অরবিটাল কিভাবে লেখা হয়?
আমরা যখন কোন অরবিটাল লিখি তখন দুইটি কোয়ান্টাম সংখ্যা ব্যবহার করে থাকি। একটি হচ্ছে প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা (n), এবং অপরটি হচ্ছে সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা (l).
প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা n এর মান 1,2,3,4 ---- ইত্যাদি হয়। অপরদিকে s, p, d, f দ্বারা সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা বোঝানো হয়।
কোন অরবিটাল লিখার সময় আমরা প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা এবং সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা পাশাপাশি লিখি। যেমন: 1s, 2s, 2p, 3s ইত্যাদি৷ ।
এখানে 1s এর ক্ষেত্রে 1 হচ্ছে প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা বা প্রধান শক্তিস্তর এবং s হচ্ছে সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা বা উপশক্তিস্তর।
প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যার মান n = 1,2,3,4 --- ইত্যাদি দ্বারা পরমাণুর নিউক্লিয়াসের বাহিরে বৃত্তাকার বিভিন্ন প্রধান কক্ষপথ বা প্রধান শক্তিস্তর বা অরবিটকে বোঝানো হয়।
সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা দ্বারা পরমাণুতে একটি ইলেকট্রন কোন প্রধান শক্তিস্তরের কোন উপশক্তিস্তরে বিদ্যমান থাকে তা বোঝানো হয়।
সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা এর মান শূন্য থেকে (n - 1) পর্যন্ত হয়ে থাকে। যেমন : n = 1 হলে, l = 0 হবে। সেক্ষত্রে 1s উপশক্তিস্তর হবে।
n = 2 হলে, l = 0 এবং 1 হবে। সেক্ষেত্রে 2s এবং 2p উপশক্তিস্তর হবে।
অর্থাৎ l= 0 হলে s উপশক্তিস্তর, l = 1 হলে p উপশক্তিস্তর, l = 2 হলে d উপশক্তিস্তর, l = 3 হলে f উপশক্তিস্তর হয়।
পরমাণুর উপশক্তিস্তরে ইলেকট্রন ত্রিমাত্রিক ভাবে বিন্যস্ত থাকে। পরমাণুর কোন উপশক্তিস্তরে ইলেকট্রনের ত্রিমাত্রিক বিন্যাস বা যে অঞ্চলে ইলেকট্রনের ঘনত্ব (90% - 95%) বেশি হয় তাকে অরবিটাল বলে।
Comments
Post a Comment