পরীক্ষাগারে অ্যামোনিয়া গ্যাস প্রস্তুতি।

পরীক্ষাগারে অ্যামোনিয়া গ্যাস প্রস্তুতি। 




মূলনীতিঃ পরীক্ষাগারে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড ও চুন / ক্যালসিয়াম অক্সাইড/ কুইকলাইম (CaO) অথবা কলিচুন/ স্ল্যাকেড লাইম/ ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইডের {Ca(OH)₂} মিশ্রনকে উত্তপ্ত করলে অ্যামোনিয়া (NH₃) গ্যাস উৎপন্ন হয়। 

বিক্রিয়াঃ

2NH₄Cl + CaO ----> 2NH₃ + CaCl₂ + H₂O

2NH₄Cl + Ca(OH)₂ ----> 2NH₃ + CaCl₂ + 2H₂O


বর্ণনাঃ একটি টেস্টটিউবে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড ও এর দ্বিগুণ পরিমাণ শুষ্ক কলিচুন বা চুন নেওয়া হয়। এরপর টেসটিউবের মুখে কর্কের সাহায্যে একটি নির্গম নল যুক্ত করে টেস্টটিউবটিকে স্ট্যান্ডের সাথে আটকানো হয়। এবার টেস্টটিউবটিকে ধীরেধীরে উত্তপ্ত করলে অ্যামোনিয়া গ্যাস উৎপন্ন হয়। অ্যামোনিয়া গ্যাস শ্বাসরোধী ও বায়ুর থেকে হালকা হওয়ায় পানির নিম্নমুখী অপসারন দ্বারা গ্যাসজারে সংগ্রহ করা হয়।



Comments

Popular posts from this blog

কপার(Cu) ও ক্রোমিয়ামের(Cr) ইলেকট্রন বিন্যাস ব্যতিক্রম কেন?

মুক্তজোড় ইলেকট্রন ও বন্ধন জোড় ইলেকট্রন কাকে বলে।

জারণ সংখ্যা নির্ণয়ের সহজ পদ্ধতি।

COD ও BOD কাকে বলে?

জারক ও বিজারক কাকে বলে? কিভাবে জারক ও বিজারক সহজেই চেনা যায়।

সালফার পরিবর্তনশীল যোজনী প্রদর্শন করে কেন?

প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড ও সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ কাকে বলে?

মোলার গ্যাস ধ্রুবক এবং এর মাত্রা, তাৎপর্য ও মান নির্ণয়।

প্রতীক ও সংকেতের মধ্যে পার্থক্য কি?

রাদারফোর্ড ও বোর পরমাণু মডেলের মধ্যে তুলনা।