আইসোইলেকট্রনিক, আইসোস্টার, আইসোডায়াফার, নিউক্লিয়ার আইসোমার কি?
আইসোইলেকট্রনিক, আইসোস্টার, আইসোডায়াফার, নিউক্লিয়ার আইসোমার কি?
আইসোইলেকট্রনিকঃ যে সকল পরমাণু, অনু বা আয়নের মধ্যে ইলেকট্রন সংখ্যা সমান থাকে তাদেরকে পরস্পরের আইসোইলেকট্রনিক বলে।
যেমন - F₂ অণুতে মোট ইলেকট্রন সংখ্যা = (9+9) =18,
ইথেন (C₂H₆) অণুতে মোট ইলেকট্রন সংখ্যা =(6x2 + 1x 6) = 18,
আর্গন (Ar) এর মোট ইলেকট্রন সংখ্যা =18,
আবার ফসফোনিয়াম (PH₄+) এর মোট ইলেকট্রন সংখ্যা =( 15 + 1x3 ) = 18.
এদের সবার ইলেকট্রন সংখ্যা সমান হওয়ায় এরা পরস্পরের আইসোইলেকট্রনিক।
আইসোস্টারঃ যেসকল অণুর মধ্যে সমসংখ্যক পরমাণু ও সমসংখ্যক ইলেকট্রন থাকে তাদেরকে পরস্পরের আইসোস্টার বলে।
যেমন - Cl₂ অণুতে পরমানুর সংখ্যা 1 + 1 = 2 এবং মোট ইলেকট্রন সংখ্যা = ( 17x 2) = 34.
আবার, FeO অণুতে পরমানুর সংখ্যা 1 + 1 = 2 এবং মোট ইলেকট্রন সংখ্যা = ( 26 + 8 ) = 34.
Cl₂ ও FeO পরস্পরের আইসোস্টার।
আইসোডায়াফারঃ যে সকল মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যার পার্থক্য সমান তাদেরকে পরস্পরের আইসোডায়াফার বলে।
যেমন - Na প্রোটন সংখ্যা 11, এবং নিউট্রন সংখ্যা 12. প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যার পার্থক্য
= ( নিউট্রন সংখ্যা - প্রোটন সংখ্যা)
= (12 - 11)
= 1.
আবার, Al এর প্রোটন সংখ্যা 13, এবং নিউট্রন সংখ্যা 14. প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যার পার্থক্য
= 1.
আবার, Al এর প্রোটন সংখ্যা 13, এবং নিউট্রন সংখ্যা 14. প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যার পার্থক্য
= ( নিউট্রন সংখ্যা - প্রোটন সংখ্যা)
= (14 - 13)
= 1.
কাজেই, Na ও Al পরস্পরের আইসোডায়াফার।
= 1.
কাজেই, Na ও Al পরস্পরের আইসোডায়াফার।
নিউক্লিয়ার আইসোমারঃ যেসব পরমাণুর পারমাণবিক সংখ্যা এবং ভর সংখ্যা একই কিন্তু তেজস্ক্রিয় ধর্ম ভিন্ন তাদেরকে পরস্পরের নিউক্লিয়ার আইসোমার বলা হয়।
যেমন - দুটি তেজস্ক্রিয় Zn যার একটি Zn এর পারমাণবিক সংখ্যা 30 এবং ভর সংখ্য 69.
এর অর্ধ - জীবন 13.8 ঘন্টা।
আবার আরেকটি Zn যার পারমাণবিক সংখ্যা 30 এবং ভর সংখ্যা 69. অর্ধ - জীবন 57 মিনিট। এরা পরস্পরের নিউক্লিয়ার আইসোমার। এদের প্রোটন, নিউট্রন, ইলেকট্রন সংখ্যা একই হয়। কিন্তু তেজস্ক্রিয়তা ভিন্ন হয়।
অসাধারণ পোষ্ট।ধন্যবাদ
ReplyDeletethanks
Deleteধন্যবাদ
Deleteআইসোইলেকট্রনিক-দের রাসায়নিক ধর্ম একই না ভিন্ন কারণসহ লেখ।
ReplyDelete