Posts

Showing posts from November, 2019

Ionization Energy ( আয়নিকরণ শক্তি) কি?

Ionization Energy                    (আয়নিকরণ শক্তি) কি? আয়নিকরণ শক্তি ঃ  গ্যাসীয় অবস্থায় এক মোল কোন পরমাণু থেকে এক মোল ইলেকট্রন অপসারণ করে এক মোল একক ধনাত্বক গ্যাসীয় আয়নে পরিনত করতে যে শক্তির প্রয়োজন হয়, তাকে ঐ মৌলের আয়নিকরণ শক্তি বলে।     Na (g)  ----------------> Na+ (g) +   e   1mol.                          1mol.        1mol   এখানে 1mol গ্যাসীয় Na (g) পরমাণু হতে এক মোল ইলেকট্রন অপসারণ করে 1mol একক ধনাত্বক গ্যাসীয় সোডিয়াম আয়নে পরিণত করতে  496kj শক্তির প্রয়োজন হয়। একে সোডিয়ামের আয়নিকরণ শক্তি বলে। আয়নিকরণ শক্তি একটি পর্যায়বৃত্ত ধর্ম।   যে কোন পর্যায়ের বাম থেকে ডানে গেলে আয়নিকরণ শক্তিরমান ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পায়।  আবার যে কোন গ্রুপের উপর থেকে নিচে গেলে আয়নিকরণ শক্তিরমান ক্রমান্বয়ে হ্রাস পায়। পর্যায় ভিত্তিক সম্পর্কঃ   যে কোন পর্যায়ের বাম থেকে ডানে গেলে পরমাণুর আকার ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেতে থাকে। এতে পরমাণুর নিউক্লিয়াস কর্তৃক সর্ববহিঃস্হ শক্তিস্তরের প্রতি আকর্ষন বাড়তে থাকার কারণে আয়নিকরণ শক্তির মানও বাড়তে থাকে।  যেমন- তৃতীয় পর্যায়ের মৌল Na, Mg, Al, Si, P, S, Cl এদের মধ

Size of Atom/ Atomic Radius (পরমাণুর আকার / ব্যাসার্ধ্য)।

Size of Atom/ Atomic Radius (পরমাণুর আকার / ব্যাসার্ধ্য)। পারমাণবিক আকার / ব্যাসার্ধ্য একটি পর্যায়বৃত্ত ধর্ম। যেকোন পর্যায়ের বাম থেকে ডান দিকে গেলে পরমাণুর আকার ক্রমান্বয়ে হ্রাস পায় এবং যেকোন একটি গ্রুপের উপর থেকে যতই নিচের দিকে যাওয়া যায় পরমাণুর আকার / ব্যাসার্ধ্য ততই বৃদ্ধি পায়। পর্যায়ভিত্তিক সম্পর্ক ঃ  একই পর্যায়ের বাম থেকে যত ডান দিকে যাওয়া যায় পারমাণবিক সংখ্যা তত বাড়তে থাকে কিন্তু প্রধান শক্তিস্তরের সংখ্যা বাড়ে না।  অর্থাৎ যেকোন পর্যায়েয় বাম থেকে ডানে গেলে ঐ পর্যায়েয় সকল মৌলের প্রধান শক্তিস্তর একই থাকে। প্রধান শক্তিস্তরের সংখ্যা একই থাকায় মৌলের নিউক্লিয়াস থেকে সর্ববহিস্থঃ শক্তিস্তরের দুরত্ব একই থাকে। পারমাণবিক সংখ্যা বাড়লে নিউক্লিয়াসে প্রোটন সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়। পরমাণুর  নিউক্লিয়াসে প্রোটন সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকলে নিউক্লিয়াস কর্তৃক পরমাণুর  বাইরের শক্তিস্তরের ইলেক্ট্রনের মধ্যে আকর্ষন বৃদ্ধি পেতে থাকে। ফলে ইলেকট্রনগুলির শক্তিস্তর নিউক্লিয়াসের কাছে চলে আসে।  যার কারণে পরমাণুর আকার ছোট হয়ে আসে। গ্রুপভিত্তিক সম্পর্ক ঃ  একই গ্রুপের যতই উপর থেকে নিচে যাওয়া যায় পরমা

অ্যালুমিনিয়ামে কি মরিচা পড়ে?

অ্যালুমিনিয়ামে কি মরিচা পড়ে? অ্যালুমিনিয়াম পর্যায় সারণির ৩য় পর্যায় এবং ১৩ নম্বর গ্রুপে অবস্হিত। এর পারমানবিক সংখ্যা ১৩ ও পারমানবিক ভর সংখ্যা ২৭. লোহার মত অ্যালুমিনিয়ামেও মরিচা  (Al₂O₃) পড়ে। তবে অ্যালুমিনিয়াম লোহার মত ক্ষয় ঘটে না।  কারন অ্যালুমিনিয়াম অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড গঠন করে, যা অ্যালুমিনিয়ামের উপর পাতলা প্রলেপ তৈরি করে।  এই প্রলেপ ভেদ করে অক্সিজেন ভিতরে প্রবেশ করতে পারে না। যার কারনে অ্যালুমিনিয়ামের ক্ষয় হয় ন। কজেই অ্যালুমিনিয়ামে রংয়ের প্রলেপ দেওয়ায় প্রয়োজন হয় না।  4 Al +  3O₂ -------->2 Al₂O₃   আরও পড়ুন

শ্বসন প্রক্রিয়ায় অক্সিজেন প্রয়োজন হয় কেন?

শ্বসন প্রক্রিয়ায় অক্সিজেন প্রয়োজন হয় কেন? আমরা শ্বসন কার্য পরিচালনা করার জন্য ২৪ ঘন্টা বাতাসের অক্সিজেন গ্রহন করছি। বাতাসে বিভিন্ন উপাদান অক্সিজেন,  নাইট্রোজেন, জলীয় বাষ্প,  কার্বন ডাই অক্সাইড ইত্যাদি উপস্হিত থাকে। কিন্তুু আমরা কি কখনও ভেবেছি যে বাতাসের এতগুলি উপাদানের মধ্যে শুধু অক্সিজেনের প্রয়োজন কেন? আমরা খাদ্য হিসেবে উদ্ভিদ থেকে চাল, গম,  আলু, ভুট্টা ইত্যাদি খাদ্যশস্য গ্রহন করি। এসব খাদ্যশস্যে গ্লুকোজ (C₆H₁₂O₆) থাকে। গ্লুকোজ অণু রক্তের মাধ্যমে শরীরের প্রতিটি কোষে পৌঁছে যায়।   অপর দিকে অক্সিজেনও রক্তের মাধ্যমে প্রতিটি কোষে পৌঁছায়। শ্বসন প্রক্রিয়ায় গ্লুকোজ অণু অক্সিজেন দ্বারা জারিত হয়ে কার্বন ডাই অক্সাইড (CO₂) পানি (H₂O) ও শক্তি উৎপন্ন হয়। এ শ্বসন প্রক্রিয়া কোষের মাইট্রোকনড্রিয়ায় ঘটে।  এজন্য মাইট্রোকনড্রিয়াকে কোষের পাওয়ার হাউস বলা হয়। C₆H₁₂O₆ + 6O₂ ---------> 6CO₂ + 6H₂O + শক্তি এ শ্বসন প্রক্রিয়ায় ৩৮ টি ATP উৎপন্ন হয়। যা আমাদের শরীরে তাপ শক্তি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এজন্য শর্করা জাতীয় খাবার গ্লুকোজকে জারিত করতে আমাদের অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়।  তাই আমরা প্রতিনিয়

লবণ কি বা কাকে বলে?

 লবণ কি বা কাকে বলে? লবণ ঃ  ক্ষারের ধনাত্বক অংশ এবং এসিডের ঋনাত্বক অংশ যুক্ত হয়ে যে যৌগ গঠিত হয় তাকে লবণ বলে। KOH + HCl -------->  KCl + H₂O এই বিক্রিয়ায় ক্ষার KOH এর ধনাত্বক অংশ K+ আয়ন এবং HCl এর ঋনাত্বক অংশ Cl- আয়ন যুক্ত হয়ে KCl লবণ গঠন করে। NH₄OH + HCl ------> NH₄Cl + H₂O এখানে অ্যামোনিয়াম হাইড্রোক্সাইড ও হাইড্রোক্লোরিক এসিড বিক্রিয়া অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড ও পানি গঠন করে। বিক্রয়ায় প্রাপ্ত  অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড একটি লবণ। লবণ গুলো আয়নিক যৌগ হয়ে থাকে। আয়নিক যৌগ হওয়ায় এরা কেলাস বা ল্যাটিস গঠন করে। লবণ কঠিন অবস্হায় এর ক্যাটায়ন ও অ্যানায়ন নির্দিষ্ট জ্যামিতিক আকারে সজ্জিত থাকায় এরা কঠিন অবস্হায় বিদ্যুৎ পরিবহন করে না। তবে গলিত বা দ্রবীভূত অবস্হায় বিদ্যুৎ পরিবহন করে। সকল আয়নিক লবণ পানিতে দ্রবনীয়। তবে আমরা খাবার লবণ হিসেবে NaCl (সোডিয়াম ক্লোরাইড) ব্যবহার করি। এ লবণ আমাদের শরীরে ইলেক্টোলাইটের চাহিদা পূরণ করে। অতিরিক্ত লবণ আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। খাবার লবণ আমরা সমূদ্রের পানিকে বাষ্পীভূত করে সংগ্রহ করি। তবে চিলিতে খাবার লবণের খনি রয়েছে। সমূদ্রের পানি থেকে যে লবণ সংগ্রহ

ধাতব বন্ধন কি?

Image
ধাতব বন্ধন কি? ধাতব বন্ধন ঃ  কঠিন অবস্হায় ধাতুর পরমানু গুলি যে আকর্ষন শক্তির মাধ্যমে পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকে তাকে ধাতব বন্ধন বলে।  যেমন - তামার তার, লোহার ছুরি,কাঁচি ইত্যাদি এসবের মধ্যে একই ধাতুর অসংখ্য পরমাণু পরস্পরের সাথে ধাতব বন্ধনের মাধ্যমে আবদ্ধ থাকে। প্রত্যেক ধাতব পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাসে সর্বশেষ শক্তিস্তরে ১টি, ২ টি বা ৩ টি ইলেকট্রন থাকে এবং এদের আকার একই পর্যায়ের অধাতব পরমাণুর চেয়ে বড় হওয়ায় ধাতব পরমাণুর সর্বশেষ শক্তিস্তরের ইলেকট্রনের প্রতি নিউক্লিয়াসের আকর্ষন অনেক কম হয়।  ফলে পরমাণুসমূহ তার সর্বশেষ শক্তিস্তরের এক বা একাধিক ইলেকট্রন ত্যাগ করে ধনাত্মক আধানযুক্ত পারমাণবিক শাঁস গঠন করে। পারমাণবিক শাঁসের মধ্যে ত্যাগকৃত ইলেকট্রনগুলো মুক্তভাবে চলাচল করে।  এই ইলেকট্রনগুলোকে সঞ্চারণশীল ইলেকট্রন বলে। এই সঞ্চারণশীল ইলেকট্রন ধাতব আয়ন গুলির মধ্যে বিকর্ষণ বলকে প্রশমিত করে। এই সঞ্চারণশীল ইলেকট্রনের কারনে ধাতব আয়নগুলো স্থির বৈদ্যুতিক আকর্ষণের মাধ্যমে পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে ধাতব বন্ধন গঠন করে।

কিভাবে ইলেকট্রন বিন্যাস থেকে পর্যায় সারণিতে মৌলের অবস্থান নির্ণয় করা যায়।

Image
কিভাবে ইলেকট্রন বিন্যাস থেকে পর্যায় সারণিতে মৌলের অবস্থান নির্ণয় করা যায়। আমরা মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাস থেকে সহজেই মৌলটির গ্রুপ ও পর্যায় নির্ণয়ের মাধ্যমে পর্যায় সারণিতে তার অবস্হান নির্ণয় করা যায়। পর্যায় বের করার নিয়ম ঃ  কোন মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসে সবচেয়ে বাইরের প্রধান শক্তিস্তরের নম্বরই ঐ মৌলের পর্যায় নম্বর হবে। যেমন - Li এর ইলেকট্রন বিন্যাস   Li (3) --> 1s² 2s¹ Li এর ইলেকট্রন বিন্যাসে সবচেয়ে বাইরের প্রধান শক্তিস্তর 2,  তাই লিথিয়াম 2 নম্বর পর্যায়ের মৌল। Mg এর ইলেকট্রন বিন্যাস                 Mg (12) ---> 1s² 2s² 2p⁶ 3s². Mg এর ইলেকট্রন বিন্যাসে সবচেয়ে বাইরের প্রধান শক্তিস্তর 3,  তাই Mg  3 নম্বর পর্যায়ের মৌল। গ্রুপ বের করার নিয়ম ঃ  কোন মৌলের গ্রুপ বের করার কয়েকটি নিয়ম আছে। নিয়ম -১ ঃ কোন মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসে বাইরের প্রধান শক্তিস্তরে শুধু S - অরবিটাল থাকে তবে ঐ  S - অরবিটালের মোট ইলেকট্রন সংখ্যাই ঐ মৌলের গ্রুপ হবে।   যেমন -  Be এর ইলেকট্রন বিন্যাস  Be (4) ---> 1s²  2s².   Be এর ইলেকট্রন বিন্যাসে সর্বশেষ ইলেকট্রন S - অরবিটালে প্রবেশ করেছে, এবং S - অরবি

মৌলের ল্যাটিন নামকরণ

মৌলের ল্যাটিন নামকরণ সোডিয়াম -- Natrium --- Na পটাশিয়াম --- Kalium ---- K আয়রন --- Ferrum ----- Fe কপার ----  Cuprum ---- Cu সিলভার -- Argentum -- Ag গোল্ড ---- Aurum ------- Au টিন   ---- Stannum ----- Sn এন্টিমনি  --- Stibium --- Sb লেড  --- Plumbum ---- Pb টাংস্টেন --- Wolfram ---- W মারকারি -- Hydrurgyrum -- Hg 

কাঁচা আম টক কিন্তু পাকা আম মিষ্টি হয় কেন? আবার ফল পাকলে হলুদ হয় কেন?

কাঁচা আম টক কিন্তু পাকা আম মিষ্টি হয় কেন? আবার ফল পাকলে হলুদ হয় কেন? কাঁচা আমে বিভিন্ন ধরনের জৈব এসিড থাকে।       যেমন - সাক্সিনিক এসিড, ম্যালেয়িক এসিড প্রভৃতি থাকে,  যার ফলে কাঁচা আম টক।  কিন্তু আম যখন পরিপক্ব হয়ে পেকে যায় তখন আমের মধ্যে থাকা এই এসিডগুলির রাসায়নিক পরিবর্তনের মাধ্যমে গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ তৈরি হওয়ার কারনে কাঁচা আম পাকলে মিষ্টি হয়। কাঁচা আমে ক্লোরোফিল থাকার কারনে কাঁচা আম সবুজ হয়।  কিন্তু কাঁচা আম পাকলে কাঁচা আমে থাকা ক্লোরোফিল রাসায়নিক পরিবর্তনের মাধ্যমে জ্যান্থফিলে পরিনত হওয়ার কারনে কাঁচা আম পাকলে হলুদ হয়।

অণু ও পরমাণু কাকে বলে।

অণু ও পরমাণু কাকে বলে। পরমাণু ঃ  মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা যার মধ্যে মৌলের গুণাগুণ থাকে এবং যা রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশ গ্রহন করে তাকে পরমাণু বলে। যেমন - কার্বন পরমাণুতে কার্বনের ধর্ম বিদ্যামান। অণু ঃ  দুই বা দুইয়ের অধিক সংখ্যক পরমাণু পরস্পরের সাথে রাসায়নিক বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত থাকলে তাকে অণু বলে।   যেমন - হাইড্রোক্লোরিক এসিডে একটি H পরমাণুর সাথে একটি  Cl পরমাণু যুক্ত হয়ে HCl অণু গঠিত হয়।  আবার পানিতে দুটি H পরমাণুর সাথে একটি O পরমাণু যুক্ত হয়ে H₂O অণু গঠিত হয়।

কিভাবে আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর থেকে আপেক্ষিক আণবিক ভর নির্ণয় করা যায়।

Image
কিভাবে আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর থেকে আপেক্ষিক আণবিক ভর নির্ণয় করা যায়। কোন মৌলিক বা যৌগিক পদার্থের অণুতে যে পরমাণুগুলো থাকে তাদের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর নিজ নিজ পরমাণু সংখ্যা দিয়ে গুন করে যোগ করলে প্রাপ্ত যোগফলই হলো ঐ অণুর আপেক্ষিক আনবিক ভর। আপেক্ষিক পারমাণবিক ভরকে পারমাণবিক ভর এবং আপেক্ষিক আনবিক ভরকে আনবিক ভর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেমন - O₂ অণুতে অক্সিজেন পরমাণুর আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর  16 এবং পরমাণুর সংখ্যা  2 কাজেই অক্সিজেনের আপেক্ষিক আনবিক ভর =  16. 2 = 32  

আইসোটোপের শতকরা হার থেকে মৌলের গড় আপেক্ষিক ভর কিভাবে নির্ণয় করা যায়।

Image
আইসোটোপের শতকরা হার থেকে মৌলের গড় আপেক্ষিক ভর কিভাবে নির্ণয় করা যায়। আমরা রসায়নে যে মৌলগুলিকে জানি সেই মৌলগুলির বেশির ভাগেরই একাধিক আইসোটোপ আছে। এই আইসোটোপ গুলি প্রকৃতিতে বিভিন্ন শতকরা পরিমানে উপস্হিত থাকে। এই আইসোটোপ গুলির  প্রকৃতিতে প্রাপ্ত শতকরা হার থেকে মৌলের গড় আপেক্ষিক ভর নির্ণয় করা যায়। প্রকৃতিতে প্রাপ্ত শতকরা হার থেকে মৌলের গড় আপেক্ষিক ভর নির্ণয়ের পদ্ধতি হচ্ছে -  প্রথমে কোন মৌলের প্রত্যেকটি আইসোটোপের ভর সংখ্যা এবং প্রকৃতিতে প্রাপ্ত ঐ আইসোটোপের শতকরা পরিমান গুন দিতে হবে।  এরপর প্রাপ্ত গুনফলগুলিকে যোগ দিতে হবে।  প্রাপ্ত যোগফলকে 100 দ্বারা ভাগ করলেই ঐ মৌলের গড় আপেক্ষিক ভর পাওয়া যাবে। মনেকরি,  A একটি মৌল।  প্রকৃতিতে এর দুটি আইসোটোপের ভর যথাক্রমে m ও n এবং প্রকৃতিতে এদের শতকরা পরিমান যথাক্রমে   p% ও  q% হয় তবে A মৌলটির গড় আপেক্ষিক ভর =(m.p + n.q)/100 হবে। যেমন- প্রকৃতিতে ক্লোরিনের দুটি আইসোটোপ আছে। এর একটি আইসোটোপের ভর- 35 এবং অপর আইসোটোপের ভর - 37,  প্রকৃতিতে ক্লোরিন - 35 আইসোটোপের শতকরা পরিমান - 75% এবং ক্লোরিন- 37 আইসোটোপের শতকরা পরিমান -25% ক্লোরিনের গড় আপেক্ষ

জারক ও বিজারক কাকে বলে? কিভাবে জারক ও বিজারক সহজেই চেনা যায়।

Image
জারক ও বিজারক কাকে বলে? কিভাবে জারক ও বিজারক সহজেই চেনা যায়। জারকঃ  যে সকল রাসায়নিক পদার্থ অন্য রাসায়নিক পদার্থকে জারিত করে এবং সেই সাথে নিজে বিজারিত হয় তাকে জারক বলে।  যেমন - জিংক এবং কপার সালফেটের বিক্রিয়ায় কপার সালফেট জারক হিসেবে কাজ করে। রাসায়নিক বিক্রিয়ার সময় জারক ইলেক্ট্রন গ্রহন করে। Zn +CuSO4 ------>  ZnSO4 +Cu এই বিক্রিয়ায় কপার আয়ন দুটি ইলেক্ট্রন গ্রহন করে কপার ধাতুতে পরিনত হয়েছে। অর্থাৎ কপারের বিজারন ঘটেছে।  বিজারন বিক্রিয়ায় যারা অংশগ্রহন করে তারা জারক।কাজেই এই বিক্রিয়ায় কপার জারক।  জারক যেহেতু ইলেক্ট্রন গ্রহন করে সেহেতু জারকের ধনাত্বক আধান উৎপাদে হ্রাস পায়।  অর্থাৎ সকল জারন- বিজারন বিক্রিয়ায় যে বিক্রিয়কের জারন সংখ্যা বা ধনাত্বক আধান উৎপাদে হ্রাস পায় সেই বিক্রিয়কটিই জারক। কিছু জারকের উদাহরন - সকল অধাতু, হ্যালোজেন, KMnO4, K2Cr2O7, HNO3, গাঢ় H2SO4, SO2, ইত্যাদি। বিজারক ঃ  যে সকল রাসায়নিক পদার্থ অন্য রাসায়নিক পদার্থকে বিজারিত করে এবং সেই সাথে নিজে জারিত হয় তাকে বিজারক বলে। বিজারক পদার্থ রাসায়নিক বিক্রিয়ার সময় ইলেক্ট্রন ত্যাগ করে। জারন বিক্রিয়ায় যারা অংশগ্রহন

বিয়োজন বিক্রিয়া কি?

বিয়োজন বিক্রিয়া কি? বিয়োজন বিক্রিয়া ঃ  যে বিক্রিয়ায় একটি যৌগ ভেঙ্গে একাধিক যৌগ বা মৌলে পরিনত হয় তাকে বিয়োজন বিক্রিয়া বলে। PCl5  ----------> PCl3  +   Cl2 CaCO3 -----------> CaO + CO2 বিয়োজন বিক্রিয়া জারন - বিজারন বিক্রিয়ার অন্তর্ভূক্ত।

নিউক্লিয়ার ফিশন ও নিউক্লিয়ার ফিউশন বিক্রিয়া কি?

নিউক্লিয়ার ফিশন ও নিউক্লিয়ার ফিউশন বিক্রিয়া কি? নিউক্লিয়ার ফিশন ঃ  যে নিউক্লিয়ার প্রক্রিয়ায় দ্রুত গতি সম্পন্ন কোন ক্ষুদ্র কণা দ্বারা কোন বড় এবং ভারী মৌলের নিউক্লিয়াস ভেঙ্গে ছোট ছোট মৌলের নিউক্লিয়াসে পরিণত হয় তাকে নিউক্লিয়ার ফিশন বিক্রিয়া বলে।  যেমন- ইউরেনিয়াম-২৩৫ কে নিউট্রন কণা দ্বারা আঘাত করে বেরিয়াম-১৪১, ক্রিপ্টন - ৯২ এবং নিউট্রন কণা উৎপন্ন হয়। এ ধরনের বিক্রিয়ায় প্রচুর শক্তি উৎপন্ন হয়। পারমানবিক চুল্লিতে নিউক্লিয় ফিশন বিক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। পারমানবিক চুল্লির ভিতরে ফিশন বিক্রিয়ার ফলে যে সকল ক্ষুদ্র মৌল তৈরি হয় সেগুলো উচ্চ গতিসম্পন্ন হয়। এই উচ্চ গতিসম্পন্ন ক্ষুদ্র মৌলগুলো চুল্লির ভিতরে একে অন্যের সাথে এবং দেয়ালে প্রচণ্ড জোরে আঘাত করে ও প্রচুর তাপশক্তি উৎপন্ন করে। এই তাপ চুল্লি থেকে বের নিয়ে এসে সেই তাপ বাষ্প উৎপাদন প্রকোষ্ঠে চালনা করা হয়। এখন ঐ বাষ্পের সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য টারবাইন চালনা করে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়। নিউক্লিয়ার ফিশন বিক্রিয়ার মাধ্যমে এটম বোমা তৈরি করা হয়। নিউক্লিয়ার ফিউশন ঃ  যে নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ায় ছোট ছোট নিউক্লিয়াসসমূহ একত্র হয়ে বড় নিউক্ল

সংযোজন ও সংশ্লেষন বিক্রিয়া কাকে বলে। সংযোজন ও সংশ্লেষন বিক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য কি।

সংযোজন ও সংশ্লেষন বিক্রিয়া কাকে বলে।  সংযোজন ও সংশ্লেষন বিক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য কি। সংযোজন বিক্রিয়াঃ  যে সকল রাসায়নিক বিক্রিয়ায় একাধিক বিক্রিয়ক  নিজেদের মধ্যে যুক্ত হয়ে একটিমাত্র উৎপাদ গঠন করলে তাকে সংযোজন বিক্রিয়া বলে।  যেমন - CaO ও CO₂ নিজেদের মধ্যে যুক্ত হয়ে CaCO₃ গঠন করে।  আবার H₂ ও O₂ নিজেদের মধ্যে যুক্ত হয়ে পানি গঠন করে।  CaO + CO₂   ------->   CaCO₃   2H₂ + O₂    --------->   2H₂O সংশ্লেষন বিক্রিয়াঃ  যেসব সংযোজন বিক্রিয়ায় শুধু মৌলিক পদার্থ যুক্ত হয়ে যৌগ গঠন করে,  তাদেরকে সংশ্লেষণ বিক্রিয়া বলে। H₂  +  Cl₂  --------->  2HCl       C   +   O₂   ---------->  CO₂          4Na + O₂    --------->  2Na₂O          Mg + Cl₂  ---------> MgCl₂ সকল সংশ্লেষন বিক্রিয়া সংযোজন বিক্রিয়া, কিন্তু সকল সংযোজন বিক্রিয়া সংশ্লেষন বিক্রিয়া নয়। কারণ, সংযোজন বিক্রিয়ায় মৌলিক ও যৌগিক উভয় পদার্থ অংশগ্রহন করে।

ব্যাপন ও নিঃসরণ কাকে বলে। কিভাবে সহজেই ব্যাপন হার নির্ণয় করা যায়।

ব্যাপন ও নিঃসরণ কাকে বলে। কিভাবে সহজেই ব্যাপন হার নির্ণয় করা যায়। ব্যাপনঃ  কোন  মাধ্যমে কঠিন, তরল বা গ্যাসীয় পদার্থের স্বতঃস্ফূর্ত ও সমভাবে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়াকে ব্যাপন বলে।  ব্যাপন প্রক্রিয়ায় কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় পদার্থ  উচ্চ ঘনমাত্রার স্হান থেকে নিম্ন ঘনমাত্রার স্থানের দিকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ছড়িয়ে পড়ে।  যেমন - এক গ্লাস স্হির পানিতে এক ফোঁটা লাল রং দিলে দেখা যাবে লাল রং গ্লাসের স্হির পানির মধ্যে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে এবং এক সময় সমস্থ গ্লাসের পানি লাল হয়ে যাবে। আবার ঠান্ডা পানির চেয়ে গরম পানিতে ব্যাপন হার বেশি।  যেমন এক গ্লাস ঠান্ডা পানি এবং এক গ্লাস গরম পানিতে সমান পরিমান KMnO4 যোগ করলে দেখা যাবে গরম পানিতে KMnO4 এর ব্যাপন বেশি হচ্ছে।  আবার, H2, CO2, NH3, N2 সহ আরো অনেক রাসায়নিক পদার্থের ব্যাপন হার সহজেই বের করা যায়। এক্ষেত্রে যে পদার্থের ব্যাপন হার বের করব তার আনবিক ভর  জানা থাকলেই হবে।  যে পদার্থের আনবিক ভর যত কম হবে সেই পদার্থের ব্যাপন হার তত বেশি হবে।  H2  এর আনবিক ভর 2 এবং CO2 এর আনবিক ভর 44.  H2  এর আনবিক ভর CO2 এর আনবিক ভরের চেয়ে কম।  কাজেই H2  এর ব্যাপন

নিউক্লিয়ন সংখ্যা কাকে বলে? কিভাবে সহজেই নিউক্লিয়ন সংখ্যা মনে রাখা যায়।

নিউক্লিয়ন  সংখ্যা কাকে বলে? কিভাবে সহজেই নিউক্লিয়ন  সংখ্যা মনে রাখা যায়। নিউক্লিয়ন  সংখ্যা ঃ  কোন মৌলের নিউক্লিয়াসে অবস্হিত প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যার যোগফলকে নিউক্লিয়ন  সংখ্যা বলে।  কোন মৌলের ভর সংখ্যা থেকে প্রোটন সংখ্যা বিয়োগ করলে নিউট্রন সংখ্যা পাওয়া যায়। মৌলের প্রোটন সংখ্যাকে P,  নিউট্রন সংখ্যাকে n এবং ভর সংখ্যাকে m দ্বারা প্রকাশ করা হয়। মৌলের নিউক্লিয়ন  সংখ্যা = P + n Li এর প্রোটন সংখ্যা / পারমানবিক সংখ্যা 3 এবং নিউট্রন সংখ্যা 4. সুতরাং Li এর নিউক্লিয়ন  সংখ্যা        = 3 + 4 = 7.    আবার Li এর ভর সংখ্যাও 7. অর্থাৎ  কোন মৌলের ভর সংখ্যাই ঐ মৌলের নিউক্লিয়ন  সংখ্যা নির্দেশ করে।  তবে মৌলের ভর সংখ্যা ভগ্নাংশ  হলে ভগ্নাংশ অংশটুকু বাদ দিলে যে পূর্ণ সংখ্যা পাওয়া যায় তা ঐ মৌলের নিউক্লিয়ন  সংখ্যা।  কাজেই কোন মৌলের ভর সংখ্যা মনে রাখলেই ঐ মৌলের নিউক্লিয়ন  সংখ্যা জানা যায়।  Cl এর ভর সংখ্যা 35.5 ,  Cl এর নিউক্লিয়ন  সংখ্যা 35.  আবার  Fe এর ভর সংখ্যা 55.85 এবং Fe এর নিউক্লিয়ন  সংখ্যা 55.

পাতন ও ঊর্ধ্বপাতন কাকে বলে?

পাতন ও ঊর্ধ্বপাতন কাকে বলে? পাতন ঃ  কোন তরলকে তাপ প্রদানে বাষ্পে পরিণত করে তাকে পুনরায় শীতলীকরণের মাধ্যমে তরলে পরিণত করার পদ্ধতিকে পাতন বলে। পাতন  =  বাষ্পীভবন + ঘনীভবন। পাতন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা কোন মিশ্রনের বা দ্রনের উপাদানকে পৃথক করা যায়। যেমন ঃ পানি ও ইথানলের দ্রবনকে পাতন প্রক্রিয়ায় পৃথক করা যায়। এ পদ্ধতিতে দ্রবনের যে উপাদানটির স্ফুটনাংক কম সেই উপাদানটি প্রথমে বাষ্পীভূত হবে। এ বাষ্পকে শীতল করতে হবে। ঊর্ধ্বপাতন ঃ  যে প্রক্রিয়ায় কোন কঠিন পদার্থকে তাপ প্রদান করা হলে সেগুলো তরলে পরিণত না হয়ে সরাসরি বাষ্পে পরিনত হয়, সেই প্রক্রিয়াকে ঊর্ধ্বপাতন বলে। নিশাদল,  কর্পূর,  ন্যাপথালিন, কঠিন CO2, আয়োডিন,  অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড এই পদার্থগুলোকে তাপ প্রদান করা হলে সেগুলো তরলে পরিণত না হয়ে সরাসরি বাষ্পে পরিনত হয়। এই পদার্থগুলোকে ঊর্ধ্বপাতিত পদার্থ বলা হয়।

যোজনি ও যোজ্যতা কি? কিভাবে নির্ণয় করা যায়।

যোজনি ও  যোজ্যতা কি? কিভাবে নির্ণয় করা যায়। যোজনিঃ কোন মৌলের সর্ববহিস্থঃ শক্তিস্তরে তার নিকটতম নিস্কিয় গ্যাস অপেক্ষা যতটি ইলেক্ট্রন কম বা বেশি থাকে সেই ইলেক্ট্রন সংখ্যাকে ঐ মৌলের যোজনি বলে।  যেমনঃ F এর সর্ববহিস্থঃ শক্তিস্তরে এর নিকটতম নিস্কিয় গ্যাস Ne অপেক্ষা একটি  ইলেক্ট্রন কম থাকায় F এর যোজনি এক।  আবার O এর সর্ববহিস্থঃ শক্তিস্তরে এর নিকটতম নিস্কিয় গ্যাস Ne অপেক্ষা দুটি  ইলেক্ট্রন কম থাকায় এর যোজনি দুই। Ca এর সর্ববহিস্থঃ শক্তিস্তরে এর নিকটতম নিস্কিয় গ্যাস Ar অপেক্ষা দুটি ইলেক্ট্রন বেশি থাকায় এর যোজনি দুই। আবার,  কোন মৌল হাইড্রোজেন বা হাইড্রোজেন সদৃশ যতটি মৌলের সাথে যুক্ত হতে পারে তাকে ঐ মৌলের যোজনি বলে। যেমন ঃ O দুটি হাইড্রোজেনের সাথে যুক্ত হতে (H2O) পারে, তাই  O এর যোজনি দুই। আবার, কোন মৌলের ইলেক্ট্রন বিন্যাসে এর সর্ববহিস্থঃ শক্তিস্তরে যতটি বিজোড় ইলেক্ট্রন থাকে সেই বিজোড় ইলেক্ট্রনের সংখ্যাকেই ঐ মৌলের যোজনি বলে। যেমন- Li এর সর্ববহিস্থঃ শক্তিস্তরে একটি বিজোড়  ইলেক্ট্রন থাকার কারনে এর যোজনি এক। তবে গ্রুপ-২ মৌলের ইলেক্ট্রন বিন্যাস উত্তেজিত অবস্হায় করতে হবে। তবে নিস্কিয় গ

মোলার দ্রবন কাকে বলে? কিভাবে মোলার দ্রবন তৈরি করবে।

মোলার দ্রবন কাকে বলে? কিভাবে মোলার দ্রবন তৈরি করবে। মোলার দ্রবনঃ   নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় প্রতি লিটার বা ১০০০ মিলি দ্রাবকে এক মোল দ্রব দ্রবীভূত থাকলে তাকে মোলার দ্রবন বলে। মোলঃ কোন মৌলিক বা যৌগিক পদার্থের পারমানবিক বা আনবিক ভরকে গ্রাম এককে প্রকাশ করলে যে পরিমান পাওয়া যায় তাকে ঐ পদার্থের এক মোল বলে। যেমনঃ NaOH এর আনবিক ভর  40. 40g NaOH = 1 mole NaOH আমরা বলতে পারি, এক লিটার বা ১০০০ মিলি দ্রাবকে এক মোল বা 40g NaOH দ্রবীভূত থাকলে তাকে NaOH এর মোলার দ্রবন বলে। মোলারিটিঃ নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় প্রতি লিটার বা ১০০০ মিলি দ্রাবকে যত মোল দ্রব দ্রবীভূত থাকে তাকে মোলারিটি বলে। একে  M বা mol/L  এককে প্রকাশ করা হয়।   যেমন ঃ প্রতি লিটার দ্রবনে ০.5mol দ্রব দ্রবীভূত থাকলে দ্রবনের ঘনমাত্রা 0.5M. মোলার দ্রবন তৈরি ঃ মোলার দ্রবন তৈরি করতে হলে প্রথমে কত আয়তনের দ্রবন তৈরি করব তা নিদিষ্ট করতে হবে। 250ml, 500ml, 1000ml ইত্যাদি। এরপর দ্রবনের ঘনমাত্রা কত তা নিদিষ্ট করতে হবে। 0.1M, 0.2M, 0.5M ইত্যাদি।  এবার নিদিষ্ট আয়তনের এবং নিদিষ্ট ঘনমাত্রার দ্রবনের জন্য দ্রবের পরিমান (w) = দ্রবের আনবিক ভর x দ্

সুপ্ত যোজনী কাকে বলে। কিভাবে নির্ণয় করা যায়।

সুপ্ত যোজনী কাকে বলে। কিভাবে নির্ণয় করা যায়। কোন মৌলের সর্বোচ্চ যোজনী ও সক্রিয় যোজনীর মধ্যে পার্থক্যকে ঐ মৌলের সুপ্ত যোজনী বলে। সক্রিয় যোজনী বলতে মৌলটি কোন যৌগ গঠন অবস্হায় যে যোজনী ব্যবহার করে তা ঐ মৌলের সক্রিয় যোজনী। যেমন-H₂SO₄ এ S - এর   সক্রিয় যোজনী 6, আবার H₂S এ S এর সক্রিয় যোজনী ২,আবার SO₂ এ S এর সক্রিয় যোজনী 4. S এর সর্বোচ্চ যোজনী 6. সুপ্ত যোজনী নির্ণয়ঃ   H₂SO₄ এ S এর সুপ্ত যোজনী=(S এর সর্বোচ্চ যোজনী)-(S এর সক্রিয় যোজনী)=6-6=0. আবার, H₂Sএ S এর সুপ্ত যোজনী=(S এর সর্বোচ্চ যোজনী)-(S এর সক্রিয় যোজনী)=6-2=4. আবার, SO₂ এ S এর সুপ্ত যোজনী=(S এর সর্বোচ্চ যোজনী)-(S এর সক্রিয় যোজনী)=6-4=2. PCl₃এ P এর সুপ্ত যোজনী=(P এর সর্বোচ্চ যোজনী)-(P এর সক্রিয় যোজনী)=5-3=2.  FeCl₃এ Fe এর সুপ্ত যোজনী =(Fe এর সর্বোচ্চ যোজনী)-(Fe এর সক্রিয় যোজনী)=3-3=0.FeCl₂ এ Fe এর সুপ্ত যোজনী=(Fe এর সর্বোচ্চ যোজনী)-(Fe এর সক্রিয় যোজনী) = 3-2=1. সাধারনত যে সব মৌলের একাধিক যোজনী বিদ্যামান সেই মৌল গুলির সুপ্ত যোজনী নির্ণয় করা হয়।

যোজনি কাকে বলে।

যোজনি কাকে বলে। কোন মৌল যতটি হাইড্রোজেন বা হাইড্রোজেন সদৃশ মৌলের সাথে যুক্ত হতে পারে সেই সংখ্যা কে ঐ মৌলের যোজনি বলে। যেমন-HCl  এ ক্লোরিনের সাথে একটি হাইড্রোজেন যুক্ত আছে। কাজেই ক্লোরিনের যোজনি এক। আমরা এভাবেও বলতে পারি, কোন মৌলের সর্ববহিস্থঃ শক্তিস্তরে এর নিকটতম নিস্কিয় গ্যাস অপেক্ষা যতটি ইলেক্ট্রন কম বা বেশি থাকে তাকে ঐ মৌলের যোজনি বলে। যেমন- Na এর সর্ববহিস্থঃ শক্তিস্তরে নিকটতম নিস্কিয় গ্যাস Ne এর থেকে একটি ইলেক্ট্রন বেশি আছে। সুতারাং Na এর যোজনি এক। আবার, কোন মৌলের ইলেক্ট্রন বিন্যাসে এর সর্ববহিস্থঃ শক্তিস্তরে যতটি বিজোড় ইলেক্ট্রন থাকে সেই বিজোড় ইলেক্ট্রনের সংখ্যাকেই ঐ মৌলের যোজনি বলে। যেমন- Li এর সর্ববহিস্থঃ শক্তিস্তরে একটি বিজোড়  ইলেক্ট্রন থাকার কারনে এর যোজনি এক।  তবে গ্রুপ-২ মৌলের ইলেক্ট্রন বিন্যাস উত্তেজিত অবস্হায় করতে হবে। তবে নিস্কিয় গ্যাসের যোজনি শূণ্য।

Popular posts from this blog

কপার(Cu) ও ক্রোমিয়ামের(Cr) ইলেকট্রন বিন্যাস ব্যতিক্রম কেন?

মুক্তজোড় ইলেকট্রন ও বন্ধন জোড় ইলেকট্রন কাকে বলে।

জারণ সংখ্যা নির্ণয়ের সহজ পদ্ধতি।

COD ও BOD কাকে বলে?

জারক ও বিজারক কাকে বলে? কিভাবে জারক ও বিজারক সহজেই চেনা যায়।

সালফার পরিবর্তনশীল যোজনী প্রদর্শন করে কেন?

প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড ও সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ কাকে বলে?

মোলার গ্যাস ধ্রুবক এবং এর মাত্রা, তাৎপর্য ও মান নির্ণয়।

প্রতীক ও সংকেতের মধ্যে পার্থক্য কি?

রাদারফোর্ড ও বোর পরমাণু মডেলের মধ্যে তুলনা।