Posts

অ্যাসিডিয় ফ্যাক্স ও ক্ষারীয় ফ্লাক্স কি। কিভাবে এরা ধাতু বিশোধন করে।

অ্যাসিডিয় ফ্যাক্স ও ক্ষারীয় ফ্লাক্স কি। কিভাবে এরা ধাতু বিশোধন করে।   ধাতুর আকরিক এর সঙ্গে যেসব অপদ্রব্য মিশ্রিত থাকে তাদেরকে খনিজ মল বলে। ধাতুর খনিজমল হলে তাকে ক্ষারীয় খনিজমল এবং অধাতুর খনিজমল হলে তাকে অম্লীয় খনিজমল বলে। খনিজমল দূর করার জন্য আকরিকের সঙ্গে যে পদার্থ যোগ করা হয় তাকে ফ্লাক্স বলে।   ক্ষারীয় খনিজমল দূর করার জন্য যে ফ্লাক্স যোগ করা হয় তাকে অম্লীয় ফ্লাক্স এবং অম্লীয় খনিজমল দূর করার জন্য যে ফ্লাক্স যোগ করা হয় তাকে ক্ষারীয় ফ্লাক্স বলে। ধাতুর আকরিক থেকে খনিজমল দূর করার জন্য আকরিক এর সাথে ফ্লাক্স যোগ করা হয়। উচ্চ তাপমাত্রায় আকরিকের ধাতব অক্সাইড বিজারিত হয় মুক্ত ধাতু উৎপন্ন করে এবং ফ্লাক্স, খনিজমল এর সাথে যুক্ত হয়ে ধাতুমল উৎপন্ন করে। ধাতুমল হালকা বলে গলিত ধাতুতে দ্রবীভূত হয় না। ধাতুমল হালকা বলে গলিত ধাতু থেকে সহজে পৃথক করা যায়। খনিজমল যেমন এসিডিয় ও ক্ষারীয় হয় তেমনি ফ্লাক্স গুলি অ্যাসিডিয় ও ক্ষারীয় হয়। অ্যাসিডিয় খনিজমল দূর করার জন্য ক্ষারীয় ফ্লাক্স এবং ক্ষারীয় খনিজমল দূর করার জন্য অম্লীয় ফ্লাক্স যোগ করা হয়।...

পোলার যৌগ (পানি, অ্যালকোহল) কি?

পোলার যৌগ(পানি, অ্যালকোহল) কি? সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ দুটি ভিন্ন মৌলের পরমাণুর মধ্যে তড়িৎ ঋণাত্মকতার পার্থক্য 0.5 থেকে 1.7 এর মধ্যে হলে অণুটি পোলার হয়।  সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ দুটি ভিন্ন মৌলের পরমাণুর মধ্যে যে মৌলের পরমাণুটি ঔ সমযোজী বন্ধন ইলেকট্রনকে তার নিজের দিকে অধিক টেনে নিতে পারে সেই মৌলের পরমাণুটি আংশিক ঋণাত্মক চার্জিত ও অপর মৌলের পরমাণুটি আংশিক ধনাত্মক চার্জ দিতে হয়।  একই অণুতে দুটি ভিন্ন চার্জ অর্থাৎ ডাইপোল সৃষ্টি হওয়ার ধর্মকে পোলারিটি বলে। যেসব অনু এই ধর্ম প্রদর্শন করে তাদের পোলার অনু বলে।  পানি একটি পোলার অণু। কারণ পানির অক্সিজেন পরমাণুর তড়িৎ ঋণাত্মকতা 3.5 এবং হাইড্রোজেন পরমাণুর তড়িৎ ঋণাত্মকতা 2.1 এদের তড়িৎ ঋণাত্মকতা পার্থক্য 1.4 যা একটি পোলার অণু। পানিতে অক্সিজেন পরমাণুর তড়িৎ ঋণাত্মকতা বেশি হওয়ায় অক্সিজেন পরমাণু আংশিক ঋণাত্মক চার্জিত এবং হাইড্রোজেন পরমাণু আংশিক ধনাত্মক চার্জিত হয়।  অর্থাৎ ডাইপোল গঠন করে। যার কারণে পানি একটি পোলার অণু। আবার, অ্যালকোহল পোলার কারণ, অ্যালকোহলে একটি হাইড্রোক্সিল  (-OH)  মূলক বিদ্যমান থাকে। হাইড্রোক্সিল ম...

পিঁপড়া বা মৌমাছি কামড়ালে ক্ষতস্থানে চুন বা মধু ব্যবহার করা হয় কেন?

পিঁপড়া বা মৌমাছি কামড়ালে ক্ষতস্থানে চুন বা মধু ব্যবহার করা হয় কেন?   পিঁপড়া বা মৌমাছি কামড়ের স্থানে চুন বা মধু ব্যবহার করা হয়।  কারণ পিঁপড়া বা মৌমাছি কামড়ে ক্ষতস্থানে পিঁপড়া বা মৌমাছির শরীর থেকে যে বিষ প্রবেশ করে তাতে অম্লীয় উপাদান থাকে। অম্লীয় উপাদানটি ফরমিক অ্যাসিড বা মিথানয়িক এসিড ( H-COOH) নামে পরিচিত।  তাই এই এসিডকে প্রশমনের জন্য ক্ষারীয় উপাদান চুন বা মধু প্রয়োগ করা হয়। চুন বা মধুর সাথে ফরমিক অ্যাসিড প্রশমন বিক্রিয়া করে ক্যালসিয়াম অক্সালেট  Ca(H-COO)₂ লবণ ও পানি উৎপন্ন করে। যার ফলে ক্ষতস্থানে ব্যথা প্রশমিত হয়। ফলে ক্ষতস্থানে আরাম বোধ হয়।  এজন্য পিঁপড়া বা মৌমাছি কামড়ালে ক্ষতস্থানে চুন বা মধু প্রয়োগ করা হয়। 2H-COOH + CaO ------>  Ca(H-COO)₂ + H₂O

পর্যায় সূত্র কি?

পর্যায় সূত্র কি?   পর্যায় সারণির জনক মেন্ডেলিফ। তিনি যখন পর্যায় সারণী আবিষ্কার করেন তখন মৌল সমূহের শুধু পারমাণবিক ভর ছিল।  মেন্ডেলিফ পারমাণবিক ভরের উপর ভিত্তি করে পর্যায় সারণি আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি যখন পর্যায় সারণি আবিষ্কার করেন তখন মাত্র 63 টি মৌল ছিল।  তিনি আরো চারটি মৌলের ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন। অর্থাৎ মোট 67 টি মৌলের সারণি তৈরি করেছিলেন।   মেন্ডেলিফের পর্যায় সূত্রঃ মৌল সমূহের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মাবলি তাদের পারমাণবিক ভর বৃদ্ধির সাথে পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হয়। কিন্তু পরবর্তীতে মেন্ডেলিফের পর্যায় সারণির অনেক ত্রুটি দেখা যায়। ইলেকট্রন বিন্যাসের মাধ্যমে মেন্ডেলিফের পর্যায় সারণির ত্রুটিগুলো কিছু সংশোধন করা যায়। এইজন্য ইলেকট্রন বিন্যাসকে পর্যায় সারণির মূল ভিত্তি ধরা হয়। পরবর্তীতে মেন্ডেলিফের পর্যায় সূত্র পরিবর্তন করা হয়, যা আধুনিক পর্যায় সূত্র নামে পরিচিত।   আধুনিক পর্যায় সূত্রঃ মৌল সমূহের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মাবলি তাদের পারমাণবিক সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হয়।

ডোবেরাইনের ত্রয়ী সূত্র

ডোবেরাইনের ত্রয়ী সূত্র   ত্রয়ী সূত্রঃ  একই ধর্ম বিশিষ্ট তিনটি মৌলকে তাদের পারমাণবিক ভরের ক্রম অনুসারে সাজালে প্রথম ও তৃতীয় মৌলের ভরের গড় মান হবে দ্বিতীয় মৌলের ভরের সমান বা প্রায় সমান। একে ত্রয়ী সূত্র বলে। যেমনঃ একই ধর্ম বিশিষ্ট তিনটি মৌল যথাক্রমে লিথিয়াম (Li), সোডিয়াম (Na), পটাশিয়াম (K). এদের পারমাণবিক ভর যথাক্রমে 7, 23, 39. প্রথম মৌল লিথিয়াম এবং তৃতীয় মৌল পটাশিয়াম এদের ভরের গড় মান = ( 7 + 39) ÷ 2 = 23. যা সোডিয়ামের ভরের সমান।

বোর পরমাণু মডেলের সীমাবদ্ধতা।

বোর পরমাণু মডেলের সীমাবদ্ধতা। বোরের পরমাণু মডেলের অনেক সফলতা থাকলেও এর কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বোরের পরমাণু মডেলের সীমাবদ্ধতা গুলি নিম্নরূপঃ ১. বোর পরমাণু মডেল এক ইলেকট্রন বিশিষ্ট হাইড্রোজেন পরমাণুর বর্ণালী ব্যাখ্যা করতে পারলেও একাধিক ইলেকট্রন বিশিষ্ট পরমাণুসমূহের বর্ণালী ব্যাখ্যা করতে পারে না। ২. বোরের পরমাণু মডেল হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা নীতির পরিপন্থী। ৩. এ মডেল ইলেকট্রনের কণা ধর্ম ব্যাখ্যা করতে পারলেও তরঙ্গ ধর্ম ব্যাখ্যা করতে পারে না। ৪. এক শক্তিস্তর হতে অপর শক্তিস্তরে ইলেকট্রনের স্থানান্তর ঘটলে বোর পরমাণু মডেল অনুসারে বর্ণালীতে একটি করে রেখা সৃষ্টি হওয়ার কথা। কিন্তু পরবর্তীতে গবেষণা করে দেখা গেছে প্রতিটি রেখা একাধিক সূক্ষ্ম রেখায় বিভক্ত। এর ব্যাখ্যা বোর মডেল দিতে পারেনা। ৫. বোরের পরমাণু মডেল হতে পরমাণুর ত্রিমাত্রিক কাঠামো সম্পর্কে কোন ধারণা পাওয়া যায় না। বোর পরমাণু মডেলের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এ মডেল পরমাণু স্থায়িত্ব ব্যাখ্যা করতে পারে।  এজন্য বোর পরমাণু মডেল সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।

জিম্যান প্রভাব (Zeeman effect), স্টার্ক প্রভাব (Stark effect) কি।

জিম্যান প্রভাব (Zeeman effect), স্টার্ক প্রভাব (Stark effect)  কি।   জিম্যান প্রভাবঃ পরমাণুতে চৌম্বক ক্ষেত্রের প্রভাবে বর্ণালী রেখাগুলো আরো সূক্ষ্ম রেখায় বিভক্ত হয় একে জিম্যান প্রভাব বলে।   পরমাণুর নিউক্লিয়াসে ধনাত্মক চার্জ এবং নিউক্লিয়াসের বাহিরে শক্তিস্তরে ঋণাত্মক চার্জিত ইলেকট্রন বিদ্যামান থাকে। ধনাত্মক চার্জ ও ঋণাত্মক চার্জ এরমধ্যে আকর্ষণের মাধ্যমে চুম্বক ক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়।   স্টার্ক প্রভাবঃ   বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের প্রভাবে বর্ণালী রেখা গুলি একাধিক সূক্ষ্ম রেখায় বিভক্ত হয় একে স্টার্ক প্রভাব বলে। পরমাণুতে ইলেকট্রন প্রবাহের কারণে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়।

Popular posts from this blog

কপার(Cu) ও ক্রোমিয়ামের(Cr) ইলেকট্রন বিন্যাস ব্যতিক্রম কেন?

মুক্তজোড় ইলেকট্রন ও বন্ধন জোড় ইলেকট্রন কাকে বলে।

জারণ সংখ্যা নির্ণয়ের সহজ পদ্ধতি।

COD ও BOD কাকে বলে?

জারক ও বিজারক কাকে বলে? কিভাবে জারক ও বিজারক সহজেই চেনা যায়।

সালফার পরিবর্তনশীল যোজনী প্রদর্শন করে কেন?

মোলার গ্যাস ধ্রুবক এবং এর মাত্রা, তাৎপর্য ও মান নির্ণয়।

প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড ও সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ কাকে বলে?

রাদারফোর্ড ও বোর পরমাণু মডেলের মধ্যে তুলনা।

প্রতীক ও সংকেতের মধ্যে পার্থক্য কি?