Posts

Showing posts from November, 2021

অ্যামোনিয়ার শিল্পোৎপাদনে হেবার প্রণালী মূলনীতি সহ বর্ণনা কর।

Image
অ্যামোনিয়ার শিল্পোৎপাদনে হেবার প্রণালী মূলনীতি সহ বর্ণনা কর।  মূলনীতিঃ উচ্চ তাপমাত্রায় ও উচ্চচাপে 1 মোল নাইট্রোজেন(N₂) গ্যাস ও 3 মোল হাইড্রোজেন(H₂) গ্যাস বিক্রিয়া করে 2 মোল অ্যামোনিয়া(NH₃) গ্যাস উৎপন্ন হয়।  N₂(g) + 3H₂(g) <-----> 2NH₃ (g) + 92kj/mol বিক্রিয়াটি উভমুখী, তাপ উৎপাদী এবং আয়তন সংকোচনের মাধ্যমে ঘটে।  উৎপাদন প্রণালীর বর্ণনাঃ বিশুদ্ধ নাইট্রোজেন ও হাইড্রোজেনের ১ঃ৩ আয়তনে মিশ্রিত করে 550 ডিগ্রি সেলসিয়াস অত্যানুকুল তাপমাত্রা, 200 বায়ুমন্ডলীয় অত্যানুকুল চাপে, লৌহচূর্ণ (Fe) প্রভাবক ও মলিবডেনাম (Mo) সহায়ক প্রভাবক সম্বলিত প্রকোষ্ঠে চালনা করা হয়। এতে নাইট্রোজেন ও হাইড্রোজেন এর 15% - 20% যুক্ত হয়ে অ্যামোনিয়া গ্যাস উৎপন্ন করে। উৎপন্ন অ্যামোনিয়া ও অপরিবর্তিত নাইট্রোজেন ও হাইড্রোজেন মিশ্রণকে শীতল কুন্ডলীতে চালনা কর হয়। ফলে অ্যামোনিয়া গ্যাস তরলীভূত হয়ে তরল অ্যামোনিয়া পাত্রে জমা হয়। কিন্তু অবশিষ্ট অপরিবর্তিত নাইট্রোজেন ও হাইড্রোজেন গ্যাসকে পুনরায় পেষণ যন্ত্রে সরবরাহ করা হয় এবং নতুন গ্যাস মিশনসহ পুনরায়  অ্যামোনিয়া উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। এভাবে প্রক্রিয়াটি

পরীক্ষাগারে অ্যামোনিয়া গ্যাস প্রস্তুতি।

Image
পরীক্ষাগারে অ্যামোনিয়া গ্যাস প্রস্তুতি।  মূলনীতিঃ পরীক্ষাগারে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড ও চুন / ক্যালসিয়াম অক্সাইড/ কুইকলাইম (CaO) অথবা কলিচুন/ স্ল্যাকেড লাইম/ ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইডের {Ca(OH)₂} মিশ্রনকে উত্তপ্ত করলে অ্যামোনিয়া (NH₃) গ্যাস উৎপন্ন হয়।  বিক্রিয়াঃ 2NH₄Cl + CaO ----> 2NH₃ + CaCl₂ + H₂O 2NH₄Cl + Ca(OH)₂ ----> 2NH₃ + CaCl₂ + 2H₂O বর্ণনাঃ একটি টেস্টটিউবে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড ও এর দ্বিগুণ পরিমাণ শুষ্ক কলিচুন বা চুন নেওয়া হয়। এরপর টেসটিউবের মুখে কর্কের সাহায্যে একটি নির্গম নল যুক্ত করে টেস্টটিউবটিকে স্ট্যান্ডের সাথে আটকানো হয়। এবার টেস্টটিউবটিকে ধীরেধীরে উত্তপ্ত করলে অ্যামোনিয়া গ্যাস উৎপন্ন হয়। অ্যামোনিয়া গ্যাস শ্বাসরোধী ও বায়ুর থেকে হালকা হওয়ায় পানির নিম্নমুখী অপসারন দ্বারা গ্যাসজারে সংগ্রহ করা হয়।

নাইট্রোজেন চক্রের বর্ণনা।

নাইট্রোজেন চক্রের বর্ণনা।  বায়ুমন্ডলের নাইট্রোজেন বায়ুমণ্ডল হতে মাটি ও উদ্ভিদে, উদ্ভিদ হতে প্রাণীদেহে আবার প্রাণী ও উদ্ভিদের মৃত্যুর পর পুনরায় বায়ুমন্ডলে ফিরে আসে। নাইট্রোজেন চলার এই চক্রাকার পথকে নাইট্রোজেন চক্র বলে।  এই প্রক্রিয়াটি নিম্নরূপে সংঘটিত হয়।  ১. বায়ু হতে মাটিতেঃ বজ্রপাতের সময় বিদ্যুৎক্ষরণের ফলে বায়ুর নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন যুক্ত হয়ে NO₂ উৎপন্ন করে। NO₂ পানির সাথে বিক্রিয়া করে HNO₃ তৈরি করে এবং মাটিতে পতিত হয়। মাটিতে থাকা ধাতব আয়নের সাথে যুক্ত হয়ে নাইট্রেট লবণ গঠন করে।  ২. মাটি ও বায়ু হতে উদ্ভিদেঃ উদ্ভিদ মাটি হতে নাইট্রেট লবন আকারে নাইট্রোজেন গ্রহণ করে এবং উদ্ভিজ্জ প্রোটিনে রূপান্তরিত করে। কিছু লিগুমিনাস জাতীয় উদ্ভিদ যেমন- সিম, মটর, ছোলা ইত্যাদির শিকড়ে থাকা সিম্বায়টিক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা বায়ু হতে সরাসরি নাইট্রোজেন গ্রহণ করে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন উৎপন্ন করে।  ৩. উদ্ভিদ থেকে প্রাণী দেহেঃ প্রাণী খাদ্য হিসাবে সরাসরি উদ্ভিজ্জ প্রোটিন গ্রহণ করে। এছাড়া তৃণভোজী প্রাণী খাদ্যরূপে উদ্ভিদ গ্রহণ করে। আবার মাংসভোজী প্রাণী তৃণভোজী প্রাণীর মাংস খায়। এভাবে উদ্ভিজ্জ

উদ্ভিদ কিভাবে নাইট্রোজেন গ্রহণ করে।

উদ্ভিদ কিভাবে নাইট্রোজেন গ্রহণ করে।  নাইট্রোজেন উদ্ভিদের মুখ্য পুষ্টি উপাদান গুলির মধ্যে একটি।  উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য আমরা নাইট্রোজেনের উৎস হিসাবে মাটিতে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করি। ইউরিয়া সারে 46% নাইট্রোজেন থাকে। ইউরিয়া সার মাটিতে নাইট্রেট লবণ গঠন করে। প্রথমে ইউরিয়া মাটির পানির সাথে বিক্রিয়া করে অ্যামোনিয়া গঠন করে। পরে মাটিতে থাকা নাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়া জারিত হয়ে HNO₃ এ পরিনত হয়।  NH₂-CO-NH₂ + H₂O ----> 2NH₃ + CO₂ NH₃ -----> HNO₃   এছাড়াও বায়ুমন্ডলের নাইট্রোজেন বিদ্যুৎক্ষরণ ও বৃষ্টির পানির মাধ্যমে নাইট্রিক অ্যাসিডরূপে (HNO₃) ভূপৃষ্ঠে পতিত হয়। উৎপন্ন নাইট্রিক অ্যাসিড মাটির ক্ষারীয় পদার্থ চুন বা চুনাপাথরের সাথে বিক্রিয়া করে পানিতে দ্রবণীয় নাইট্রেট লবন উৎপন্ন করে মাটিতে মিশে যায়। এসব নাইট্রেট লবন উদ্ভিদ শিকড়ের মাধ্যমে খনিজ লবণ হিসেবে পানির সাথে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। এই নাইট্রোজেন উদ্ভিদ অ্যামাইনো এসিডে রূপান্তর করে। N₂ + O₂ -----> 2NO 2NO + O₂ ---> 2NO₂ 4NO₂ + 2H₂O + O₂ ----> 4HNO₃ CaO + 2HNO₃ ----> Ca(NO₃)₂ + H₂O MgO + 2HNO₃ ----> Mg(NO₃)

নাইট্রোজেন চক্র কী?

নাইট্রোজেন চক্র কী?  বায়ুর নাইট্রোজেন উদ্ভিদ ও প্রাণী দেহের ভেতর দিয়ে আবার বায়ুতে ফিরে আসে। নাইট্রোজেন চলার এই পথকে নাইট্রোজেন চক্র বলে।  নাইট্রোজেন উদ্ভিদের মুখ্য পুষ্টি উপাদান। নাইট্রোজেন অ্যামাইনো এসিডের পলিমার হিসাবে প্রাণী দেহে প্রোটিন তৈরি করে। প্রাণীসমূহ তাদের প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেন উদ্ভিদ থেকে গ্রহণ করে। উদ্ভিদ মাটি থেকে নাইট্রেট লবন হিসেবে নাইট্রোজেন গ্রহণ করে।  নাইট্রোজেনের প্রধান উৎস বায়ুমণ্ডল। বিদ্যুৎক্ষরণের ফলে বায়ুমন্ডলের নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন যুক্ত হয়ে NO₂ সৃষ্টি হয়। যা পানির সাথে বিক্রিয়া করে নাইট্রিক অ্যাসিড তৈরি করে। এই নাইট্রিক অ্যাসিড বৃষ্টির সঙ্গে মাটিতে পতিত হয় এবং নাইট্রেট লবণ গঠন করে। এরূপে নাইট্রোজেন বায়ু হতে মাটিতে, মাটি থেকে উদ্ভিদে, উদ্ভিদ থেকে জীবদেহে প্রবেশ করে। উদ্ভিদ ও প্রাণীর মরনের পর পুনরায় নাইট্রোজেন মাটিতে ফিরে আসে। আবার মাটি হতে বায়ুমণ্ডলে চলে যায়। এই প্রাকৃতিক চক্রাকার পদ্ধতি সর্বদায় চলে। বায়ুমণ্ডল ও বায়ুর মধ্যকার নাইট্রোজেনের এ ধরনের চক্রাকারে আবর্তনকে নাইট্রোজেন চক্র বলে।

বার্কল্যান্ড আইডের পদ্ধতিতে নাইট্রিক এসিড উৎপাদন।

বার্কল্যান্ড আইডের পদ্ধতিতে নাইট্রিক এসিড উৎপাদন। বার্কল্যান্ড আইডের পদ্ধতিতে 3000 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বায়ুমন্ডলের নাইট্রোজেন ও অক্সিজেনকে উত্তপ্ত করলে NO উৎপন্ন হয়। যা পরে 50 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় জারিত হয়ে NO₂ উৎপন্ন হয়। এই NO₂ পানির সাথে বিক্রিয়া করে নাইট্রিক এসিড ( HNO₃)  উৎপন্ন করে। N₂ + O₂ -----> 2NO 2NO + O₂ ---> 2NO₂ 4NO₂ + 2H₂O + O₂ ----> 4HNO₃

কৃত্রিম ভাবে নাইট্রোজেন ফিক্সেশন বা আবদ্ধকরণ কী?

কৃত্রিম ভাবে নাইট্রোজেন ফিক্সেশন বা আবদ্ধকরণ কী?  কৃত্রিমভাবে বায়ুমণ্ডলের নাইট্রোজেনকে আবদ্ধ করে রাখার পদ্ধতিকে কৃত্রিম নাইট্রোজেন ফিক্সেশন বলে।  কৃত্রিম ভাবে নাইট্রোজেন ফিক্সেশন  কয়টি পদ্ধতিতে করা হয়।  ১. হেবার পদ্ধতিতে অ্যামোনিয়ারুপে নাইট্রোজেন ফিক্সেশনঃ  হেবার পদ্ধতিতে প্রায় 200 বায়ুমন্ডলীয় চাপে ও 550 ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় Fe চূর্ণ প্রভাবকের সহায়তায় বায়ুমণ্ডলীয় নাইট্রোজেনকে হাইড্রোজেন এর সাথে বিক্রিয়ার মাধ্যমে অ্যামোনিয়া রূপে ফিক্সেশন করা হয়। এখানে মলিবডেনাম(Mo) প্রভাবক সহায়ক হিসেবে কাজ করে। N₂ + 3H₂ -----> 2NH₃ ২. ক্যালসিয়াম সায়ানামাইডরূপে ফিক্সেশনঃ  বায়ুমণ্ডলের নাইট্রোজেনকে প্রায় 1000 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় উত্তপ্ত ক্যালসিয়াম কার্বাইড (CaC₂) এর উপর দিয়ে চালনা করলে ক্যালসিয়াম সায়ানামাইড (CaNCN) ও কার্বন গুড়ার মিশ্রণ উত্তর উৎপন্ন হয়।  CaC₂ + N₂ ------> CaNCN + C ৩. নাইট্রিক এসিডেরুপে ফিক্সেশনঃ বার্কল্যান্ড আইডের পদ্ধতিতে 3000 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বায়ুমন্ডলের নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন কে উত্তপ্ত করলে NO উৎপন্ন হয় যা

প্রাকৃতিক নাইট্রোজেন ফিক্সেশন বা আবদ্ধকরন কী?

প্রাকৃতিক নাইট্রোজেন ফিক্সেশন বা আবদ্ধকরন কী?  বায়ুমন্ডলের নাইট্রোজেন প্রাকৃতিক ভাবে মটর, ছোলা, শিম, মটরশুটি প্রভৃতি লিগুমিনাস জাতীয় উদ্ভিদের শেকড়ে যে সিম্বায়োটিক ব্যাকটেরিয়া থাকে তার সাহায্যে উদ্ভিদ বায়ু থেকে সরাসরি নাইট্রোজেন গ্রহণ করে এবং উদ্ভিজ্জ প্রোটিন হিসেবে নাইট্রোজেন ফিক্সেশন বা আবদ্ধ করে রাখে।  এছাড়া বজ্রপাতের সময় বিদ্যুৎক্ষরণে উৎপন্ন 3000ºC তাপমাত্রায় বায়ুর নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন বিক্রিয়া করে NO উৎপন্ন করে যা পরে 50ºC তাপমাত্রায় জারিত হয়ে NO₂ উৎপন্ন করে।  বৃষ্টির পানির সাথে NO₂ বিক্রিয়া করে HNO₃ গঠন করে যা মাটির ক্ষারীয় পদার্থ চুন বা চুনাপাথর প্রভৃতির সাথে বিক্রিয়া করে ধাতব নাইট্রেট গঠন করে মাটিতে জমা হয়। এতে প্রায় 20% নাইট্রোজেন বিদ্যমান থাকে।  N₂ + O₂ --------> 2NO 2NO + O₂ ------> 2NO₂ 2NO₂ +O₂ +2HNO₃ ----->4HNO₃ CaCO₃+ 2HNO₃ ----> Ca(NO₃)₂ + CO₂ + H₂O

নাইট্রোজেন ফিক্সেশন বা আবদ্ধকারণ কি?

নাইট্রোজেন  ফিক্সেশন  বা আবদ্ধকারণ কি?  বায়ুমণ্ডলের মুক্ত নাইট্রোজেনকে যে পদ্ধতিতে নাইট্রোজেন যৌগে পরিণত করে এবং ব্যবহার উপযোগী করে আবদ্ধ রাখা যায় তাকে নাইট্রোজেন ফিক্সেশন বা আবদ্ধকারণ বলে। নাইট্রোজেন ফিক্সেশনের দুইটি পদ্ধতি-  ১. প্রাকৃতিক ফিক্সেশন।  ২. কৃত্তিম ফিক্সেশন। 

নাইট্রোজেন ও ফসফরাসের বিভিন্ন ধর্মের বৈসাদৃশ্য।

নাইট্রোজেন  ও ফসফরাসের বিভিন্ন ধর্মের বৈসাদৃশ্য।  নাইট্রোজেন ও ফসফরাস এর বিভিন্ন ধর্মের বৈসাদৃশ্য আলোচনা করা হলো-  ১. সক্রিয়তাঃ নাইট্রোজেন এর চেয়ে ফসফরাস অধিক সক্রিয় মৌল।  ২. ভৌত অবস্থাঃ সাধারণ তাপমাত্রায় নাইট্রোজেন গ্যাসীয় পদার্থ। কিন্তু ফসফরাস কঠিন পদার্থ।  ৩. বন্ধন প্রকৃতিঃ নাইট্রজেন ত্রিবন্ধন গঠন করে।  কিন্তু ফসফরাস  ত্রিবন্ধন  গঠন করে না।  ৪. অক্সাইড গঠনঃ নাইট্রোজেন প্রায় 3000ºC তাপমাত্রায় অক্সাইড গঠন করে। কিন্তু ফসফরাস কক্ষ তাপমাত্রায় সহজে জারিত হয়ে অক্সাইড গঠন করে।  ৫. জারণ অবস্থাঃ নাইট্রোজেন স্থায়ী পাঁচটি অক্সাইড N₂O ; NO ; N₂O₃ ; N₂O₄ ; N₂O₅ গঠন করে। এদের জারণ সংখ্যা +1, +2, +3, +4, +5 পর্যন্ত প্রদর্শন করে। কিন্তু ফসফরাস স্থায়ী অক্সাইড P₂O₃ ; P₂O₅ গঠন করে যাদের জারণ সংখ্যা +3, +5 হয়।  ৬. পরমাণুকতাঃ নাইটোজেন দ্বিপরমাণুক গ্যাস(N₂)। কিন্তু ফসফরাস একটি অণুতে চারটি পরমাণু থাকে (P₄)।  ৭. হ্যালাইড গঠনঃ নাইটোজেন হ্যালোজেন এর সাথে শুধুমাত্র ট্রাই হ্যালাইড (PX₃) গঠন করে। কিন্তু ফসফরাস হ্যালোজেন এর সাথে ট্রাই  হ্যালাইড (PX₃)  ও পেন্টা হ্যালাইড (PX₅) উভয় গঠন

নাইট্রোজেন ও ফসফরাসের বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে সাদৃশ্য।

নাইট্রোজেন ও ফসফরাসের বিভিন্ন  ধর্মের মধ্যে সাদৃশ্য।  নাইট্রোজেন ও ফসফরাস এর বিভিন্ন ধর্মের সাদৃশ্য আলোচনা করা হলো- ১. প্রকৃতিঃ নাইট্রোজেন ও ফসফরাস উভয়ে অধাতু এবং বহুরূপতা ধর্ম প্রদর্শন করে।  ২. জারণ অবস্থাঃ নাইট্রোজেন ও ফসফরাস উভয় পরিবর্তনশীল জারণ অবস্থা প্রদর্শন করে।  যেমনঃ নাইট্রোজেনের বিভিন্ন অক্সাইডের জারন অবস্থা +১ থেকে +৫ পর্যন্ত হয় এবং ফসফরাস জারণ অবস্থা +৩ ও +৫ প্রদর্শন করে।  তবে নাইট্রোজেন ও ফসফরাস ধাতু ও হাইড্রোজেন এর সাথে -৩ জারণ অবস্থা প্রদর্শন করে। যেমনঃ Ca₃N₂ , Ca₃P₂ , NH₃ ও PH₃  যৌগে N ও P এর জারন অবস্থা -৩ হয়।  ৩. ইলেকট্রন বিন্যাসঃ নাইট্রোজেন ও ফসফরাস ইলেকট্রন বিন্যাসে সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরে পাঁচটি ইলেকট্রন থাকে।  N(7) ---> 1s² 2s² 2p³ P(15) ---> 1s² 2s² 2P⁶ 3s² 3p³ ৪. বন্ধনঃ নাইট্রোজেন ও ফসফরাস মূলত সমযোজী বন্ধন গঠন করে। তবে Na₃N, Na₃P ইত্যাদি আয়নিক বন্ধনও গঠন করে।  ৫. হাইড্রাইড গঠনঃ নাইট্রোজেন ও ফসফরাস উভয় হাইড্রোজেন এর সাথে হাইড্রাইড গঠন করে। যেমনঃ এমোনিয়া (NH₃) ও ফসফিন (PH₃)।  ৬. ক্লোরাইড গঠনঃ ক্লোরিনের সাথে উভয় ক্লোরাইড গঠন করে। যে

Popular posts from this blog

কপার(Cu) ও ক্রোমিয়ামের(Cr) ইলেকট্রন বিন্যাস ব্যতিক্রম কেন?

মুক্তজোড় ইলেকট্রন ও বন্ধন জোড় ইলেকট্রন কাকে বলে।

জারণ সংখ্যা নির্ণয়ের সহজ পদ্ধতি।

COD ও BOD কাকে বলে?

জারক ও বিজারক কাকে বলে? কিভাবে জারক ও বিজারক সহজেই চেনা যায়।

সালফার পরিবর্তনশীল যোজনী প্রদর্শন করে কেন?

প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড ও সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ কাকে বলে?

মোলার গ্যাস ধ্রুবক এবং এর মাত্রা, তাৎপর্য ও মান নির্ণয়।

প্রতীক ও সংকেতের মধ্যে পার্থক্য কি?

রাদারফোর্ড ও বোর পরমাণু মডেলের মধ্যে তুলনা।