Posts

Showing posts from February, 2021

আলোর প্রতিফলন কাকে বলে?

আলোর প্রতিফলন কাকে বলে?  আলো যখন বায়ু বা অন্য কোনো স্বচ্ছ মাধ্যমের ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় অন্য কোনো মাধ্যমে বাধা পায় তখন দুই মাধ্যমের বিভেদতল হতে কিছু আলো প্রথম মাধ্যমে ফিরে আসে, একে আলোর প্রতিফলন বলে।

অপটিক্যাল ফাইবার কি?

অপটিক্যাল ফাইবার কি?  অপটিক্যাল ফাইবার হচ্ছে খুব সরু এবং নমনীয় কাঁচের তন্তু। অপটিক্যাল ফাইবারের আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন ঘটে। এটিকে কাজে লাগিয়ে কোনো তথ্য বা ডেটা আদান-প্রদান করা যায়।

ক্যামেরা বা দূরবীনের ভেতরের অংশ কালো হয় কেন?

ক্যামেরা বা দূরবীনের ভেতরের অংশ কালো হয় কেন?  ক্যামেরা কোন কাল বস্তুর উপর আলো পড়লে কাল বস্তুটি সমস্ত আলো শোষণ করে এবং কোন আলো প্রতিফলিত করে না। ফলে কোন বস্তুর চিত্র পরিষ্কার দেখা যায়। এজন্য ক্যামেরা বা দূরবীনে ভেতরের অংশ কাল করা হয়ে থাকে।

সিনেমার পর্দা সাদা হয় কেন?

সিনেমার পর্দা সাদা হয় কেন?  সাদা রঙের তল সব রঙের আলোর প্রতিফলন করে। তাই সিনেমায় সাদা রঙের পর্দা ব্যবহার করা হয়। সাদা রঙের জন্য প্রতিবিম্বের উজ্জ্বলতা বেড়ে যায় এবং সিনেমা পরিষ্কার দেখা যায়।

পিচ কাকে বলে?

পিচ কাকে বলে?  স্ক্রু গজের বৃত্তাকার স্কেলটি সম্পূর্ণ একবার ঘুরলে এটি রৈখিক স্কেল বরাবর যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে পিচ বলে।

স্ক্রু গজ কাকে বলে?

স্ক্রু গজ কাকে বলে?  যে যন্ত্রের সাহায্যে সমব্যাসার্ধের মাইক্রোমিটার স্ক্রু থাকে তাকে স্ক্রুগজ বলে। এর অপর নাম মাইক্রোমিটার স্ক্রু গজ।  এ যন্ত্র দ্বারা খুব ক্ষুদ্র দৈর্ঘ্য পরিমাপ করা যায় বলে এরূপ নামকরণ করা হয়।

ভার্নিয়ার স্কেল ব্যবহার করা হয় কেন?

ভার্নিয়ার স্কেল ব্যবহার করা হয় কেন?  মিলিমিটার এর ভগ্নাংশ পরিমাণ দৈর্ঘ্য পরিমাপ করার জন্য ভার্নিয়ার স্কেল ব্যবহার করা হয়।  মূল স্কেলের সাহায্যে সাধারণত 1 মিলিমিটার পর্যন্ত ক্ষুদ্র দৈর্ঘ্য সঠিকভাবে পরিমাপ করা যায়।  কিন্তু মিলিমিটারের ভগ্নাংশ পরিমাপ করার জন্য ভার্নিয়ার স্কেল ব্যবহার করা হয়।  যেমনঃ ভার্নিয়ার স্কেলের সাহায্যে আমরা 0.1mm, 0.2mm, 0.5mm ইত্যাদি দৈর্ঘ্য নির্ভুলভাবে পরিমাপ করতে পারি।

ভার্নিয়ার ধ্রুবক কাকে বলে?

ভার্নিয়ার ধ্রুবক কাকে বলে?  ভার্নিয়ার স্কেলের সাহায্যে ক্ষুদ্রতম যে দৈর্ঘ্য পর্যন্ত সঠিকভাবে পরিমাপ করা যায় তাকে ভার্নিয়ার ধ্রুবক বলে। মূল স্কেলের সাহায্যে সাধারণত 1 মিলিমিটার পর্যন্ত ক্ষুদ্র দৈর্ঘ্য সঠিকভাবে পরিমাপ করা যায়।  কিন্তু মিলিমিটারের ভগ্নাংশ পরিমাপ করার জন্য ভার্নিয়ার স্কেল ব্যবহার করা হয়।  যেমনঃ ভার্নিয়ার স্কেলের সাহায্যে আমরা 0.1mm, 0.2mm, 0.5mm ইত্যাদি দৈর্ঘ্য নির্ভুলভাবে পরিমাপ করতে পারি।

স্লাইড ক্যালিপার্স কি?

স্লাইড ক্যালিপার্স কি?  স্লাইড ক্যালিপার্স একটি বিশেষ ধরনের দৈর্ঘ্য পরিমাপের যন্ত্র। যেখানে মূল স্কেলের সাথে একটি ভার্নিয়ার স্কেল স্থাপন করা থাকে এবং বস্তুকে দুটি চেয়ালের মাঝখানে রেখে তার দৈর্ঘ্য পরিমাপ করা হয়। ভার্নিয়ার স্কেলটি প্রধান স্কেলের গা ঘেঁষে চলাচল করতে পারে বলে এই যন্ত্রকে স্লাইড ক্যালিপার্স বলে।  স্লাইড ক্যালিপার্সের সাহায্যে বস্তু দৈর্ঘ্য নির্ণয়ঃ  দৈর্ঘ্য = (প্রধান স্কেল পাঠ) + (ভার্নিয়ার স্কেল পাঠ) x (ভার্নিয়ার ধ্রুবক) - (±যান্ত্রিক ত্রুটি)।

ভার্নিয়ার স্কেল কি?

ভার্নিয়ার স্কেল কি?  মূল স্কেলের ক্ষুদ্রতম ভাগের ভগ্নাংশের নির্ভুল পরিমাপের জন্য মূল স্কেলের পাশে যে ছোট আরও একটি স্কেল ব্যবহার করা হয় তাকে ভার্নিয়ার স্কেল বলে।  ভার্নিয়ার স্কেল ফরাসি গণিতশাস্ত্রবিদ পিয়ারে ভার্নিয়ার এই স্কেলটি আবিষ্কার করেন।  ভার্নিয়ার স্কেলের সাহায্যে দৈর্ঘ্য নির্ণয়ঃ  দৈর্ঘ্য= (প্রধান স্কেল পাঠ) + (ভার্নিয়ার স্কেল পাঠ) x (ভার্নিয়ার ধ্রুবক) - (±যান্ত্রিক ত্রুটি)।

ভোল্টমিটার কি?

ভোল্টমিটার কি?  যে যন্ত্রের সাহায্যে বর্তনীর যেকোনো দুটি বিন্দুর মধ্যকার বিভব পার্থক্য ভোল্ট এককে পরিমাপ করা যায় সেই যন্ত্রকে ভোল্টমিটার বলে।

অ্যামিটার কি?

অ্যামিটার কি?  যে যন্ত্রের সাহায্যে কোন বর্তনীর তড়িৎ প্রবাহ সরাসরি অ্যাম্পিয়ার এককে পরিমাপ করা যায় সেই যন্ত্রকে অ্যামিটার বলে।

রোধ কাকে বলে?

রোধ কাকে বলে?  কোন পরিবাহীর যে ধর্মের জন্য এর মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয় তাকে রোধ বলে।  অথবা, নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় কোন পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য ও তড়িৎ প্রবাহের অনুপাতকে ঐ তাপমাত্রায় ঐ পরিবাহীর রোধ বলে।  রোধের একক ও'হম (Ω). রোধকে R দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

কোন পরিবাহীর রোধ 10Ω এর অর্থ কি?

কোন পরিবাহীর রোধ 10Ω এর অর্থ কি?  কোন পরিবাহীর রোধ 10Ω বলতে বুঝায় যে, পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য 10 ভোল্ট হলে এর মধ্যে দিয়ে এক অ্যাম্পিয়ার তড়িৎ প্রবাহ চলবে।

বিভব পার্থক্য কাকে বলে?

বিভব পার্থক্য কাকে বলে?  একক ধনাত্মক চার্জকে তড়িৎ ক্ষেত্রের এক বিন্দু থেকে অন্য বিন্দুতে স্থানান্তর করতে যে পরিমাণ কাজ সম্পন্ন হয় তাকে ঐ দুই বিন্দুর বিভব পার্থক্য বলে।

ও'হম কাকে বলে?

ও'হম কাকে বলে?  যে পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য 1 ভোল্ট এবং তার মধ্যে দিয়ে এক অ্যাম্পিয়ার তড়িৎ প্রবাহ চললে সেই পরিবাহীর রোধকে ও'হম বলে।  রোধের একক ও'হম (Ω)।

তুল্যরোধ কি।

তুল্যরোধ কি।  রোধের কোন সমবায়ের (শ্রেণী বা সমান্তরাল) রোধগুলির পরিবর্তে যে একটি মাত্র রোধ ব্যবহার করলে বর্তনীর প্রবাহ বা বিভব পার্থক্যের কোন পরিবর্তন হয়না তাকে ঐ সমবায়ের তুল্যরোধ বলে।

ও'মের সূত্র।

ও'মের সূত্র।  তাপমাত্রা স্থির থাকলে কোন পরিবাহীর মধ্য দিয়ে যে পরিমান তড়িৎ প্রবাহিত তা দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্যের সমানুপাতিক।  যদি তড়িৎ প্রবাহ I এবং বিভব V হয় তাহলে গাণিতিক ভাবে লিখা যায়- I α V.

মানবদেহের রোধ কত?

মানবদেহের রোধ কত?  চামড়া ভেজা অবস্থায় মানবদেহের রোধ প্রায় 10 kΩ।  চামড়া শুকনো অবস্থায় মানবদেহের রোধ 50 kΩ।

আপেক্ষিক রোধ কি।

আপেক্ষিক রোধ কি।  কোনো নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় একক দৈর্ঘ্যের ও একক প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল বিশিষ্ট কোন পরিবাহীর রোধকে ঐ তাপমাত্রায় ঐ পরিবাহীর উপাদানের আপেক্ষিক রোধ বলে। আপেক্ষিক রোধের একক Ωm.

লবণ সেতু কি?

লবণ সেতু কি?  দুটি অর্ধ কোষের মধ্যে পরোক্ষ সংযোগ স্হাপনের জন্য একটি বিশেষ লবণ যেমনঃ  এর সম্পৃক্ত দ্রবণ ভর্তি U আকৃতির কাচ নলের উভয় মুখ বন্ধ করে অর্ধকোষদ্বয়ের উভয় তরলের মধ্যে ডুবিয়ে রাখা হয়। অর্ধকোষদ্বয়ের এরূপ পরোক্ষ সংযোগের মাধ্যমকে লবণ সেতু বলে।

গ্যালভানিক কোষ কাকে বলে?

গ্যালভানিক কোষ কাকে  বলে?  যে তড়িৎ রাসায়নিক কোষে তড়িৎদ্বার বিক্রিয়া স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঘটে। অর্থাৎ বিক্রিয়া সংগঠনের জন্য বাহির থেকে শক্তির প্রয়োজন হয় না এবং রাসায়নিক শক্তি বিদ্যুৎ শক্তিতে পরিণত হয় তাকে গ্যালভানিক কোষ বলে। যেমন - ড্যানিয়েল কোষ।

ফ্যাটি এসিড কি?

ফ্যাটি এসিড কি?    কার্বক্সিল মূলক (-COOH) বিশিষ্ট অ্যালিফেটিক জৈব যৌগসমূহকে ফ্যাটি এসিড বলে।  ফ্যাটি এসিড সম্পৃক্ত ও অসম্পৃক্ত হতে পারে।  যেমনঃ সম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড হচ্ছে- স্টিয়ারিক এসিড (C₁₇H₃₅COOH)।  অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড হচ্ছে-  ওলিক এসিড (C₁₇H₃₃COOH)।

সাবানের ব্যবহার।

সাবানের ব্যবহার।  সাবানের ব্যবহার নিম্নরূপঃ  ★ পোশাক পরিষ্কার করতে।  ★ মানব দেহ পরিষ্কার করতে। ★ রোগজীবাণু প্রতিরোধক হিসেবে ★ গৃহস্থালির জিনিসপত্র এবং যন্ত্রপাতি পরিষ্কার করতে সাবান ব্যবহার করা হয়।

গ্লিসারিন কি?

গ্লিসারিন কি?  গ্লিসারিন হল অ্যালকোহলের সমগোত্রীয় শ্রেণীর অ্যালিফেটিক যৌগ।  এটি পলি-হাইড্রক্সি অ্যালকোহল। গ্লিসারিন বর্ণহীন তরল এবং মিষ্টি স্বাদ যুক্ত। গ্লিসারিন ফ্যাটি এসিডের সাথে ট্রাই গ্লিসারাইড এস্টার আকারে পাওয়া যায়।

সালফারের অক্সি এসিড সমূহের নাম।

সালফারের অক্সি এসিড সমূহের নাম।  সালফারের অক্সি এসিড সমূহের নাম নিম্নরূপঃ ১. সালফিউরাস এসিড ----> H₂SO₃ ২. সালফিউরিক এসিড --->  H₂SO₄ ৩. থায়োসালফিউরিক অ্যাসিড ---->    H₂S₂O₃ ৪. পাইরোসালফিউরিক এসিড ---->    H₂S₂O₇ ৫. পার সালফিউরিক অ্যাসিড ---->     H₂S₂O₈

অক্সিজেন এর ব্যবহার কি?

অক্সিজেন এর ব্যবহার কি?  অক্সিজেন এর ব্যবহার নিম্নরূপঃ  প্রাণীর শ্বাস - প্রশ্বাস এবং দহন কাজে অক্সিজেন অপরিহার্য। অক্সিজেন ছাড়া মানুষ জীবন ধারণ করতে পারে না। ধাতুর গলন ও জোড়া লাগানোর জন্য, অক্সি অ্যাসিটিলিন শিখা উৎপাদনে এবং অসংখ্য শিল্প-কারখানায় অক্সিজেনের ব্যবহার ব্যাপক।

অক্সিজেনের উৎস কি?

 অক্সিজেনের উৎস কি?  অক্সিজেনের প্রধান উৎস হচ্ছে বাতাস ও জলরাশি।

অক্সাইড কি এবং এর প্রকারভেদ।

অক্সাইড কি এবং এর প্রকারভেদ।  অক্সিজেন ও অপর যেকোনো একটি মৌল যোগে গঠিত দ্বিমৌল যৌগকে অক্সাইড বলে।  যেমনঃ MgO, CaO ইত্যাদি।  অক্সাইডের প্রকারভেদঃ রাসায়নিক ধর্মের ভিত্তিতে অক্সাইডকে নয় ভাগে ভাগ করা যায়।  ১. অম্লীয় অক্সাইড   ২. ক্ষারীয় অক্সাইড  ৩. উভধর্মী অক্সাইড  ৪. নিরপেক্ষ অক্সাইড  ৫. পার অক্সাইড  ৬. পলি অক্সাইড  ৭. সুপার অক্সাইড  ৮. সাব অক্সাইড  ৯. যৌগিক বা মিশ্র অক্সাইড।

কৃষি বিজ্ঞানে নাইট্রোজেনের গুরুত্ব কি।

কৃষি বিজ্ঞানে নাইট্রোজেনের গুরুত্ব কি।  কৃষি বিজ্ঞানে নাইট্রোজেনের গুরুত্ব নিম্নরূপঃ  কৃষি বিজ্ঞানে নাইট্রোজেনের গুরুত্ব অপরিসীম। নাইট্রোজেন থেকে অ্যামোনিয়া, ইউরিয়া প্রভৃতি উৎপন্ন হয়। যা কৃষিবিজ্ঞানে সার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।  এছাড়া উদ্ভিদ মাটি হতে নাইট্রোজেন সরাসরি গ্রহণ করে থাকে।

কৃষি বিজ্ঞানে ফসফরাস এর গুরুত্ব কি।

কৃষি বিজ্ঞানে ফসফরাস এর গুরুত্ব কি।   কৃষি বিজ্ঞানে ফসফরাস এর গুরুত্ব নিম্নরূপঃ  কৃষি বিজ্ঞানে উদ্ভিদের বৃদ্ধি সাধনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া ফসফরাস এর যৌগ সুপার ফসফেট এবং ট্রিপল সুপার ফসফেট সার উদ্ভিদের পুষ্টির জন্য ব্যবহৃত হয়

শ্বেত ফসফরাস ও লোহিত ফসফরাস এর মধ্যে পার্থক্য কি?

শ্বেত ফসফরাস ও লোহিত ফসফরাস এর মধ্যে পার্থক্য কি?  শ্বেত ফসফরাস ও লোহিত ফসফরাস এর মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপঃ  ১. শ্বেত ফসফরাস মোমের মত নরম।কিন্তু, লোহিত ফসফরাস অদানাদার গুড়া পদার্থ। ২. শ্বেত ফসফরাস এর গন্ধ রসুনের মতো। অপরদিকে, লোহিত ফসফরাস গন্ধহীন। ৩. শ্বেত ফসফরাস অত্যন্ত সক্রিয়। কিন্তু লোহিত ফসফরাস কম সক্রিয়। ৪. শ্বেত ফসফরাস উত্তপ্ত ক্ষার দ্রবণের সাথে বিক্রিয়া করে ফসফিন উৎপন্ন করে। লোহিত ফসফরাস ক্ষারের সাথে কোন বিক্রিয়া করে না। ৫. শ্বেত ফসফরাস কক্ষ তাপমাত্রায় অস্থায়ী। ধীরে ধীরে লোহিত ফসফরাসে পরিণত হয়। কিন্তু লোহিত ফসফরাস সাধারণ তাপমাত্রায় স্থায়ী।

ফসফরাসের বহুরূপতা।

ফসফরাসের বহুরূপতা।  ফসফরাস একটি বহুরূপী মৌল।   এর প্রধান দুটি রুপভেদ হল- ১. শ্বেত ফসফরাস ও  ২. লোহিত ফসফরাস। এছাড়াও ফসফরাসের একটি রূপভেদ আছে কালো ফসফরাস।

ফসফরাস এর উৎস।

ফসফরাস এর উৎস।  ফসফরাস খুব সক্রিয় মৌল। তাই এটি প্রকৃতিতে মৌলিক অবস্থায় থাকে না। ফসফরাসকে সাধারণত খনিজ ফসফেট হিসেবে পাওয়া যায়। ফসফেট যৌগ হিসেবেঃ ১. ফসফরাইট ---> Ca₃(PO₄)₂ ২. ফ্লোর অ্যাপাটাইট ----> 3Ca₃(PO₄)₂. CaF₂ ৩. ক্লোর অ্যাপাটাইট ----->    3Ca₃(PO₄)₂. CaCl₂ ৪. ভিভিয়ানাইট ----->  Fe₃(PO₄)₂. 8H₂O ক্যালসিয়াম ফসফেট হিসেবেঃ ১. ডিমে  ২. জীবদেহের অস্থি, মজ্জা ও মস্তিষ্কে।  ৩. উর্বর জমিতে ফসফরাস পাওয়া যায়।

ফসফরাস এর ব্যবহার।

ফসফরাস এর ব্যবহার।  ফসফরাসের ব্যবহার অনেক। প্রাণী দেহের রক্ত, মস্তিষ্ক ও হাড় গঠন করে। এটি উদ্ভিদের বৃদ্ধি সাধন করে। সুপার ফসফেট, ট্রিপল সুপার ফসফেট সার উদ্ভিদের পুষ্টি সাধন করে।  সেফটি ম্যাচ বা নিরাপদ দিয়াশলাইয়ের কাঠির মাথায় ও বাক্সের পাশে লোহিত ফসফরাস ব্যবহার করা হয়। ফসফরাস ব্রোঞ্চ নামক সংকর ধাতু প্রস্তুতিতে ফসফরাস ব্যবহার করা হয়। ফসফরাস ব্রোঞ্চ শক্ত, মরিচারোধী ও ক্ষয়রোধী হওয়ায় বল, বিয়ারিং, ভালব ও শক্ত তার প্রস্তুত করতে ফসফরাস ব্যবহার করা হয়।

সোডিয়াম সালফাইট দ্রবণের সাথে Br₂ এর বিক্রিয়া।

সোডিয়াম সালফাইট দ্রবণের সাথে Br₂ এর বিক্রিয়া। সোডিয়াম সালফাইট দ্রবণে ব্রোমিন চালনা করলে সোডিয়াম সালফেট ও হাইড্রোজেন ব্রোমাইড উৎপন্ন হয়। Na₂SO₃ + Br₂ + H₂O -----> Na₂SO₄ + 2HBr

ব্রোমিনের সাথে H₂S এর বিক্রিয়া।

ব্রোমিনের সাথে H₂S এর বিক্রিয়া।  ব্রোমিনের সাথে হাইড্রোজেন সালফাইড বিক্রিয়া করে সালফার ও হাইড্রোজেন ব্রোমাইড উৎপন্ন করে। H₂S + Br₂ -----> S + 2HBr

ব্রোমিন এর জলীয় দ্রবণের সাথে SO₂ এর বিক্রিয়া।

ব্রোমিন এর জলীয় দ্রবণের সাথে SO₂ এর বিক্রিয়া। ব্রোমিনের জলীয় দ্রবণে SO₂ গ্যাস চালনা করলে SO₂ বিজারিত হয় সালফিউরিক এসিড উৎপন্ন করে সেইসাথে HBr উৎপন্ন হয়. SO₂ + 2H₂O ----> H₂SO₄ + 2[H] Br₂ + 2[H] ------> 2HBr

ক্লোরিনের সাথে হাইড্রোজেন সালফাইড এর বিক্রিয়া।

ক্লোরিনের সাথে হাইড্রোজেন সালফাইড এর বিক্রিয়া।  ক্লোরিন গ্যাসের মধ্যে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস চালনা করলে হাইড্রোজেন সালফাইড জারিত হয়ে সালফার ও হাইড্রোক্লোরিক এসিড উৎপন্ন করে।   H₂S + Cl₂ -----> S + 2HCl

কলিচুন এর সাথে শুষ্ক ক্লোরিনের বিক্রিয়া।

কলিচুন এর সাথে শুষ্ক ক্লোরিনের বিক্রিয়া।  কলিচুন এর সাথে শুষ্ক ক্লোরিনকে 40º সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বিক্রিয়া করালে ক্যালসিয়াম ক্লোরো হাইপোক্লোরাইড বা ব্লিচিং পাউডার উৎপন্ন হয়। Ca(OH)₂ + Cl₂ ----> Ca(OCl)Cl + H₂O

CS₂ যুক্ত HBr দ্রবণের সাথে ক্লোরিন পানির বিক্রিয়া।

CS₂ যুক্ত HBr দ্রবণের সাথে ক্লোরিন পানির বিক্রিয়া।  CS₂ যুক্ত HBr দ্রবণে ক্লোরিন পানি ধীরে ধীরে যোগ করলে ক্লোরিন HBr হতে ব্রোমিন প্রতিস্থাপন করে হাইড্রোজেন ক্লোরাইড (HCl) উৎপন্ন করে এবং ব্রোমিন CS₂ দ্রবণে কমলা হলুদ বর্ণ ধারণ করে। 2HBr + Cl₂ -----> 2HCl + Br₂  CS₂ + Br₂ ------>  কমলা হলুদ বর্ণ  

H₂SO₄ যুক্ত KMnO₄ দ্রবনের সাথে HI এর বিক্রিয়া।

H₂SO₄ যুক্ত KMnO₄ দ্রবনের সাথে HI এর বিক্রিয়া।  লঘু সালফিউরিক এসিড মিশ্রিত বেগুনি বর্ণের পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়োডাইড এর দ্রবণ যোগ করলে তা পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট কে বিজারিত করে বর্ণহীন পটাশিয়াম সালফেট ও গোলাপি বর্ণের ম্যাঙ্গানিজ সালফেট এর দ্রবণ উৎপন্ন করে এবং নিজে জারিত হয়ে পানি ও আয়োডিন উৎপন্ন করে। 2KMnO₄ + 3H₂SO₄ ------>K₂SO₄ + 2MnSO₄ + 3H₂O + 5[O] 10HI + 5[O] -----> 5I₂ + 5H₂O

কপার সালফেটের জলীয় দ্রবণের সাথে HI এর বিক্রিয়া।

কপার সালফেটের জলীয় দ্রবণের সাথে HI এর বিক্রিয়া।   কপার সালফেটের দ্রবণে HI যোগ করলে তা CuSO কে বিজারিত করে কিউপ্রাস আয়োডাইডের সাদা অধঃক্ষেপ, সালফিউরিক অ্যাসিড এবং আয়োডিন উৎপন্ন হয়। 2CuSO₄ + 4HI -----> Cu₂I₂ + 2H₂SO₄ + I₂

আয়োডিনের জলীয় দ্রবনের সাথে Na₂SO₃ এর বিক্রিয়া।

আয়োডিনের জলীয় দ্রবনের সাথে Na₂SO₃ এর বিক্রিয়া। আয়োডিনের জলীয় দ্রবনে Na₂SO₃ যোগ করলে Na₂SO₄ ও HI উৎপন্ন হয়। Na₂SO₃ + I₂ + H₂O -----> 2HI + Na₂SO₄

HI দ্রবনের সাথে O₃ এর বিক্রিয়া।

HI দ্রবনের সাথে O₃ এর বিক্রিয়া। HI এর মধ্যে O₃ চালনা করলে O₂ , আয়োডিন ও পানি উৎপন্ন করে। 2 HI + O₃ -----> O₂ + I₂ + H₂O

HI দ্রবণের সাথে HNO₃ এর বিক্রিয়া

HI দ্রবণের সাথে HNO₃ এর বিক্রিয়া  গাঢ়  HNO₃ কে HI বিজারিত করে NO₂ এ পরিণত করে এবং নিজে জারিত হয়ে আয়োডিন (I₂) ও পানি উৎপন্ন করে 2HNO₃ + 2HI -----> 2H₂O + 2NO₂ + I₂

লোহিত ফসফরাস ও I₂ মিশ্রণে পানির বিক্রিয়া।

লোহিত ফসফরাস ও I₂ মিশ্রণে পানির বিক্রিয়া।  লোহিত ফসফরাস ও পানির মিশ্রণ আয়োডিন যোগ করলে HI ও ফসফরাস এসিড (H₃PO₃)  উৎপন্ন হয়। 2P + 3I₂ ------> 2PI₃ PI₃ + 3H₂O -----> 3HI + H₃PO₃

KI দ্রবণের ক্লোরিন চালনা করলে কি ঘটে।

KI দ্রবণের ক্লোরিন চালনা করলে কি ঘটে।  KI এর দ্রবণে ক্লোরিন গ্যাস চালনা করলে আয়োডিন (I₂) ও পটাশিয়াম ক্লোরাইড (KCl) উৎপন্ন হয়।   2KI + Cl₂ -----> I₂ + 2KCl

আয়োডিনের সাথে SO₂ এর বিক্রিয়া

আয়োডিনের সাথে SO₂ এর বিক্রিয়া।  SO₂ দ্রবণের সাথে আয়োডিন বিক্রিয়া করে হাইড্রোআয়োডিক অ্যাসিড (HI) ও সালফিউরিক এসিড উৎপন্ন করে। SO₂ + I₂ + 2H₂O -----> 2HI + H₂SO₄

ডাই নাইট্রোজেন পেন্টা অক্সাইডের জারণ ধর্ম।

ডাই নাইট্রোজেন পেন্টা অক্সাইডের জারণ ধর্ম।  নাইট্রোজেন পেন্টা অক্সাইড একটি শক্তিশালী জারক। ফসফরাসকে (P₄) তরল নাইট্রোজেন পেন্টা অক্সাইড এর সাথে উত্তপ্ত করলে P₂O₅ উৎপন্ন হয়।  আবার, আয়োডিনের গুড়া নাইট্রোজেন পেন্টা অক্সাইড দ্বারা জারিত হয়ে আয়োডিন পেন্টা অক্সাইডে (I₂O₅) পরিণত হয়। 2N₂O₅ + P₄ -----> 2P₂O₅ + 2N₂ N₂O₅ + I₂ ------> I₂O₅ + N₂

ডাই নাইটোজেন পেন্টা অক্সাইড প্রস্তুতি

ডাই নাইটোজেন পেন্টা অক্সাইড প্রস্তুতি।   গাঢ় নাইট্রিক এসিডকে শক্তিশালী নিরুদক ফসফরাস পেন্টা অক্সাইড (P₂O₅) এর সাহায্যে নিরুদিত করলে ডাই নাইট্রোজেন পেন্টা অক্সাইড (N₂O₅) ও মেটা ফসফরিক এসিড (HPO₃) উৎপন্ন হয়। 2HNO₃ + P₂O₅ -----> N₂O₅ + 2HPO₃

নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড প্রস্তুতি।

নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড প্রস্তুতি।  লেড নাইট্রেটকে  উত্তপ্ত করে গ্যাস নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড বা ডাই নাইট্রোজেন টেট্রাঅক্সাইড (NO₂ বা N₂O₄) প্রস্তুত করা হয়। লেড নাইট্রেটের অণুতে কোন কেলাস পানি না থাকায় এটির ব্যবহার সুবিধাজনক।  তবে group-1 (Na, K ইত্যাদি) এর নাইট্রেট লবণ ও অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট হতে নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হয় না। 2Pb(NO₃)₂ -----> 4NO₂ +2PbO + O₂

ডাই নাইট্রোজেন ট্রাই অক্সাইড (N₂O₃) প্রস্তুতি।

ডাই নাইট্রোজেন ট্রাই অক্সাইড (N₂O₃) প্রস্তুতি।  আর্সেনিয়াস অক্সাইড (As₂O₃) এর সাথে 50% গাঢ় নাইট্রিক এসিডকে উত্তপ্ত করলে ডাই নাইট্রোজেন ট্রাই অক্সাইড উৎপন্ন হয়। উৎপন্ন গ্যাসকে CaCl₂ দ্বারা শুষ্ক করে শেষ শীতল করলে নীল বর্ণের তরল রূপে N₂O₃ জমা হয়। As₂O₃ + 2HNO₃ +2H₂O -----> N₂O₃ + 2H₃AsO₄

নাইট্রিক অক্সাইড (NO) প্রস্তুতি।

নাইট্রিক অক্সাইড (NO) প্রস্তুতি।  কক্ষ তাপমাত্রায় কপার গুড়া ও মধ্যম গাঢ় নাইট্রিক এসিডের বিক্রিয়ায় নাইট্রিক অক্সাইড গ্যাস প্রস্তুত করা হয়। 3Cu + 8HNO₃ -----> 2NO + 3Cu(NO₃)₂ + 4H₂O

নাইট্রাস অক্সাইড প্রস্তুতি

নাইট্রাস অক্সাইড প্রস্তুতি। অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড ও সোডিয়াম নাইট্রেট এর মিশ্রণকে উত্তপ্ত করলে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উৎপন্ন হয়। এই অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটকে 250 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করলে নাইট্রাস অক্সাইড বা লাফিং গ্যাস উৎপন্ন হয়। NH₄Cl + NaNO₃ ----->NH₄NO₃ + NaCl NH₄NO₃ ------> N₂O + 2H₂O

সার কী?

সার কী?  যে সকল জৈব যৌগ বা রাসায়নিক পদার্থ মাটির উর্বরতা ও উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে উদ্ভিজ্জ ফলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাকে সার বলে।  যেমনঃ ইউরিয়া, TSP, DAP, Ca(NO₃)₂ , NH₄NO₃ ইত্যাদি।

লাফিং গ্যাস কি এবং এর প্রস্তুতি।

লাফিং গ্যাস কি এবং এর প্রস্তুতি। নাইট্রাস অক্সাইডকে (N₂O) লাফিং গ্যাস বলা হয়। এর মৃদু মিষ্টি গন্ধ আছে। এটি বর্ণহীন এবং কক্ষতাপমাত্রায় নিষ্ক্রিয়। এটি মৃদু চেতনানাশক হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।  লাফিং গ্যাস বলার কারণঃ নাইট্রাস অক্সাইডের গন্ধ নিলে স্নায়ুতন্ত্রে উত্তেজনা  ঘটিয়ে হাসির উদ্রেক সৃষ্টি করে। তাই নাইট্রাস অক্সাইডকে লাফিং গ্যাস বলা হয়।  প্রস্তুতিঃ  অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড ও সোডিয়াম নাইট্রেট এর মিশ্রণকে উত্তপ্ত করলে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উৎপন্ন হয়। এই অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটকে 250 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করলে নাইট্রাস অক্সাইড বা লাফিং গ্যাস উৎপন্ন হয়। NH₄Cl + NaNO₃ ----->NH₄NO₃ + NaCl NH₄NO₃ ------> N₂O + 2H₂O

মিশ্র অ্যানহাইড্রাইড কাকে বলে?

মিশ্র অ্যানহাইড্রাইড কাকে বলে?  নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইডকে (NO₂) মিশ্র অ্যানহাইড্রাইড বলে। কারণ এটি শীতল পানিতে দ্রবীভূত হয়ে নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO₃) ও নাইট্রাস এসিড (HNO₂) এর মিশ্রন উৎপন্ন হয়। 2NO₂ +H₂O ----->HNO₃ +HNO₂

সক্রিয় নাইট্রোজেন কাকে বলে?

সক্রিয় নাইট্রোজেন কাকে বলে? নিম্নচাপে N₂ গ্যাসের মধ্যে বিদ্যুৎক্ষরণ করলে N₂ এর একটি রূপভেদ উৎপন্ন হয় যা সাধারণ N₂ হতে অধিক ক্রিয়াশীল। একে সক্রিয় N₂ বলে।

এনানসিওমার কি?

এনানসিওমার কি?  অপ্রতিসম কার্বন সম্বলিত কোন যৌগ ও এর দর্পণ প্রতিবিম্ব পরস্পর সমপাতিত না হলে এরূপ দুই ভিন্ন গঠনের যৌগ আলোক সক্রিয় হয়। তখন এরূপ দুই আলোক সক্রিয় সমানুকে এনানসিওমার বা এনানসিওমর্ফ বলে।  এ প্রকারের আলোক সক্রিয়তাকে এনানসিওমারিজম বলা হয়।

রেসিমিক মিশ্রণ কি?

রেসিমিক মিশ্রণ কি?  দুটি এনানশিওমার যেমন d-ল্যাকটিক এসিড ও l- ল্যাকটিক অ্যাসিড উভয় এক সমতলীয় আলোর তলকে সমান কৌণিক পরিমাণে বিপরীত দিকে ঘুরায়। তাই d- সমানু ও l -সমানুর সমপরিমাণ মিশ্রণ পরস্পরের বিপরীত ঘূর্ণন ক্রিয়াকে বিনষ্ট করে থাকে। ফলে d- ও l- সমানুর এই সমতুল মিশ্রণ আলোক নিষ্ক্রিয় হয়।  দুটি এনানশিওমার এরূপ সমতুল মিশ্রণকে রেসিমিক মিশ্রণ বলে।  d-ল্যাকটিক অ্যাসিড ও l- ল্যাকটিক এসিডের ঘূর্ণন কোণ যথাক্রমে +2.24º ও -2.24º।

নিকেল প্রিজম কি?

নিকেল প্রিজম কি?  ক্যালসাইট (CaCO₃) নামক এক বিশেষ খনিজ পদার্থ থেকে নিকেল প্রিজম প্রস্তুত করা হয়। নিকেল প্রিজম বিভিন্ন তলে আলোর স্পন্দনকে ছাঁকন করে এক সমতলীয় আলোতে পরিণত করতে পারে।

এক সমতলীয় আলোর বৈশিষ্ট্য।

এক সমতলীয় আলোর বৈশিষ্ট্য।   এক সমতলীয় আলোর বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপঃ  ১. এক সমতুলীয় আলো সমান্তরাল দুটি নিকেল প্রিজমের মধ্য দিয়ে চলতে পারে। ২. নিকেল প্রিজম দুটি লম্বভাবে থাকলে আলো প্রথম প্রিজমের ভেতর দিয়ে বের হয়ে আর দ্বিতীয় প্রিজমের ভেতর দিয়ে পূর্বের সরল পথে আসতে পারে না। ফলে পূর্বের সরল পথটি অস্বচ্ছ হয়ে থাকে। ৩. দুই সমান্ততরাল নিকেল প্রিজমের বিন্যাসের প্রথম প্রিজমের ভেতর দিয়ে এক সমতুলীয় আলো আসার পর কোন কারনে ঐ এক সমতুলীয় আলোর পথ ধীরে ধীরে কৌনিক ঘূর্ণনে দিক পরিবর্তন করলে, তখনও দ্বিতীয় সমান্তরাল প্রিজমের ভেতর দিয়ে পূর্বের পথে আলো প্রসারিত হতে পারে না। ফলে পূর্বের আলোর সরল পথ  অস্বচ্ছ হয়ে ওঠে।

পোলারিমিটার কাকে বলে?

পোলারিমিটার কাকে বলে?  কোন যৌগের আলোক সক্রিয়তা যে যন্ত্রের সাহায্যে সনাক্তকরণ ও পরিমাপ করা হয় সে যন্ত্রকে পোলারিমিটার বলা হয়।  পোলারিমিটার যন্ত্রটি হল একবর্ণী আলোর উৎস ও পোলারাইজার নামক প্রথম লেন্স, পোলারিমিটার নল ও এনালাইজার নামক দ্বিতীয় লেন্স এর সমন্বয়ে গঠিত।  পোলারাইজার ও এনালাইজার এর মাঝখানে আলোক সক্রিয় যৌগের দ্রবণ রাখার জন্য একটি পোলারিমিটার নল থাকে।

আলোক সক্রিয়তা কাকে বলে?

আলোক সক্রিয়তা কাকে বলে?  যেসব যৌগ এক সমতলীয় আলোর তলকে কৌনিক ঘূর্ণনে পরিবর্তন করে এদেরকে আলোক সক্রিয় যৌগ বলে এবং এসব যৌগের এক সমতলীয় আলোর তল ঘুরাবার ধর্মকে আলোক সক্রিয়তা বলে।

পোলারাইজেশন কাকে বলে।

পোলারাইজেশন কাকে বলে। একবর্ণী আলোককে নিকেল প্রিজমের মধ্য দিয়ে প্রতিসরিত হতে দিলে শুধুমাত্র এক সমতলে লম্বভাবে স্পন্দিত আলোকরশ্মি পাওয়া যায়। একবর্ণী আলোর অসংখ্য সমতল থেকে এক সমতলীয় আলোর ছাঁকন প্রণালীকে পোলারাইজেশন বলে।

এক সমতলীয় আলো কাকে বলে?

এক সমতলীয় আলো কাকে বলে?  অসংখ্য সমতলে লম্বভাবে স্পন্দিত একবর্ণী আলোক রশ্মিকে উপযুক্ত ছাঁকনি বা ফিল্টার এর ভেতর দিয়ে প্রতিসরিত হতে দিলে শুধুমাত্র এক সমতলে লম্বভাবে স্পন্দিত আলোক রশ্মি বের হয়ে আসে।  এরূপ এক সমতলে স্পন্দিত আলোকে এক সমতলীয় আলো বলে।

একবর্ণী আলো কাকে বলে?

একবর্ণী আলো কাকে বলে?  একটিমাত্র তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট আলোকরশ্মিকে একবর্ণী একবর্ণী আলো বলে।  একবর্ণী আলো বিশেষ আলোক উৎস থেকে পাওয়া যায়।  যেমনঃ সোডিয়াম ল্যাম্প থেকে একবর্ণী আলো নির্গত হয় এবং এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য 5893ºA।

অরবিট ও অরবিটাল কাকে বলে?

অরবিট ও অরবিটাল কাকে বলে? অরবিটঃ পরমাণুর নিউক্লিয়াসের বাহিরে সুনির্দিষ্ট যে বৃত্তাকার কক্ষপথে ইলেকট্রন নিউক্লিয়াসকে পরিভ্রমণ করে সেই কক্ষপথকে অরবিট বা প্রধান শক্তিস্তর বা প্রধান কক্ষপথ বলে।  অরবিটালঃ নিউক্লিয়াসের চারদিকে যে নির্দিষ্ট সম্ভাব্য স্থানে ইলেকট্রনের ঘনত্ব সর্বাধিক অর্থাৎ 90% - 95% হয় সেই সকল সম্ভাব্য স্থানকে অরবিটাল বলে।

ক্যাটিনেশন কি?

ক্যাটিনেশন কি?  যে ধর্মের জন্য একই মৌলের একাধিক পরমাণু পরস্পরের সাথে বিভিন্ন সংখ্যায় যুক্ত হয় বিভিন্ন দৈর্ঘের ও আকৃতির শিকল বা বলয় গঠনে সক্ষম হয় তখন মৌলটির সেই ধর্মকে তার ক্যাটিনেশন ধর্ম বলে। যেমনঃ ক্যাটিনেশন ধর্মের জন্য কার্বনের ৬০টি পরমাণু পরপর যুক্ত হয়ে সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন হেক্সা কনটেন C₆₀H₁₂₂ সৃষ্টি করে।

সিগমা ও পাই বন্ধনের মধ্যে পার্থক্য।

সিগমা ও পাই বন্ধনের মধ্যে পার্থক্য। সিগমা ও পাই বন্ধনের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপঃ  ১. সিগমা বন্ধন শক্তিশালী কারণ এখানে অরবিটালের সামনাসামনি অধিক্রমণ ঘটে।  কিন্তু পাই বন্ধন দুর্বল কারণ এখানে অরবিটাল এর পাশাপাশি অধিক্রমন ঘটে।  ২. সিগমা বন্ধন ভাঙতে অধিক শক্তির প্রয়োজন হয়। তাই সিগমা বন্ধন সৃষ্ট যৌগ সহজে বিক্রিয়া দেয় না। বন্ধন ভেঙ্গে প্রতিস্থাপন, অপসারণ ও পুনঃবিন্যাস বিক্রিয়া ঘটে। কিন্তু পাই বন্ধন সৃষ্ট যৌগ সক্রিয় হয়। অতি সহজে যুত বিক্রিয়া দেয়।  ৩. সকল একক বন্ধনী সিগমা বন্ধন দ্বারা গঠিত।  কিন্তু একটি সিগমা বন্ধন এর সাথে একটি বা দুটি পাই বন্ধনযুক্ত হয়ে যথাক্রমে দ্বিবন্ধন ও ত্রিবন্ধন গঠন করে।  ৪. দ্বিবন্ধন যুক্ত পরমাণু মুক্তভাবে ঘুরতে পারে।  কিন্তু পাই বন্ধন যুক্ত যৌগের মুক্ত ঘূর্ণন সম্ভব নয়।

ফুলারিন কি?

ফুলারিন কি?  কার্বনের ক্যাটিনেশন ধর্মের জন্য অতিসম্প্রতি ফুটবলের ন্যায় বিশালাকৃতির C₆₀ শিকল বিশিষ্ট অনু (আণবিক ভর 720) আবিষ্কৃত হয়েছে যার কাঠামোতে কার্বন পরমাণুসমূহ সংকরিত। এটি কার্বনের একটি ত্রিমাত্রিক পলিমারের রূপভেদ।  এ বিশেষ কাঠামোর যৌগটির নাম ফুলারিন।

Popular posts from this blog

কপার(Cu) ও ক্রোমিয়ামের(Cr) ইলেকট্রন বিন্যাস ব্যতিক্রম কেন?

মুক্তজোড় ইলেকট্রন ও বন্ধন জোড় ইলেকট্রন কাকে বলে।

জারণ সংখ্যা নির্ণয়ের সহজ পদ্ধতি।

COD ও BOD কাকে বলে?

জারক ও বিজারক কাকে বলে? কিভাবে জারক ও বিজারক সহজেই চেনা যায়।

সালফার পরিবর্তনশীল যোজনী প্রদর্শন করে কেন?

প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড ও সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ কাকে বলে?

মোলার গ্যাস ধ্রুবক এবং এর মাত্রা, তাৎপর্য ও মান নির্ণয়।

প্রতীক ও সংকেতের মধ্যে পার্থক্য কি?

রাদারফোর্ড ও বোর পরমাণু মডেলের মধ্যে তুলনা।