার্থ আগুন বা তাপের সংস্পর্শে জ্বলে ওঠে অর্থাৎ আগুন ধরে যায় তাদেরকে দাহ্য পদার্থ বলে।  হাইড্রোজেন একটি দাহ্য পদার্থ। কারণ এটি অক্সিজেনের সংস্পর্শে জ্বলে ওঠে। তবে হাইড্রোজেন নিজে জ্বলে, কিন্তু অপরকে জ্বালাতে সাহায্য করে না।

হাইড্রোজেন কি?

হাইড্রোজেন কি? হাইড্রোজেন হচ্ছে সবচেয়ে হালকা, গ্যাসীয়, অধাতব মৌল। এটি পর্যায় সারণির প্রথম পর্যায় এবং এক নম্বর গ্রুপে অবস্থান করে।  এর পারমাণবিক সংখ্যা 1.  পারমাণবিক ভর সংখ্যা 1.00 8. হাইড্রোজেনের প্রতীক H.  হাইড্রোজেন অনুর সংকেত H₂ . হাইড্রোজেন এর ইলেকট্রন বিন্যাস H(1) ----> 1s¹ ।

Popular posts from this blog

কপার(Cu) ও ক্রোমিয়ামের(Cr) ইলেকট্রন বিন্যাস ব্যতিক্রম কেন?

মুক্তজোড় ইলেকট্রন ও বন্ধন জোড় ইলেকট্রন কাকে বলে।

জারণ সংখ্যা নির্ণয়ের সহজ পদ্ধতি।

COD ও BOD কাকে বলে?

জারক ও বিজারক কাকে বলে? কিভাবে জারক ও বিজারক সহজেই চেনা যায়।

সালফার পরিবর্তনশীল যোজনী প্রদর্শন করে কেন?

প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড ও সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ কাকে বলে?

মোলার গ্যাস ধ্রুবক এবং এর মাত্রা, তাৎপর্য ও মান নির্ণয়।

প্রতীক ও সংকেতের মধ্যে পার্থক্য কি?

রাদারফোর্ড ও বোর পরমাণু মডেলের মধ্যে তুলনা।