Posts

লেখচিত্রের সাহায্যে বয়েলের সূত্রের ব্যাখ্য।

Image
  (১) গ্যাসের আয়তন (V) বনাম চাপের (P) লেখচিত্রঃ  বয়েলের সূত্র অনুসারে স্হির তাপমাত্রায় নির্দিষ্ট ভরের কোন গ্যাসের উপর বিভিন্ন চাপ প্রয়োগ করলে, বিভিন্ন আয়তন পাওয়া যায়। যা রেকর্ড করা হয়।  Y-অক্ষ বরাবর আয়তন এবং X- অক্ষ বরাবর চাপ লেখচিত্র অংকন করলে  নিম্নের চিত্রের ন্যায় অধিবৃত্তীয় রেখা পাওয়া যায়।  স্থির তাপমাত্রায় প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করে আয়তন বনাম চাপের লেখচিত্র অঙ্কন করলে প্রাপ্ত অধিবৃত্তীয় রেখা সমূহকে আইসোথার্ম বা সমতাপীয় রেখা বলা হয়।       চিত্রঃ আয়তন বনাম চাপ লেখচিত্র ।  (২) গ্যাসের আয়তন (V) বনাম 1/P লেখচিত্রঃ  স্থির তাপমাত্রায় কোন নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের আয়তন বনাম প্রযুক্ত চাপের ব্যস্তানুপাতে লেখচিত্র অঙ্কন করলে মূল বিন্দুগামী সরলরেখা পাওয়া যায়।  আমরা জানি, বয়েলের সূত্র   V α 1/P বা, V = K 1/P   [এখানে  V = y এবং 1/P = x] হলে-  y = mx  যা  মূল বিন্দুগামী সরলরেখার সমীকরণ। এজন্য  গ্যাসের আয়তন (V) কে Y- অক্ষ এবং  1/P কে X- অক্ষ বরাবর লেখচিত্র অংকন করলে মূলবিন্দুগামী সরল রেখা পাওয়া যায়। চিত্রঃ আয়তন (V) বনাম 1/P লেখচিত্র ।  (৩) গ্যাসের চাপ(P) ও আয়তনের(V) গুণফল ব

বয়েলের সূত্রের অনুসিদ্ধান্ত

  বয়েলের সূত্রঃ স্হির তাপমাত্রায় নির্দিষ্ট ভরের যেকোনো গ্যাসের আয়তন ঐ গ্যাসের উপর প্রযুক্ত চাপের ব্যস্তানুপাতিক।  অর্থাৎ স্হির তাপমাত্রায় গ্যাসের চাপ বৃদ্ধি করলে আয়তন হ্রাস পায়।  বয়েলের গাণিতিক সমীকরণ নিম্নরূপ-  P₁V₁ = P₂V₂ = K  -------(i) আমরা জানি,  গ্যাসের ঘনত্ব = (ভর / আয়তন)    d = (W / V ) বা, আয়তন = (ভর / ঘনত্ব).   V = (W / d ). এক্ষেত্রে গ্যাসের ভর (W) নির্দিষ্ট। তাই স্হির তাপমাত্রায় গ্যাসের আয়তন (V) পরিবর্তন করলে গ্যাসের ঘনত্ব (d) পরিবর্তিত হয়।  অতএব, V₁ = W / d₁ ,  এবং V₂ = W / d₂ (i) নং সমীকরণে V₁ ও V₂ এর মান বসাই, => (WP₁ / d₁) = (WP₂ / d₂ ) => ( P₁ / d₁ ) = (P₂ / d₂ ) => P / d = K => P = K d =>  P α d. অর্থাৎ স্থির তাপমাত্রায় নির্দিষ্ট ভরের কোন গ্যাসের ঘনত্ব ঐ গ্যাসের উপর প্রযুক্ত চাপের সমানুপাতিক। এটি বয়েলের অনুসিদ্ধান্ত। 

ভ্যান্ডার ওয়ালস ধ্রুবক a ও b এর তাৎপর্য কি?

  ভ্যানডার ওয়ালস্ ধ্রুবক a এর তাৎপর্য - ১. ভ্যানডার ওয়ালস ধ্রুবক a কোন গ্যাসের আন্তঃআণবিক আকর্ষন শক্তির পরিমাপক। কোন গ্যাসের জন্য a এর মান যত বেশি হবে, ঐ গ্যাসের আন্তঃআণবিক আকর্ষণ শক্তি তত বেশি হবে। ২. কোন গ্যাসের আণবিক ভর যত বেশি ঐ গ্যাসের জন্য a এর মান তত বেশি হবে এবং গ্যাসকে তত সহজে তরল করা যায়।  ৩. a এর একক চাপ ও আয়তনের এককের উপর নির্ভরশীল। আয়তনকে লিটার ও চাপকে এটমোস্ফেয়ার এককে প্রকাশ করা যায় তবে a এর একক  হবে- atm. / (L. mol)². ভ্যানডার ওয়ালস ধ্রুবক b এর তাৎপর্য - ১. b হল ১ মোল কোন গ্যাসের অনুসমূহের নিজস্ব আয়তন।  ২. কোন গ্যাসের আকার বড় হলে b এর মান বড় হবে।  ৩. b এর একক আয়তনের এককের উপর নির্ভরশীল। আয়তনকে লিটারে প্রকাশ করলে b এর একক হবে L / mol.

সাবানের কাঁচামাল কি কি

  সাবান তৈরির জন্য ব্যবহৃত কাঁচামাল সমূহ নিম্নরূপঃ  ১. তেল ও চর্বি  ২. সোডিয়াম সিলিকেট  ৩. কস্টিক সোডা  ৪. সোডিয়াম বাই কার্বনেট  ৫. ট্রাই সোডিয়াম ফসফেট  ৬. রঞ্জক ও সুগন্ধি  ৭. সোডা অ্যাশ। 

সাবান ও ডিটারজেন্ট এর মধ্যে পার্থক্য কি?

  সাবান ও ডিটারজেন্ট এর মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপঃ  ১. সাবান হচ্ছে উচ্চতর ফ্যাটি এসিডের  সোডিয়াম বা পটাশিয়াম লবন। অপরদিকে, ডিটারজেন্ট হচ্ছে উচ্চতর হাইড্রোকার্বনের সোডিয়াম বা পটাশিয়াম এর সালফেট লবণ। ২. সাবান খর পানিতে কাপড় পরিষ্কার করতে পারে না।  ডিটারজেন্ট খর পানিতে কাপড় পরিষ্কার করতে পারে।  ৩. সাবান পানিতে কম দ্রবণীয়।  কিন্তু ডিটারজেন্ট পানিতে বেশি দ্রবণীয়।   ৪. সাবানের পরিষ্কারক ক্ষমতা কম। কিন্তু ডিটারজেন্টের পরিস্কারক ক্ষমতা বেশি।

BOD ও COD এর মধ্যে পার্থক্য কি?

  BOD ও COD এর মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপঃ   ১. BOD প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কেবলমাত্র জৈব ভাঙ্গন যুক্ত পদার্থসমূহ জারিত হয়।  COD প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জারনযোগ্য সকল প্রকার জৈব ও অজৈব পদার্থ জারিত হয়।  ২. BOD তে অনুজীব দ্বারা জারন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হয়। COD রাসায়নিক জারক দ্বারা জারন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হয়।  ৩. BOD কষ্টসাধ্য এবং সময় সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। COD দ্রুত ও সহজতর প্রক্রিয়া।     ৪. BOD প্রাণ রাসায়নিক প্রক্রিয়া। COD রাসায়নিক প্রক্রিয়া। 

মিশ্র বা যৌগিক অক্সাইড কি?

  মিশ্র বা যৌগিক অক্সাইডঃ যে সকল অক্সাইডে একই মৌলের দুটি ভিন্ন জারণ সংখ্যার অক্সাইড এর মিশ্রণ বা যৌগ রূপে আচরণ করে। তাদেরকে মিশ্র বা যৌগিক অক্সাইড বলে।  যেমন- Fe₃O₄ ; Pb₃O₄ ; Mn₃O₄ ইত্যাদি।  ফেরোসোফেরিক অক্সাইড , ফেরাস অক্সাইড ও ফেরিক অক্সাইড এর মিশ্রণ। (Fe₃O₄ = FeO + Fe₂O₃) ,  ( Pb₃O₄ = PbO + Pb₂O₃) ,  ( Mn₃O₄ = MnO + Mn₂O₃ ).

Popular posts from this blog

কপার(Cu) ও ক্রোমিয়ামের(Cr) ইলেকট্রন বিন্যাস ব্যতিক্রম কেন?

মুক্তজোড় ইলেকট্রন ও বন্ধন জোড় ইলেকট্রন কাকে বলে।

জারণ সংখ্যা নির্ণয়ের সহজ পদ্ধতি।

COD ও BOD কাকে বলে?

জারক ও বিজারক কাকে বলে? কিভাবে জারক ও বিজারক সহজেই চেনা যায়।

সালফার পরিবর্তনশীল যোজনী প্রদর্শন করে কেন?

প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড ও সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ কাকে বলে?

মোলার গ্যাস ধ্রুবক এবং এর মাত্রা, তাৎপর্য ও মান নির্ণয়।

প্রতীক ও সংকেতের মধ্যে পার্থক্য কি?

রাদারফোর্ড ও বোর পরমাণু মডেলের মধ্যে তুলনা।