অবস্থান্তর ধাতুসমূহের প্যারাম্যাগনেটিক ধর্ম।

অবস্থান্তর ধাতুসমূহের প্যারাম্যাগনেটিক ধর্ম।





যেসব পদার্থ চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা আকর্ষিত হয় তাদেরকে প্যারাম্যাগনেটিক পদার্থ বলে। 

অবস্থান্তর ধাতুসমূহের সর্ববহিঃস্থ d- অরবিটালে একাধিক অযুগ্ম ইলেকট্রন থাকে। এই অযুগ্ম ইলেকট্রনের কারণে অবস্থান্তর ধাতু সমূহ চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা আকর্ষিত হয়। অর্থাৎ এরা প্যারাচুম্বকীয় বা প্যারাম্যাগনেটিক ধর্ম বিশিষ্ট হয়। 

তবে অবস্থান্তর ধাতু সমূহের বিজোড় ইলেকট্রনের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা আকর্ষণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে।
Fe²+ ; Fe³+ ; Mn²+ ; V³+ ; Ti³+ ; Ni²+ ; Co²+ ; Cu²+ ইত্যাদি অবস্থান্তর ধাতুর আয়নগুলি প্যারাম্যাগনেটিক বা প্যারাচুম্বকীয় হয়। 


ফেরোম্যাগনেটিকঃ যেসব পদার্থ চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা প্রবল ভাবে আকৃষ্ট হয় তাদেরকে ফেরোম্যাগনেটিক পদার্থ বলে। এসব মৌলের বহিঃস্থ d- অরবিটালে অযুগ্ম ইলেকট্রনের সংখ্যা সবথেকে বেশি থাকে। এই জন্য Fe, Co, Ni এই অবস্থান্তর মৌল গুলি চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা অধিক আকৃষ্ট হয়। 
এজন্য এদের ফেরোম্যাগনেটিক পদার্থ বলে। 


ডায়াম্যাগনেটিকঃ যেসব পদার্থ চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা আকৃষ্ট হয় না বা বিকর্ষিত হয় তাদেরকে ডায়াম্যাগনেটিক পদার্থ বলে। এসব অবস্থান্তর মৌলের আয়নের বহিঃস্থ d- অরবিটালে অযুগ্ম ইলেকট্রনের পরিবর্তে যুগল বা জোড় ইলেকট্রন থাকে। যেমনঃ Sc, Zn ইত্যাদি।

Comments

Popular posts from this blog

কপার(Cu) ও ক্রোমিয়ামের(Cr) ইলেকট্রন বিন্যাস ব্যতিক্রম কেন?

মুক্তজোড় ইলেকট্রন ও বন্ধন জোড় ইলেকট্রন কাকে বলে।

জারণ সংখ্যা নির্ণয়ের সহজ পদ্ধতি।

COD ও BOD কাকে বলে?

জারক ও বিজারক কাকে বলে? কিভাবে জারক ও বিজারক সহজেই চেনা যায়।

সালফার পরিবর্তনশীল যোজনী প্রদর্শন করে কেন?

প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড ও সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ কাকে বলে?

মোলার গ্যাস ধ্রুবক এবং এর মাত্রা, তাৎপর্য ও মান নির্ণয়।

প্রতীক ও সংকেতের মধ্যে পার্থক্য কি?

রাদারফোর্ড ও বোর পরমাণু মডেলের মধ্যে তুলনা।