Posts

Showing posts from 2021

NO₂ এর জারণ ধর্ম।

NO₂ এর জারণ ধর্ম।  নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (NO₂) একটি জারক পদার্থ। এটি অন্যকে জারিত করার সাথে নিজে বিজারিত হয়।  নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের জারণ ধর্ম নিম্নরূপঃ  ১. নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড, হাইড্রোজেন সালফাইডকে (H₂S) জারিত করে সালফারে (S) পরিণত করে এবং নিজে বিজারিত হয়ে নাইট্রিক অক্সাইড (NO) উৎপন্ন করে।  H₂S + NO₂ ----> S + NO + H₂O ২. নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড, লোহিত তপ্ত লৌহকে (Fe) জারিত করে ফেরাস অক্সাইড (FeO) এবং নিজে বিজারিত হয়ে নাইট্রোজেন (N₂) গ্যাস উৎপন্ন করে। 4Fe + 2NO₂ ----> 4FeO + N₂ ৩. নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড, উতপ্ত কপারকে (Cu) জারিত করে কপার অক্সাইড (CuO) এবং নিজে বিজারিত হয়ে নাইট্রোজেন (N₂) গ্যাস উৎপন্ন করে।  4Cu + 2NO₂ ----> 4CuO + N₂ কাজেই, উপরোক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় NO₂ একটি জারক পদার্থ।

NO₂ এর অম্ল ধর্ম।

NO₂ এর অম্ল ধর্ম।  নাইট্রোজেন অধাতু হওয়ায় এর অক্সাইড নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (NO₂) একটি অম্লধর্মী অক্সাইড।  NO₂ এর অম্লধর্মের প্রমাণ নিম্নরূপঃ  ★ নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড এর সাথে ক্ষার বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে।  যেমনঃ সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড (NaOH) এর সাথে NO₂ বিক্রিয়া করে সোডিয়াম নাইট্রেট (NaNO₃) লবণ,  সোডিয়াম নাইট্রাইট (NaNO₂) লবণ ও পানি (H₂O) উৎপন্ন করে।  2NO₂ + 2NaOH ----> NaNO₃ + NaNO₂ + H₂O ★ শীতল পানিতে NO₂ দ্রবীভূত হয়ে নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO₃) ও নাইট্রাস এসিড (HNO₂) উৎপন্ন করে। এই অ্যাসিডগুলি পানিতে দ্রবীভূত হয়ে প্রোটন আয়ন উৎপন্ন করে। এই প্রোটন আয়ন নীল লিটমাসকে লাল লিটমাসকে পরিণত করে।  H₂O(l) + 2NO₂(g) ----> HNO₃(aq) + HNO₂(aq). HNO₃(aq) + H₂O(l) ----> H+(aq) + NO₃-(aq). H+(aq) +  নীল লিটমাস ---> লাল লিটমাস।  কাজেই, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড একটি অম্লীয় অক্সাইড।

নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (NO₂) ডাইমার গঠন করে কেন?

Image
নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (NO₂) ডাইমার গঠন করে কেন?  নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (NO₂) অনুর ইলেকট্রনিক গাঠন থেকে দেখা যায়, NO₂ অনুর N-পরমাণুতে একটি অযুগ্ম ইলেকট্রন থাকে।  এই অযুগ্ম ইলেকট্রন যুক্ত N, অপর একটি NO₂ অণুর অযুগ্ম ইলেকট্রন যুক্ত N-এর সাথে ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে বন্ধন দ্বারা N₂O₄ গঠন করে সুস্থিত হয়।  এজন্য NO₂ ডাইমার গঠন করে N₂O₄ হিসেবে থাকে।

নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (NO₂) এর প্রস্তুতি ও গঠন।

Image
নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (NO₂) এর প্রস্তুতি ও গঠন।  প্রস্তুতিঃ লেড নাইট্রেটকে Pb(NO₃)₂ উত্তপ্ত করলে নাইট্রোজেন ডাই- অক্সাইড (NO₂) উৎপন্ন হয়।  2Pb(NO₃)₂ ----> 4NO₂ + 2PbO + O₂ নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড অণুতে নাইট্রোজেনের একটি বিজোড় ইলেকট্রন থাকে। নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড এর গঠন।

নাইট্রোজেন পেন্টা-অক্সাইডের (N₂O₅) প্রস্তুতি ও গঠন।

Image
নাইট্রোজেন পেন্টা-অক্সাইডের (N₂O₅) প্রস্তুতি ও গঠন।    প্রস্তুতিঃ নাইট্রিক এসিডকে (HNO₃) ফসফরাস পেন্টা-অক্সাইডসহ (P₂O₅) উত্তপ্ত করলে নাইট্রোজেন পেন্টা-অক্সাইড (N₂O₅) উৎপন্ন হয়। 2HNO₃ + P₂O₅ ----> N₂O₅ + 2HPO₃ নাইট্রোজেন অক্সাইড এর গঠন।

ডাই-নাইট্রোজেন টেট্রা-অক্সাইড (N₂O₄) এর প্রস্তুতি ও গঠন।

Image
ডাই-নাইট্রোজেন টেট্রা-অক্সাইড (N₂O₄) এর প্রস্তুতি ও গঠন।  প্রস্তুতিঃ লেড নাইট্রেটকে Pb(NO₃)₂ উত্তপ্ত করলে ডাই-নাইট্রোজেন টেট্রা- অক্সাইড (N₂O₄) উৎপন্ন হয়।  2Pb(NO₃)₂ ----> 2N₂O₄ + 2PbO + O₂ ডাই-নাইট্রোজেন টেট্রা-অক্সাইড এর গঠন। 

নাইট্রোজেন ট্রাই-অক্সাইড (N₂O₃) এর প্রস্তুতি ও গঠন।

Image
নাইট্রোজেন ট্রাই-অক্সাইড  (N₂O₃)   এর প্রস্তুতি ও গঠন।  প্রস্তুতিঃ  50% গাঢ় নাইট্রিক এসিডের (HNO₃) সঙ্গে আর্সেনাস অক্সাইডকে (As₂O₃) উত্তপ্ত করলে নাইট্রোজেন ট্রাই অক্সাইড (N₂O₃) উৎপন্ন হয়।  2HNO₃ + As₂O₃ + 2H₂O ----> N₂O₃ + 2H₃AsO₄ নাইট্রোজেন ট্রাই অক্সাইড এর গঠন নিম্নরূপঃ

নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O) প্রস্তুতি ও এর গঠন।

Image
নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O) প্রস্তুতি ও এর গঠন।   প্রস্তুতিঃ  সোডিয়াম নাইট্রেট (NaNO₃) ও অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড (NH₄Cl) এর মিশ্রণকে উত্তপ্ত করলে নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O) উৎপন্ন হয়। একে লাফিং গ্যাসও বলে।  NaNO₃ + NH₄Cl ----> N₂O + NaCl + 2H₂O নাইট্রাস অক্সাইড এর গঠন নিম্নরূপঃ

নাইট্রিক অক্সাইড (NO) প্রস্তুতি ও এর গঠন।

Image
নাইট্রিক অক্সাইড (NO) প্রস্তুতি ও এর গঠন।  প্রস্তুতিঃ  মধ্যম গাঢ় নাইট্রিক এসিডের (HNO₃) সাথে কপার গুড়া(Cu) কক্ষ তাপমাত্রায় বিক্রিয়া করে নাইট্রিক অক্সাইড(NO) উৎপন্ন করে।  3Cu + 8HNO₃ ----> 2NO + 3Cu(NO₃)₂ + 4H₂O নাইট্রিক অক্সাইড এর গঠন নিম্নরূপঃ

নাইট্রোজেনের অক্সাইড সমূহের নাম, সংকেত ও জারণ সংখ্যা।

নাইট্রোজেনের অক্সাইড সমূহের নাম, সংকেত ও জারণ সংখ্যা।  # নাইট্রাস অক্সাইড ; সংকেত(N₂O) ; নাইট্রোজেন এর জারণ সংখ্যা +1   # নাইট্রিক অক্সাইড ; সংকেত(NO) ; নাইট্রোজেন এর জারণ সংখ্যা +2 # ডাই-নাইট্রোজেন ট্রাই-অক্সাইড ; সংকেত(N₂O₃) ;  নাইট্রোজেন এর জারণ সংখ্যা +3 #  নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড বা ডাই- নাইট্রোজেন টেট্রা-অক্সাইড ; সংকেত(NO₂ / N₂O₄) ;  নাইট্রোজেন এর জারণ সংখ্যা+4 #   নাইট্রোজেন পেন্টা-অক্সাইড ; সংকেত(N₂O₅) ;  নাইট্রোজেন এর জারণ সংখ্যা+5. 

অ্যামোনিয়ার বিজারণ ধর্ম।

অ্যামোনিয়ার বিজারণ ধর্ম।  অ্যামোনিয়ার বিজারণ ধর্ম নিম্নরূপ-  # অ্যামোনিয়া ক্লোরিনকে বিজারিত করে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড উৎপন্ন করে। সেইসাথে অ্যামোনিয়া জারিত হয়ে নাইট্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন করে। 2NH₃(g) + 3Cl₂(g) ----> 6HCl(g) + N₂(g) # আবার অ্যামোনিয়া কিউপ্রিক অক্সাইডকে বিজারিত করে ধাতব কপার উৎপন্ন করে।  3CuO(s) + 2NH₃(g) -----> 3Cu(s) +N₂(g) +3H₂O(g)  কাজেই অ্যামোনিয়া একটি বিজারক।

নাইট্রোজেন ও হাইড্রোজেন গ্যাস প্রস্তুতি।

নাইট্রোজেন ও হাইড্রোজেন গ্যাস প্রস্তুতি।  নাইট্রোজেন গ্যাস প্রস্তুতিঃ - 196ºC বা 77K তাপমাত্রায় তরল বায়ুকে আংশিক পাতন করলে বিশুদ্ধ নাইট্রোজেন গ্যাস পাওয়া যায়।  হাইড্রোজেন গ্যাস প্রস্তুতিঃ প্রাকৃতিক গ্যাস মিথেন ও স্টিমকে 450ºC তাপমাত্রায় ও নিকেল(Ni) প্রভাবকের উপস্থিতিতে সংশ্লেষণ গ্যাস [CO(g)+3H₂(g)] উৎপন্ন হয়। উৎপন্ন সংশ্লেষণ গ্যাস ও স্টিম সহ 500ºC তাপমাত্রায় Fe₂O₃ ও Cr₂O₃ প্রভাবকের উপস্থিতিতে CO₂ ও H₂ গ্যাস উৎপন্ন হয়।  CH₄(g) + H₂O(g) ------>     { CO(g)+3H₂(g)} {CO(g)+3H₂(g)} + H₂O(g) ----> CO₂(g) + 4H₂(g) আবার, লোহিত তপ্ত লৌহের উপর স্টিম চালনা করলে হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন হয়। 3Fe + 4H₂O(vap) ----> 4H₂(g) + Fe₃O₄

নাইট্রোজেনের উৎস ও গুরুত্ব।

নাইট্রোজেনের উৎস ও গুরুত্ব।  নাইট্রোজেনের উৎসঃ  # বায়ুমণ্ডল  # খনিজ পদার্থ  # জীবের শরীর  গুরুত্বঃ বায়ুমন্ডলে নাইট্রোজেনের গুরুত্ব অপরিসীম। বায়ুতে নাইট্রোজেন না থাকলে শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে অতিরিক্ত অক্সিজেন গ্রহণের ফলে জীবদেহের অভ্যন্তরস্থ দহন ক্রিয়া অতি দ্রুত সম্পন্ন হতো। যার ফলে জীবন ধারণ সম্ভব হতো না। অক্সিজেনের সাথে নাইট্রোজেন মিশ্রিত থাকায় বায়ু লঘু থাকে এবং শ্বাসকার্য ও দহন ক্রিয়া সুষ্ঠু ও পরিমিতভাবে সম্পন্ন হয়।  এছাড়া নাইট্রোজেন হতে অ্যামোনিয়া, ইউরিয়া, নাইট্রিক অ্যাসিড, নাইট্রাইটসহ প্রভৃতি অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ যৌগ পাওয়া যায়।

অ্যামোনিয়া শিল্পোৎপাদনের শর্তগুলি।

অ্যামোনিয়া শিল্পোৎপাদনের শর্তগুলি।  শিল্পক্ষেত্রে অ্যামোনিয়া উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে প্রচলিত পদ্ধতি হল হেবার-বোস পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে প্রভাবকের উপস্থিতিতে নির্দিষ্ট তাপমাত্রা ও চাপ 1 আয়তন নাইট্রোজেন ও 3 আয়তন হাইড্রোজেন বিক্রিয়া করে দুই আয়তন অ্যামোনিয়া উৎপন্ন করে।     N₂ + 3H₂ -------> 2NH₃  ;   ΔH= - 92kj/mol বিক্রিয়াটি লক্ষ্য করলে দেখা যায়, ★বিক্রিয়াটি তাপউৎপাদী।  ★বিক্রিয়ার ফলে আয়তনের হ্রাস ঘটে  ★বিক্রিয়াটি উভমুখী।  শিল্প ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পরিমাণ অ্যামোনিয়া উৎপাদনের শর্তগুলি নিম্নরূপ-  ১. অত্যানুকুল তাপমাত্রাঃ অ্যামোনিয়া উৎপাদন একটি তাপ উৎপাদী বিক্রিয়া। তাই লা-শাতেলিয়ের নীতি অনুসারে তাপমাত্রা হ্রাস করলে অ্যামোনিয়ার উৎপাদন মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু নিম্ন  তাপমাত্রায় দেখা যায় বিক্রিয়ার গতিবেগ হ্রাস পায়। ফলে বিক্রিয়া সাম্যবস্থায় পৌঁছাতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হয়। যা শিল্প কারখানার জন্য অলাভজনক। তাই শিল্প-কলকারখানায় এমন একটি অত্যানুকুল তাপমাত্রা নির্ধারণ করা হয়, যে তাপমাত্রায় স্বল্পতম সময়ে সর্বাধিক উৎপাদন লাভ করা যায়। অ্যামোনিয়া উৎপাদনের জন্য অত্যানু

অ্যামোনিয়ার শিল্পোৎপাদনে হেবার প্রণালী মূলনীতি সহ বর্ণনা কর।

Image
অ্যামোনিয়ার শিল্পোৎপাদনে হেবার প্রণালী মূলনীতি সহ বর্ণনা কর।  মূলনীতিঃ উচ্চ তাপমাত্রায় ও উচ্চচাপে 1 মোল নাইট্রোজেন(N₂) গ্যাস ও 3 মোল হাইড্রোজেন(H₂) গ্যাস বিক্রিয়া করে 2 মোল অ্যামোনিয়া(NH₃) গ্যাস উৎপন্ন হয়।  N₂(g) + 3H₂(g) <-----> 2NH₃ (g) + 92kj/mol বিক্রিয়াটি উভমুখী, তাপ উৎপাদী এবং আয়তন সংকোচনের মাধ্যমে ঘটে।  উৎপাদন প্রণালীর বর্ণনাঃ বিশুদ্ধ নাইট্রোজেন ও হাইড্রোজেনের ১ঃ৩ আয়তনে মিশ্রিত করে 550 ডিগ্রি সেলসিয়াস অত্যানুকুল তাপমাত্রা, 200 বায়ুমন্ডলীয় অত্যানুকুল চাপে, লৌহচূর্ণ (Fe) প্রভাবক ও মলিবডেনাম (Mo) সহায়ক প্রভাবক সম্বলিত প্রকোষ্ঠে চালনা করা হয়। এতে নাইট্রোজেন ও হাইড্রোজেন এর 15% - 20% যুক্ত হয়ে অ্যামোনিয়া গ্যাস উৎপন্ন করে। উৎপন্ন অ্যামোনিয়া ও অপরিবর্তিত নাইট্রোজেন ও হাইড্রোজেন মিশ্রণকে শীতল কুন্ডলীতে চালনা কর হয়। ফলে অ্যামোনিয়া গ্যাস তরলীভূত হয়ে তরল অ্যামোনিয়া পাত্রে জমা হয়। কিন্তু অবশিষ্ট অপরিবর্তিত নাইট্রোজেন ও হাইড্রোজেন গ্যাসকে পুনরায় পেষণ যন্ত্রে সরবরাহ করা হয় এবং নতুন গ্যাস মিশনসহ পুনরায়  অ্যামোনিয়া উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। এভাবে প্রক্রিয়াটি

পরীক্ষাগারে অ্যামোনিয়া গ্যাস প্রস্তুতি।

Image
পরীক্ষাগারে অ্যামোনিয়া গ্যাস প্রস্তুতি।  মূলনীতিঃ পরীক্ষাগারে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড ও চুন / ক্যালসিয়াম অক্সাইড/ কুইকলাইম (CaO) অথবা কলিচুন/ স্ল্যাকেড লাইম/ ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইডের {Ca(OH)₂} মিশ্রনকে উত্তপ্ত করলে অ্যামোনিয়া (NH₃) গ্যাস উৎপন্ন হয়।  বিক্রিয়াঃ 2NH₄Cl + CaO ----> 2NH₃ + CaCl₂ + H₂O 2NH₄Cl + Ca(OH)₂ ----> 2NH₃ + CaCl₂ + 2H₂O বর্ণনাঃ একটি টেস্টটিউবে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড ও এর দ্বিগুণ পরিমাণ শুষ্ক কলিচুন বা চুন নেওয়া হয়। এরপর টেসটিউবের মুখে কর্কের সাহায্যে একটি নির্গম নল যুক্ত করে টেস্টটিউবটিকে স্ট্যান্ডের সাথে আটকানো হয়। এবার টেস্টটিউবটিকে ধীরেধীরে উত্তপ্ত করলে অ্যামোনিয়া গ্যাস উৎপন্ন হয়। অ্যামোনিয়া গ্যাস শ্বাসরোধী ও বায়ুর থেকে হালকা হওয়ায় পানির নিম্নমুখী অপসারন দ্বারা গ্যাসজারে সংগ্রহ করা হয়।

নাইট্রোজেন চক্রের বর্ণনা।

নাইট্রোজেন চক্রের বর্ণনা।  বায়ুমন্ডলের নাইট্রোজেন বায়ুমণ্ডল হতে মাটি ও উদ্ভিদে, উদ্ভিদ হতে প্রাণীদেহে আবার প্রাণী ও উদ্ভিদের মৃত্যুর পর পুনরায় বায়ুমন্ডলে ফিরে আসে। নাইট্রোজেন চলার এই চক্রাকার পথকে নাইট্রোজেন চক্র বলে।  এই প্রক্রিয়াটি নিম্নরূপে সংঘটিত হয়।  ১. বায়ু হতে মাটিতেঃ বজ্রপাতের সময় বিদ্যুৎক্ষরণের ফলে বায়ুর নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন যুক্ত হয়ে NO₂ উৎপন্ন করে। NO₂ পানির সাথে বিক্রিয়া করে HNO₃ তৈরি করে এবং মাটিতে পতিত হয়। মাটিতে থাকা ধাতব আয়নের সাথে যুক্ত হয়ে নাইট্রেট লবণ গঠন করে।  ২. মাটি ও বায়ু হতে উদ্ভিদেঃ উদ্ভিদ মাটি হতে নাইট্রেট লবন আকারে নাইট্রোজেন গ্রহণ করে এবং উদ্ভিজ্জ প্রোটিনে রূপান্তরিত করে। কিছু লিগুমিনাস জাতীয় উদ্ভিদ যেমন- সিম, মটর, ছোলা ইত্যাদির শিকড়ে থাকা সিম্বায়টিক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা বায়ু হতে সরাসরি নাইট্রোজেন গ্রহণ করে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন উৎপন্ন করে।  ৩. উদ্ভিদ থেকে প্রাণী দেহেঃ প্রাণী খাদ্য হিসাবে সরাসরি উদ্ভিজ্জ প্রোটিন গ্রহণ করে। এছাড়া তৃণভোজী প্রাণী খাদ্যরূপে উদ্ভিদ গ্রহণ করে। আবার মাংসভোজী প্রাণী তৃণভোজী প্রাণীর মাংস খায়। এভাবে উদ্ভিজ্জ

উদ্ভিদ কিভাবে নাইট্রোজেন গ্রহণ করে।

উদ্ভিদ কিভাবে নাইট্রোজেন গ্রহণ করে।  নাইট্রোজেন উদ্ভিদের মুখ্য পুষ্টি উপাদান গুলির মধ্যে একটি।  উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য আমরা নাইট্রোজেনের উৎস হিসাবে মাটিতে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করি। ইউরিয়া সারে 46% নাইট্রোজেন থাকে। ইউরিয়া সার মাটিতে নাইট্রেট লবণ গঠন করে। প্রথমে ইউরিয়া মাটির পানির সাথে বিক্রিয়া করে অ্যামোনিয়া গঠন করে। পরে মাটিতে থাকা নাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়া জারিত হয়ে HNO₃ এ পরিনত হয়।  NH₂-CO-NH₂ + H₂O ----> 2NH₃ + CO₂ NH₃ -----> HNO₃   এছাড়াও বায়ুমন্ডলের নাইট্রোজেন বিদ্যুৎক্ষরণ ও বৃষ্টির পানির মাধ্যমে নাইট্রিক অ্যাসিডরূপে (HNO₃) ভূপৃষ্ঠে পতিত হয়। উৎপন্ন নাইট্রিক অ্যাসিড মাটির ক্ষারীয় পদার্থ চুন বা চুনাপাথরের সাথে বিক্রিয়া করে পানিতে দ্রবণীয় নাইট্রেট লবন উৎপন্ন করে মাটিতে মিশে যায়। এসব নাইট্রেট লবন উদ্ভিদ শিকড়ের মাধ্যমে খনিজ লবণ হিসেবে পানির সাথে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। এই নাইট্রোজেন উদ্ভিদ অ্যামাইনো এসিডে রূপান্তর করে। N₂ + O₂ -----> 2NO 2NO + O₂ ---> 2NO₂ 4NO₂ + 2H₂O + O₂ ----> 4HNO₃ CaO + 2HNO₃ ----> Ca(NO₃)₂ + H₂O MgO + 2HNO₃ ----> Mg(NO₃)

নাইট্রোজেন চক্র কী?

নাইট্রোজেন চক্র কী?  বায়ুর নাইট্রোজেন উদ্ভিদ ও প্রাণী দেহের ভেতর দিয়ে আবার বায়ুতে ফিরে আসে। নাইট্রোজেন চলার এই পথকে নাইট্রোজেন চক্র বলে।  নাইট্রোজেন উদ্ভিদের মুখ্য পুষ্টি উপাদান। নাইট্রোজেন অ্যামাইনো এসিডের পলিমার হিসাবে প্রাণী দেহে প্রোটিন তৈরি করে। প্রাণীসমূহ তাদের প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেন উদ্ভিদ থেকে গ্রহণ করে। উদ্ভিদ মাটি থেকে নাইট্রেট লবন হিসেবে নাইট্রোজেন গ্রহণ করে।  নাইট্রোজেনের প্রধান উৎস বায়ুমণ্ডল। বিদ্যুৎক্ষরণের ফলে বায়ুমন্ডলের নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন যুক্ত হয়ে NO₂ সৃষ্টি হয়। যা পানির সাথে বিক্রিয়া করে নাইট্রিক অ্যাসিড তৈরি করে। এই নাইট্রিক অ্যাসিড বৃষ্টির সঙ্গে মাটিতে পতিত হয় এবং নাইট্রেট লবণ গঠন করে। এরূপে নাইট্রোজেন বায়ু হতে মাটিতে, মাটি থেকে উদ্ভিদে, উদ্ভিদ থেকে জীবদেহে প্রবেশ করে। উদ্ভিদ ও প্রাণীর মরনের পর পুনরায় নাইট্রোজেন মাটিতে ফিরে আসে। আবার মাটি হতে বায়ুমণ্ডলে চলে যায়। এই প্রাকৃতিক চক্রাকার পদ্ধতি সর্বদায় চলে। বায়ুমণ্ডল ও বায়ুর মধ্যকার নাইট্রোজেনের এ ধরনের চক্রাকারে আবর্তনকে নাইট্রোজেন চক্র বলে।

বার্কল্যান্ড আইডের পদ্ধতিতে নাইট্রিক এসিড উৎপাদন।

বার্কল্যান্ড আইডের পদ্ধতিতে নাইট্রিক এসিড উৎপাদন। বার্কল্যান্ড আইডের পদ্ধতিতে 3000 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বায়ুমন্ডলের নাইট্রোজেন ও অক্সিজেনকে উত্তপ্ত করলে NO উৎপন্ন হয়। যা পরে 50 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় জারিত হয়ে NO₂ উৎপন্ন হয়। এই NO₂ পানির সাথে বিক্রিয়া করে নাইট্রিক এসিড ( HNO₃)  উৎপন্ন করে। N₂ + O₂ -----> 2NO 2NO + O₂ ---> 2NO₂ 4NO₂ + 2H₂O + O₂ ----> 4HNO₃

কৃত্রিম ভাবে নাইট্রোজেন ফিক্সেশন বা আবদ্ধকরণ কী?

কৃত্রিম ভাবে নাইট্রোজেন ফিক্সেশন বা আবদ্ধকরণ কী?  কৃত্রিমভাবে বায়ুমণ্ডলের নাইট্রোজেনকে আবদ্ধ করে রাখার পদ্ধতিকে কৃত্রিম নাইট্রোজেন ফিক্সেশন বলে।  কৃত্রিম ভাবে নাইট্রোজেন ফিক্সেশন  কয়টি পদ্ধতিতে করা হয়।  ১. হেবার পদ্ধতিতে অ্যামোনিয়ারুপে নাইট্রোজেন ফিক্সেশনঃ  হেবার পদ্ধতিতে প্রায় 200 বায়ুমন্ডলীয় চাপে ও 550 ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় Fe চূর্ণ প্রভাবকের সহায়তায় বায়ুমণ্ডলীয় নাইট্রোজেনকে হাইড্রোজেন এর সাথে বিক্রিয়ার মাধ্যমে অ্যামোনিয়া রূপে ফিক্সেশন করা হয়। এখানে মলিবডেনাম(Mo) প্রভাবক সহায়ক হিসেবে কাজ করে। N₂ + 3H₂ -----> 2NH₃ ২. ক্যালসিয়াম সায়ানামাইডরূপে ফিক্সেশনঃ  বায়ুমণ্ডলের নাইট্রোজেনকে প্রায় 1000 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় উত্তপ্ত ক্যালসিয়াম কার্বাইড (CaC₂) এর উপর দিয়ে চালনা করলে ক্যালসিয়াম সায়ানামাইড (CaNCN) ও কার্বন গুড়ার মিশ্রণ উত্তর উৎপন্ন হয়।  CaC₂ + N₂ ------> CaNCN + C ৩. নাইট্রিক এসিডেরুপে ফিক্সেশনঃ বার্কল্যান্ড আইডের পদ্ধতিতে 3000 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বায়ুমন্ডলের নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন কে উত্তপ্ত করলে NO উৎপন্ন হয় যা

প্রাকৃতিক নাইট্রোজেন ফিক্সেশন বা আবদ্ধকরন কী?

প্রাকৃতিক নাইট্রোজেন ফিক্সেশন বা আবদ্ধকরন কী?  বায়ুমন্ডলের নাইট্রোজেন প্রাকৃতিক ভাবে মটর, ছোলা, শিম, মটরশুটি প্রভৃতি লিগুমিনাস জাতীয় উদ্ভিদের শেকড়ে যে সিম্বায়োটিক ব্যাকটেরিয়া থাকে তার সাহায্যে উদ্ভিদ বায়ু থেকে সরাসরি নাইট্রোজেন গ্রহণ করে এবং উদ্ভিজ্জ প্রোটিন হিসেবে নাইট্রোজেন ফিক্সেশন বা আবদ্ধ করে রাখে।  এছাড়া বজ্রপাতের সময় বিদ্যুৎক্ষরণে উৎপন্ন 3000ºC তাপমাত্রায় বায়ুর নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন বিক্রিয়া করে NO উৎপন্ন করে যা পরে 50ºC তাপমাত্রায় জারিত হয়ে NO₂ উৎপন্ন করে।  বৃষ্টির পানির সাথে NO₂ বিক্রিয়া করে HNO₃ গঠন করে যা মাটির ক্ষারীয় পদার্থ চুন বা চুনাপাথর প্রভৃতির সাথে বিক্রিয়া করে ধাতব নাইট্রেট গঠন করে মাটিতে জমা হয়। এতে প্রায় 20% নাইট্রোজেন বিদ্যমান থাকে।  N₂ + O₂ --------> 2NO 2NO + O₂ ------> 2NO₂ 2NO₂ +O₂ +2HNO₃ ----->4HNO₃ CaCO₃+ 2HNO₃ ----> Ca(NO₃)₂ + CO₂ + H₂O

নাইট্রোজেন ফিক্সেশন বা আবদ্ধকারণ কি?

নাইট্রোজেন  ফিক্সেশন  বা আবদ্ধকারণ কি?  বায়ুমণ্ডলের মুক্ত নাইট্রোজেনকে যে পদ্ধতিতে নাইট্রোজেন যৌগে পরিণত করে এবং ব্যবহার উপযোগী করে আবদ্ধ রাখা যায় তাকে নাইট্রোজেন ফিক্সেশন বা আবদ্ধকারণ বলে। নাইট্রোজেন ফিক্সেশনের দুইটি পদ্ধতি-  ১. প্রাকৃতিক ফিক্সেশন।  ২. কৃত্তিম ফিক্সেশন। 

নাইট্রোজেন ও ফসফরাসের বিভিন্ন ধর্মের বৈসাদৃশ্য।

নাইট্রোজেন  ও ফসফরাসের বিভিন্ন ধর্মের বৈসাদৃশ্য।  নাইট্রোজেন ও ফসফরাস এর বিভিন্ন ধর্মের বৈসাদৃশ্য আলোচনা করা হলো-  ১. সক্রিয়তাঃ নাইট্রোজেন এর চেয়ে ফসফরাস অধিক সক্রিয় মৌল।  ২. ভৌত অবস্থাঃ সাধারণ তাপমাত্রায় নাইট্রোজেন গ্যাসীয় পদার্থ। কিন্তু ফসফরাস কঠিন পদার্থ।  ৩. বন্ধন প্রকৃতিঃ নাইট্রজেন ত্রিবন্ধন গঠন করে।  কিন্তু ফসফরাস  ত্রিবন্ধন  গঠন করে না।  ৪. অক্সাইড গঠনঃ নাইট্রোজেন প্রায় 3000ºC তাপমাত্রায় অক্সাইড গঠন করে। কিন্তু ফসফরাস কক্ষ তাপমাত্রায় সহজে জারিত হয়ে অক্সাইড গঠন করে।  ৫. জারণ অবস্থাঃ নাইট্রোজেন স্থায়ী পাঁচটি অক্সাইড N₂O ; NO ; N₂O₃ ; N₂O₄ ; N₂O₅ গঠন করে। এদের জারণ সংখ্যা +1, +2, +3, +4, +5 পর্যন্ত প্রদর্শন করে। কিন্তু ফসফরাস স্থায়ী অক্সাইড P₂O₃ ; P₂O₅ গঠন করে যাদের জারণ সংখ্যা +3, +5 হয়।  ৬. পরমাণুকতাঃ নাইটোজেন দ্বিপরমাণুক গ্যাস(N₂)। কিন্তু ফসফরাস একটি অণুতে চারটি পরমাণু থাকে (P₄)।  ৭. হ্যালাইড গঠনঃ নাইটোজেন হ্যালোজেন এর সাথে শুধুমাত্র ট্রাই হ্যালাইড (PX₃) গঠন করে। কিন্তু ফসফরাস হ্যালোজেন এর সাথে ট্রাই  হ্যালাইড (PX₃)  ও পেন্টা হ্যালাইড (PX₅) উভয় গঠন

নাইট্রোজেন ও ফসফরাসের বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে সাদৃশ্য।

নাইট্রোজেন ও ফসফরাসের বিভিন্ন  ধর্মের মধ্যে সাদৃশ্য।  নাইট্রোজেন ও ফসফরাস এর বিভিন্ন ধর্মের সাদৃশ্য আলোচনা করা হলো- ১. প্রকৃতিঃ নাইট্রোজেন ও ফসফরাস উভয়ে অধাতু এবং বহুরূপতা ধর্ম প্রদর্শন করে।  ২. জারণ অবস্থাঃ নাইট্রোজেন ও ফসফরাস উভয় পরিবর্তনশীল জারণ অবস্থা প্রদর্শন করে।  যেমনঃ নাইট্রোজেনের বিভিন্ন অক্সাইডের জারন অবস্থা +১ থেকে +৫ পর্যন্ত হয় এবং ফসফরাস জারণ অবস্থা +৩ ও +৫ প্রদর্শন করে।  তবে নাইট্রোজেন ও ফসফরাস ধাতু ও হাইড্রোজেন এর সাথে -৩ জারণ অবস্থা প্রদর্শন করে। যেমনঃ Ca₃N₂ , Ca₃P₂ , NH₃ ও PH₃  যৌগে N ও P এর জারন অবস্থা -৩ হয়।  ৩. ইলেকট্রন বিন্যাসঃ নাইট্রোজেন ও ফসফরাস ইলেকট্রন বিন্যাসে সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরে পাঁচটি ইলেকট্রন থাকে।  N(7) ---> 1s² 2s² 2p³ P(15) ---> 1s² 2s² 2P⁶ 3s² 3p³ ৪. বন্ধনঃ নাইট্রোজেন ও ফসফরাস মূলত সমযোজী বন্ধন গঠন করে। তবে Na₃N, Na₃P ইত্যাদি আয়নিক বন্ধনও গঠন করে।  ৫. হাইড্রাইড গঠনঃ নাইট্রোজেন ও ফসফরাস উভয় হাইড্রোজেন এর সাথে হাইড্রাইড গঠন করে। যেমনঃ এমোনিয়া (NH₃) ও ফসফিন (PH₃)।  ৬. ক্লোরাইড গঠনঃ ক্লোরিনের সাথে উভয় ক্লোরাইড গঠন করে। যে

স্টার্চ কী?

স্টার্চ কী? স্টার্চ হচ্ছে α-D- গ্লুকোজের পলিমার। অনেকগুলি α-D-গ্লুকোজ অণু α-গ্লাইকোসাইড বন্ধনের মাধ্যমে স্টার্চ গঠন করে।  তবে স্টার্চ অ্যামাইলোজ ও অ্যামাইলোপেকটিন নামক দুটি পলিস্যাকারাইড এর সমন্বয়ে গঠিত শাখা শিকল।  এতে  অ্যামাইলোজ  10 - 20% ও  অ্যামাইলোপেকটিন  80 - 90% বিদ্যমান থাকে। 

সেলুলোজ কি?

সেলুলোজ কি? সেলুলোজ হলো  β-D- গ্লুকোজের পলিমার। β-D- গ্লুকোজের একটি অনুর এক নম্বর কার্বন (C₁) এর সাথে অপর একটি β-D- গ্লুকোজ অনুর  4নম্বর কার্বন (C₄) β-গ্লাইকোসাইড বন্ধনের মাধ্যমে সেলুলোজ গঠিত হয়।  রাসায়নিকভাবে সেলুলোজ হলো গ্লাইকোসাইড বন্ধন দ্বারা গঠিত গ্লুকোজের সরল রৈখিক পলিমার। এতে 3000 থেকে 25000 একক  β-D-গ্লুকোজ অনু বিদ্যমান থাকে।

অলিগোস্যাকারাইড কাকে বলে?

অলিগোস্যাকারাইড কাকে বলে?  যে সমস্ত পলিস্যাকারাইডকে আর্দ্র বিশ্লেষণ করলে নির্দিষ্ট সংখ্যক  (২ থেকে ৯ টি মনোস্যাকারাইড) মনোস্যাকারাইড পাওয়া যায় সেই সকল পলিস্যাকারাইডকে অলিগোস্যাকারাইড বলে।  যেমনঃ ডাইস্যাকারাইড, ট্রাইস্যাকারাইড ইত্যাদি।

পলিস্যাকারাইড কাকে বলে?

পলিস্যাকারাইড কাকে বলে? যেসকল কার্বোহাইড্রেটকে আর্দ্র বিশ্লেষণ করে অনেকগুলি মনোস্যাকারাইড অণু পাওয়া যায় তাদেরকে পলিস্যাকারাইড বলে।  এরা পানিতে অদ্রবণীয় ও স্বাদহীন। যেমনঃ স্টার্চ, সেলুলোজ ইত্যাদি।

ডাইস্যাকারাইড কাকে বলে?

ডাইস্যাকারাইড কাকে বলে? যেসকল কার্বোহাইড্রেটকে আর্দ্র বিশ্লেষণ করে দুটি মনোস্যাকারাইড অণু পাওয়া যায় তাদেরকে ডাইস্যাকারাইড বলে।  যেমনঃ ইক্ষু চিনি (C₁₂H₂₂O₁₁)। একে পানি দ্বারা আর্দ্রবিশ্লেষিত করলে সমপরিমাণ গ্লুকোজ (C₆H₁₂O₆) ও ফ্রুক্টোজ (C₆H₁₂O₆) পাওয়া যায়।

মনোস্যাকারাইড কাকে বলে?

মনোস্যাকারাইড কাকে বলে?  যেসকল কার্বোহাইড্রেটকে পানি বিশ্লেষণের দ্বারা ক্ষুদ্রতর অণুতে পরিণত করা যায় না তাদেরকে মনোস্যাকারাইড বলে। এদের সাধারণ সংকেত  (Cn H₂n On) এবং তাদের অণুতে তিন হতে আটটি কার্বন পরমাণু থাকতে পারে।  যেমনঃ পেন্টোজ (C₅H₁₀O₅), গ্লুকোজ (C₆H₁₂O₆) ইত্যাদি।

অশর্করা বা নন সুগার কাকে বলে?

অশর্করা বা নন সুগার কাকে বলে?  অদানাদার, অদ্রবণীয় এবং স্বাদহীন পলিস্যাকারাইডকে অশর্করা বা নন সুগার বলে। এদের আণবিক সংকেত জানা থাকে না।  যেমনঃ স্টার্চ, সেলুলোজ ইত্যাদি।

শর্করা বা সুগার কাকে বলে?

শর্করা বা সুগার কাকে বলে?  মনোস্যাকারাইড ও ডাইস্যাকারাইড কে শর্করা বা সুগার বলে। এরা দানাদার পদার্থ। পানিতে দ্রবণীয় ও স্বাদে মিষ্টি। এদের আণবিক সংকেত জানা থাকে।  যেমনঃ গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ ইত্যাদি।

কার্বোহাইড্রেট কি?

কার্বোহাইড্রেট কি? কার্বোহাইড্রেট হলো পলিহাইড্রক্সি অ্যালডিহাইড বা কিটোন অথবা এমন সব জৈব যৌগ যাদেরকে আর্দ্র বিশ্লেষণ করলে পলিহাইড্রোক্সি অ্যালডিহাইড বা পলিহাইড্রোক্সি কিটোন উৎপন্ন হয়।  কার্বোহাইড্রেট দুই প্রকারঃ  ১. শর্করা বা চিনি  ২. অশর্করা বা ননসুগার।

স্টার্চের গঠন আলোচনা কর।

Image
স্টার্চের গঠন আলোচনা কর।  স্টার্চ হচ্ছে α-D- গ্লুকোজের পলিমার। তবে স্টার্চ অ্যামাইলোজ ও অ্যামাইলোপেকটিন নামক দুটি পলিস্যাকারাইড এর সমন্বয়ে গঠিত। এতে  অ্যামাইলোজ  10 - 20% ও  অ্যামাইলোপেকটিন  80 - 90% বিদ্যমান থাকে।  অ্যামাইলোজঃ   অ্যামাইলোজ হল α-D-  গ্লুকোজের একটি সরল শিকল পলিমার। একটি α-D- গ্লুকোজ অণুর এক নম্বর কার্বনের (C₁) সাথে এবং অপর একটি α-D- গ্লুকোজ অণুর 4 নম্বর কার্বন (C₄) পরস্পরের সাথে α-গ্লাইকোসাইডিক বন্ধন দ্বারা যুক্ত হয়। এরা পানিতে দ্রবণীয় এবং আয়োডিনের সাথে বিক্রিয়া করে নীল বর্ণ ধারণ করে।  এতে 60 থেকে 300 একক গ্লুকোজ অণু বিদ্যমান থাকে।  অ্যামাইলোপেকটিনঃ    স্টার্চের এ অংশ α-D-গ্লুকোজের একটি শাখাযুক্ত পলিমার।  একটি শিকলের এক নম্বর কার্বন (C₁) এবং অপর একটি শিকলের 6 নম্বর কার্বন (C₆) পরমাণু পরস্পরের সাথে α-গ্লাইকোসাইড বন্ধন দ্বারা শাখাযুক্ত শিকল গঠন করে।  এরা পানিতে অদ্রবণীয় এবং আয়োডিনের সাথে লাল বর্ণ ধারণ করে।  এতে 300-600 একক গ্লুকোজ অনু বিদ্যমান থাকে।

সেলুলোজ এর গঠন আলোচনা করো।

Image
সেলুলোজ এর গঠন আলোচনা করো।  সেলুলোজ হলো  β-D- গ্লুকোজের পলিমার। β-D- গ্লুকোজের একটি অনুর এক নম্বর কার্বন (C₁) এর সাথে অপর একটি β-D- গ্লুকোজ অনুর  4নম্বর কার্বন (C₄) β-গ্লাইকোসাইড বন্ধনের মাধ্যমে সেলুলোজ গঠিত হয়।  রাসায়নিকভাবে সেলুলোজ হলো গ্লাইকোসাইড বন্ধন দ্বারা গঠিত গ্লুকোজের সরল রৈখিক পলিমার। এতে 3000 থেকে 25000 একক  β-D-গ্লুকোজ অনু বিদ্যমান থাকে। সেলুলোজকে গাঢ় এসিডের সাথে দীর্ঘক্ষন উত্তপ্ত করলে গ্লুকোজ পাওয়া যায়।  আবার, সেলুলোজকে আংশিক আর্দ্র বিশ্লেষণ করলে সেলুডেকট্রিন, সেলোবায়োজ ও গ্লুকোজের মিশন পাওয়া যায়।  সেলুলোজ আয়োডিনের সাথে কোন বিক্রিয়া করে না।

পলিস্যাকারাইড কাকে বলে?

পলিস্যাকারাইড কাকে বলে?   যেসব কার্বোহাইড্রেটকে আর্দ্র বিশ্লেষণ করলে বহুসংখ্যক মনোস্যাকারাইড উৎপন্ন হয় তাদেরকে পলিস্যাকারাইড বলে।  যেমনঃ স্টার্চ, সেলুলোজ, প্রোটিন, নিউক্লিক এসিড ইত্যাদি।

পলিস্যাকারাইড কিভাবে গঠিত হয়?

পলিস্যাকারাইড কিভাবে গঠিত হয়?  উদ্ভিদ জগতের প্রধান দুটি পলিস্যাকারাইড হলো স্টার্চ ও সেলুলোজ।  সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ এ দুটি পলিস্যাকারাইড প্রস্তুত করে। এসকল পলিস্যাকারাইডের মনোমার বা ক্ষুদ্র একক অণু গ্লুকোজ। উদ্ভিদের সবুজ পাতায় ক্লোরোফিল ও সূর্যালোকের প্রভাবে বায়ু থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও মাটি থেকে মূলের মাধ্যমে সংগৃহীত পানি রাসায়নিক ভাবে পরিবর্তিত হয়ে গ্লুকোজ (C₆H₁₂O₆) নামক মনোস্যাকারাইড তৈরি করে। এ পদ্ধতিকে সালোকসংশ্লেষণ বলে।  6CO₂ +6H₂O -----> C₆H₁₂O₆ +6O₂ অন্যদিকে, একই উদ্ভিদে হাজার হাজার গ্লুকোজ অণু পলিমারকরনের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে উদ্ভিদ দেহের গঠন উপাদান সেলুলোজ উৎপন্ন করে।   আবার, ভিন্নভাবে অসংখ্য গ্লুকোজ অণু উদ্ভিদ দেহে যুক্ত হয়ে স্টার্চ অণু সৃষ্টি করে এবং উদ্ভিদের বীজ, রূপান্তরিত মূল ও কান্ডে ভবিষ্যতের খাদ্যরূপে সঞ্চিত হয়।  এইরূপে প্রাকৃতিক পলিস্যাকারাইড স্টার্চ ও সেলুলোজ [(C₆H₁₀O₅)n] গঠিত হয়।  nC₆H₁₂O₆  -----> (C₆H₁₀O₅)n + nH₂O মানুষের পরিপাকতন্ত্রে স্টার্চ ও জীবজন্তুর পরিপাকতন্ত্রে স্টার্চ এবং সেলুলোজ ফারমেন্টেশন প্রক্রিয়ায় গ্লু

প্রাকৃতিক পলিমার কি?

প্রাকৃতিক পলিমার কি?  যে সকল পলিমার প্রাকৃতিক উপায়ে সৃষ্টি হয় তাদেরকে প্রাকৃতিক পলিমার বলে।  প্রকৃতিতে প্রাণী ও উদ্ভিদ বিভিন্ন প্রকার পলিমার গঠন করে। এসকল পলিমার তাদের দেহের গঠন, খাদ্য, বংশগত ধারা সংরক্ষন, দেহের জৈবিক বিক্রিয়ায় প্রভাবক হিসেবে ক্রিয়া সম্পাদন এবং দেহের প্রতিরক্ষামূলক পরিবেশ সৃষ্টি প্রভৃতি ভূমিকা পালন করে।  এসব প্রাকৃতিক পলিমারকে মোটামুটি তিনটি বৃহৎ শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায়।  ১. পলিস্যাকারাইড সমূহ  ২. প্রোটিন সমূহ  ৩. নিউক্লিক অ্যাসিড সমূহ।

বায়ো অণু কি?

বায়ো অণু কি?  জীব দেহের ক্ষুদ্রতম একক হচ্ছে কোষ। যে জৈব অণুসমূহ কোষের ভেতরে অবস্থান করে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নির্দিষ্ট কার্যধারা চালু রাখে তাদেরকে বায়ু অনু বা প্রাণ অনু বলে।  যেমনঃ অ্যামাইনো এসিড, উচ্চতর ফ্যাটি এসিড, গ্লুকোজ, নিউক্লিয়োটাইড ইত্যাদি।

হিলিয়াম নিষ্ক্রিয় গ্যাস কেন?

হিলিয়াম নিষ্ক্রিয় গ্যাস কেন?  যে সব মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসে সর্বশেষ শক্তিস্তরে অষ্টক পূর্ণ থাকে এবং রাসায়নিকভাবে নিষ্ক্রিয়, তাদেরকে নিষ্ক্রিয় গ্যাস বলা হয়।  হিলিয়ামের ইলেকট্রন বিন্যাস  He(2) ----> 1s² এর ইলেকট্রন বিন্যাস থেকে দেখা যায় 1s-অরবিটালে মাত্র দুটি ইলেকট্রন বিদ্যমান থাকে। যা অষ্টক পূর্ণ নয়। তা সত্বেও হিলিয়াম একটি নিষ্ক্রিয় গ্যাস। কারণ হিলিয়ামের প্রথম শক্তিস্তরে 1s-অরবিটাল ইলেক্ট্রন দ্বারা পূর্ণ থাকে এবং প্রথম শক্তিস্তরে অন্য কোন অরবিটাল সম্ভব নয়।  একারনে হিলিয়ামের 1s² ইলেকট্রন বিন্যাস স্থিতিশীল ইলেকট্রন বিন্যাস।  এজন্য এটি কোন ইলেকট্রন আদান প্রদান করেনা বা রাসায়নিকভাবে কোন বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেনা।  এই কারনে হিলিয়াম একটি নিষ্ক্রিয় গ্যাস।  এর অবস্থান প্রথম পর্যায়ে এবং 18 নম্বর গ্রুপে।

হিলিয়াম পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা কত?

হিলিয়াম পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা কত?  হিলিয়াম পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা 2. আমরা জানি, কোন মৌলের পারমাণবিক সংখ্যাই ঐ মৌলের প্রোটন সংখ্যা। যেহেতু হিলিয়ামের পারমাণবিক সংখ্যা 2, সেহেতু এর প্রোটন সংখ্যাও 2.

হিলিয়ামের ইলেকট্রন বিন্যাস।

হিলিয়ামের ইলেকট্রন বিন্যাস।  হিলিয়ামের পারমাণবিক সংখ্যা বা প্রোটন সংখ্যা 2 এবং ভর সংখ্যা 4.    হিলিয়ামের নিউক্লিয়াসে দুইটি প্রোটন এবং নিউক্লিয়াসের বাহিরে প্রথম শক্তিস্তরে s-অরবিটালে দুটি ইলেকট্রন বিদ্যামান থাকে।  হিলিয়ামের ইলেকট্রন বিন্যাস  He(2) -----> 1s².

হিলিয়াম এর যোজনী কত?

হিলিয়াম এর যোজনী কত?  হিলিয়াম পর্যায় সারণির প্রথম পর্যায় এবং 18 নম্বর গ্রুপের মৌল হওয়ায় এর যোজনী শূন্য।   হিলিয়ামের ইলেকট্রন বিন্যাস। আমরা জানি, কোন মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসে তার সর্বশেষ ইলেকট্রনটি যদি s-অরবিটালে প্রবেশ করে, তবে সেই s-অরবিটালে যতটি ইলেকট্রন থাকবে সেই ইলেকট্রন সংখ্যাই ঐ মৌলের যোজনী নির্দেশ করে। সেই অনুযায়ী হিলিয়াম এর যোজনী দুই হওয়ার কথা।  কিন্তু হিলিয়াম যেহেতু নিষ্ক্রিয় গ্যাস, সেহেতু এর যোজনী শূন্য।

হিলিয়ামের প্রতীক।

হিলিয়ামের প্রতীক।  হিলিয়াম শব্দটি গ্রীক শব্দ হেলিয়স থেকে এসেছে। যার অর্থ সূর্য। হিলিয়াম পর্যায় সারণির ১ম পর্যায় এবং ১৮ নং গ্রুপের মৌল। হিলিয়াম অন্য মৌলের চেয়ে ২য় হালকা মৌল। এর প্রতীক He.

হিলিয়াম গ্যাসের আবিষ্কারক।

হিলিয়াম গ্যাসের আবিষ্কারক।   1868 সালে ফরাসি বিজ্ঞানী পিয়েরে জনসেন হিলিয়াম গ্যাস আবিষ্কার করেন।  পরবর্তীতে ব্রিটিশ রসায়নবিদ স্যার এডওয়ার্ড ফ্র্যাংকল্যান্ড এবং স্যার জোসেফ নরম্যান লকইয়ার এর নাম করেন হিলিয়াম। 

হাইড্রোজেন এর যোজনী কত?

হাইড্রোজেন এর যোজনী কত?  হাইড্রোজেন এর যোজনী 1. আমরা জানি, কোন মৌল এর নিকটতম নিষ্ক্রিয় গ্যাস অপেক্ষা যতটি ইলেকট্রন কম অথবা বেশি থাকে সেই ইলেকট্রন সংখ্যাই ঐ মৌলের যোজনী নির্দেশ করে।  যেমনঃ হাইড্রোজেনের নিকটতম নিষ্ক্রিয় গ্যাস হচ্ছে হিলিয়াম (He)। হিলিয়াম অপেক্ষা হাইড্রোজেনের একটি ইলেকট্রন কম আছে। হাইড্রোজেন হিলিয়ামের ইলেকট্রন বিন্যাস অর্জন করতে আরও একটি ইলেকট্রন প্রয়োজন। এজন্য হাইড্রোজেনের যোজনী 1.   অথবা, কোন মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসে এর যোজনী শক্তিস্তরে যতটি বেজোড় ইলেকট্রন থাকে ঐ বেজোড় ইলেকট্রনের সংখ্যাই ঐ মৌলের যোজনী নির্দেশ করে।  এক্ষেত্রে হাইড্রোজেনে ইলেকট্রন বিন্যাস করলে দেখা যায় এর 1s¹ অরবিটাল একটি বিজোড় ইলেকট্রন বিদ্যমান থাকে।  এজন্য হাইড্রোজেন এর যোজনী এক।

হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপাদন।

Image
হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপাদন।  হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপাদনের অনেক পদ্ধতি রয়েছে। তারমধ্যে পানির তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতি অধিকতর সহজ ও লাভজনক পদ্ধতি।  তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে পানির নিম্নমুখী অপসারণ দ্বারা হাইড্রোজেন গ্যাস প্রস্তুত করা হয়। এক্ষেত্রে দুটি টেস্টটিউবকে পানি দ্বারা পূর্ণ করে উলম্বভাবে একটি পানির পাত্রে স্থাপন করা হয়। টেস্টটিউব দুটির মুখে তড়িৎদ্বার হিসেবে প্লাটিনাম পাত ববহার করা হয়। এখন নিম্ন বিভবের বিদ্যুৎ পানির মধ্যে চালনা করলে পানির তড়িৎ বিশ্লেষণ ঘটে। এতে করে অ্যানোডে অক্সিজেন গ্যাস ও ক্যাথোডে হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন হয়। অ্যানোড ও ক্যাথোডে উৎপন্ন গ্যাসের চাপের কারণে টেস্ট টিউবের খোলা মুখ দিয়ে পানি বের হয়ে আসে।  এভাবে হাইড্রোজেন গ্যাস প্রস্তুত করা হয়। 4H₂O <------> 4OH-  + 4H+ অ্যানোড বিক্রিয়াঃ 4OH-  ------> 2H₂O + O₂ ক্যাথোড বিক্রিয়াঃ 4H+  ------> 2H₂ 

Popular posts from this blog

কপার(Cu) ও ক্রোমিয়ামের(Cr) ইলেকট্রন বিন্যাস ব্যতিক্রম কেন?

মুক্তজোড় ইলেকট্রন ও বন্ধন জোড় ইলেকট্রন কাকে বলে।

জারণ সংখ্যা নির্ণয়ের সহজ পদ্ধতি।

COD ও BOD কাকে বলে?

জারক ও বিজারক কাকে বলে? কিভাবে জারক ও বিজারক সহজেই চেনা যায়।

সালফার পরিবর্তনশীল যোজনী প্রদর্শন করে কেন?

প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড ও সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ কাকে বলে?

মোলার গ্যাস ধ্রুবক এবং এর মাত্রা, তাৎপর্য ও মান নির্ণয়।

প্রতীক ও সংকেতের মধ্যে পার্থক্য কি?

রাদারফোর্ড ও বোর পরমাণু মডেলের মধ্যে তুলনা।